নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:০৩ পিএম, ২৭ জুলাই, ২০১৮
মাসের প্রায় শেষ। ব্যয়বহুল নাগরিক জীবনে আয়ের অধিকাংশ শেষের পথে। এর মধ্যে রাজধানীতে প্রতিদিনই বৃষ্টি হচ্ছে। এমন বৃষ্টির মাঝেও নিজেদের প্রয়োজন মেটাতে বাজারে যাচ্ছেন ক্রেতারা। বৃষ্টির কারণে কাচাঁ বাজারে সব কিছুর দাম একটু চড়া থাকে। তবে এবার বাজারে গিয়ে কিছুটা ব্যতিক্রম চিত্র দেখা গেছে। ডিম ব্যতীত সপ্তাহ ব্যবধানে প্রায় সব জিনিসের দাম পূর্বমূল্যে স্থির রয়েছে।
শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দুই সপ্তাহ ব্যবধানে প্রতি ডজন ডিমে ২০-৩০ টাকা বেড়েছে। আগে প্রতি জজন ডিম ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হলেওে এখন তা ৯৫-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কাঁচা মরিচের দাম উচ্চমূল্যে স্থির রয়েছে। বিভিন্ন বাজারে কাঁচা মরিচ কেজি প্রতি ১৫০ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে।
মরিচের এমন দামের বিষয়ে খিলগাঁওয়ের ব্যবসায়ী মো. রফিক বলেন, বাজারে এখন মরিচের অভাব নেই। তবে দাম একটু বেশি। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, একেতো বৃষ্টি হচ্ছে, তার ওপর এখন মরিচের ঝাল বেশি। সব মরিচই বাত্তি (পরিপক্ব)।
খাদ্য অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য ও বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চালের দামও উচ্চমূল্যে স্থির রয়েছে। প্রতি কেজি মোটা চাল ৪০-৪৫ টাকা, পাইজাম ৫০-৫২ টাকা, নাজির ৬৫-৭০ টাকা এবং মিনিকেট ৬৫-৬৮ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
এ সপ্তাহে তেলের দাম আগের মতোই রয়েছে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি লিটার সোয়াবিন (লুজ) ৮৫-৮৮ টাকা, প্রতি লিটার সোয়াবিন (বোতল) ১০৪-১০৮ টাকা, পাম ওয়েল ৭০-৭২ টাকা এবং সুপার পাম ওয়েল ৭৩-৭৫ টাকা।
রাজধানীর বিভিন্ন মাংস বাজার ঘুরে দেখা যায়, গরুর মাংস প্রতি কেজি ৪৬০-৪৮০ টাকা, খাসি ৭০০-৮০০ টাকা, বয়লার মুরগি ১৪৫-১৫০ টাকা ও দেশি মুরগি ৪০০-৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম আগের মতোই রয়েছে। শুকনা মরিচ ১৭০-২০০ টাকা, হলুদ ১৭০-২০০ টাকা, আদা ৭০-১২০ টাকা, জিরা ৩৮০-৪৫০ টাকা, চিনি ৫৫-৬০ টাকা, ময়দা (খোলা) ৩৪-৩৮ টাকা এবং আটা (খোলা) ২৬-২৮ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
গত সপ্তাহের মতো এখনো সস্তাই বিক্রি হচ্ছে সবজি। প্রায় সব সবজির কেজি প্রতি ৩০-৪০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি আলু ২২-৩০ টাকা, পেঁয়াজ (দেশি) ৪৫-৫০ টাকায়, পেঁয়াজ (বিদেশি) ৩৫-৪০ টাকায়, রসুন ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি পটল ৪০ টাকায়, কাকরোল ৫০ টাকায়, ধুন্দল ৪০ টাকায় ও বেগুন ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে ভরপুর সবজি থাকায় দাম বাড়েনি বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম বলেন, এখন কাকরুল, পটল, ঢেড়সের ভরা মৌসুম।ফলে বাজারে এখন সব সবজির দাম যথেষ্ট কম। বন্যা না হলে সবজির দাম খুব একটা বাড়ার আশঙ্কা নেই।
বাংলা ইনসাইডার/বিপি/জেডএ
মন্তব্য করুন
রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ বেসরকারি সিটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত না হওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ কথা জানিয়ে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়েছে।
এর আগে ৯ এপ্রিল অর্থমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দিয়ে ব্যাংকটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও বলেছিলেন, তাঁরা বেসরকারি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে চান না। বেসিক ব্যাংক শতভাগ রাষ্ট্রমালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক। সরকারি এই ব্যাংককে বেসরকারি একটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার খবরে তাঁরা ‘আতঙ্কগ্রস্ত’।
বেসরকারি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার সিদ্ধান্তে আতঙ্কগ্রস্ত হয়েছেন বেসিক ব্যাংকের আমানতকারীরা। তাঁদের কেউ কেউ বেসিক ব্যাংক থেকে আমানত তুলে নিতে শুরু করেছেন। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোই আমানত বেশি সরিয়ে নিচ্ছে।
বেসিক ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে, পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে ও পরে পাঁচ কার্যদিবসে ব্যাংকটি থেকে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা আমানত তুলে নেওয়া হয়েছে। আমানত তুলে নিতে আরও কিছু প্রতিষ্ঠান ব্যাংকটিকে চিঠি দিয়েছে। এতে তীব্র তারল্যসংকটে পড়েছে ব্যাংকটি। এর ফলে বেসিক ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চাহিদামতো নগদ জমা (সিআরআর) ও বিধিবদ্ধ জমা (এসএলআর) রাখতে পারছে না।
বেসিক ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে, ব্যাংকটিতে আমানতের পরিমাণ ছিল প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকা, যা কমে এখন ১২ হাজার কোটি টাকায় নেমেছে। গত ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকটির বিতরণ করা ঋণ ছিল ১২ হাজার ৮৬৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণই ৮ হাজার ২০৪ কোটি টাকা বা ৬৪ শতাংশ।
বেসিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) এ এম মোফাজ্জেল বলেন, ‘২০১৫ সাল থেকে সোনালী, জনতার মতো আমরাও রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংক। এ কারণে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা আমাদের ব্যাংকে টাকা জমা রেখেছে। বেসরকারি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হওয়ার খবরে তারা টাকা তুলে নিতে শুরু করেছে।’ তিনি বলেন, এ জন্যই সরকারি কোনো ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার জন্য সরকারের কাছে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় পরিচালনা পর্ষদ।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৬৫ টাকা বাড়িয়ে এক লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। দেশের বাজারে এটাই স্বর্ণের সর্বোচ্চ দাম। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নতুন দাম নির্ধারণের কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।
বাজুস জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের দাম বেড়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ সন্ধ্যা ৭টা থেকেই নতুন দাম কার্যকর করা হবে।
নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ১৪ হাজার ২০২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ৮৮৪ টাকা। ভালো মানের স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলেও কমানো হয়েছে সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম। সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের নতুন দাম হবে ৭৮ হাজার ৮০২ টাকা যা এতদিন ছিল ৮০ হাজার ১৯০ টাকা।
এদিকে অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী, বর্তমানে ২২ ক্যারেটে প্রতি ভরি রুপার দাম ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ১৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা।
গত ৮ এপ্রিল স্বর্ণের দাম কমিয়েছিল বাজুস। যা ওইদিনই বিকেলে কার্যকর হয়। ওই দাম অনুযায়ী আজ ৭টা পর্যন্ত সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ এক লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ১২ হাজার ২০৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৯৬ হাজার ২২৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম ৮০ হাজার ১৯০ টাকায় বিক্রি হয়।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সপ্তাহের তৃতীয় কর্মদিবস দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে
(ডিএসই) সকাল থেকে সূচকের বেশ উত্থান–পতন লক্ষ করা যাচ্ছে। আজ বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে
লেনদেন শুরুর প্রথম আধা ঘণ্টা পরই ডিএসইর প্রধান সূচকটি বেশ নিচে নেমে যায়। তবে প্রথম
ঘণ্টা শেষে সূচক আবার ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। লেনদেনের প্রথম দেড় ঘণ্টা শেষে ডিএসইতে ২০০
কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, সকালে বেশ কিছু ভালো কোম্পানির শেয়ারের
দাম কমেছে। ডিএসইতে প্রথম দেড় ঘণ্টার লেনদেনে এগিয়ে রয়েছে ওষুধ ও রাসায়নিক, প্রকৌশল,
ভ্রমণ, খাদ্য, সিরামিক এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতের কোম্পানিগুলো।
এ সময় লেনদেনে শীর্ষে ছিল ওষুধ ও রাসায়নিক খাতের কোম্পানি এশিয়াটিক
ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড। দেড় ঘণ্টায় এটির ১৭ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। লেনদেনে দ্বিতীয়
অবস্থানে ছিল প্রকৌশল খাতের প্রতিষ্ঠান গোল্ডেন সন লিমিটেড।
এ সময় এটির ১১ কোটি ২০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর তৃতীয়
অবস্থানে থাকা ভ্রমণ খাতের কোম্পানি বেস্ট হোল্ডিংস লিমিটেডের ৯ কোটি ২৬ লাখ টাকার
শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দিন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) তিনটি সূচকই নিম্নমুখী ছিল। এদের মধ্যে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স প্রায় ৪ দশমিক ১৯ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৭৭৫ পয়েন্টে, ডিএসইএস সূচক ১ দশমিক ৯৫ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৬৪ পয়েন্টে অবস্থান করে। এ ছাড়া ডিএস ৩০ সূচক ২ দশমিক ১৮ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৩ পয়েন্টে অবস্থান করে। ডিএসইতে গতকাল লেনদেন হয়েছে প্রায় ৫৪০ কোটি টাকার।
মন্তব্য করুন
সপ্তাহের তৃতীয় কর্মদিবস দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সকাল থেকে সূচকের বেশ উত্থান–পতন লক্ষ করা যাচ্ছে। আজ বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে লেনদেন শুরুর প্রথম আধা ঘণ্টা পরই ডিএসইর প্রধান সূচকটি বেশ নিচে নেমে যায়। তবে প্রথম ঘণ্টা শেষে সূচক আবার ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। লেনদেনের প্রথম দেড় ঘণ্টা শেষে ডিএসইতে ২০০ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে।