নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৩৬ পিএম, ২৬ অগাস্ট, ২০১৮
শুল্ক ফাঁকির অভিযোগ উঠেছে ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজের বিরুদ্ধে। সিগারেটের প্যাকেটে ব্যবহৃত পুরনো ব্যান্ডরোল সেঁটে দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে চট্রগ্রামের তামাক বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে। সম্প্রতি চট্টগ্রামের একটি কাভার্ড ভ্যানে তল্লাশি চালিয়ে এ তথ্য জানায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালিত এই কাভার্ড ভ্যানটিতে ছিল সাহারা, জাভা, গোল্ডেন হিল, এক্সপ্রেস, রমনা ব্ল্যাক, উইলসনসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সিগারেট। তল্লাশির সময় ভ্যানটির কর্মচারীদের কাছে মূসক চালান দেখাতে বলা হলে, তাঁরা সেটি দেখাতে ব্যর্থ হয়। এতে মূসক কর্মকর্তারা ভ্যানটি আটক করে সিলগালা করে দেয়।
পরদিন মূসক কর্মকর্তারা প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদিত বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সিগারেট প্যাকেট যাচাই করলে প্রতিটিতেই পাওয়া যায় ব্যবহৃত ব্যান্ডরোল। এনবিআর জানায়, ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ সিগারেটের প্যাকেটে ব্যবহৃত ব্যান্ডরোল পুনরায় ব্যবহার করে আসছে। সরকারের পাওনা কর ফাঁকি দিতেই এই জালিয়াতির আশ্রয় নেওয়া হয়েছে।
সরকারের শুল্ক কর পরিশোধের প্রমাণস্বরূপ প্রতিটি সিগারেটের প্যাকেটের গায়েই ব্যান্ডরোল সেঁটে দেওয়া থাকে। সরকারের পাওনা রাজস্ব ফাঁকি বন্ধ করতেই চালু করা হয়েছে এ পদ্ধতি।
ইতিমধ্যেই ফাঁকি দেওয়া রাজস্ব কর পরিশোধের জন্য কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনের তরফ থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে প্রতিষ্ঠানটিতে। চিঠিতে মূসক, সম্পূরক শুল্ক ও সারচার্জ বাবদ প্রায় অর্ধকোটি টাকা জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যথায়, প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও চিঠিতে জানিয়েছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় পর্যায়ে আঞ্চলিক কিছু তামাক বাজারজাত কোম্পানি নকল ও ব্যবহৃত ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে আসছে, এমন তথ্য এনবিআরের কাছে আগেই ছিল। সিগারেট খাতে শুল্ক ফাঁকি বন্ধ করতে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে মূসক কর্মকর্তারা।
বাংলা ইনসাইডার/জেডআই/জেডআই
মন্তব্য করুন
চলতি অর্থবছরের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক)
অষ্টম সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ। আর এটিই হতে যাচ্ছে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত
নতুন সরকারের দ্বিতীয় একনেক সভা। এই সভায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার ১১টি প্রকল্প
অনুমোদন দিতে যাচ্ছে সরকার। এর বাইরেও অনুমোদন পাচ্ছে আরো ৩০টি প্রকল্প।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকাল
১০টায় রাজধানীর শেরেবাংলানগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে চলতি অর্থবছরের ৮ম একনেক সভা অনুষ্ঠিত
হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কমিশন সূত্রে জানা গেছে, অনুমোদনের জন্য একনেক সভায় উপস্থাপনের
জন্য এরই মধ্যে ৪১টি উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব যাচাই-বাছাই শেষে চূড়ান্ত করা হয়েছে।
এর মধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মেয়াদ বৃদ্ধি, সংশোধন এবং নতুন উন্নয়ন প্রকল্প
প্রস্তাব ১১টি।
এর বেশির ভাগই নতুন প্রকল্প। সংশোধিত প্রকল্প রয়েছে চারটি।
অর্থাৎ নতুন প্রকল্প রয়েছে সাতটি। এর বাইরে পরিকল্পনামন্ত্রী কর্তৃক অনুমোদিত ৩০টি
প্রকল্প প্রস্তাব একনেক সভাকে অবহিত করা হবে।
নতুন সরকারের দ্বিতীয় একনেক সভায় যেসব প্রকল্প প্রস্তাব অনুমোদনের
জন্য উপস্থাপন করা হবে সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি স্থানীয় সরকার বিভাগের। এই বিভাগের
রয়েছে তিনটি প্রকল্প। স্থানীয় সরকার বিভাগের বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের জেলাগুলোর পল্লী
অবকাঠামো উন্নয়ন, ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ (৩য় পর্যায়) এবং অবকাঠামো, উন্নত
দক্ষতা এবং তথ্যে অ্যাকসেসের মাধ্যমে দুর্বলদের জন্য স্থিতিস্থাপকতা প্রচার করা (পোভার্টি)
(১ম সংশোধিত)।
এ ছাড়া একটি মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা
হবে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ বেতার, শাহবাগ কমপ্লেক্স,
আগারগাঁও, ঢাকায় স্থানান্তর, নির্মাণ ও আধুনিকায়ন (১ম পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পটি তৃতীয়
বার সংশোধনের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে।
এর বাইরেও একনেক সভার অবগতির জন্য পরিকল্পনামন্ত্রী কর্তৃক অনুমোদিত
বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রস্তাবিত ৩০টি প্রকল্প প্রস্তাব উপস্থাপন করা হবে।
এর মধ্যে আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগ সংশ্লিষ্ট ১৪টি, ভৌত অবকাঠামো বিভাগের ৯টি, শিল্প
ও শক্তি বিভাগের একটি এবং কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের ছয়টি প্রকল্প।
একনেক জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন
মন্তব্য করুন
রেমিট্যান্স প্রবাসী আয় বাংলাদেশ ব্যাংক
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের বিদেশি ঋণ প্রথমবারের মতো ১০০ বিলিয়ন বা দশ হাজার কোটি মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে। গত ডিসেম্বর শেষে বিদেশি বিভিন্ন উৎস থেকে নেওয়া ঋণের স্থিতিছিল ১০০ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন (১০ হাজার ৬৪ কোটি) ডলার। যা দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১১০ টাকা ধরে) এ ঋণের পরিমাণ ১১ লাখ ৭ হাজার ৪০ কোটি টাকা। দেশের মোট বিদেশি ঋণের ৭৯ শতাংশই নিয়েছে সরকার। বাকি ২১ শতাংশ ঋণ নিয়েছে বেসরকারি খাত। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে বিদেশি ঋণের স্থিতি ছিল ৯ হাজার ৬৫২ কোটি ডলার। সেই হিসেবে এক বছরের ব্যবধানে বিদেশি ঋণের স্থিতি বেড়েছে ৪১২ কোটি ডলার।