ইনসাইড ইকোনমি

বিপণনের ভবিষ্যৎ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২:০২ পিএম, ২০ জুলাই, ২০১৮


Thumbnail

একটি স্বয়ংক্রিয় গাড়ি স্বর্ণাকে বাসায় নামিয়ে দিয়ে সার্ভিসিং সেন্টারের দিকে চলে গেল। গাড়িটি ঠিক সময়ে ফিরে এসে আগামীকাল সকালে তাকে এয়ারপোর্টেও পৌঁছে দেবে। বাসায় ফেরার সময় ‘ইভ’ স্বর্ণাকে মনে করিয়ে দিলো তার কাপড় ধোঁয়ার ডিটারজেন্ট শেষ হয়ে গেছে। কোন ব্র্যান্ডের ডিটারজেন্ট কিনতে হবে সেটার পরামর্শও সে দিলো। ইভ একটি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট ডিভাইস। এটা তার ব্যবহারকারীর প্রতিমাসের প্রয়োজনীয় সবকিছুর তালিকা সংরক্ষণ করে। 

স্বর্ণা নিশ্চিন্ত মনেই ইভকে বিশ্বাস করে, কারণ সে জানে ইভ তার জন্য সবচেয়ে কম দামে ডিসকাউন্ট সুবিধাসহ ভালো ব্র্যান্ডের পণ্যটিই পছন্দ করবে। স্বর্ণা এও জানে যে ইভ আগামীকালের ফ্লাইটের জন্য বুকিং দিয়ে রেখেছে। ভ্রমনকালীন দিনগুলোর জন্য অনলাইনে সবচেয়ে সুলভ মূল্যে পছন্দনীয় সব খাবারের লোকেশনও সেট করে রেখেছে সে। শুধু তাই নয় সঠিক ইনস্যুরেন্স পলিসি ও বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিতেও স্বর্নাকে সাহায্য করে এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ডিভাইসটি। তার জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিনত হয়েছে ইভ।

সায়েন্স ফিকশনের কাল্পনিক কোনো যন্ত্র বলে মনে হচ্ছে ইভকে? মজার ব্যাপার হলো,আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ইভের মতো কোনো সফটওয়্যার কিংবা ডিভাইস হয়তো আপনার হাতেও চলে আসবে। তাছাড়া আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সফটওয়্যারের ব্যবহার তো বর্তমানেও রয়েছে। অ্যামাজন, বাইদু, গুগলের মত বড় বড় টেক জায়ান্টরা মার্কেটিংয়ের জন্য আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করছে। প্রায় ২৫ মিলিয়ন মানুষ অ্যামাজনের ইকো স্মার্ট স্পিকার সিস্টেম ব্যবহার করছে। এ্যালেক্সার মতো আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট (এআই) সফটওয়্যার গ্রাহকদের কল্পনাতীত সব সার্ভিস দিচ্ছে।

পণ্য ও সেবাদানকারী কোম্পানীগুলো সবসময়ই স্বল্প মুলধনের বিনিময়ে সর্বোচ্চ ভোক্তাসন্তুষ্টি অর্জন করতে চায়। তাদের জিজ্ঞাসা একটাই, গ্রাহকের আর কী প্রয়োজন থাকতে পারে?

এআই প্ল্যাটফর্ম মানুষের মনের অজান্তের ইচ্ছা, পছন্দ কিংবা রুচির বিষয়গুলো কোম্পানির সামনে নিয়ে আসতে পারবে। যে কোম্পানিগুলো সঠিকভাবে এআই প্ল্যাটফর্ম এর তথ্য ব্যবহার  করতে পারবে, তারাই মার্কেটে রাজত্ব করবে। ভবিষ্যতে ব্র‍্যান্ডগুলোর এসব এআই প্ল্যাটফর্ম থেকেই ক্রেতা সংগ্রহ করতে হবে, এবং এর মাধ্যমেই  তাদের চাহিদা মেটাতে হবে। হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ তাদের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্যই জানিয়েছে।

গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট বর্তমানে ৪০০ মিলিয়ন ডিভাইসে ব্যবহার হচ্ছে। আগামী এক দশকের মধ্যেই হয়তো অ্যাপলের সিরি, স্যামসং এর ভিভ, মাইক্রোসফটের  কর্টানা, টেনসেন্টের জিওয়েই অথবা এদের মত অন্যান্য মাধ্যম ব্যবহার করে কোম্পানিগুলো গ্রাহকদের পছন্দ, শখ ও চাহিদা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করবে। একটি ত্রুটিপূর্ণ মোবাইল ট্যারিফ প্ল্যান কিংবা খারাপ মানের ইনস্যুরেন্স পলিসির কারণে গ্রাহকের প্রচুর আর্থিক ক্ষতি হতে পারে। সে কারণে গ্রাহকরাও অসংখ্য পণ্য ও সেবার ভেতর থেকে কম খরচে সবচেয়ে ভালো পণ্য বেছে নেবার জন্য কোনো সফটওয়্যারের সাহায্য পেতে চাইবে। 

টেকনোলজি মার্কেটিংয়ের জগতকে প্রচণ্ড প্রতিযোগিতামূলক করে তুলছে। মিডিয়া ব্যাপকভাবে মানুষের চাহিদাকে প্রলোভিত করছে। ১৯৫০ এর দশকে সুপারস্টোর প্রথা চালু হবার পর মার্কেটিংয়ের জন্য ব্যানার, বিলবোর্ড ও বিজ্ঞাপনের চল শুরু হয়েছিল। ঠিক তেমনি ভবিষ্যতে মার্কেটিংয়ের জন্য আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করা হবে বলে মনে করছে গুগল, অ্যামাজন, ইউনিলিভারের মত জায়ান্ট কোম্পানিগুলো।

প্রযুক্তিবিদরা বলছে, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সফটওয়্যারগুলো গ্রাহকের বাসার ইন্টারফেস সিস্টেম, ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস, কমিউনিকেশন সিস্টেমের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে। বড় বড় মার্কেট, শপিং মল, আর্থিক প্রতিষ্ঠান কিংবা হাসপাতালও এসব প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে যুক্ত হবে। যত বেশি গ্রাহক প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ততবেশি সঠিক অনুমান করতে সক্ষম হবে এবং সয়ংক্রিয়ভাবে এই ক্ষমতা বাড়তে থাকবে। এমনটাই মনে করছেন তথ্য প্রযুক্তিবিদ এবং বিপণন বিশারদগণ।

বর্তমানে ব্র‍্যান্ডগুলো তাদের গুণগত মান বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে তুলে ধরে ভোক্তার বিশ্বাস অর্জন করতে চেষ্টা করে। ভবিষ্যতে বিজ্ঞাপনের ওপর আস্থা না রেখে ভোক্তারা এ আই প্লাটফর্মকেই হয়তো বেছে নেবে। কারণ এই সফটওয়্যারগুলো গ্রাহকের পছন্দের ওপর ভিত্তি করে গাণিতিকভাবে সবচেয়ে সুলভ এবং মানসম্পন্ন পণ্যটিই নির্বাচন করে। আর কোম্পানীগুলোও গ্রাহকের তথ্য জানার জন্য এসব প্ল্যাটফর্মকেই গুরুত্ব দিতে শুরু করেছে।  কারন এটিই গ্রাহকের কাছে পৌছানোর সবচেয়ে সহজ মাধ্যম। কোম্পানির বিক্রি ও লভ্যাংশ নির্ভর করে ভোক্তাসন্তুষ্টির ওপর। আর ভোক্তাদের পছন্দ, রুচি ও চাহিদার তথ্য এআই প্ল্যাটফর্ম ছাড়া আর কোথায় এত নিখুঁতভাবে পাওয়া যাবে?

ব্র‍্যান্ড যা করে তা হলো, একটা ভালো ইমেজ তৈরি করে ফেলে যার কারণে মানুষ খুব বেশি বাছবিচার না করে ওই পণ্যটিই বারবার ব্যবহার করতে থাকে। এমনকি ওই পণ্যের পরিবর্তে অন্য কোন পণ্য ব্যবহার করার ইচ্ছা জাগলেও কয়েকশ পণ্যের মাঝে মান, উপকরন, দাম এসব যাচাই করার জন্য সময় নষ্ট করতে চায় না। এক্ষেত্রে এআই অ্যাসিস্ট্যান্টই পারে গ্রাহকের সুনির্দিষ্ট চাহিদা অনুযায়ী হাজার হাজার পণ্যের মাঝে সঠিক পণ্যটি খুজে বের করে দিতে।

যদি এমন হয় যে, ভোক্তার কাছেই সকল পণ্যের পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য আছে, তবে সে ব্র‍্যান্ডের পেছনে না দৌড়ে ভালো পণ্যের দিকেই যাবে। তার মানে এই নয় যে ব্র‍্যান্ড হারিয়ে যাবে। ব্র‍্যান্ডগুলো গ্রাহকের পরিবর্তনশীল পছন্দ, কৌতুহল, ইচ্ছা ও চাহিদার তথ্য এআই প্ল্যাটফর্ম থেকেই জেনে নিতে পারবে, যার মাধ্যমে সঠিক সময়ে সঠিক পণ্য বাজারে ছেড়ে প্রতিযোগীতায় এগিয়ে থাকতে পারবে।

গবেষকরা বলছেন, ব্র‍্যান্ড এবং ভোক্তার মধ্যে সেতু বন্ধন করবে এআই প্ল্যাটফর্ম। এতে গ্রাহকও সর্বোচ্চ সুবিধাটি পাবে, সাথে সাথে কোম্পানীগুলোও একটি সুস্থ প্রতিযোগিতা বজায় রাখতে পারবে।

এআই প্ল্যাটফর্মের সার্বজনীনতা নিয়েও গবেষনা করেছেন কয়েকজন বিপণনবিদ। তাদের মতে এআই প্ল্যাটফর্ম তখনই সার্বজনীন হবে যখন ব্যবহারকারীরা একে সম্পূর্ণভাবে বিশ্বাস করা শুরু করবে। তবে এর বিনিময়ে ব্যবহারকারীদের দিতে হবে নির্ভুল তথ্য। এসব প্ল্যাটফর্মকে পেইড ও আনপেইড দুধরনের বিজ্ঞাপনকেই সমান সুযোগ দিতে হবে বলে মনে করছেন গবেষকরা।

এতে করে ব্র‍্যান্ড ও ননব্রান্ড সবাই তাদের পণ্য ক্রেতার সামনে তুলে ধরার সুযোগ পাবে এবং এআই অ্যাসিস্ট্যান্টও তার স্বচ্ছতার প্রমান দিতে পারবে। একইসঙ্গে গ্রাহকও সর্বোচ্চমানের পণ্যটি ব্যবহার করতে পারবে।

সূত্রঃ হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ

বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি

 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

আবারও ২০ বিলিয়নের নিচে নামল রিজার্ভ

প্রকাশ: ১০:৩৫ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ঈদের ছুটির আগে শেষ কর্মদিবসে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ২০ বিলিয়ন ডলার বা ২ হাজার কোটি ডলারের ওপরে। ঈদের ছুটিসহ এক সপ্তাহে বিভিন্ন প্রয়োজন মেটাতে ২১ কোটি ১১ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার খরচ করতে হয়েছে। ফলে রিজার্ভ আবার ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে গেছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবায়ন পদ্ধতি অনুসারে বর্তমানে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এক হাজার ৯৮৯ কোটি ৪৭ লাখ মার্কিন ডলার (বিপিএম-৬)। এক সপ্তাহ আগে এ রিজার্ভ ছিল দুই হাজার ১০ কোটি ৫৮ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার (বিপিএম-৬)।

বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত বিভিন্ন তহবিলসহ গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ দুই হাজার ৫৩০ কোটি ৩  লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার। এক সপ্তাহ আগে মোট রিজার্ভের পরিমাণ ছিল দুই হাজার ৫৩৮ কোটি ৫২ লাখ মার্কিন ডলার। এক সপ্তাহে গ্রস রিজার্ভ কমল ৮ কোটি ৪৮ লাখ ৮০ হাজার ডলার।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের শুরুতে গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৯ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলার। আর বিপিএম-৬ অনুযায়ী তা দাঁড়ায় ২৩ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলারে।

গত ২০ মার্চ বিপিএম-৬ অনুযায়ী, রিজার্ভ ছিল ১৯.৯৮ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৯৯৮ কোটি ডলার। গত ৬ থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত দুই সপ্তাহে গ্রস রিজার্ভ কমে ১.০৯ বিলিয়ন ডলার এবং বিপিএম-৬ অনুযায়ী, কমে ১.১৬ বিলিয়ন ডলার।

রিজার্ভ   বাংলাদেশ ব্যাংক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

স্বর্ণের দাম আবারও বাড়লো

প্রকাশ: ০৮:৫৩ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৬৫ টাকা বাড়িয়ে এক লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। দেশের বাজারে এটাই স্বর্ণের সর্বোচ্চ দাম।  বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নতুন দাম নির্ধারণের কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।

বাজুস জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের দাম বেড়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ সন্ধ্যা ৭টা থেকেই নতুন দাম কার্যকর করা হবে।

নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ১৪ হাজার ২০২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ৮৮৪ টাকা। ভালো মানের স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলেও কমানো হয়েছে সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম। সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের নতুন দাম হবে ৭৮ হাজার ৮০২ টাকা যা এতদিন ছিল ৮০  হাজার ১৯০ টাকা।

এদিকে অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী, বর্তমানে ২২ ক্যারেটে প্রতি ভরি রুপার দাম ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ১৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা।

গত ৮ এপ্রিল স্বর্ণের দাম কমিয়েছিল বাজুস। যা ওইদিনই বিকেলে কার্যকর হয়। ওই দাম অনুযায়ী আজ ৭টা পর্যন্ত সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ এক লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ১২ হাজার ২০৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৯৬ হাজার ২২৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম ৮০  হাজার ১৯০ টাকায় বিক্রি হয়।


স্বর্ণ   দাম   বৃদ্ধি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

ব্যাংক আলফালাহ কিনে নিচ্ছে ব্যাংক এশিয়া

প্রকাশ: ০৮:০৯ পিএম, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

এবার পাকিস্তানভিত্তিক ব্যাংক আলফালাহ কিনে নিচ্ছে বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের ব্যাংক এশিয়া। বুধবার (১৭ এপ্রিল) পাকিস্তান স্টক এক্সচেঞ্জ ও দেশটির একাধিক গণমাধ্যমের সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বাংলাদেশে পাকিস্তানি ব্যাংকটির কার্যক্রম, সম্পদ ও দায় ব্যাংক এশিয়া কর্তৃক অধিগ্রহণের বিষয়ে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে ব্যাংক আলফালাহর পরিচালনা পর্ষদ। এর আগে ব্যাংকটি এ বিষয়ে ব্যাংক আলফালাহর কাছে প্রস্তাব দিয়েছিল।

জানা যায়, ব্যাংক আলফালাহ বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম অধিগ্রহণের বিষয়টি সব ধরনের প্রযোজ্য আইন ও বিধি মেনে করবে। অধিগ্রহণ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে এখন পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক তথা স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তানের অনুমোদন চাইবে ব্যাংক আলফালাহ।

বাংলাদেশে ব্যাংক আলফালাহর মোট সম্পদের স্থিতি ৩ হাজার ১০০ কোটি টাকা। ঢাকায় পাঁচটি, চট্টগ্রাম ও সিলেটে একটি করে তাদের মোট ৭টি শাখা আছে। 

পাকিস্তানের অন্যতম বৃহৎ ব্যাংক হলো ব্যাংক আলাফালাহ। দেশটির ২০০টির বেশি শহর ও মফস্বলে তাদের ১ হাজার ২৪টির বেশি শাখা রয়েছে। এর বাইরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উপস্থিতি আছে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, বাহরাইন ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে। 

উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে যাত্রা শুরু করে ব্যাংক এশিয়া। প্রতিষ্ঠার পর এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো কোনো বিদেশি ব্যাংকের বাংলাদেশে থাকা কার্যক্রম ক্রয়ের পদক্ষেপ নিয়েছে ব্যাংক এশিয়া। এর আগে কানাডাভিত্তিক নোভা স্কোটিয়া ও পাকিস্তানের আরেক ব্যাংক মুসলিম কমার্শিয়াল ব্যাংকের বাংলাদেশ কার্যক্রম অধিগ্রহণ করেছিল ব্যাংক এশিয়া।

ব্যাংক আলফালাহ   ব্যাংক এশিয়া  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

শেয়ারবাজার: প্রথম দেড় ঘণ্টায় লেনদেন ২০০ কোটি টাকা

প্রকাশ: ১২:৪৮ পিএম, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সপ্তাহের তৃতীয় কর্মদিবস দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সকাল থেকে সূচকের বেশ উত্থান–পতন লক্ষ করা যাচ্ছে। আজ বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে লেনদেন শুরুর প্রথম আধা ঘণ্টা পরই ডিএসইর প্রধান সূচকটি বেশ নিচে নেমে যায়। তবে প্রথম ঘণ্টা শেষে সূচক আবার ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। লেনদেনের প্রথম দেড় ঘণ্টা শেষে ডিএসইতে ২০০ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, সকালে বেশ কিছু ভালো কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। ডিএসইতে প্রথম দেড় ঘণ্টার লেনদেনে এগিয়ে রয়েছে ওষুধ ও রাসায়নিক, প্রকৌশল, ভ্রমণ, খাদ্য, সিরামিক এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতের কোম্পানিগুলো।

এ সময় লেনদেনে শীর্ষে ছিল ওষুধ ও রাসায়নিক খাতের কোম্পানি এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড। দেড় ঘণ্টায় এটির ১৭ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। লেনদেনে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল প্রকৌশল খাতের প্রতিষ্ঠান গোল্ডেন সন লিমিটেড।

এ সময় এটির ১১ কোটি ২০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর তৃতীয় অবস্থানে থাকা ভ্রমণ খাতের কোম্পানি বেস্ট হোল্ডিংস লিমিটেডের ৯ কোটি ২৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দিন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) তিনটি সূচকই নিম্নমুখী ছিল। এদের মধ্যে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স প্রায় ৪ দশমিক ১৯ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৭৭৫ পয়েন্টে, ডিএসইএস সূচক ১ দশমিক ৯৫ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৬৪ পয়েন্টে অবস্থান করে। এ ছাড়া ডিএস ৩০ সূচক ২ দশমিক ১৮ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৩ পয়েন্টে অবস্থান করে। ডিএসইতে গতকাল লেনদেন হয়েছে প্রায় ৫৪০ কোটি টাকার।


শেয়ারবাজার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

বেসরকারি ব্যাংকের সাথে একীভূত হতে বেসিকের আপত্তি

প্রকাশ: ১০:৪৫ এএম, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বেসরকারি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে চাচ্ছেন না সরকারি বেসিক ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাই সরকারি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হওয়ার দাবিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরকে স্মারকলিপি দিয়েছেন ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। একই দাবিতে তারা অর্থ মন্ত্রণালয়েও স্মারকলিপি দিয়েছেন। তবে বেসিক ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সরকারি বলে স্বীকারই করছে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ নিয়ে ধূম্রজাল তৈরি হয়েছে।

বেসিক ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গভর্নরকে দেওয়া স্মারকলিপিতে বলেন, দেশের ক্ষুদ্র শিল্পে অর্থায়নের লক্ষ্যে ১৯৮৯ সালে বেসিক ব্যাংক লিমিটেডের কার্যক্রম শুরু হয়, যা ১৯৯২ সালে শতভাগ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর থেকে এটি রাষ্ট্র মালিকানাধীন বিশেষায়িত ব্যাংক হিসাবে সরকারি আর্থিক সেবা দিয়ে আসছে, যা ২০১৫ সালে পুরোপুরি রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক হিসাবে রূপান্তরিত হয়। বেসিক ব্যাংক প্রথম দিকে সরকারি খাতের ব্যাংক হিসাবে অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে ব্যাংকিং ব্যবসা পরিচালনা করেছে এবং সরকারকে বিপুল অঙ্কের মুনাফা দিয়েছে, যা অন্যান্য ব্যাংকের কাছে ছিল উদাহরণ। শেষের দিকে এসে ব্যাংকটি দুর্ঘটনার শিকার হয়। বেসিক ব্যাংকে অন্য রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকের অনুরূপ চাকরি বিধিমালা অনুসরণ করা হয়, যা বেসরকারি মালিকানার ব্যাংকের সঙ্গে পুরোপুরিভাবেই অসামঞ্জস্যপূর্ণ। জাতীয় বেতন স্কেল-২০১৫ অনুযায়ী, বেসিক ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণের গ্রেড নির্ধারণ এবং বেতন ও অন্যান্য ভাতাদি প্রদান করা হয়।

পাশাপাশি বলবৎ রয়েছে কর্মকর্তা/কর্মচারীগণের পেনশন সুবিধা। এছাড়া, বেসিক ব্যাংকে নিয়োগ ও পদন্নোতিতে সম্পূর্ণরূপে সরকারি ব্যাংকের অনুরূপ বিধিবিধান অনুসরণ করা হয়। এছাড়া বেসিক ব্যাংকে ১২তম থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মচারীগণের স্থায়ী চাকরি বিদ্যমান রয়েছে। শ্রম আইন অনুযায়ী সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসাবে বেসিক ব্যাংকে সরকারি শ্রম অধিদপ্তর অনুমোদিত ও রেজিস্ট্রেশন প্রাপ্ত কর্মচারী ইউনিয়নের (সিবিএ) কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, ব্যাংকিং খাতে সংস্কারের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের গৃহীত একীভূতকরণের পদক্ষেপকে বেসিক ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দের পক্ষ থেকে স্বাগত জানাই। এ লক্ষ্যে সম্প্রতি টেলিভিশন, অনলাইন ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রকাশিত সংবাদের বরাতে জানতে পারি যে, রাষ্ট্র মালিকানাধীন সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক এবং রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সঙ্গে রাষ্ট্র মালিকানাধীন রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক মার্জারের পরিকল্পনা করা গ্রহণ করা হয়েছে, যা সামঞ্জস্যপূর্ণ। তবে, বেসরকারি মালিকানাধীন সিটি ব্যাংকের সঙ্গে রাষ্ট্র মালিকানাধীন বেসিক ব্যাংক মার্জারের বিষয়ে যে আলোচনা হয়েছে তা একেবারেই অসামঞ্জস্যপূর্ণ এবং অযৌক্তিক।

যেখানে রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক এবং রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক অন্য দুটি রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকের সঙ্গে মার্জ হতে চলেছে সেখানে রাষ্ট্র মালিকানাধীন বেসিক ব্যাংককে কেন বেসরকারি খাতের সিটি ব্যাংকের সঙ্গে মার্জারের আলোচনা চলছে? মার্জার প্রক্রিয়ায় কোনোভাবেই বৈষম্য কাম্য নয়। এ ধরনের বৈষম্যনীতি পরিহার করে রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক এবং রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের মার্জার প্রক্রিয়ার সঙ্গে সামঞ্জস্যতা রেখে রাষ্ট্র মালিকানাধীন বেসিক ব্যাংককে অন্য একটি রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকের সঙ্গে মার্জারের জন্য আবেদন জানানো হয়।

দেশের অন্যান্য সরকারি ব্যাংকের ন্যয় শতভাগ রাষ্ট্র মালিকানাধীন বেসিক ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান, পরিচালক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও অর্থ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। উল্লিখিত বিষয়গুলোর সঙ্গে বেসরকারি কোনো ব্যাংকের সামঞ্জস্যতা নেই। ইতোমধ্যে বেসিক ব্যাংকের কর্মকর্তাদের অনেকেই সরকারি ব্যাংকের পদোন্নতির অধীনে পদোন্নতিপ্রাপ্ত হয়েছেন এবং বিভিন্ন সরকারি ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজনকে সোনালী ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে পদায়নের পর কয়েক মাস আগে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের এমডি হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, রূপালী ব্যাংক ও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে দুজনকে ডিএমডি হিসাবে, একজনকে জনতা ব্যাংকে এবং দুজনকে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে জিএম হিসাবে পদায়ন করা হয়।

এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, বেসিক ব্যাংকেরা কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সরকারি নন। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক বলেন, বেসিক সরকারের কোনো ব্যাংক অর্ডারের দ্বারা স্থাপিত ব্যাংক নয়। সোনালী ব্যাংকের যেমন ব্যাংক অর্ডার আছে, বেসিকের তেমন নেই। একটা আইন দ্বারা কিন্তু সোনালী, রূপালী ও অগ্রণী ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত। বেসিক ব্যাংক কোনো আইন দিয়ে প্রতিষ্ঠিত নয়। সরকার যেমন বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের শেয়ার হোল্ড করে, তেমনি বেসিকেরও শেয়ার হোল্ড করে।

তিনি আরও বলেন, সরকারি আর বেসিকের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে সরকার যেটা রেভিনিউ থেকে দেয় সেটাই কিন্তু সরকারি প্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আছে সরকারের কমার্শিয়াল কাজের জন্য স্টাবলিস্ট করা। বেসিকও তেমন একটা প্রতিষ্ঠান। বেসিক স্পেশালাইজ একটা ব্যাংক ছিল যেটা একটা বিশেষ উদ্দেশ্য গঠন করা হয়েছিল। এটা কিন্তু ব্যাংক হিসাবে সরকারের আইন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত নয়।

একীভূতকরণের সর্বশেষ সিদ্ধান্ত উচ্চ আদালতে: ব্যাংকগুলোর একীভূতকরণের সর্বশেষ সিদ্ধান্ত উচ্চ আদালতে হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক। তিনি বলেন, এটা একটা লং টার্ম প্রসেস। এটা পুরোপুরি বাস্তবায়ন হতে বেশ কয়েকটি প্রক্রিয়া অতিক্রম হতে হবে। বেশকিছু পদক্ষেপের পর চূড়ান্তের বিষয় আছে। এখানে আইনগত বিষয় আছে, অডিটের বিষয় আছে। মার্জারের বিষয়ে সর্বশেষ সিদ্ধান্ত হবে আদালতে।

তিনি আরও বলেন, এসব প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত ব্যাংকগুলো স্বাভাবিক নিয়মেই চলবে। মার্জারের আলোচনা বা প্রক্রিয়া চলমান থাকা অবস্থায় কোনো দুর্বল ব্যাংক যদি সবল হয়, সে যদি চায় তারা মার্জারে যাবে না তবে চূড়ান্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত মার্জারের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে পারবে। কোনো কারণে ব্যাংক যদি একীভূত না হয়, তবে সেই ব্যাংকগুলোর স্বাভাবিক কার্যক্রম চলবে।

পদ্মা ও এক্সিম ব্যাংকের একীভূতকরণের অগ্রগতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা অডিটর নিয়োগ করেছি। এ প্রতিষ্ঠানটি ব্যাংক দুটির সম্পদ মূল্যায়ন করবে। এক্সিম ব্যাংক ও পদ্মা ব্যাংক একীভূত করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এজন্য ব্যাংক দুটির সম্পদ মূল্যায়ন করতে নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান রহমান রহমান হক’কে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি চূড়ান্ত রিপোর্ট দেবে।


একীভূত   বেসিক ব্যাংক   সিটি ব্যাংক  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন