ইনসাইড ইকোনমি

আগাম সবজি চাষে ঝুঁকছে চাষীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১:৪১ পিএম, ০৭ অক্টোবর, ২০১৮


Thumbnail

রাজধানীর পাশের জেলা মানিকগঞ্জের সবজির সুনাম রয়েছে দেশজুড়ে। এজন্য মানিকগঞ্জ জেলাকে সবজির জেলা বলা হয়। অল্প পুঁজিতে অধিক লাভ হওয়ায় মানিকগঞ্জের চাষীরা অন্যান্য ফসল উৎপাদন থেকে সরে এসে আগাম সবজি চাষের দিকে ঝুঁকছে। তাই এই অঞ্চলের প্রতিবছর বাড়ছে আগাম সবজির চাষ।

অনুকূল আবহওয়া এবং চাষীদের যথাযথ পরিচর্যায় চলতি বছরে বেশ ভালো পরিমাণে সবজীর উৎপাদন হয়েছে এই জেলায়। রাজধানী ঢাকার সঙ্গে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে চাষীরা সহজেই সবজিগুলো সরবারহ করতে পারছে। এতে চাষীদের পরিবহন খরচও অনেক কম হয়। তাই চলতি বছরে এ জেলার চাষীরা সবজি চাষ করে ভালোই লাভবান হয়েছে। 

সরেজমিনে দেখা যায়, জেলার প্রায় সাতটি উপজেলায় সবজির আবাদ হয়। সবিজ চাষে বেলে-দোআঁশ মাটি উপযুক্ত। এই অঞ্চলের বেলে-দোআঁশ মাটির কারণে দিন দিন সবজি চাষ বাড়ছে মানিকগঞ্জে। তবে মানিকগঞ্জ সদর, সিংগাইর ও সাটুরিয়া উপজেলায় সবচেয়ে বেশি সবজির আবাদ হয়। এসব এলাকার আগাম সবজি চাষের পাশাপাশি সারা বছরই বাণিজ্যিকভাবে নানান জাতের সবজি চাষ হয়।

বর্ষার মৌসুম শেষের দিকে আর তাই অল্প পুঁজিতে অধিক লাভের আশায় আগাম জাতের সবজি চাষে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন এখানকার চাষীরা। আবহাওয়া অনুকূল এবং বাজারদর ভাল থাকায় এবারও বেশ লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন চাষীরা। 

সাটুরিয়া উপজেলার কামতা এলাকার সবজি চাষী শাজাহান বলেন, ‘প্রায় দুই বিঘা জমিতে এবার লাউ ও লাল শাকের আবাদ করেছি। আমার খরচ হয়েছে প্রায় ১১ হাজার টাকা। এখন পর্যন্ত ১৬ হাজার টকার লাউ শাক ও প্রায় ১১ হাজার টাকার মতো লাল শাক বিক্রি করেছি।’ এই চাষি আরও জানান, সব ঠিক থাকলে এই জমি থেকে আরও প্রায় ১০ হাজার টাকার লাউ শাক বিক্রি করতে পারবেন। লাউ ও লাল শাক শেষে তিনি ওই জমিতেই আবার ফুলকপির চারাও রোপন করবেন।

একই উপজেলার ধানকোড়া ইউনিয়নের চরধানকোড়া এলাকার সবজি চাষী করিম মিয়া বলেন, গেলো রমজানে আগে তিনি ৮৩ শতাংশ জমিতে শশার আবাদ করেছিলেন। জমি তৈরি, সার, বীজ ও জমিতে মাচাইলসহ (স্থানীয় ভাষায় জাংলা) নিয়ে খরচ হয়েছিল প্রায় ৬০ হাজার টাকার মতো। তিনি প্রায় এক লাখ টাকার বেশি শশা বিক্রি করেছিলেন। তিনি আরও বলেন, ওই সময়ে আবহাওয়া ভাল না থাকায় আশানুরূপ ফলন না হওয়ায় মুনাফাও তেমন ভাল অর্জন করতে পারেননি।

সবজি চাষী করিম মিয়া আরও বলেন, পরে ওই জমিতেই ধুন্দল চাষ করেন। এতে মাত্র তিন হাজার টাকা খরচ করে প্রায় অর্থ লক্ষ টাকার ধুন্দল বিক্রি করেন। এখন সেই জমিতেই আবার শিমের আবাদ করেছেন। শিমের ফলন পাওয়া পর্যন্ত তার ব্যয় হবে মাত্র ১০ থেকে ১১ হাজার টাকা। শিমের ফলন ও বাজারদর ভাল পেলে প্রায় লক্ষাধিক টাকার শিম বিক্রি করতে পারবেন বলে প্রত্যাশা করছেন তিনি। 

আলীম নামের এক বেগুন চাষী বলেন, ৩০ শতাংশ জমিতে প্রায় ১০ হাজার টাকা ব্যয়ে তিনি বেগুনের আবাদ করেছেন। এখন পর্যন্ত তিনি প্রায় ১৬ হাজার টাকার মতো বেগুনও বিক্রি করেছেন। আবহাওয়া ভালো থাকলে তিনি আরও প্রায় ৩৫ হাজার টাকার বেগুন বাজারে বিক্রি করতে পারবেন বলে জানান। 

একই এলাকার হালীম নামের আরেক চাষী বলেন, জমির ফলন ও খরচের বিষয়টি পুরোপুরি নির্ভর করে কৃষকের উপর। কৃষক যতি দক্ষ ও অভিজ্ঞ হন তবে অল্প খরচে ভাল ফলন পেতে পারেন। যেমনঃ একজন কৃষক নিজের জমিতে নিজেই কাজ করা, জমিতে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা ইত্যাদি। এতে করে খরচ অনেক কমে যায়। ফলে কৃষক লাভবান হয়। তিনিও ৮ হাজার টাকা খরচ করে ২৪ শতাংশ জমিতে আবাদ করেছেন ঢেঁরস। এখান থেকে তিনি ৩০ হাজার টাকার বেশি স্থানীয় বাজারে ঢেঁরস বিক্রিও করেছেন। সপ্তাহখানেক ঢেঁরস বিক্রি শেষে তিনি ওই জমিতে আবার ফুলকপি রোপন করবেন।

চলতি মৌসুমে মানিকগঞ্জ জেলায় প্রায় ৯ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে সবজি আবাদের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করেছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। এরই মধ্যে প্রায় ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে আগাম সবজি চাষ করা হয়েছে। আর কয়েকদিনের মধ্যে লক্ষমাত্রার বাকি জমিগুলোতেও সবজির আবাদ সম্পন্ন হয়ে যাবে বলে জানান জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হাবিবুর রহমান।

তিনি আরও জানান, অল্প পুঁজিতে আগাম জাতের সবজি আবাদ করে অধিক মুনাফা অর্জন করা যায় বলে মানিকগঞ্জে সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষীরা। তিনি আরও জানান, কৃষি অফিস থেকে সব সময়ই সবজি চাষীদের সহযোগীতা ও পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।

বড় ধরণের কোন প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলে চলতি মৌসুমে এ অঞ্চলের চাষীরা শীতকালীন আগাম সবজি চাষে ভালো মুনাফা অর্জন করতে পারবেন বলে আশা করছেন মানিকগঞ্জের সবজী চাষীরা।

বাংলা ইনসাইডার/আরকে/ জেডএ



মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

একদিন পরই আবারও কমলো স্বর্ণের দাম

প্রকাশ: ০৫:১৩ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দাম কমানোর একদিন পরই আবারও ভরিতে ২ হাজার ১০০ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৪ হাজার ১৯০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। বৃহস্প‌তিবার (২৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা ৫০ মি‌নিট থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ১৪ হাজার ১৯০ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৯ হাজার টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৩ হাজার ৪২৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৫ হাজার ২০৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
 
এর আগে গত ২৩ এপ্রিল দুই দিনের ব্যবধানে ভরিতে ৩ হাজার ১৩৮ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৬ হাজার ২৯০ টাকা  নির্ধারণ করেছিল বাজুস। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১০ হাজার ৯৯৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৫ হাজার ১৪৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৬ হাজার ৫৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা সেদিন বিকেল ৪টা থেকে কার্যকর হয়েছিল।
 
আর গত ২১ এপ্রিল একদিনের ব্যবধানে ভরিতে ৬৩০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৯ হাজার ৪২৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ৭০৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৮ হাজার ৬৬২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা সেদিন বিকেল ৩টা ৩০ মিনিট থেকে কার্যকর হয়েছিল।
 
এছাড়া গত ২০ এপ্রিল সবচেয়ে ভালো মানের ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ ৮৪০ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৯৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। আর ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৩ হাজার ৩৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ১৯৬ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৮ হাজার ২৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা সেদিন বিকেল ৩টা ৩০ মিনিট থেকে কার্যকর হয়েছিল।
 
উল্লেখ্য, চলতি বছরের প্রথম চার মাসেই দেশের বাজারে ১২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৭ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ৫ বার। এর মধ্যে এপ্রিলেই দাম সমন্বয় হয়েছে ৭ বার। আর ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার।


স্বর্ণ   বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি   বাজুস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিয়ম কড়াকড়ি

প্রকাশ: ০৫:০৫ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গত এক মাস ধরে বাংলাদেশ ব্যাংকে সংবাদকর্মীদের প্রবেশে বাধা দিয়ে আসছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে সাংবাদিকদের মাঝে অসন্তোষ জন্ম নেয়।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে বিক্ষুব্ধ সাংবাদিকরা বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে অবস্থান নেন।

তবে বিষয়টি সমাধানের জন্য সকাল ১১টার দিকে অর্থনীতি-বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সভাপতি মোহাম্মদ রেফায়েত উল্লাহ মীরধা ও সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে বৈঠক করেন।

বৈঠকে শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক সাংবাদিকদের বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, এখন থেকে সাংবাদিকরা ব্যাংকের নির্দিষ্ট অনুমতিপত্র (প্রবেশ পাস) নিয়ে শুধু মুখপাত্রের কাছে যেতে পারবেন।

তিনি বলেন, যদি কোনো কর্মকর্তা সাংবাদিকদের পাস দেন, সেক্ষেত্রে তারা শুধু সেই কর্মকর্তার কাছে যেতে পারবেন। তবে আগের মতো তারা অবাধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কোনো বিভাগে প্রবেশ করতে পারবেন না।

বাংলাদেশ ব্যাংক   সাংবাদিক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

তবে কি বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরির গুরুত্ব কমে গেলো?

প্রকাশ: ০৪:৩৭ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রথম শ্রেণির ৫৭ কর্মকর্তা পদত্যাগ করেছেন। গত মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়। 

জানা গেছে, মূলত বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসসহ (বিসিএস) অন্য চাকরিতে যোগ দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এই কর্মকর্তারা পদত্যাগ করেছেন। তাদের চাকরি ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়া নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরির গুরুত্ব কমে গেলো কিনা সেটি নিয়েও কেউ কেউ প্রশ্ন করছেন।

পদত্যাগকারীদের মধ্যে রয়েছেন একজন উপপরিচালক ও একজন অফিসার। বাকি ৫৫ জন সহকারী পরিচালক। তাদের মধ্যে ৪৮ জনের পদত্যাগ কার্যকর হবে আজ বৃহস্পতিবার। এছাড়া গত ৩১ মার্চ, ১৫ ও ১৬ এপ্রিল একজন করে, ১৮ এপ্রিল ২ জন এবং ২১ এপ্রিল ৪ জনের পদত্যাগ কার্যকর হয়েছে। চাকরি ছেড়ে যাওয়া এসব কর্মকর্তা বেশির ভাগই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত ছিলেন। এছাড়া খুলনা ও বরিশাল অফিসে ৩ জন করে, সিলেট অফিসে ২ জন, মতিঝিল, চট্টগ্রাম ও রংপুর অফিসে একজন করে কর্মরত ছিলেন।

এক সময় বিসিএস, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতার মতো চাকরি ছেড়ে অনেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আসতেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বায়ত্তশাসনের ঘাটতিতে হতাশা, চাকরির সুযোগ-সুবিধা কমে আসা ইত্যাদি এর কারণ বলে মনে করছেন কেউ কেউ। 

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে মেধাবীরা বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরিতে আসার একটি বড় কারণ ছিল নিজস্বতা। স্বাধীনভাবে তারা বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন। এখন পরিদর্শনসহ বেশির ভাগ সিদ্ধান্ত ওপর থেকে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ নিয়ে অনেকের মধ্যে হতাশা রয়েছে। আবার অন্য যে কোনো প্রতিষ্ঠানের চেয়ে সুযোগ-সুবিধাও কিছুটা বেশি পেতেন বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তরা। ধীরে ধীরে তা কমিয়ে অন্য চাকরির মতোই করা হচ্ছে। 

২০২২ সালের আগ পর্যন্ত তিন বছর পূর্ণ হলে পদ খালি থাকা সাপেক্ষে পরবর্তী ধাপে পদোন্নতির যোগ্য হতেন কর্মকর্তারা। এখন পদ খালি থাকলেও ৫ বছর না হলে পদোন্নতি পান না। আগে যোগদানের পর ৯ মাসের ফাউন্ডেশন প্রশিক্ষণ করানো হতো। এখন এক থেকে তিন মাসে নামিয়ে আনা হয়েছে। আবার এই প্রশিক্ষণে ৮০ শতাংশ নম্বর পেলে অতিরিক্ত একটা ইনক্রিমেন্ট দেওয়া হতো। সেটিও এখন বন্ধ। আর সরকারি চাকরি পঞ্চম গ্রেডে প্রতিমাসে ৪৫ হাজার টাকা কার মেইনটেন্যান্স ভাতা দেওয়া হলেও বাংলাদেশ ব্যাংকে তা দেওয়া হয় না।

বাংলাদেশ ব্যাংক   বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস   বিসিএস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

২৪ ঘণ্টার কম সময় ফের কমলো স্বর্ণের দাম

প্রকাশ: ০৪:৩০ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দাম কমানোর ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ভরিতে ২ হাজার ১০০ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৪ হাজার ১৯০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস জানিয়েছে, এদিন বিকেল ৪টা ৫০ মিনিট থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য কমেছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
 
নতুন দাম অনুযায়ী প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ১৪ হাজার ১৯০ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৯ হাজার টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৩ হাজার ৪২৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৫ হাজার ২০৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
 
এর আগে গত ২৩ এপ্রিল দুই দিনের ব্যবধানে ভরিতে ৩ হাজার ১৩৮ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৬ হাজার ২৯০ টাকা  নির্ধারণ করেছিল বাজুস। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১০ হাজার ৯৯৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৫ হাজার ১৪৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৬ হাজার ৫৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা সেদিন বিকেল ৪টা থেকে কার্যকর হয়েছিল।
  
আর গত ২১ এপ্রিল একদিনের ব্যবধানে ভরিতে ৬৩০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৯ হাজার ৪২৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ৭০৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৮ হাজার ৬৬২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা সেদিন বিকেল ৩টা ৩০ মিনিট থেকে কার্যকর হয়েছিল।
 
এছাড়া গত ২০ এপ্রিল সবচেয়ে ভালো মানের ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ ৮৪০ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৯৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। আর ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৩ হাজার ৩৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ১৯৬ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৮ হাজার ২৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা সেদিন বিকেল ৩টা ৩০ মিনিট থেকে কার্যকর হয়েছিল।
 
উল্লেখ, চলতি বছরের প্রথম চার মাসেই দেশের বাজারে ১২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৭ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ৫ বার। এর মধ্যে এপ্রিলেই দাম সমন্বয় হয়েছে ৭ বার। আর ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন   বাজুস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির লক্ষ্যপূরণে শঙ্কা

প্রকাশ: ০১:০০ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নে প্রভাব পড়েছে চলমান অর্থনৈতিক সংকট। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে ৪২.৩০ শতাংশ। আর টাকার হিসাবে ব্যয় হয়েছে এক লাখ সাত হাজার ৬১২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। যদিও গত অর্থবছরের তুলনায় এবার এডিপি বাস্তবায়ন বেড়েছে। আগের বছর ৯ মাসে বাস্তবায়ন হয়েছিল ৪১.৬৫ শতাংশ।

অর্থবছরের বাকি আছে আর তিন মাস থাকলেও এই সময়ের মধ্যে শতাংশের হিসাবে বাস্তবায়ন করতে হবে ৫৭.৭০ শতাংশ। আর টাকার হিসাবে ব্যয় করতে হবে এক লাখ ৪৬ হাজার ৭৭৯ কোটি ১৯ লাখ টাকা। এই সময়ের মধ্যে শতভাগ এডিপি বাস্তবায়ন নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা।



গতকাল মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীন বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনের তথ্য বিশ্লেষণে এ চিত্র উঠে এসেছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, অর্থবছরের ছয় মাসে যেখানে অর্ধেকও বাস্তবায়ন হয়নি, সেখানে মাত্র তিন মাসে কী করে ৫৭ শতাংশ বাস্তবায়ন হবে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে জবাবদিহির আওতায় না আনলে শতভাগ এডিপি বাস্তবায়ন কোনো অর্থবছরেই সম্ভব হবে না।

আইএমইডির তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরে সবচেয়ে বেশি এডিপি বাস্তবায়ন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংস্থাটির চলতি অর্থবছরে একটি প্রকল্পের আওতায় বরাদ্দ ছিল ছয় কোটি ১৯ লাখ টাকা। ৯ মাসে তারা ব্যয় করেছে পাঁচ কোটি ৯৯ লাখ টাকা, যা শতাংশের হিসাবে ৯৬.৮৫ শতাংশ। আর শতাংশের হিসাবে বাস্তবায়নে পিছিয়ে থাকলেও টাকা খরচে এগিয়ে রয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। বিভাগটির ২৬৩টি প্রকল্পের বিপরীতে বরাদ্দ ছিল ৪২ হাজার ৯৫৬ কোটি ৭১ লাখ টাকা।

অর্থবছরের ৯ মাসে ব্যয় হয়েছে ১৯ হাজার ৭৭৩ কোটি ৪৬ লাখ টাকা, যা শতাংশের হিসাবে ৪৬.০৩ শতাংশ। এডিপি বাস্তবায়নে সবচেয়ে পিছিয়ে আছে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ। চলতি অর্থবছরে তাদের বরাদ্দ ছিল ২৪২ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। ৯ মাসে ব্যয় করেছে ৩৩ কোটি ৭২ লাখ টাকা, যা শতাংশের হিসাবে ১৩.৮৯ শতাংশ।

বিদ্যুৎ বিভাগের এডিপি বাস্তবায়নের হার ৬৩.৮৭ শতাংশ। বরাদ্দ ছিল ৩০ হাজার ৬৩ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। ব্যয় করেছে ১৯ হাজার ২০২ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের বরাদ্দ ছিল ২৭ হাজার ৮০৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। ব্যয় হয়েছে ১১ হাজার ১৭৩ কোটি ১৩ লাখ টাকা। শতাংশের হিসাবে ৪০.১৯ শতাংশ। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ ছিল ১৩ হাজার ১১৭ কোটি ৬২ লাখ টাকা। ৯ মাসে ব্যয় করেছে সাত হাজার ৮১ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। শতাংশের হিসাবে ৫৩.৯৮ শতাংশ।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ ছিল ১২ হাজার ১৯২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। ব্যয় করেছে চার হাজার ২১ কোটি ৯০ লাখ টাকা। বাস্তবায়ন হার ৩২.৯৯ শতাংশ। ভূমি মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন হার ৫০.৯২ শতাংশ। তাদের বরাদ্দ ছিল ৪৫৯ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। বিপরীতে ৯ মাসে ব্যয় করেছে ২৩৪ কোটি ছয় লাখ টাকা।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন হার ২৪.৪২ শতাংশ। পরিকল্পনা বিভাগের বাস্তবায়ন হার ৩৮.৫৬ শতাংশ। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ২৪.৪২ শতাংশ। ইআরডির ৭১.৬৭ শতাংশ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ২৩.৭৯ শতাংশ, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের ৩১.৬৭ শতাংশ, অর্থ বিভাগের ৫০.০৮ শতাংশ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ৩৩.৬৯ শতাংশ, কৃষি মন্ত্রণালয়ের ৪৯.৯১ শতাংশ, সেতু বিভাগের ৪৬.৬৮ শতাংশ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ১৯.৪৮ শতাংশ এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে।

চলতি অর্থবছরে এডিপি বাস্তবায়ন কম হওয়ার বিষয়ে আইএমইডি সচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন বলেন, ‘গত অর্থবছরের চেয়ে এবার বাস্তবায়ন হার বেশি। আমরা প্রকল্প বাস্তবায়নে গতি বাড়াতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছি। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবদের সঙ্গে বসছি। যেসব প্রকল্প শেষ পর্যায়ে আছে তাদের পর্যাপ্ত বরাদ্দ দিয়ে প্রকল্প শেষ করছি। প্রকল্প পরিচালক দক্ষতা বাড়াতেও উদ্যোগ নিচ্ছি।’


বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি   এডিপি   বাংলাদেশ ব্যাংক  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন