নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:২৩ পিএম, ১৮ মে, ২০১৮
আজ শুক্রবার রমজানের প্রথম দিন। রমজানকে ঘিরে গত সপ্তাহেজুড়ে বাজারে প্রচন্ড ভিড় লক্ষ করা গেলেও, প্রথম দিনেই পাল্টে গেছে নগরীর বাজারগুলোর চিত্র। এদিন নগরীর বেশিরভাগ বাজারের চিত্রই দেখা গেছে ক্রেতা কম। বাজারে ক্রেতাদের উপস্থিতি কম থাকার কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, রমজানকে ঘিরে অনেকেই আগেভাগেই বাজার করে রেখেছেন। যার ফলে আজ সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও বাজারে তেমন লোক সমাগম নেই। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বৈরী আবহাওয়া। যার কারণে ইচ্ছা থাকা স্বত্বেও অনেকেই বাজার মুখী হতে পারে নাই। অনেকে রমাজানের প্রথম প্রহর ঘুমিয়েই কাটাচ্ছেন।
শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, টাউনহল বাজার ও আশেপাশের কয়েকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
অন্যান্য বছর গুলোর মতোই এবারও ইফতারির কিছু পণ্যের দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে। এর মধ্যে শীর্ষ স্খান দখল করে নিয়েছে বেগুন আর শসা। এগুলোর দাম বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ। তবে রমজানের অন্যান্য পণ্য ছোলা, ডালের দাম কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা কমেছে। গত সপ্তাহে ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া ছোলা এই সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। তবে চিনির দাম কেজিতে ২ টাকা বেড়েছে।
এদিকে বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় বেশির ভাগ পণ্যের দাম কোনো হেরফের নেই বলে দাবি বিক্রেতাদের। তবে ক্রেতারা কম-বেশি সব পণ্যেই ঊর্ধ্বমুখী দামের কথাই বলছেন।
কারওয়ান বাজারসহ কয়েকটি বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, শসা বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজিতে। আর বেগুন প্রতি কেজি ৮০ থেকে ৯০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। তবে জ্বাল কমেছে কাঁচা মরিচের। প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকায়।
মগবাজার থেকে কারওয়ান বাজারে এসেছিলেন আমিনুল ইসলাম পলাশ। তিনি বলেন, রোজা এলে যেন দাম বাড়ার হিড়িক পড়ে। টাউন হলে বাজার করছিলেন তারিবুর রহমান। তাবিবুর বলেন, গত এক বছরেও শসার দাম এমন বাড়েনি।
প্রতিকেজি গোল বেগুন ৬০ থেকে ৮০ টাকা ও লম্বা বেগুন ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বেচাকেনা হচ্ছে বাজারগুলোতে। বেগুনের বাড়তি দাম নিয়ে কথা বলতেই এক বিক্রেতা বলে উঠলেন, ‘বেগুনের দাম কই আর বেশি। ৮০ থেকে টাকায় বেচাকেনা হচ্ছে। সামনে আরও বাড়তে পারে। প্রতিবছরই রোজাতেই তো এমন হয়!’
বেগুনে এমন উত্তাপ ছড়ালেও তার কোনো প্রভাবই নেই রোজার মাসে চাহিদা বৃদ্ধিতে এগিয়ে থাকা পণ্যগুলোর মধ্যে কাঁচামরিচ ও ধনেপাতায়।
বাজার ভেদে আড়াইশ গ্রাম কাঁচামরিচ ১০-২০ টাকায় ও ধনেপাতা ২৫-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর কারওয়ানবাজারে পাইকারিতে কাঁচামরিচ প্রতিকেজি ৩০-৩৫ টাকা ও ধনেপাতা ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারের ব্যবসায়ী আলী হোসেন। তিনি বলেন, রোজা উপলক্ষে এবার কাঁচামরিচ ও ধনেপাতার দাম বাড়েনি। প্রায় দুই মাস ধরে আড়াইশ গ্রাম কাঁচামরিচ ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আড়াইশগ্রাম ধনেপাতা বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। অথচ অন্য বছরগুলোয় রোজা শুরু হওয়ার আগেই এ দুটি পণ্যের দাম বেড়ে যেত।
পাইকারি বাজারে কিছুটা ঝাঁজ কমেছে পেঁয়াজের। কেজিতে পেঁয়াজের দাম কমেছে ২ টাকা। দেশি পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৪২ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৩০ টাকা কেজিতে বেচাকেনা হচ্ছে। তবে খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজিতে। ভারতীয় পেঁয়াজের কেজি ৪০ টাকা। চীনা রসুন ১২০ টাকা, দেশি ৮০ টাকা ও আদা ১২০ টাকা কেজিতে বেচাকেনা হচ্ছে।
তবে, কারওয়ান বাজারের পাইকারি বাজারে মধ্যম মানের পেঁয়াজের দাম উঠেছিল সর্বোচ্চ ৪৪ টাকা। এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪২ টাকায়। পাইকারি বিক্রেতা শহীদুল ইসলাম বলেন, সর্বোচ্চ ৪৪ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ বিক্রি করেছি। এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪২ টাকায়।
এদিকে, মাংসের বাজারে দেখা গেছে গরু ৪৮০, খাসি ৭৮০ ও পোল্ট্রি মুরগি ১৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য কাঁচা সবজির দাম কেজিতে ৬০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে।
বাংলা ইনসাইডার/এসএ/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
দাম কমানোর একদিন পরই আবারও ভরিতে ২ হাজার ১০০ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৪ হাজার ১৯০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা ৫০ মিনিট থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর করা হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ১৪ হাজার ১৯০ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৯ হাজার টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৩ হাজার ৪২৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৫ হাজার ২০৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৩ এপ্রিল দুই দিনের ব্যবধানে ভরিতে ৩ হাজার ১৩৮ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৬ হাজার ২৯০ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১০ হাজার ৯৯৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৫ হাজার ১৪৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৬ হাজার ৫৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা সেদিন বিকেল ৪টা থেকে কার্যকর হয়েছিল।
আর গত ২১ এপ্রিল একদিনের ব্যবধানে ভরিতে ৬৩০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৯ হাজার ৪২৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ৭০৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৮ হাজার ৬৬২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা সেদিন বিকেল ৩টা ৩০ মিনিট থেকে কার্যকর হয়েছিল।
এছাড়া গত ২০ এপ্রিল সবচেয়ে ভালো মানের ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ ৮৪০ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৯৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। আর ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৩ হাজার ৩৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ১৯৬ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৮ হাজার ২৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা সেদিন বিকেল ৩টা ৩০ মিনিট থেকে কার্যকর হয়েছিল।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের প্রথম চার মাসেই দেশের বাজারে ১২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৭ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ৫ বার। এর মধ্যে এপ্রিলেই দাম সমন্বয় হয়েছে ৭ বার। আর ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার।
স্বর্ণ বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি বাজুস
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ ব্যাংক বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস বিসিএস
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন বাজুস
মন্তব্য করুন
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নে প্রভাব পড়েছে চলমান
অর্থনৈতিক সংকট। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে ৪২.৩০
শতাংশ। আর টাকার হিসাবে ব্যয় হয়েছে এক লাখ সাত হাজার ৬১২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। যদিও গত
অর্থবছরের তুলনায় এবার এডিপি বাস্তবায়ন বেড়েছে। আগের বছর ৯ মাসে বাস্তবায়ন হয়েছিল ৪১.৬৫
শতাংশ।
অর্থবছরের বাকি আছে আর তিন মাস থাকলেও এই সময়ের মধ্যে শতাংশের হিসাবে বাস্তবায়ন করতে হবে ৫৭.৭০ শতাংশ। আর টাকার হিসাবে ব্যয় করতে হবে এক লাখ ৪৬ হাজার ৭৭৯ কোটি ১৯ লাখ টাকা। এই সময়ের মধ্যে শতভাগ এডিপি বাস্তবায়ন নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা।
গতকাল মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীন বাস্তবায়ন
পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনের তথ্য বিশ্লেষণে
এ চিত্র উঠে এসেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, অর্থবছরের ছয় মাসে যেখানে অর্ধেকও বাস্তবায়ন
হয়নি, সেখানে মাত্র তিন মাসে কী করে ৫৭ শতাংশ বাস্তবায়ন হবে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়
ও বিভাগকে জবাবদিহির আওতায় না আনলে শতভাগ এডিপি বাস্তবায়ন কোনো অর্থবছরেই সম্ভব হবে
না।
আইএমইডির তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরে সবচেয়ে বেশি এডিপি
বাস্তবায়ন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংস্থাটির চলতি অর্থবছরে একটি প্রকল্পের
আওতায় বরাদ্দ ছিল ছয় কোটি ১৯ লাখ টাকা। ৯ মাসে তারা ব্যয় করেছে পাঁচ কোটি ৯৯ লাখ টাকা,
যা শতাংশের হিসাবে ৯৬.৮৫ শতাংশ। আর শতাংশের হিসাবে বাস্তবায়নে পিছিয়ে থাকলেও টাকা খরচে
এগিয়ে রয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। বিভাগটির ২৬৩টি প্রকল্পের বিপরীতে বরাদ্দ ছিল ৪২
হাজার ৯৫৬ কোটি ৭১ লাখ টাকা।
অর্থবছরের ৯ মাসে ব্যয় হয়েছে ১৯ হাজার ৭৭৩ কোটি ৪৬ লাখ টাকা, যা
শতাংশের হিসাবে ৪৬.০৩ শতাংশ। এডিপি বাস্তবায়নে সবচেয়ে পিছিয়ে আছে অভ্যন্তরীণ সম্পদ
বিভাগ। চলতি অর্থবছরে তাদের বরাদ্দ ছিল ২৪২ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। ৯ মাসে ব্যয় করেছে ৩৩
কোটি ৭২ লাখ টাকা, যা শতাংশের হিসাবে ১৩.৮৯ শতাংশ।
বিদ্যুৎ বিভাগের এডিপি বাস্তবায়নের হার ৬৩.৮৭ শতাংশ। বরাদ্দ ছিল
৩০ হাজার ৬৩ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। ব্যয় করেছে ১৯ হাজার ২০২ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের বরাদ্দ ছিল ২৭ হাজার ৮০৩ কোটি ৪৫ লাখ
টাকা। ব্যয় হয়েছে ১১ হাজার ১৭৩ কোটি ১৩ লাখ টাকা। শতাংশের হিসাবে ৪০.১৯ শতাংশ। পানি
সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ ছিল ১৩ হাজার ১১৭ কোটি ৬২ লাখ টাকা। ৯ মাসে ব্যয় করেছে সাত
হাজার ৮১ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। শতাংশের হিসাবে ৫৩.৯৮ শতাংশ।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ ছিল ১২ হাজার ১৯২ কোটি
৭৫ লাখ টাকা। ব্যয় করেছে চার হাজার ২১ কোটি ৯০ লাখ টাকা। বাস্তবায়ন হার ৩২.৯৯ শতাংশ।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন হার ৫০.৯২ শতাংশ। তাদের বরাদ্দ ছিল ৪৫৯ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।
বিপরীতে ৯ মাসে ব্যয় করেছে ২৩৪ কোটি ছয় লাখ টাকা।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন হার ২৪.৪২ শতাংশ। পরিকল্পনা বিভাগের
বাস্তবায়ন হার ৩৮.৫৬ শতাংশ। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ২৪.৪২ শতাংশ। ইআরডির ৭১.৬৭ শতাংশ,
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ২৩.৭৯ শতাংশ, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের ৩১.৬৭ শতাংশ, অর্থ বিভাগের
৫০.০৮ শতাংশ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ৩৩.৬৯ শতাংশ, কৃষি মন্ত্রণালয়ের ৪৯.৯১ শতাংশ,
সেতু বিভাগের ৪৬.৬৮ শতাংশ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ১৯.৪৮ শতাংশ এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে।
চলতি অর্থবছরে এডিপি বাস্তবায়ন কম হওয়ার বিষয়ে আইএমইডি সচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন বলেন, ‘গত অর্থবছরের চেয়ে এবার বাস্তবায়ন হার বেশি। আমরা প্রকল্প বাস্তবায়নে গতি বাড়াতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছি। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবদের সঙ্গে বসছি। যেসব প্রকল্প শেষ পর্যায়ে আছে তাদের পর্যাপ্ত বরাদ্দ দিয়ে প্রকল্প শেষ করছি। প্রকল্প পরিচালক দক্ষতা বাড়াতেও উদ্যোগ নিচ্ছি।’
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি এডিপি বাংলাদেশ ব্যাংক
মন্তব্য করুন
দাম কমানোর একদিন পরই আবারও ভরিতে ২ হাজার ১০০ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৪ হাজার ১৯০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা ৫০ মিনিট থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর করা হয়েছে।
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নে প্রভাব পড়েছে চলমান অর্থনৈতিক সংকট। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে ৪২.৩০ শতাংশ। আর টাকার হিসাবে ব্যয় হয়েছে এক লাখ সাত হাজার ৬১২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। যদিও গত অর্থবছরের তুলনায় এবার এডিপি বাস্তবায়ন বেড়েছে। আগের বছর ৯ মাসে বাস্তবায়ন হয়েছিল ৪১.৬৫ শতাংশ।