নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৩৭ পিএম, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
কোরবানির ঈদ চলে গেছে কয়েক সপ্তাহ। এরপরও এর প্রভাব রয়ে গেছে মাংসের বাজারে। বাজারে গরুর মাংসের ক্রেতা কম, তাই দামও তুলনামূলক কম। গরুর মাংসের বিক্রেতারা সিটি কর্পোরেশনের নির্ধারিত মুল্যের চেয়েও কম দামে বিক্রি করছে। অপরদিকে, বাজারে ইলিশের সরবরাহ বেশি থাকলেও ইলিশের দাম বেশ চড়া। ইলিশেই চড়ে আছে বাজার।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের টাউন হল কাঁচাবাজারে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, গরুর মাংসের দোকানে ক্রেতা একেবারেই কম। গরুর মাংস বিক্রেতা মলিন মুখে চাপাতি হাতে বসে আছে। মাত্র কয়েকদিন আগেও গরুর মাংস বিক্রি হতো কেজি প্রতি ৪৮০-৫০০ টাকায়। কিন্তু ক্রেতা কম থাকার কারণে গরুর মাংস এখন বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৪৫০ বা এরও কমে।
একই চিত্র দেখা যায় খাসির মাংসের দোকানে। ক্রেতা নেই বললেই চলে। তবে অপরিবর্তিত আছে খাসির মাংসের দাম। গত সপ্তাহের মতো এ সপ্তাহেও খাসির মাংস কেজি প্রতি ৭৫০ টাকা।
বয়লার মুরগির দামও অপরিবর্তিত রয়েছে। সাদা বয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১২০-১৩০ টাকা দরে। লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৮০-২১০ টাকায়, আর দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৩৫০-৪১০ টাকায়।
অনেক মুরগির দোকানগুলোতে মুরগির পাশাপাশি বিক্রি করা হচ্ছে দেশি হাঁস। আসন্ন শীত উপলক্ষ্যে ক্রেতাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে হাঁস বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। প্রতি কেজি হাঁস ৩৫০-৩৭০ টাকায় বিক্রি করছেন তারা।
এদিকে অপরিবর্তিত রয়েছে অধিকাংশ সবজির দাম। তবে শিমের দাম কিছুটা বেড়েছে। গত সপ্তাহে ১০০-১২০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া শিমের দাম বেড়ে ১৩০-১৪০ টাকা হয়েছে। সেইসঙ্গে, দাম বেড়েছে শসা ও বেগুনের। প্রতি কেজি ৪০-৪৫ টাকা দরের শসা বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। আবার, গত সপ্তাহে প্রতিকেজি ৪৫-৫০ টাকা দরের বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়।
অবশ্য দামি সবজি পাকা টমেটোর দাম কিছুটা কমেছে। বাজার ভেদে ৭০-৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।যদিও গত সপ্তাহে এ সবজিটির কেজি ছিল ৯০-১০০ টাকা। অপরিবর্তিত রয়েছে গাজর ও মূলার দাম।
এছাড়া গত সপ্তাহের দামেই বিক্রি হচ্ছে উস্তা, বরবটি, কাঁকরোল, করলা, পটল, ঝিঙা, ধুন্দল, ঢেঁড়স, লাউ। বরবটি বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৪০-৫০ টাকায় এবং চিচিংগা, পটল, ঝিঙা, ধুন্দল, কাঁকরোল ও করলা বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৩০-৪০ টাকায়। পেঁপে ও ঢেঁড়স কেজি প্রতি ২০-৩০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
এদিকে, দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৮-৫০ টাকা কেজি। আর আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকা কেজি প্রতি।
বাড়তি চাপ রয়েছে শাকের দোকানগুলোতে। প্রতি আঁটি পুঁইশাক ২০ টাকা, লাল শাক ১০ টাকা, কচুশাক ৮ টাকা, ডাঁটা শাক ১৫ টাকা এবং লাউশাক আঁটি প্রতি ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে, মাছের তুলনায় বাজারে ইলিশের সমাগম প্রচুর। তারপরও কমেনি ইলিশের দাম বরং সরবরাহের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এর দাম। কোরবানির পর একটানা মাংস খেতে খেতে হাঁপিয়ে উঠেছেন অনেকেই। তাইতো মুখের স্বাদের ভিন্নতা আনতে অনেকেই ইলিশে ঝুঁকেছেন। তাইতো, ক্রেতাদের চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ইলিশের দাম। প্রতিপিস ইলিশ ৬০০-১৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে, অন্যান্য মাছের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। প্রতিকেজি রুই মাছ ৩০০-৩৫০, কাতলা ২৫০-৩০০, চিংড়ি ৫৫০-১১০০, পাবদা ৫৫০-৬০০, কৈ মাছ দেশি ২৫০ টাকা ও পাঙ্গাস মাছ ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজার দর প্রসঙ্গে জানতে চাইলে টাউন হল কাঁচাবাজারের ক্রেতা মিসেস আফসানা খাতুন বলেন, গত দুই এক সপ্তাহ ধরে কাঁচাবাজার স্থিতিশীল। তবে সবধরনের শীতকালীন সবজির দাম একটু বাড়তি। এত দাম দিয়ে সবজি কেনা আমাদের মতো মধ্যবিত্তদের জন্য কষ্টসাধ্য।
সবজির দাম বাড়তি প্রসঙ্গে সবজি বিক্রেতা জালাল বলেন, চাহিদা অনুযায়ী বাজারে এখন শীতের সবজির সরবরাহ কম। যে কারণে দাম একটু বাড়তি। তবে কয়েক দিনের মধ্যেই এগুলোর সরবরাহ বাড়বে, তখন এসব সবজির দামও কমে যাবে।
বাংলা ইনসাইডার/বিকে/জেডএ
মন্তব্য করুন
রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ বেসরকারি সিটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত না হওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ কথা জানিয়ে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়েছে।
এর আগে ৯ এপ্রিল অর্থমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দিয়ে ব্যাংকটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও বলেছিলেন, তাঁরা বেসরকারি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে চান না। বেসিক ব্যাংক শতভাগ রাষ্ট্রমালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক। সরকারি এই ব্যাংককে বেসরকারি একটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার খবরে তাঁরা ‘আতঙ্কগ্রস্ত’।
বেসরকারি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার সিদ্ধান্তে আতঙ্কগ্রস্ত হয়েছেন বেসিক ব্যাংকের আমানতকারীরা। তাঁদের কেউ কেউ বেসিক ব্যাংক থেকে আমানত তুলে নিতে শুরু করেছেন। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোই আমানত বেশি সরিয়ে নিচ্ছে।
বেসিক ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে, পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে ও পরে পাঁচ কার্যদিবসে ব্যাংকটি থেকে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা আমানত তুলে নেওয়া হয়েছে। আমানত তুলে নিতে আরও কিছু প্রতিষ্ঠান ব্যাংকটিকে চিঠি দিয়েছে। এতে তীব্র তারল্যসংকটে পড়েছে ব্যাংকটি। এর ফলে বেসিক ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চাহিদামতো নগদ জমা (সিআরআর) ও বিধিবদ্ধ জমা (এসএলআর) রাখতে পারছে না।
বেসিক ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে, ব্যাংকটিতে আমানতের পরিমাণ ছিল প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকা, যা কমে এখন ১২ হাজার কোটি টাকায় নেমেছে। গত ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকটির বিতরণ করা ঋণ ছিল ১২ হাজার ৮৬৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণই ৮ হাজার ২০৪ কোটি টাকা বা ৬৪ শতাংশ।
বেসিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) এ এম মোফাজ্জেল বলেন, ‘২০১৫ সাল থেকে সোনালী, জনতার মতো আমরাও রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংক। এ কারণে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা আমাদের ব্যাংকে টাকা জমা রেখেছে। বেসরকারি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হওয়ার খবরে তারা টাকা তুলে নিতে শুরু করেছে।’ তিনি বলেন, এ জন্যই সরকারি কোনো ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার জন্য সরকারের কাছে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় পরিচালনা পর্ষদ।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৬৫ টাকা বাড়িয়ে এক লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। দেশের বাজারে এটাই স্বর্ণের সর্বোচ্চ দাম। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নতুন দাম নির্ধারণের কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।
বাজুস জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের দাম বেড়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ সন্ধ্যা ৭টা থেকেই নতুন দাম কার্যকর করা হবে।
নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ১৪ হাজার ২০২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ৮৮৪ টাকা। ভালো মানের স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলেও কমানো হয়েছে সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম। সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের নতুন দাম হবে ৭৮ হাজার ৮০২ টাকা যা এতদিন ছিল ৮০ হাজার ১৯০ টাকা।
এদিকে অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী, বর্তমানে ২২ ক্যারেটে প্রতি ভরি রুপার দাম ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ১৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা।
গত ৮ এপ্রিল স্বর্ণের দাম কমিয়েছিল বাজুস। যা ওইদিনই বিকেলে কার্যকর হয়। ওই দাম অনুযায়ী আজ ৭টা পর্যন্ত সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ এক লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ১২ হাজার ২০৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৯৬ হাজার ২২৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম ৮০ হাজার ১৯০ টাকায় বিক্রি হয়।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সপ্তাহের তৃতীয় কর্মদিবস দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে
(ডিএসই) সকাল থেকে সূচকের বেশ উত্থান–পতন লক্ষ করা যাচ্ছে। আজ বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে
লেনদেন শুরুর প্রথম আধা ঘণ্টা পরই ডিএসইর প্রধান সূচকটি বেশ নিচে নেমে যায়। তবে প্রথম
ঘণ্টা শেষে সূচক আবার ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। লেনদেনের প্রথম দেড় ঘণ্টা শেষে ডিএসইতে ২০০
কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, সকালে বেশ কিছু ভালো কোম্পানির শেয়ারের
দাম কমেছে। ডিএসইতে প্রথম দেড় ঘণ্টার লেনদেনে এগিয়ে রয়েছে ওষুধ ও রাসায়নিক, প্রকৌশল,
ভ্রমণ, খাদ্য, সিরামিক এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতের কোম্পানিগুলো।
এ সময় লেনদেনে শীর্ষে ছিল ওষুধ ও রাসায়নিক খাতের কোম্পানি এশিয়াটিক
ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড। দেড় ঘণ্টায় এটির ১৭ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। লেনদেনে দ্বিতীয়
অবস্থানে ছিল প্রকৌশল খাতের প্রতিষ্ঠান গোল্ডেন সন লিমিটেড।
এ সময় এটির ১১ কোটি ২০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর তৃতীয়
অবস্থানে থাকা ভ্রমণ খাতের কোম্পানি বেস্ট হোল্ডিংস লিমিটেডের ৯ কোটি ২৬ লাখ টাকার
শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দিন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) তিনটি সূচকই নিম্নমুখী ছিল। এদের মধ্যে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স প্রায় ৪ দশমিক ১৯ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৭৭৫ পয়েন্টে, ডিএসইএস সূচক ১ দশমিক ৯৫ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৬৪ পয়েন্টে অবস্থান করে। এ ছাড়া ডিএস ৩০ সূচক ২ দশমিক ১৮ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৩ পয়েন্টে অবস্থান করে। ডিএসইতে গতকাল লেনদেন হয়েছে প্রায় ৫৪০ কোটি টাকার।
মন্তব্য করুন
সপ্তাহের তৃতীয় কর্মদিবস দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সকাল থেকে সূচকের বেশ উত্থান–পতন লক্ষ করা যাচ্ছে। আজ বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে লেনদেন শুরুর প্রথম আধা ঘণ্টা পরই ডিএসইর প্রধান সূচকটি বেশ নিচে নেমে যায়। তবে প্রথম ঘণ্টা শেষে সূচক আবার ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। লেনদেনের প্রথম দেড় ঘণ্টা শেষে ডিএসইতে ২০০ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে।