ইনসাইড ইকোনমি

‘ট্যানারি মালিকদের বকেয়া চামড়ার বাজার ধসের প্রধান কারণ’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ২৬ অগাস্ট, ২০১৮


Thumbnail

‘চামড়ার বাজার ধসের কয়েকটি কারণের মধ্যে অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে ট্যানারি মালিকরা তিন চার বছর যাবত বকেয়া পরিশোধ করছে না। চামড়া ব্যবসার নিয়ম হলো প্রতি কোরবানির ঈদের সময় ট্যানারি মালিকরা আমাদের সকল বকেয়া পাওনা পরিশোধ করে দিবে। ঈদের পর থেকে আবার নতুন করে তাঁদের সঙ্গে ব্যবসা শুরু হবে। এবছর মাত্র দুইটা ট্যানারি শতভাগ পাওনা পরিশোধ করেছে। ১০ টা ট্যনারির কেউ ২০% কেউ ৫০% টাকা দিয়েছে। বাকি ট্যানারিগুলো এবছর কোন টাকাই দেয় নাই।’

চামড়ার বাজার এমন ধসের বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলা ইনসাইডারকে একথা বলেন চামড়া আড়তদারদের সংগঠন হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন।

কোরবানির পশুর চামড়ার বাজারে ধস নেমেছে এবছর। বিগত ৩০ বছরের মধ্যে এবার সবচেয়ে কম দামে বিক্রি হয়েছে কোরবানির পশুর চামড়া। কোরবানির পশুর চামড়া বেচাকেনায় সারা দেশে প্রায় একই পরিস্থিতি দেখা গেছে। লক্ষাধিক টাকার গরুর চামড়া এবছর হাজার টাকায়ও বিক্রি হয়নি। বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন এ বছর চামড়ার ধস নিয়ে তাঁদের বক্তব্য তুলে ধরেন।

বর্তমান চামড়ার বাজার ধসের কারণ কি বলে মনে করছেন?

চামড়ার বাজার ধসের মধ্যে অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে ট্যানারি মালিকরা আমদেরকে তিন চার বছর যাবত বকেয়া পরিশোধ করছে না। আমাদের চামড়া ব্যবসার নিয়ম হলো প্রতি কোরবানির ঈদের সময় ট্যানারি মালিকরা আমাদের সকল বকেয়া পাওনা পরিশোধ করে দিবে। ঈদের পর থেকে আবার নতুন করে তাদের সঙ্গে ব্যবসা শুরু হবে। এবছর মাত্র দুইটা ট্যানারি শতভাগ পাওনা করেছে। ১০টা ট্যনারির কেউ ২০% কেউ ৫০% টাকা দিয়েছে। বাকি ট্যানারিগুলো এবছর কোনো টাকাই দেয় নাই আমাদেরকে। আমরা পাইকারি কাঁচা চামড়ার ব্যবসায়ীরা অনেকেই পুঁজির অভাবে চামড়া কিনতে পারি নাই। যেহেতু পুঁজির অভাব তাই আমাদের মধ্যে এবছর চামড়া কেনার প্রতিযোগিতাও ছিল না প্রতিবছরের ন্যায়। কাঁচা চামড়ার পাইকারি ব্যবসায়ীদের যার কাছে যে পরিমাণ সীমিত টাকা ছিল তারা চামড়া কিনে ফেলার পর, তাদের আর চামড়া কেনার চাহিদা না থাকার কারণে চামড়ার দাম কমে যায়। এই সুযোগে আবার অনেক ট্যানারি মালিকরা নিজেরাই অনেক কম দামে সরাসরি চামড়া কিনে নিয়ে গেছেন।

ট্যানারি মালিকদের কাছে আপনাদের বকেয়া চাইলে তাদের বক্তব্য কি?

ট্যানারি মালিকরা আমাদেরকে টাকা না দেওয়ার কারণ বলছে, আমাদের কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ীদের টাকা, ব্যাংকের টাকা এবং তাদের নিজস্ব পুঁজি সাভারে নতুন ট্যানারি স্থাপন করতে, ট্যানারির নতুন যন্ত্রপাতি ক্রয় করতে তারা সব টাকা ব্যয় করে ফেলছে। তাই তাদের কাছে টাকা নেই, সেই কারণেই আমাদেরকে তারা বকেয়া টাকা পরিশোধ করতে পারছেনা। যেটাই হোক মূল কথা হলো পুঁজির অভাবেই আজকে চামড়া শিল্পের এই অধপতন।

কোরবানির ঈদের আগে চামড়ার দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার কারণে কাঁচা চামড়ার ব্যবসার উপর কি কোনো প্রভাব পড়ছে?

পাঁচ-ছয় বছর আগে কখনো চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া হত না। ওপেন মার্কেট থাকত। সবাই যে যার মত চামড়ার মান অনুযায়ী চামড়া কেনা বেচা করত। দেশি ট্যানারি মালিক বলেন আর বিদেশি ক্রেতা বলেন সবাই কিন্তু এক দামে পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করে না। আবার সব পণ্যের মানও এক নয়। সরাসরি পশুর চামড়া ক্রয় করে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। তারা একনজর দেখেই চামড়াটি কোনো কোয়ালিটি ও কত ফুট হবে তা বুঝতে পারে না। আমরা যারা দীর্ঘদিন এই চামড়ার ব্যবসার সঙ্গে জড়িত তারা কিন্তু একবার দেখেই বলে দিতে চামড়াটি কোন গ্রেডের এবং কত স্কয়ার ফুট হবে। আমরা সেভাবেই দাম নির্ধারণ করতে পারি কিন্তু মৌসুমী ব্যবসায়ীরাতো তেমন অভিজ্ঞ না। চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়ার কারণে মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীদের জন্য সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।     

চামড়া শিল্পের বর্তমান এই অধপতন রোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কিছু করণীয় আছে বলে, আপনি কি মনে করেন

চামড়া শিল্প অনেক বড় একটা সেক্টর। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে গার্মেন্টস শিল্পের পরেই চামড়া শিল্পের অবস্থান। বাণিজ্য, শিল্প, এবং অর্থ মন্ত্রণালয় এই তিন মন্ত্রণালয় এই চামড়া শিল্পের সঙ্গে জড়িত। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো যদি চামড়া শিল্পের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সমাধান করার চেষ্টা করে তাহলে ভালো হয়। এছাড়াও চামড়া শিল্পে সরকার ও ব্যাংকের যে বিনিয়োগ ট্যানারি মালিকরা তা সঠিকভাবে ব্যবহার করছে কি না তার তদারকি করা দরকার। ট্যানারি মালিকদের চামড়া শিল্পের উন্নয়নে কি কি প্রয়োজন সেগুলোও দেখতে হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করলেই সম্ভাবনাময় এই শিল্পের বিকাশ হবে।

চামড়ার দামে ধস ও ব্যবসায়ীদের বাকি পরিশোধ না করার বিষয়ে কথা বলার জন্যে ট্যানারি মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহীন আহমেদের সঙ্গে গতকাল শনিবার একাধিকবার যোগাযোগ করলে তিনি আজ সকালে সময় দেওয়ার কথা বলেন। কিন্তু আজ রোববার সকাল থেকে তাঁর মোবাইলে একাধিকবার কল ও মেসেজ দিলেও তিনি কল ধরেননি এবং মেসেজেরও কোনো উত্তর প্রদান করেননি।


বাংলা ইনসাইডার/আরকে/জেডএ 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

এবার একীভূত হচ্ছে আইসিবি ইসলামী ব্যাংক

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

দুর্বল ব্যাংকগুলোকে সবল ব্যাংকের সাথে একীভূত করার মধ্য দিয়ে ব্যাংকিং খাতে যে সঙ্কট তা নিরসনের যে উদ্যোগ বাংলাদেশ ব্যাংক গ্রহণ করেছে তার অংশ হিসাবে আইসিবি ইসলামী ব্যাংক একটি শক্তিশালী ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে যাচ্ছে। এই ব্যাংকটির অবস্থা বর্তমানে অত্যন্ত দুর্বল এবং খেলাপি ঋণে ব্যাংকটি প্রায় দেউলিয়া হওয়ার উপক্রম হয়েছে। ব্যাংকটির আর্থিক সঙ্কট এমন পর্যায়ে চলে গিয়েছে যে, গত মাসে তারা তাদের কর্মকর্তা কর্মচারীদেরকে বেতন দিতে পারেনি। তিন শতাধিক কর্মচারী এই ব্যাংকে একটা অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক এখন এই ব্যাংকটিকে একীভূত করার জন্য প্রক্রিয়া শুরু করেছে বলেই একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে। 

উল্লেখ্য যে, এর আগে দুর্বল ব্যাংক পদ্মা ব্যাংককে একীভূত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় এবং এটি এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে পদ্মা ব্যাংকের একীভূত করার কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। 

বাংলাদেশ ব্যাংক আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে চিহ্নিত দুর্বল ১২টি ব্যাংককে সবল ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার প্রক্রিয়া গ্রহণ করেছে। সেই প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে আইসিবি ইসলামী ব্যাংক হচ্ছে দ্বিতীয় ব্যাংক, যেটি একীভূত হতে যাচ্ছে। উল্লেখ্য যে, এই ব্যাংকটি উৎস ১৯৮৭ সালে আল বারাকা ব্যাংক হিসেবে। কিন্তু আল বারাকা ব্যাংকের ব্যাপক ঋণখেলাপি থাকার কারণে ১৯৯৪ সালে আল বারাকা ব্যাংকে পর্যবেক্ষক নিয়োগ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু তারপরও এই ব্যাংকের পরিস্থিতির কোন উন্নতি হয়নি। বিএনপি নেতা মোসাদ্দেক আলী ফালু এবং তার গ্যাংরা এই ব্যাংক থেকে যে টাকা তুলেছিল সেই টাকা শোধ করতে পারেননি। এক পর্যায়ে দেউলিয়া হওয়ার পথে ২০০৪ সালে আল বারাকা ব্যাংককে ওরিয়েন্টাল ব্যাংকে নাম পরিবর্তন করে নতুন ভাবে চাঙ্গা করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তাতেও এই ব্যাংকটির অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। 

২০০৬ সালে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ওরিয়েন্টাল ব্যাংকের বোর্ড বিলুপ্ত করে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ আসে। এসময় বিভিন্ন ঋণ খেলাপের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলাও হয়। কিন্তু তাতে এই ব্যাংকের অবস্থা উন্নত হয়নি। এরপর ২০০৮ সালে এই ব্যাংকের নতুন নাম করা হয় আইসিবি ইসলামী ব্যাংক। আইসিবি ইসলামী ব্যাংক নামকরণ করা হলেও ব্যাংকটি সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে পারেনি। বরং আইসিবি ইসলামী ব্যাংক হওয়ার পর এর সঙ্কট নতুন করে দানা বেঁধেছে বলেই জানা যাচ্ছে। ব্যাংকটি টানা লোকসান করে যাচ্ছে এবং ২০২৩ সালে ব্যাংকটির লোকসানের পরিমাণ ৫৬ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। এই ব্যাংকটি এখন মূলধনের সঙ্কটে ভুগছে এবং মূলধন সঙ্কটের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে মূলধন চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংক তা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। 

একাধিক সূত্র বলছে, এখন এই ব্যাংকটি একীভূত করার জন্য প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের পর আরও বেশ কিছু ব্যাংক একীভূতকরণের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের পরই রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংককে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার কাজ সম্পন্ন হবে এবং এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে বলে জানা গেছে।

রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার প্রক্রিয়াটি ঈদের পরপরই শুরু হতে পারে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

আইসিবি ইসলামি ব্যাংক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

রিজার্ভ আরও কমলো

প্রকাশ: ০৭:৪৭ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ গত ১ সপ্তাহের ব্যবধানে আরও কিছুটা কমেছে। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে বিদেশি মুদ্রার সঞ্চায়ন স্থির হয়েছে ২৪ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলারে। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) গণনায় তা দাঁড়িয়েছে ১৯ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারে। এদিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইটে সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়, গত ২১ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবায়নে সঞ্চিত বিদেশি অর্থের পরিমাণ ছিল ২৫ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলার। আর আইএমএফের গণনা পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী তা ছিল ১৯ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার। সেই হিসাবে গত ১ সপ্তাহে গ্রস রিজার্ভ কমেছে ৫৩ কোটি ডলার।

এছাড়া দেশের আর্থিক খাত নিয়ন্ত্রণকারী সর্বোচ্চ সংস্থার নিট রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে। এটি শুধু আইএমএফকে দেয়া হয়, প্রকাশ করা হয় না। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সেই মেথডে দেশের প্রকৃত রিজার্ভ এখন প্রায় সাড়ে ১৭ বিলিয়ন ডলার। এ দিয়ে ৩ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে।

মূলত, প্রতি মাসে পণ্য কেনা বাবদ প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার করে দায় পরিশোধ করা হয়। সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। সেই মানদণ্ডে বাংলাদেশ বর্তমানে শেষ প্রান্তে রয়েছে।

অর্থনীতি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আলোচ্য সময়ে রেমিট্যান্স প্রবাহ এবং রপ্তানি আয় প্রায় স্থিতিশীল রয়েছে। ইতোমধ্যে বাইরের ছোট দায় পরিশোধ করা হয়েছে। ফলে বিদেশি অর্থের মজুত হালকা ক্ষয় হয়েছে।

রিজার্ভ   বাংলাদেশ ব্যাংক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

কোন দেশের মুদ্রার দাম কত

প্রকাশ: ০৩:২৫ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারিত হচ্ছে। ব্যবসায়িক লেনদেন ঠিক রাখতে মুদ্রা বিনিময়ের পরিমাণও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এছাড়া বিশ্বের নানা দেশে প্রায় ১ কোটি বাংলাদেশি বসবাস করেন। তারা বাংলাদেশের জন্য  সম্পদ। মূলত, তাদের পাঠানো কষ্টার্জিত অর্থে সচল রয়েছে দেশের অর্থনীতির চাকা।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ব্যবসায়ী ও প্রবাসীদের লেনদেনের সুবিধার্থে টাকায় বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার তুলে ধরা হলো-














মুদ্রা   টাকা   বাংলাদেশ ব্যাংক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

একনেকে ৪১ প্রকল্প উঠছে আজ

প্রকাশ: ১০:১৮ এএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

চলতি অর্থবছরের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) অষ্টম সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ। আর এটিই হতে যাচ্ছে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত নতুন সরকারের দ্বিতীয় একনেক সভা। এই সভায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার ১১টি প্রকল্প অনুমোদন দিতে যাচ্ছে সরকার। এর বাইরেও অনুমোদন পাচ্ছে আরো ৩০টি প্রকল্প।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকাল ১০টায় রাজধানীর শেরেবাংলানগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে চলতি অর্থবছরের ৮ম একনেক সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

কমিশন সূত্রে জানা গেছে, অনুমোদনের জন্য একনেক সভায় উপস্থাপনের জন্য এরই মধ্যে ৪১টি উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব যাচাই-বাছাই শেষে চূড়ান্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মেয়াদ বৃদ্ধি, সংশোধন এবং নতুন উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব ১১টি।

এর বেশির ভাগই নতুন প্রকল্প। সংশোধিত প্রকল্প রয়েছে চারটি। অর্থাৎ নতুন প্রকল্প রয়েছে সাতটি। এর বাইরে পরিকল্পনামন্ত্রী কর্তৃক অনুমোদিত ৩০টি প্রকল্প প্রস্তাব একনেক সভাকে অবহিত করা হবে।

নতুন সরকারের দ্বিতীয় একনেক সভায় যেসব প্রকল্প প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি স্থানীয় সরকার বিভাগের। এই বিভাগের রয়েছে তিনটি প্রকল্প। স্থানীয় সরকার বিভাগের বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের জেলাগুলোর পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন, ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ (৩য় পর্যায়) এবং অবকাঠামো, উন্নত দক্ষতা এবং তথ্যে অ্যাকসেসের মাধ্যমে দুর্বলদের জন্য স্থিতিস্থাপকতা প্রচার করা (পোভার্টি) (১ম সংশোধিত)।

এ ছাড়া একটি মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ বেতার, শাহবাগ কমপ্লেক্স, আগারগাঁও, ঢাকায় স্থানান্তর, নির্মাণ ও আধুনিকায়ন (১ম পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পটি তৃতীয় বার সংশোধনের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে।

এর বাইরেও একনেক সভার অবগতির জন্য পরিকল্পনামন্ত্রী কর্তৃক অনুমোদিত বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রস্তাবিত ৩০টি প্রকল্প প্রস্তাব উপস্থাপন করা হবে। এর মধ্যে আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগ সংশ্লিষ্ট ১৪টি, ভৌত অবকাঠামো বিভাগের ৯টি, শিল্প ও শক্তি বিভাগের একটি এবং কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের ছয়টি প্রকল্প।


একনেক   জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ   দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

দৈনিক রেমিট্যান্স এসেছে ৬ কোটি ৪৩ লাখ ডলার

প্রকাশ: ০৮:৫৩ পিএম, ২৪ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

চলতি মাসের প্রথম ২২ দিনে বৈধ বা ব্যাংকিং চ্যানেলে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৪১ কোটি ৪৪ লাখ মার্কিন ডলার। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ১৫ হাজার ২০৮ কোটি টাকা (প্র‌তি ডলার ১১০ টাকা হিসাব করে)। এই হিসেবে প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ৬ কোটি ৪৩ লাখ ডলার রেমিট্যান্স।

রোববার (২৪ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ পরিসংখ্যানে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়, মার্চ মাসে প্রথম ২২ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১৪১ কোটি ৪৪ লাখ মার্কিন ডলার। তার মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৮ কোটি ২৫ লাখ ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে দুই কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১২০ কোটি ৪৮ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫৭ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।

এ বছরের জানুয়ারিতে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১০ কোটি মার্কিন ডলার। আর ফেব্রুয়া‌রি‌তে আসে ২১৬ কো‌টি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার, যা চলতি অর্থবছরে সর্বোচ্চ।

রেমিট্যান্স   প্রবাসী আয়   বাংলাদেশ ব্যাংক  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন