নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৩০ পিএম, ০৯ নভেম্বর, ২০১৮
‘এই সিজনে আজকাই প্রথম শিম কিনলাম। ছোড পোলাডার আবার শিম খুউব পছন্দ। কিন্তু তিইন মাস ধইরা কিনুম কিনুম কইরা আর কেনন হয় নাই। একশ’ ট্যাহার নিচে দামই নামে নাহ। হেই শিম আইজ কিনলাম ত্রিইশ ট্যাহায়। একলগে দুই কেজি কিনছি। আইজ শিম আলু ভাজি করুম আবার শিম দিয়া মাছের তরকারিও রান্ধা করুম।’
কথাগুলো বলতে বলতেই হাসি মুখে পানের পিক ফেললেন রোকসান আরা। ছাত্রদের বাসায় ছুটা বুয়ার কাজ করেন তিনি। থাকেন মোহাম্মদপুরের জাকির হোসেন রোডে। সংসারের বাজারের দায়িত্বটা তারই কাঁধে। অন্য দিনের চেয়ে আজ একটু বেশিই খুশি তিনি। তা তার চোখে-মুখে স্পষ্ট। আর খুশি হবেনই না বা কেন? সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর কাঁচা বাজারে সবজি ভেদে দাম কমেছে ১৫ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত। সবচাইতে বেশি দাম কমেছে শিমের। কয়েকদিন আগেও ১শ’ টাকার ওপরে কেজিতে বিক্রি হওয়া শিমের দাম কমে এখন ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি বাজারে সবজিটি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকারও কমে।
বাজারে সরবরাহ বেশি থাকায় দাম কমেছে অন্যান্য সবজিরও। আজ শুক্রবার রাজধানীর মোহাম্মদপুরের টাউন হল কাঁচাবাজারে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ঢেড়শ ৪০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, পটল ৩০ টাকা, টমোটো ৮০ টাকা, শশা ৪০ টাকা, কাচামরিচ ৭০ টাকা, গাজর ১০০ টাকা ও মুলা ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ফুলকপি ৩৫ থেকে ৫০ টাকা ও পাতাকপি ৩০ থেকে ৪০ টাকা পিসে বিক্রি হচ্ছে। সব রকমের শীতকালীন সবজির দাম কমায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে ক্রেতাদের মাঝে।
তবে অপরিবর্তিত রয়েছে চাল, ডাল, মসলা ও তেলের দাম। প্রতি কেজি মসুর ডাল (দেশি) ১০০ টাকা, ভোজ্যতেল প্রতি লিটার খোলা ৯০ টাকা, বোতল ১০৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আদা ১০০-১২০ টাকা, রসুন (ইন্ডিয়ান) ৬০, দেশি ৫৫, পেঁয়াজ (দেশি) ৫০ টাকা, পেঁয়াজ (ইন্ডিয়ান) ৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
বাজারে ইলিশের সরবরাহ বাড়ায় কমতে শুরু করেছে অন্য মাছের দাম। বাজারে প্রতি কেজি পাঙ্গাস ১১০-১২০ টাকায় বিক্রি হয়- যা গত সপ্তাহে ১২০-১৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কেজিপ্রতি কৈ ১৫০-১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে- যা গত সপ্তাহে ১৮০-২০০ টাকা বিক্রি হয়েছে।
তেলাপিয়া ১২০-১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। রুই ২৮০ টাকা কেজি ধরে বিক্রি হয়েছে- যা গত সপ্তাহে ৩০০-৩১০ টাকায় বিক্রি হয়। ট্যাংরা ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে- যা গত সপ্তাহে ৫০০-৬০০ টাকায় বিক্রি হয়। শিং ৩০০-৪০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে- গত সপ্তাহে ৪০০-৫৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। চিংড়ি প্রতি কেজি ৫০০-৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে- যা গত সপ্তাহে ৬০০-১২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
ইলিশের আমদানি বেশি থাকায় দামও কিছুটা কম। বড় সাইজের ইলিশ ৮০০-৯০০ টাকায় এবং মাঝারি সাইজের ইলিশ ৫০০-৭০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়।
বাজারে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৪৮০-৫০০ টাকায়। অপরিবর্তিত আছে খাসির মাংসের দাম। গত সপ্তাহের মতো এ সপ্তাহেও খাসির মাংস কেজি প্রতি ৭৫০ টাকা।
বাজারে বয়লার মুরগির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। সাদা বয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১২০-১৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৮০-২১০ টাকায়, আর দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৩৫০-৪১০ টাকায়। প্রতি কেজি হাঁস ৩৫০-৩৭০ টাকায় বিক্রি করছেন বিক্রেতারা।
বাংলা ইনসাইডার/বিকে/জেডএ
মন্তব্য করুন
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারিত হচ্ছে। ব্যবসায়িক লেনদেন ঠিক রাখতে মুদ্রা বিনিময়ের পরিমাণও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এছাড়া বিশ্বের নানা দেশে প্রায় ১ কোটি বাংলাদেশি বসবাস করেন। তারা বাংলাদেশের জন্য সম্পদ। মূলত, তাদের পাঠানো কষ্টার্জিত অর্থে সচল রয়েছে দেশের অর্থনীতির চাকা।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ব্যবসায়ী ও প্রবাসীদের লেনদেনের সুবিধার্থে টাকায় বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার তুলে ধরা হলো-
মন্তব্য করুন
চলতি অর্থবছরের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক)
অষ্টম সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ। আর এটিই হতে যাচ্ছে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত
নতুন সরকারের দ্বিতীয় একনেক সভা। এই সভায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার ১১টি প্রকল্প
অনুমোদন দিতে যাচ্ছে সরকার। এর বাইরেও অনুমোদন পাচ্ছে আরো ৩০টি প্রকল্প।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকাল
১০টায় রাজধানীর শেরেবাংলানগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে চলতি অর্থবছরের ৮ম একনেক সভা অনুষ্ঠিত
হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কমিশন সূত্রে জানা গেছে, অনুমোদনের জন্য একনেক সভায় উপস্থাপনের
জন্য এরই মধ্যে ৪১টি উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব যাচাই-বাছাই শেষে চূড়ান্ত করা হয়েছে।
এর মধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মেয়াদ বৃদ্ধি, সংশোধন এবং নতুন উন্নয়ন প্রকল্প
প্রস্তাব ১১টি।
এর বেশির ভাগই নতুন প্রকল্প। সংশোধিত প্রকল্প রয়েছে চারটি।
অর্থাৎ নতুন প্রকল্প রয়েছে সাতটি। এর বাইরে পরিকল্পনামন্ত্রী কর্তৃক অনুমোদিত ৩০টি
প্রকল্প প্রস্তাব একনেক সভাকে অবহিত করা হবে।
নতুন সরকারের দ্বিতীয় একনেক সভায় যেসব প্রকল্প প্রস্তাব অনুমোদনের
জন্য উপস্থাপন করা হবে সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি স্থানীয় সরকার বিভাগের। এই বিভাগের
রয়েছে তিনটি প্রকল্প। স্থানীয় সরকার বিভাগের বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের জেলাগুলোর পল্লী
অবকাঠামো উন্নয়ন, ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ (৩য় পর্যায়) এবং অবকাঠামো, উন্নত
দক্ষতা এবং তথ্যে অ্যাকসেসের মাধ্যমে দুর্বলদের জন্য স্থিতিস্থাপকতা প্রচার করা (পোভার্টি)
(১ম সংশোধিত)।
এ ছাড়া একটি মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা
হবে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ বেতার, শাহবাগ কমপ্লেক্স,
আগারগাঁও, ঢাকায় স্থানান্তর, নির্মাণ ও আধুনিকায়ন (১ম পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পটি তৃতীয়
বার সংশোধনের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে।
এর বাইরেও একনেক সভার অবগতির জন্য পরিকল্পনামন্ত্রী কর্তৃক অনুমোদিত
বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রস্তাবিত ৩০টি প্রকল্প প্রস্তাব উপস্থাপন করা হবে।
এর মধ্যে আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগ সংশ্লিষ্ট ১৪টি, ভৌত অবকাঠামো বিভাগের ৯টি, শিল্প
ও শক্তি বিভাগের একটি এবং কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের ছয়টি প্রকল্প।
একনেক জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন
মন্তব্য করুন
রেমিট্যান্স প্রবাসী আয় বাংলাদেশ ব্যাংক
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের বিদেশি ঋণ প্রথমবারের মতো ১০০ বিলিয়ন বা দশ হাজার কোটি মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে। গত ডিসেম্বর শেষে বিদেশি বিভিন্ন উৎস থেকে নেওয়া ঋণের স্থিতিছিল ১০০ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন (১০ হাজার ৬৪ কোটি) ডলার। যা দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১১০ টাকা ধরে) এ ঋণের পরিমাণ ১১ লাখ ৭ হাজার ৪০ কোটি টাকা। দেশের মোট বিদেশি ঋণের ৭৯ শতাংশই নিয়েছে সরকার। বাকি ২১ শতাংশ ঋণ নিয়েছে বেসরকারি খাত। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে বিদেশি ঋণের স্থিতি ছিল ৯ হাজার ৬৫২ কোটি ডলার। সেই হিসেবে এক বছরের ব্যবধানে বিদেশি ঋণের স্থিতি বেড়েছে ৪১২ কোটি ডলার।