ইনসাইড ইকোনমি

বিপণনের ভবিষ্যৎ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২:০২ পিএম, ২০ জুলাই, ২০১৮


Thumbnail

একটি স্বয়ংক্রিয় গাড়ি স্বর্ণাকে বাসায় নামিয়ে দিয়ে সার্ভিসিং সেন্টারের দিকে চলে গেল। গাড়িটি ঠিক সময়ে ফিরে এসে আগামীকাল সকালে তাকে এয়ারপোর্টেও পৌঁছে দেবে। বাসায় ফেরার সময় ‘ইভ’ স্বর্ণাকে মনে করিয়ে দিলো তার কাপড় ধোঁয়ার ডিটারজেন্ট শেষ হয়ে গেছে। কোন ব্র্যান্ডের ডিটারজেন্ট কিনতে হবে সেটার পরামর্শও সে দিলো। ইভ একটি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট ডিভাইস। এটা তার ব্যবহারকারীর প্রতিমাসের প্রয়োজনীয় সবকিছুর তালিকা সংরক্ষণ করে। 

স্বর্ণা নিশ্চিন্ত মনেই ইভকে বিশ্বাস করে, কারণ সে জানে ইভ তার জন্য সবচেয়ে কম দামে ডিসকাউন্ট সুবিধাসহ ভালো ব্র্যান্ডের পণ্যটিই পছন্দ করবে। স্বর্ণা এও জানে যে ইভ আগামীকালের ফ্লাইটের জন্য বুকিং দিয়ে রেখেছে। ভ্রমনকালীন দিনগুলোর জন্য অনলাইনে সবচেয়ে সুলভ মূল্যে পছন্দনীয় সব খাবারের লোকেশনও সেট করে রেখেছে সে। শুধু তাই নয় সঠিক ইনস্যুরেন্স পলিসি ও বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিতেও স্বর্নাকে সাহায্য করে এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ডিভাইসটি। তার জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিনত হয়েছে ইভ।

সায়েন্স ফিকশনের কাল্পনিক কোনো যন্ত্র বলে মনে হচ্ছে ইভকে? মজার ব্যাপার হলো,আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ইভের মতো কোনো সফটওয়্যার কিংবা ডিভাইস হয়তো আপনার হাতেও চলে আসবে। তাছাড়া আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সফটওয়্যারের ব্যবহার তো বর্তমানেও রয়েছে। অ্যামাজন, বাইদু, গুগলের মত বড় বড় টেক জায়ান্টরা মার্কেটিংয়ের জন্য আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করছে। প্রায় ২৫ মিলিয়ন মানুষ অ্যামাজনের ইকো স্মার্ট স্পিকার সিস্টেম ব্যবহার করছে। এ্যালেক্সার মতো আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট (এআই) সফটওয়্যার গ্রাহকদের কল্পনাতীত সব সার্ভিস দিচ্ছে।

পণ্য ও সেবাদানকারী কোম্পানীগুলো সবসময়ই স্বল্প মুলধনের বিনিময়ে সর্বোচ্চ ভোক্তাসন্তুষ্টি অর্জন করতে চায়। তাদের জিজ্ঞাসা একটাই, গ্রাহকের আর কী প্রয়োজন থাকতে পারে?

এআই প্ল্যাটফর্ম মানুষের মনের অজান্তের ইচ্ছা, পছন্দ কিংবা রুচির বিষয়গুলো কোম্পানির সামনে নিয়ে আসতে পারবে। যে কোম্পানিগুলো সঠিকভাবে এআই প্ল্যাটফর্ম এর তথ্য ব্যবহার  করতে পারবে, তারাই মার্কেটে রাজত্ব করবে। ভবিষ্যতে ব্র‍্যান্ডগুলোর এসব এআই প্ল্যাটফর্ম থেকেই ক্রেতা সংগ্রহ করতে হবে, এবং এর মাধ্যমেই  তাদের চাহিদা মেটাতে হবে। হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ তাদের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্যই জানিয়েছে।

গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট বর্তমানে ৪০০ মিলিয়ন ডিভাইসে ব্যবহার হচ্ছে। আগামী এক দশকের মধ্যেই হয়তো অ্যাপলের সিরি, স্যামসং এর ভিভ, মাইক্রোসফটের  কর্টানা, টেনসেন্টের জিওয়েই অথবা এদের মত অন্যান্য মাধ্যম ব্যবহার করে কোম্পানিগুলো গ্রাহকদের পছন্দ, শখ ও চাহিদা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করবে। একটি ত্রুটিপূর্ণ মোবাইল ট্যারিফ প্ল্যান কিংবা খারাপ মানের ইনস্যুরেন্স পলিসির কারণে গ্রাহকের প্রচুর আর্থিক ক্ষতি হতে পারে। সে কারণে গ্রাহকরাও অসংখ্য পণ্য ও সেবার ভেতর থেকে কম খরচে সবচেয়ে ভালো পণ্য বেছে নেবার জন্য কোনো সফটওয়্যারের সাহায্য পেতে চাইবে। 

টেকনোলজি মার্কেটিংয়ের জগতকে প্রচণ্ড প্রতিযোগিতামূলক করে তুলছে। মিডিয়া ব্যাপকভাবে মানুষের চাহিদাকে প্রলোভিত করছে। ১৯৫০ এর দশকে সুপারস্টোর প্রথা চালু হবার পর মার্কেটিংয়ের জন্য ব্যানার, বিলবোর্ড ও বিজ্ঞাপনের চল শুরু হয়েছিল। ঠিক তেমনি ভবিষ্যতে মার্কেটিংয়ের জন্য আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করা হবে বলে মনে করছে গুগল, অ্যামাজন, ইউনিলিভারের মত জায়ান্ট কোম্পানিগুলো।

প্রযুক্তিবিদরা বলছে, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সফটওয়্যারগুলো গ্রাহকের বাসার ইন্টারফেস সিস্টেম, ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস, কমিউনিকেশন সিস্টেমের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে। বড় বড় মার্কেট, শপিং মল, আর্থিক প্রতিষ্ঠান কিংবা হাসপাতালও এসব প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে যুক্ত হবে। যত বেশি গ্রাহক প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ততবেশি সঠিক অনুমান করতে সক্ষম হবে এবং সয়ংক্রিয়ভাবে এই ক্ষমতা বাড়তে থাকবে। এমনটাই মনে করছেন তথ্য প্রযুক্তিবিদ এবং বিপণন বিশারদগণ।

বর্তমানে ব্র‍্যান্ডগুলো তাদের গুণগত মান বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে তুলে ধরে ভোক্তার বিশ্বাস অর্জন করতে চেষ্টা করে। ভবিষ্যতে বিজ্ঞাপনের ওপর আস্থা না রেখে ভোক্তারা এ আই প্লাটফর্মকেই হয়তো বেছে নেবে। কারণ এই সফটওয়্যারগুলো গ্রাহকের পছন্দের ওপর ভিত্তি করে গাণিতিকভাবে সবচেয়ে সুলভ এবং মানসম্পন্ন পণ্যটিই নির্বাচন করে। আর কোম্পানীগুলোও গ্রাহকের তথ্য জানার জন্য এসব প্ল্যাটফর্মকেই গুরুত্ব দিতে শুরু করেছে।  কারন এটিই গ্রাহকের কাছে পৌছানোর সবচেয়ে সহজ মাধ্যম। কোম্পানির বিক্রি ও লভ্যাংশ নির্ভর করে ভোক্তাসন্তুষ্টির ওপর। আর ভোক্তাদের পছন্দ, রুচি ও চাহিদার তথ্য এআই প্ল্যাটফর্ম ছাড়া আর কোথায় এত নিখুঁতভাবে পাওয়া যাবে?

ব্র‍্যান্ড যা করে তা হলো, একটা ভালো ইমেজ তৈরি করে ফেলে যার কারণে মানুষ খুব বেশি বাছবিচার না করে ওই পণ্যটিই বারবার ব্যবহার করতে থাকে। এমনকি ওই পণ্যের পরিবর্তে অন্য কোন পণ্য ব্যবহার করার ইচ্ছা জাগলেও কয়েকশ পণ্যের মাঝে মান, উপকরন, দাম এসব যাচাই করার জন্য সময় নষ্ট করতে চায় না। এক্ষেত্রে এআই অ্যাসিস্ট্যান্টই পারে গ্রাহকের সুনির্দিষ্ট চাহিদা অনুযায়ী হাজার হাজার পণ্যের মাঝে সঠিক পণ্যটি খুজে বের করে দিতে।

যদি এমন হয় যে, ভোক্তার কাছেই সকল পণ্যের পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য আছে, তবে সে ব্র‍্যান্ডের পেছনে না দৌড়ে ভালো পণ্যের দিকেই যাবে। তার মানে এই নয় যে ব্র‍্যান্ড হারিয়ে যাবে। ব্র‍্যান্ডগুলো গ্রাহকের পরিবর্তনশীল পছন্দ, কৌতুহল, ইচ্ছা ও চাহিদার তথ্য এআই প্ল্যাটফর্ম থেকেই জেনে নিতে পারবে, যার মাধ্যমে সঠিক সময়ে সঠিক পণ্য বাজারে ছেড়ে প্রতিযোগীতায় এগিয়ে থাকতে পারবে।

গবেষকরা বলছেন, ব্র‍্যান্ড এবং ভোক্তার মধ্যে সেতু বন্ধন করবে এআই প্ল্যাটফর্ম। এতে গ্রাহকও সর্বোচ্চ সুবিধাটি পাবে, সাথে সাথে কোম্পানীগুলোও একটি সুস্থ প্রতিযোগিতা বজায় রাখতে পারবে।

এআই প্ল্যাটফর্মের সার্বজনীনতা নিয়েও গবেষনা করেছেন কয়েকজন বিপণনবিদ। তাদের মতে এআই প্ল্যাটফর্ম তখনই সার্বজনীন হবে যখন ব্যবহারকারীরা একে সম্পূর্ণভাবে বিশ্বাস করা শুরু করবে। তবে এর বিনিময়ে ব্যবহারকারীদের দিতে হবে নির্ভুল তথ্য। এসব প্ল্যাটফর্মকে পেইড ও আনপেইড দুধরনের বিজ্ঞাপনকেই সমান সুযোগ দিতে হবে বলে মনে করছেন গবেষকরা।

এতে করে ব্র‍্যান্ড ও ননব্রান্ড সবাই তাদের পণ্য ক্রেতার সামনে তুলে ধরার সুযোগ পাবে এবং এআই অ্যাসিস্ট্যান্টও তার স্বচ্ছতার প্রমান দিতে পারবে। একইসঙ্গে গ্রাহকও সর্বোচ্চমানের পণ্যটি ব্যবহার করতে পারবে।

সূত্রঃ হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ

বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি

 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে যে ব্যাখ্যা দিলো বাংলাদেশ ব্যাংক

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ব্যাংক একীভূত হওয়া নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত খবর সঠিকভাবে প্রকাশিত হচ্ছে না মনে করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে যে ভাবে সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে তা অনেক ক্ষেত্রেই প্রকৃত তথ্যনির্ভর নয় বলে মনে করছে ব্যাংকিং খাত নিয়ন্ত্রক এই প্রতিষ্ঠানটি। আর এটি দূর করতে বাংলাদেশ ব্যাংক একটি স্পষ্টীকরণ বিজ্ঞপ্তি করেছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মূলত দুটি উদ্দেশ্য নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে কাজ করছে। 

প্রথমটি হলো: ২০২৬ সালে বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। ফলে উন্নয়নশীল অর্থনীতিতে কার্যকর ব্যাংকিং সেবা প্রদানের জন্য দেশে অধিক সক্ষমতাসম্পন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন হবে যাতে করে অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কোনোরূপ বাধার সৃষ্টি না হয়।

দ্বিতীয়টি হলো: অপেক্ষাকৃত দুর্বল ব্যাংকের বিদ্যমান সমস্যা সমাধান এবং একইসাথে অপেক্ষাকৃত সবল ব্যাংকের কার্যক্রম উন্নয়নের মাধ্যমে আর্থিক খাতকে শক্তিশালী করা যাতে করে জনস্বার্থে একীভূত ব্যাংক কোম্পানি অধিকতর সেবা প্রদান করতে পারে।

একীভূতকরণের প্রক্রিয়াধীন ব্যাংকগুলোয় ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক আমানতকারীদের জমাকৃত আমানত সম্পূর্ণ নিরাপদ ও সুরক্ষিত থাকবে। একীভূতকরণের কাজ সম্পন্ন হওয়ার পরও স্ব স্ব ব্যাংকের হিসাবধারীদের বর্তমান হিসাব পূর্বের ন্যায় চলমান থাকবে।

একীভূতকরণের আওতাভুক্ত ব্যাংকগুলোর উদ্যোক্তা পরিচালক, বর্তমান পর্ষদ ও সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতির ভিত্তিতেই একীভূতকরণের কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ৪ এপ্রিল ২০২৪ তারিখে জারিকৃত বিআরপিডি সার্কুলার নং ৮ এ বর্ণিত নীতিমালা অনুসরণ করেই একীভূতকরণের সকল কার্যক্রম সম্পাদন হবে।

ব্যাংক একীভূতকরণ   বাংলাদেশ ব্যাংক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

তিনদিনের মাথায় আবারও কমল স্বর্ণের দাম

প্রকাশ: ০৪:৩১ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলতি মাসে তিন দফা বাড়ানোর পর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কিছুটা কমানো হয়েছে। এতে সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম আরও ৩ হাজার ১৩৮ টাকা কমিয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে ভালো মানের এক ভরি সোনার দাম হয়েছে ১ লাখ ১৬ হাজার ২৯০ টাকা। স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম কমার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম কমানো হয়েছে।

এর আগে গত তিনদিন পূর্বে দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কমায় বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। নতুন দাম নির্ধারণের তিন দিন না যেতেই এবার আবারও স্বর্ণের দাম কমালো দেশের বাজারে স্বর্ণের মূল্য নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেল ৪টা থেকেই নতুন দাম কার্যকর হবে বলে বাজুস। এদিন বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠক করে দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরবর্তীতে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের দাম কমেছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ জুয়েলারি অ্যাসোসিয়েশন সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করেছে, যা মঙ্গলবার বিকেল ৪টা থেকে কার্যকর হবে।

নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম তিন হাজার ১৩৮ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ১৬ হাজার ২৯০ টাকা। আর ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম তিন হাজার ৯ টাকা কমিয়ে এক লাখ ১০ হাজার ৯৯৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম দুই হাজার ৫৬৬ টাকা কমিয়ে ৯৫ হাজার ১৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম দুই হাজার ৭৬ টাকা কমিয়ে ৭৬ হাজার ৫৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

অবশ্য স্বর্ণের অলঙ্কার কিনতে এর থেকে বেশি অর্থ গুনতে হবে ক্রেতাদের। কারণ বাজুসের নির্ধারণ করা দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে স্বর্ণের অলঙ্কার বিক্রি করা হয়। সেইসঙ্গে ভরি প্রতি মজুরি ধরা হয় ন্যূনতম তিন হাজার ৪৯৯ টাকা। ফলে আগামীকাল থেকে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের অলঙ্কার কিনতে ক্রেতাদের গুনতে হবে এক লাখ ২৫ হাজার ৬০৪ টাকা।


স্বর্ণ   বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি   বাজুস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

পদ্মা ব্যাংকের এমডির পদত্যাগ, চার ব্যাংকে আসছে নতুন মুখ

প্রকাশ: ১১:৪২ এএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে যাওয়া পদ্মা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তারেক রিয়াজ খান পদত্যাগ করেছেন। এরই মধ্যে তাকে এমডি হিসেবে নিয়োগের জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনআরবি ব্যাংক।

এদিকে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক থেকে ছুটিতে পাঠানো এমডি মো. হাবিবুর রহমান চাকরিতে ফিরতে পারেননি এখনো। তবে নতুন এমডি পেয়েছে মেঘনা ব্যাংক। আর প্রিমিয়ার, এনসিসি ও বেসিক ব্যাংকের এমডি পদে নিয়োগ সংক্রান্ত কাজ চলমান রেখেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সূত্রের বরাত এসব তথ্য জানা গেছে।

সম্প্রতি এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে পদ্মা ব্যাংকের একীভূত হওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানা যায়। এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠান দুটির মধ্যকার পরিচালনা পর্ষদ সিদ্ধান্তও নিয়েছে। ব্যাংক দুটির নিরীক্ষার জন্য নিরীক্ষক নিয়োগ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আর এরই মধ্যে পদ্মা ব্যাংকের এমডি তারেক রিয়াজ খান সরে দাঁড়ালেন তার পদ থেকে। এনআরবি ব্যাংকে যোগদান করতে যাচ্ছেন তিনি। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অনুমোদন হলে তবেই এনআরবি ব্যাংকে যোগদান করবেন তারেক রিয়াজ খান।

এর আগে গত ফেব্রুয়াতি এনআরবি ব্যাংকের এমডির পদ থেকে পদত্যাগ করেন মামুন মাহমুদ শাহ। তারপর থেকে ভারপ্রাপ্ত এমডি দিয়ে পরিচালনা করা হচ্ছে ব্যাংকটি।

তারেক রিয়াজ খান পদ্মা ব্যাংক থেকে পদত্যাগের কারণ হিসেবে দেশের একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, পদ্মা ব্যাংক একীভূত হতে যাওয়ায় পদত্যাগ করেছি। আর নতুন কোনো প্রতিষ্ঠানে যাওয়া যায় কিনা, সেটি দেখছি।

এদিকে ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি শরিয়াভিত্তিক ব্যাংকে রূপান্তর হওয়া স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের এমডি হিসেবে যোগদান করেন মো. হাবিবুর রহমান। নির্ধারিত মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তাকে চলতি বছরের গত ২৯ ফেব্রুয়ারি তিন মাসের ছুটিতে পাঠানো হয়। প্রতিষ্ঠানটির পর্ষদের একজন প্রভাবশালী পরিচালকদের সঙ্গে দ্বন্দ্বের কারণে ছুটিতে পাঠানো হয় তাকে। আর এই বিষয়টি কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানতে পারলে এ নিয়ে শুরু করে পরিদর্শন। একই সঙ্গে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনাও করে। কিন্তু এখনো মো. হাবিবুর রহমানকে এমডির পদে ফেরানো নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তের ব্যাপারে জানা যায়নি।


পদ্মা ব্যাংক   এমডি   পদত্যাগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

বিদেশি ঋণের অর্থছাড়ে শীর্ষে এডিবি

প্রকাশ: ০৯:০৩ পিএম, ২২ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশেকে দেওয়া বিদেশি ঋণের অর্থছাড়ের তালিকার শীর্ষে রয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) ১৪০ কোটি ডলার ছাড় করেছে এশিয়া অঞ্চলের এই ঋণদাতা সংস্থাটি।

গতকাল রোববার প্রকাশিত দেশের বৈদেশিক ঋণের হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) তৈরি করা সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

ওই প্রতিবেদন অনুসারে, ঋণের অর্থছাড়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে জাপান। বাংলাদেশের অন্যতম বড় দ্বিপক্ষীয় দাতা দেশটি দিয়েছে ১৩৫ কোটি ৮০ লাখ ডলার। তৃতীয় স্থানে থাকা বিশ্বব্যাংক ছাড় করেছে ৯৬ কোটি ৭৩ লাখ ডলার।

চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে আছে যথাক্রমে রাশিয়া ও চীন। এই দুটি দেশ ছাড় করেছে যথাক্রমে ৮০ কোটি ৭০ লাখ ডলার ও ৩৬ কোটি ডলার।

বিদেশি সহায়তার প্রতিশ্রুতিতেও শীর্ষে আছে এডিবি। সংস্থাটি গত ৯ মাসে ২৬২ কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এ ছাড়া দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে থাকা যথাক্রমে জাপান ২০৩ কোটি ডলার ও বিশ্বব্যাংক ১৪১ কোটি ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

বিদেশি ঋণ   এডিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

বিদেশি ঋণের সুদ পরিশোধ ছাড়িয়েছে ১০০ কোটি ডলার

প্রকাশ: ০৩:০৪ পিএম, ২২ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধ প্রথমবারের মতো ১০০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসেই ঋণের সুদ বাবদ পরিশোধ করা হয়েছে ১০০ কোটি ডলারের বেশি। গত জুলাই-মার্চ সময়ে বিদেশি ঋণের বিপরীতে ১০৫ কোটি ডলার পরিশোধ করতে হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি। একই সময়ে গত অর্থবছরে সুদ বাবদ ৪৮ কোটি ডলার পরিশোধ করেছিল বাংলাদেশ।

দেশের বৈদেশিক ঋণের হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে প্রকাশিত সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) তৈরি করা সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ চিত্র উঠে এসেছে।

ইআরডি সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে বিদেশি ঋণের সুদাসল পরিশোধ বাবদ খরচ বেড়েছে। যা পরিমাণ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৮৯ কোটি ডলার। গত ৯ মাসে ২৫৭ কোটি ডলারের বেশি সুদ ও আসল পরিশোধ করা হয়েছে। গত বছর একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ১৭৩ কোটি ডলার।

বিদেশি ঋণ পরিশোধের চাপ এসেছে এমন সময়ে, যখন দেশে কয়েক মাস ধরে বৈদেশিক মুদ্রার সংকট চলছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, ডলার-সংকটের এ সময়ে বিদেশি ঋণ পরিশোধের জন্য অতিরিক্ত অর্থ ব্যয়ের কারণে রিজার্ভ ও বাজেটের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি হচ্ছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চীন ও রাশিয়ার স্বল্প মেয়াদের ঋণের কারণে ঋণ পরিশোধের চাপ বাড়ছে। ইতিমধ্যে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের ঋণ পরিশোধ শুরু হয়েছে। মেট্রোরেল প্রকল্পের ঋণ পরিশোধের কিস্তিও শুরু হয়েছে। এ ছাড়া কর্ণফুলী টানেল প্রকল্পের ঋণ পরিশোধও শিগগিরই শুরু হবে।

আগামী দু-তিন বছরের মধ্যে অন্য মেগা প্রকল্পের ঋণ পরিশোধ শুরু হলে চাপ আরও বাড়বে। অন্যদিকে ঋণের ছাড় আগের তুলনায় তেমন বাড়েনি।

ইআরডি সূত্র বলছে, জুলাই-মার্চ সময়ে সব মিলিয়ে এসেছে ৫৬৩ কোটি ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৫৩৬ কোটি ডলার।

বিদেশি ঋণ   ইআরডি   অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন