নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৫৭ পিএম, ১২ অগাস্ট, ২০১৮
শিল্পক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য প্রতিবছরের মতো এবারও সিআইপি (কমার্শিয়ালি ইমপর্ট্যান্ট পারসন) নির্বাচন করেছে সরকার। গত মঙ্গলবার এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ২০১৬ সালের ৫৬ জন সিআইপির (শিল্প) নাম ঘোষণা করেছে শিল্প মন্ত্রণালয়। বেসরকারি উদ্যোগে শিল্প স্থাপন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, জাতীয় আয় বৃদ্ধিসহ দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য এই স্বীকৃতি দিয়ে আসছে সরকার।
২০১৪ সালের সিআইপি (শিল্প) নির্বাচন নীতিমালার ভিত্তিতেই নির্বাচন করা হয়েছে শিল্প খাতের বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের। এর মধ্যে পদাধিকারবলে শিল্পসংশ্লিষ্ট সংগঠন থেকে সিআইপি হচ্ছেন আট জন। উৎপাদনমুখী বৃহৎ শিল্প থেকে ২০ জন, সেবামুখী শিল্পের ৫ জন, উৎপাদনমুখী মাঝারি শিল্প খাতের ১২ এবং সেবামুখী মাঝারি শিল্প খাতের ৩ জনকে নির্বাচন করা হয়েছে। এছাড়া ক্ষুদ্রশিল্পের ৫ জন, সেবামুখী ক্ষুদ্র শিল্প থেকে একজন, মাইক্রো শিল্প ও কুটির শিল্প খাতে একজন করে আরও দুজনকে সিআইপি (শিল্প) ঘোষণা করেছে শিল্প মন্ত্রণালয়।
পদাধিকারবলে নির্বাচিত আট সিআইপি হলেন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ, বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সাবেক সভাপতি একে আজাদ, বিজিএমইএ সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান, বিকেএমইএর সভাপতি একেএম সেলিম ওসমান, এফআইসিসিআই সভাপতি রুপালী হক চৌধুরী, বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সেলিমা আহমাদ, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি তপন চৌধুরী এবং জাতীয় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সমিতি বাংলাদেশের (নাসিব) সভাপতি মির্জা নূরুল গণী শোভন।
উৎপাদনমুখী বৃহৎ শিল্প খাতের ২০ জন হলেন, স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) অঞ্জন চৌধুরী, মেঘনা সিমেন্ট মিলস লিমিটেডের উদ্যোক্তা পরিচালক সায়েম সোবহান, পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের এমডি ডা. মোস্তাফিজুর রহমান, এনভয় টেক্সটাইলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান কুতুব উদ্দিন আহমেদ, বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান আলী হোসাইন আকবর আলী, ইউনিভার্সেল জিন্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাছির উদ্দিন, বিআরবি কেবল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের এমডি মো. পারভেজ রহমান, এসিআই লিমিটেডের এমডি ড. আরিফ দৌলা, বাংলাদেশ স্টিল রি-রোলিং মিলস লিমিটেডের এমডি আমের আলী হোসাইন, জাবের অ্যান্ড জোবায়ের ফেব্রিক্স লিমিটেডের এমডি আব্দুস ছামাদ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, কসমোপলিটন ইন্ডাস্ট্রিজ (প্রা.) লিমিটেডের পরিচালক তানভীর আহমেদ, আব্দুল মোনেম লিমিটেডের এমডি আবদুল মোনেম, বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমস লিমিটেডের এমডি প্রকৌশলী মো. আবু নোমান হাওলাদার, এমআরএস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের এমডি মো. শামসুর রহমান, পাহাড়তলী টেক্সটাইল অ্যান্ড হোসিয়ারি মিলসের এমডি মির্জা সালমান ইস্পাহানি, ফারিহা নিট টেক্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মামুন ভূইয়া, মেসার্স ভিয়েরাটেক্স লিমিটেডের এমডি কেএম রেজাউল হাসানাত, সোহাগপুর টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই সরকার, প্যাসিফিক জিন্স লিমিটেডের মনোনীত মালিক পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর এবং বাদশা টেক্সটাইল লিমিটেডের এমডি মো. বাদশা মিয়া।
বৃহৎ শিল্প (সেবা) খাতের পাঁচজনের মধ্যে রয়েছেন কনকর্ড রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের চেয়ারম্যান এসএম কামাল উদ্দিন, জিএমই এগ্রো লিমিটেডের এমডি চৌধুরী হাসান মাহমুদ, শেলটেক (প্রা.) লিমিটেডের এমডি ড. তৌফিক এম সেরাজ, এসটিএস হোল্ডিংস লিমিটেডের এমডি খন্দকার মনির উদ্দীন এবং নাভানা রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান সাজেদুল ইসলামন।
মাঝারি শিল্প (উৎপাদন) খাতের ১২ জনের মধ্যে রয়েছেন আরএফএল প্লাস্টিকস লিমিটেডের এমডি আহসান খান চৌধুরী, ফু-ওয়াং ফুডস লিমিটেডের এমডি আরিফ আহমেদ চৌধুরী, প্রমি অ্যাগ্রো ফুডস লিমিটেডের চেয়ারম্যান এনামুল হাসান খান, এ্যাকোয়া মিনারেল টারপেনটাইন অ্যান্ড সলভেন্টস প্লান্ট লিমিটেডের এমডি রামজুল সিরাজ, মেসার্স সিটাডেল অ্যাপারেলস লিমিটেডের এমডি মো. মাহিদুল ইসলাম খান, জালালাবাদ ফ্রোজেন ফুডস লিমিটেডের এমডি আব্দুল জব্বার মোল্লা, বসুমতি ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেডের এমডি জেডএম গোলাম নবী, ইগলু ফুডস লিমিটেডের পরিচালক এএসএম মঈনউদ্দিন মোনেম, বিআরবি পলিমার লিমিটেডের এমডি মো. মজিবর রহমান, মোশাররফ স্পিনিং মিলস (প্রা.) লিমিটেডের এমডি মো. মোশাররফ হোসেন, অকো-টেক্স লিমিটেডের এমডি আব্দুস সোবহান এবং মাধবদী ডাইং ফিনিশিং মিলস লিমিটেডের এমডি মো. নিজাম উদ্দিন ভূইয়া লিটন।
মাঝারি শিল্প (সেবা) খাতের তিন সিআইপি মধ্যে রয়েছেন, বিল্ডিং ফর ফিউচার লিমিটেডের এমডি তানভিরুল হক প্রবাল, স্পেক্ট্রা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান খান মো. আফতাব উদ্দিন এবং শান্তা প্রোপার্টিস লিমিটেডের পরিচালক জেসমিন সুলতানা।
উৎপাদনমুখী ক্ষুদ্রশিল্প খাতের নির্বাচিত পাঁচ সিআইপি হলেন, ফুজি ইংক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান ফারহানা মোনেম, কিয়াম মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের এমডি মো. মিজবার রহমান, আরএমএম লেদার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ মাহিন, রানার ব্রিকস লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান মো. মোজাম্মেল হোসেন এবং সবজীয়ানা লিমিটেডের ডিএমডি মোহাম্মদ আবু শাহরিয়ার।
ক্ষুদ্রশিল্প (সেবা) খাতের সিআইপি হয়েছেন কিউএনএস কনটেইনার সার্ভিসেস লিমিটেডের চেয়ারম্যান নুরুল কাইয়ুম খান। এছাড়া টেকনোমিডিয়া লিমিটেডের এমডি যশোদা জীবন দেব নাথকে মাইক্রো শিল্প খাতে এবং এবি ফ্যাশন মেকারের স্বত্বাধিকারী সানাউল হক বাবুলকে কুটির শিল্প খাতে সিআইপি ঘোষণা করা হয়েছে।
নির্বাচিত সিআইপিরা এক বছরের জন্য একটি পরিচয়পত্র পাবেন, যার মাধ্যমে তারা বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রবেশ করতে পারবেন। বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠান এবং সিটি করপোরেশন আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায়ও আমন্ত্রণ পাবেন তারা। ব্যবসা সংক্রান্ত কাজে ভ্রমণের ক্ষেত্রে ভিসাপ্রাপ্তির জন্য সংশ্লিষ্ট দূতাবাসকে উদ্দেশ্য করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের লেটার অব ইনট্রোডাকশনও পাবেন তারা।
শিল্প খাতের সিআইপিদের প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধার মধ্যে আরও রয়েছে, ব্যবসাসংক্রান্ত ভ্রমণকালে বিমান, রেল, সড়ক ও জলপথে সরকারি যানবাহনগুলোয় আসন সংরক্ষণের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার, নিজের ও পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালের কেবিন সুবিধাপ্রাপ্তিতে অগ্রাধিকার, বিমানের ভিআইপি লাউঞ্জ-২ ব্যবহারের সুবিধা। সিআইপি হিসেবে এক বছরের মেয়াদকালে সরকারের শিল্পবিষয়ক নীতিনির্ধারণী কমিটিতে সদস্য হিসেবেও অন্তর্ভুক্ত হবেন তারা।
নির্বাচিত সিআইপিদের মেয়াদ শেষ হওয়ার সাতদিনের মধ্যে সিআইপি হিসেবে পাওয়া পরিচয়পত্র শিল্প মন্ত্রণালয়ে ফেরত দেওয়ার বিধান রয়েছে। এছাড়া সরকার জনস্বার্থে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে যেকোনো ব্যক্তির সিআইপি (শিল্প) হিসেবে পাওয়া সুযোগ-সুবিধা যেকোনো সময় প্রত্যাহার করতে পারবে বলেও মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারিত হচ্ছে। ব্যবসায়িক লেনদেন ঠিক রাখতে মুদ্রা বিনিময়ের পরিমাণও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এছাড়া বিশ্বের নানা দেশে প্রায় ১ কোটি বাংলাদেশি বসবাস করেন। তারা বাংলাদেশের জন্য সম্পদ। মূলত, তাদের পাঠানো কষ্টার্জিত অর্থে সচল রয়েছে দেশের অর্থনীতির চাকা।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ব্যবসায়ী ও প্রবাসীদের লেনদেনের সুবিধার্থে টাকায় বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার তুলে ধরা হলো-
মন্তব্য করুন
চলতি অর্থবছরের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক)
অষ্টম সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ। আর এটিই হতে যাচ্ছে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত
নতুন সরকারের দ্বিতীয় একনেক সভা। এই সভায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার ১১টি প্রকল্প
অনুমোদন দিতে যাচ্ছে সরকার। এর বাইরেও অনুমোদন পাচ্ছে আরো ৩০টি প্রকল্প।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকাল
১০টায় রাজধানীর শেরেবাংলানগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে চলতি অর্থবছরের ৮ম একনেক সভা অনুষ্ঠিত
হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কমিশন সূত্রে জানা গেছে, অনুমোদনের জন্য একনেক সভায় উপস্থাপনের
জন্য এরই মধ্যে ৪১টি উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব যাচাই-বাছাই শেষে চূড়ান্ত করা হয়েছে।
এর মধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মেয়াদ বৃদ্ধি, সংশোধন এবং নতুন উন্নয়ন প্রকল্প
প্রস্তাব ১১টি।
এর বেশির ভাগই নতুন প্রকল্প। সংশোধিত প্রকল্প রয়েছে চারটি।
অর্থাৎ নতুন প্রকল্প রয়েছে সাতটি। এর বাইরে পরিকল্পনামন্ত্রী কর্তৃক অনুমোদিত ৩০টি
প্রকল্প প্রস্তাব একনেক সভাকে অবহিত করা হবে।
নতুন সরকারের দ্বিতীয় একনেক সভায় যেসব প্রকল্প প্রস্তাব অনুমোদনের
জন্য উপস্থাপন করা হবে সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি স্থানীয় সরকার বিভাগের। এই বিভাগের
রয়েছে তিনটি প্রকল্প। স্থানীয় সরকার বিভাগের বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের জেলাগুলোর পল্লী
অবকাঠামো উন্নয়ন, ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ (৩য় পর্যায়) এবং অবকাঠামো, উন্নত
দক্ষতা এবং তথ্যে অ্যাকসেসের মাধ্যমে দুর্বলদের জন্য স্থিতিস্থাপকতা প্রচার করা (পোভার্টি)
(১ম সংশোধিত)।
এ ছাড়া একটি মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা
হবে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ বেতার, শাহবাগ কমপ্লেক্স,
আগারগাঁও, ঢাকায় স্থানান্তর, নির্মাণ ও আধুনিকায়ন (১ম পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পটি তৃতীয়
বার সংশোধনের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে।
এর বাইরেও একনেক সভার অবগতির জন্য পরিকল্পনামন্ত্রী কর্তৃক অনুমোদিত
বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রস্তাবিত ৩০টি প্রকল্প প্রস্তাব উপস্থাপন করা হবে।
এর মধ্যে আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগ সংশ্লিষ্ট ১৪টি, ভৌত অবকাঠামো বিভাগের ৯টি, শিল্প
ও শক্তি বিভাগের একটি এবং কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের ছয়টি প্রকল্প।
একনেক জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন
মন্তব্য করুন
রেমিট্যান্স প্রবাসী আয় বাংলাদেশ ব্যাংক
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ গত ১ সপ্তাহের ব্যবধানে আরও কিছুটা কমেছে। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে বিদেশি মুদ্রার সঞ্চায়ন স্থির হয়েছে ২৪ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলারে। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) গণনায় তা দাঁড়িয়েছে ১৯ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারে। এদিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইটে সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।