নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৪৪ এএম, ০৮ জুন, ২০১৮
‘সমৃদ্ধ আগামীর পথ যাত্রায় বাংলাদেশ’ নামে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা। যা চলতি অর্থ বছরের চেয়ে ৬৪ হাজার ৩০৭ কোটি টাকা বেশি। প্রস্তাবিত বাজেটি রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ৩ লাখ ৩৯ হাজার ২৮০ কোটি টাকা। এরপরও বাজেটে ঘাটতি থাকবে ১ লাখ ২৫ হাজার ২৯৩ কোটি টাকা। যা অভ্যন্তরীণ ঋণ, বিদেশি সহায়তা থেকে মেটানো হবে।
দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় আকারের বাজেট পেশ করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সঙ্গে নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে সংসদে প্রবেশ করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এর পরপরই স্পিকারের অনুমতি পেয়ে বর্তমান সরকারের টানা দ্বিতীয় মেয়াদের শেষ বাজেট বক্তৃতা শুরু করেন। প্রথমে দাঁড়িয়ে বাজেট বক্তৃতা শুরু করলেও কিছুক্ষণ পর বসেই বক্তৃতা দেন তিনি। বক্তৃার মাঝে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে বারবার সংশোধন করে দেন নিকটেই বসে থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বাজেট বক্তৃকতায় বলেন, এবারের বাজেটের মূল লক্ষ্য হলো দারিদ্র্য দূরীকরণ ও অসমতা হ্রাস। আগামী অর্থবছরের জন্য ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী। নতুন অর্থবছরের এই বাজেট বাস্তবায়নে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৩ লাখ ৩৯ হাজার ২৮০ কোটি টাকা।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবসম্মত। কারণ ইতিমধ্যেই জাতীয় রাজস্ব খাতে জনবল ও কর্মপদ্ধতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে। এতে করে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন কঠিন হবেনা।
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দ ১ লাখ ৭৩ হাজার কোটি টাকা। মূল্যস্ফীতি ধরা হয় ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। আর মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির আকার ২৫ লাখ ৩৭ হাজার ৮৪৯ কোটি টাকা। বাজেট ঘাটতি মেটাতে বৈদেশিক উৎস থেকে ৫৪ হাজার ৬৭ কোটি এবং অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে যোগান ধরা হয় ৭১ হাজার ২২৬ কোটি টাকা।
এদিকে আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেটকে শিল্পবান্ধব ও সবার জন্য ভারসাম্যমূলক বলে অভিহিত করেছেন দেশের কয়েজন অর্থনীতিবিদ। তবে করপোরেট কর যে হারে কমার কথা ছিল, সেই হারে না কমায় কিছুটা অসন্তুষ্টি রয়েছে তাদের।
২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেটে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় পল্লী কর্মসংস্থান ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান ও অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমেদ জানান, ‘বড় বাজেটকে আমি সমর্থন করি, কারণ দেশের অর্থনীতি বড় হচ্ছে। তবে বড় বাজেট করে বসে থাকলেই চলবে না, বাস্তবায়ন করতে হবে। কারণ, কয়েক বছরে ধরেই বাজেট বাস্তবায়ন প্রশ্নবিদ্ধ থেকে যাচ্ছে।’
বাজেট প্রতিক্রিয়ায় প্রস্তাবিত বাজেটকে সবার জন্য ভারসাম্যমূলক বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের (বিআইডিএস) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ও অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএসএস) ভারপ্রাপ্ত গবেষণা পরিচালক ড. মাহফুজ কবীর ‘নতুন অর্থবছরের বাজেটটি মূলত ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা। তবে এই বাজেটে ব্যবসায়ীদের জন্য অনেক ধরনের প্রণোদনা আছে।
এদিকে বাজেট নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম। তার মতে, আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের যে আকার নির্ধারণ করা হয়েছে তা কোনোভাবেই বাস্তবায়নযোগ্য নয়।
বাজেট প্রতিক্রিয়া ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেছেন, প্রস্তাবিত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট শিল্প ও ব্যবসাবান্ধব নয়। প্রস্তাবিত বাজেট এ খাতকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে।
বাজেটে নতুন কোনো চমক নেই বলে জানিয়েছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)। বৃহস্পতিবার বাজেট পরবর্তী তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় সংস্থাটির ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এ মন্তব্য করেন।
বাংলা ইনসাইডার/এসএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারিত হচ্ছে। ব্যবসায়িক লেনদেন ঠিক রাখতে মুদ্রা বিনিময়ের পরিমাণও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এছাড়া বিশ্বের নানা দেশে প্রায় ১ কোটি বাংলাদেশি বসবাস করেন। তারা বাংলাদেশের জন্য সম্পদ। মূলত, তাদের পাঠানো কষ্টার্জিত অর্থে সচল রয়েছে দেশের অর্থনীতির চাকা।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ব্যবসায়ী ও প্রবাসীদের লেনদেনের সুবিধার্থে টাকায় বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার তুলে ধরা হলো-
মন্তব্য করুন
চলতি অর্থবছরের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক)
অষ্টম সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ। আর এটিই হতে যাচ্ছে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত
নতুন সরকারের দ্বিতীয় একনেক সভা। এই সভায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার ১১টি প্রকল্প
অনুমোদন দিতে যাচ্ছে সরকার। এর বাইরেও অনুমোদন পাচ্ছে আরো ৩০টি প্রকল্প।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকাল
১০টায় রাজধানীর শেরেবাংলানগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে চলতি অর্থবছরের ৮ম একনেক সভা অনুষ্ঠিত
হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কমিশন সূত্রে জানা গেছে, অনুমোদনের জন্য একনেক সভায় উপস্থাপনের
জন্য এরই মধ্যে ৪১টি উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব যাচাই-বাছাই শেষে চূড়ান্ত করা হয়েছে।
এর মধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মেয়াদ বৃদ্ধি, সংশোধন এবং নতুন উন্নয়ন প্রকল্প
প্রস্তাব ১১টি।
এর বেশির ভাগই নতুন প্রকল্প। সংশোধিত প্রকল্প রয়েছে চারটি।
অর্থাৎ নতুন প্রকল্প রয়েছে সাতটি। এর বাইরে পরিকল্পনামন্ত্রী কর্তৃক অনুমোদিত ৩০টি
প্রকল্প প্রস্তাব একনেক সভাকে অবহিত করা হবে।
নতুন সরকারের দ্বিতীয় একনেক সভায় যেসব প্রকল্প প্রস্তাব অনুমোদনের
জন্য উপস্থাপন করা হবে সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি স্থানীয় সরকার বিভাগের। এই বিভাগের
রয়েছে তিনটি প্রকল্প। স্থানীয় সরকার বিভাগের বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের জেলাগুলোর পল্লী
অবকাঠামো উন্নয়ন, ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ (৩য় পর্যায়) এবং অবকাঠামো, উন্নত
দক্ষতা এবং তথ্যে অ্যাকসেসের মাধ্যমে দুর্বলদের জন্য স্থিতিস্থাপকতা প্রচার করা (পোভার্টি)
(১ম সংশোধিত)।
এ ছাড়া একটি মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা
হবে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ বেতার, শাহবাগ কমপ্লেক্স,
আগারগাঁও, ঢাকায় স্থানান্তর, নির্মাণ ও আধুনিকায়ন (১ম পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পটি তৃতীয়
বার সংশোধনের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে।
এর বাইরেও একনেক সভার অবগতির জন্য পরিকল্পনামন্ত্রী কর্তৃক অনুমোদিত
বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রস্তাবিত ৩০টি প্রকল্প প্রস্তাব উপস্থাপন করা হবে।
এর মধ্যে আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগ সংশ্লিষ্ট ১৪টি, ভৌত অবকাঠামো বিভাগের ৯টি, শিল্প
ও শক্তি বিভাগের একটি এবং কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের ছয়টি প্রকল্প।
একনেক জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন
মন্তব্য করুন
রেমিট্যান্স প্রবাসী আয় বাংলাদেশ ব্যাংক
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ গত ১ সপ্তাহের ব্যবধানে আরও কিছুটা কমেছে। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে বিদেশি মুদ্রার সঞ্চায়ন স্থির হয়েছে ২৪ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলারে। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) গণনায় তা দাঁড়িয়েছে ১৯ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারে। এদিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইটে সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।