নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৫০ পিএম, ১১ জানুয়ারী, ২০১৯
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ৯ তারিখ থেকে শুরু হলেও আজ তৃতীয় দিনেও মেলা ছিল অনেকটাই অগোছালো। শেষ হয়নি মেলার অনেক স্টল এবং প্যাভিলিয়নের নির্মাণ কাজ।
আজ শুক্রবার সকালে বাণিজ্য মেলা প্রাঙ্গণে ঢুকতেই বিভিন্ন দিকে হাতুড়ি আর করাত চালানোর শব্দ শোনা যায়। মেলা ঘুরে দেখা যায় অনেক স্টলের নির্মাণ কাজ চলছে। মেলায় যত্র তত্র পড়ে আছে নানা ধরনের নির্মাণ সামগ্রী এবং পণ্যের প্যাকেট এদিক সেদিক রাখা। যার ফলে মেলায় আগত দর্শনার্থীরা হচ্ছেন বিড়ম্বনার শিকার।
ছোট আকারের স্টলগুলোর বেশির ভাগ অংশেরই নির্মাণকাজ পুরোপুরি শেষ হয়নি। তবে বড় স্টল এবং প্যাভিলিয়নগুলোর বেশির ভাগ নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। আবার নির্মাণকাজ শেষ হলেও অনেক স্টলে এখনও পণ্য সামগ্রী প্রদর্শন করা হয়নি।
নির্মাণকাজ শেষ না হওয়া কয়েকটি স্টলের কাজ করা শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, স্টলের নির্মাণ কাজ শেষ করে পণ্যসামগ্রী দিয়ে সাঁজাতে এখনও তিন চার দিন লাগতে পারে। তবে স্টলের মালিকরা বলছেন দুই একদিনের মধ্যেই সব কাজ শেষ করে পণ্যসামগ্রী প্রদর্শন করা হবে।
নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়া স্টলগুলোর বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নেয়া হবে কি না, জানতে মেলা প্রাঙ্গনে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর কার্যালয়ে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করেও মেলার পরিচালককে পাওয়া যায়নি। অন্য যারা ছিলেন তাঁরা এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হয়নি।
গত ৯ তারিখ বিকেলে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ মাসব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করেন। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে মেলা। মেলায় প্রবেশ করতে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৩০ টাকা এবং অপ্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ২০ টাকা টিকিটের মূল্য ধরা হয়েছে।
এবারের মেলায় প্যাভিলিয়ন, মিনি-প্যাভিলিয়ন, স্টল এবং রেস্তোরার সংখ্যা ৬০৫টি। যার মধ্যে রয়েছে প্যাভিলিয়ন ১১০টি, মিনি-প্যাভিলিয়ন ৮৩টি। এছাড়া বাকি ৪১২টি হচ্ছে স্টল এবং রেস্তোরা।
বাংলা ইনসাইডার/আরকে/এমআর
মন্তব্য করুন
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারিত হচ্ছে। ব্যবসায়িক লেনদেন ঠিক রাখতে মুদ্রা বিনিময়ের পরিমাণও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এছাড়া বিশ্বের নানা দেশে প্রায় ১ কোটি বাংলাদেশি বসবাস করেন। তারা বাংলাদেশের জন্য সম্পদ। মূলত, তাদের পাঠানো কষ্টার্জিত অর্থে সচল রয়েছে দেশের অর্থনীতির চাকা।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ব্যবসায়ী ও প্রবাসীদের লেনদেনের সুবিধার্থে টাকায় বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার তুলে ধরা হলো-
মন্তব্য করুন
চলতি অর্থবছরের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক)
অষ্টম সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ। আর এটিই হতে যাচ্ছে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত
নতুন সরকারের দ্বিতীয় একনেক সভা। এই সভায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার ১১টি প্রকল্প
অনুমোদন দিতে যাচ্ছে সরকার। এর বাইরেও অনুমোদন পাচ্ছে আরো ৩০টি প্রকল্প।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকাল
১০টায় রাজধানীর শেরেবাংলানগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে চলতি অর্থবছরের ৮ম একনেক সভা অনুষ্ঠিত
হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কমিশন সূত্রে জানা গেছে, অনুমোদনের জন্য একনেক সভায় উপস্থাপনের
জন্য এরই মধ্যে ৪১টি উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব যাচাই-বাছাই শেষে চূড়ান্ত করা হয়েছে।
এর মধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মেয়াদ বৃদ্ধি, সংশোধন এবং নতুন উন্নয়ন প্রকল্প
প্রস্তাব ১১টি।
এর বেশির ভাগই নতুন প্রকল্প। সংশোধিত প্রকল্প রয়েছে চারটি।
অর্থাৎ নতুন প্রকল্প রয়েছে সাতটি। এর বাইরে পরিকল্পনামন্ত্রী কর্তৃক অনুমোদিত ৩০টি
প্রকল্প প্রস্তাব একনেক সভাকে অবহিত করা হবে।
নতুন সরকারের দ্বিতীয় একনেক সভায় যেসব প্রকল্প প্রস্তাব অনুমোদনের
জন্য উপস্থাপন করা হবে সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি স্থানীয় সরকার বিভাগের। এই বিভাগের
রয়েছে তিনটি প্রকল্প। স্থানীয় সরকার বিভাগের বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের জেলাগুলোর পল্লী
অবকাঠামো উন্নয়ন, ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ (৩য় পর্যায়) এবং অবকাঠামো, উন্নত
দক্ষতা এবং তথ্যে অ্যাকসেসের মাধ্যমে দুর্বলদের জন্য স্থিতিস্থাপকতা প্রচার করা (পোভার্টি)
(১ম সংশোধিত)।
এ ছাড়া একটি মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা
হবে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ বেতার, শাহবাগ কমপ্লেক্স,
আগারগাঁও, ঢাকায় স্থানান্তর, নির্মাণ ও আধুনিকায়ন (১ম পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পটি তৃতীয়
বার সংশোধনের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে।
এর বাইরেও একনেক সভার অবগতির জন্য পরিকল্পনামন্ত্রী কর্তৃক অনুমোদিত
বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রস্তাবিত ৩০টি প্রকল্প প্রস্তাব উপস্থাপন করা হবে।
এর মধ্যে আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগ সংশ্লিষ্ট ১৪টি, ভৌত অবকাঠামো বিভাগের ৯টি, শিল্প
ও শক্তি বিভাগের একটি এবং কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের ছয়টি প্রকল্প।
একনেক জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন
মন্তব্য করুন
রেমিট্যান্স প্রবাসী আয় বাংলাদেশ ব্যাংক
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের বিদেশি ঋণ প্রথমবারের মতো ১০০ বিলিয়ন বা দশ হাজার কোটি মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে। গত ডিসেম্বর শেষে বিদেশি বিভিন্ন উৎস থেকে নেওয়া ঋণের স্থিতিছিল ১০০ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন (১০ হাজার ৬৪ কোটি) ডলার। যা দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১১০ টাকা ধরে) এ ঋণের পরিমাণ ১১ লাখ ৭ হাজার ৪০ কোটি টাকা। দেশের মোট বিদেশি ঋণের ৭৯ শতাংশই নিয়েছে সরকার। বাকি ২১ শতাংশ ঋণ নিয়েছে বেসরকারি খাত। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে বিদেশি ঋণের স্থিতি ছিল ৯ হাজার ৬৫২ কোটি ডলার। সেই হিসেবে এক বছরের ব্যবধানে বিদেশি ঋণের স্থিতি বেড়েছে ৪১২ কোটি ডলার।