নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:০২ পিএম, ১৩ জুন, ২০১৯
জাতীয় সংসদে আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে তিনটায় পেশ করা হবে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট। দেশের ইতিহাসে ১২তম অর্থমন্ত্রী হিসেবে বাজেট পেশ করবেন আ হ ম মুস্তফা কামাল।
১৯৭২ থেকে স্বাধীন বাংলাদেশের বাজেট পেশ হয়। ২০১৮ সালে সর্বশেষ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বাজেট পেশ করেন। বিভিন্ন সময় অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ছাড়াও কখনো কখনো দেশের প্রধানমন্ত্রী, উপদেষ্টা, প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক। দেশের রাষ্ট্রপতি নিজেও বাজেট ঘোষণা করেছেন। দেশে আজ ৪৮ তম বাজেট পেশ হয়েছে, সে হিসেবে বাজেট পেশকারী হচ্ছেন ১২ জন।
দেখে নেয়া যাক এর আগে বাজেট পেশ করেছেন কারা- তাজউদ্দীন আহমেদ, আজিজুর রহমান, মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান, এম এন হুদা, এম সাইফুর রহমান, আবুল মাল আবদুল মুহিত, এম সায়েদুজ্জামান, মেজর জেনারেল এম এ মুনিম, ওয়াহিদুল হক, শাহ্ এ এম এস কিবরিয়া ও এ বি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম। সর্বশেষ গত ১০ বছর টানা বাজেট দিয়েছেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
জানা যায়, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২-৭৩ অর্থবছর প্রথম বাজেট ঘোষণা করা হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন সরকারের অর্থমন্ত্রী হিসেবে তাজউদ্দীন আহমেদ স্বাধীন বাংলাদেশের সেই প্রথম বাজেট পেশ করেন। প্রথম বাজেটসহ তিনি মোট তিনবার (১৯৭২-৭৩, ১৯৭৩-৭৪ ও ১৯৭৪-৭৫) বাজেট পেশ করেন।
১৯৭৫-৭৬ অর্থবছরের বাজেট পেশ করেন তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আজিজুর রহমান মল্লিক।
জিয়াউর রহমান টানা তিনবার (১৯৭৬-৭৭, ১৯৭৭-৭৮ ও ১৯৭৮-৭৯) বাজেট পেশ করেন।
১৯৭৯-৮০ অর্থবছরে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী এম এন হুদা বাজেট পেশ করেন।
সবচেয়ে বেশিবার এম সাইফুর রহমান ১৯৮০-৮১ ও ১৯৮১-৮২ অর্থবছরে দুবার এবং ১৯৯১-৯২, ১৯৯২-৯৩, ১৯৯৩-৯৪, ১৯৯৪-৯৫, ১৯৯৫-৯৬ অর্থবছরে পাঁচবার এবং ২০০২-০৩, ২০০৩-০৪, ২০০৪-০৫, ২০০৫-০৬, ২০০৬-০৭ পর্যন্ত আরও পাঁচবারসহ সর্বমোট ১২ বার বাজেট পেশ করেন।
আবুল মাল আবদুল মুহিতও ১২ বার। ১৯৮২-৮৩ ও ১৯৮৩-৮৪ অর্থবছরে দুবার, ২০০৯-১০, ২০১০-১১, ২০১১-১২, ২০১২-১৩, ২০১৩-১৪, ২০১৪-১৫, ২০১৫-১৬, ২০১৬-১৭, ২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১০ বারসহ সর্বমোট ১২ বার বাজেট পেশ করেন।
১৯৮৪-৮৫, ১৯৮৫-৮৬, ১৯৮৬-৮৭ ও ১৯৮৭-৮৮—এই চার অর্থবছর বাজেট দেন অর্থমন্ত্রী এম সায়েদুজ্জামান।
১৯৮৮-১৯৮৯ অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান মেজর জেনারেল এম এ মুনিম। তিনি দুবার (১৯৮৮-৮৯ ও ১৯৯০-৯১) বাজেট পেশ করেন।
১৯৮৯-৯০ অর্থবছর অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন ওয়াহিদুল হক। তিনি ওই অর্থবছরের বাজেট পেশ করেন।
অর্থমন্ত্রীর দায়িত্বে থেকে শাহ্ এ এম এস কিবরিয়া ১৯৯৬-৯৭, ১৯৯৭-৯৮, ১৯৯৮-৯৯, ১৯৯৯-০০, ২০০০-০১ ও ২০০১-০২ অর্থবছরের মোট মোট ছয়বার বাজেট পেশ করেন।
এছাড়া ২০০৭-০৮ ও ২০০৮-০৯- এই দুই অর্থবছরে বাজেট পেশ করেন এ বি মির্জা মো. আজিজুল ইসলাম। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করে এ বি মির্জা মো. আজিজুল ইসলাম। তিনি ওই সময় পরপর ওই দুই বাজেট দেন।
এবার (২০১৯-২০) ১২তম দায়িত্বশীল ব্যক্তি হিসেবে বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারিত হচ্ছে। ব্যবসায়িক লেনদেন ঠিক রাখতে মুদ্রা বিনিময়ের পরিমাণও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এছাড়া বিশ্বের নানা দেশে প্রায় ১ কোটি বাংলাদেশি বসবাস করেন। তারা বাংলাদেশের জন্য সম্পদ। মূলত, তাদের পাঠানো কষ্টার্জিত অর্থে সচল রয়েছে দেশের অর্থনীতির চাকা।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ব্যবসায়ী ও প্রবাসীদের লেনদেনের সুবিধার্থে টাকায় বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার তুলে ধরা হলো-
মন্তব্য করুন
চলতি অর্থবছরের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক)
অষ্টম সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ। আর এটিই হতে যাচ্ছে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত
নতুন সরকারের দ্বিতীয় একনেক সভা। এই সভায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার ১১টি প্রকল্প
অনুমোদন দিতে যাচ্ছে সরকার। এর বাইরেও অনুমোদন পাচ্ছে আরো ৩০টি প্রকল্প।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকাল
১০টায় রাজধানীর শেরেবাংলানগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে চলতি অর্থবছরের ৮ম একনেক সভা অনুষ্ঠিত
হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কমিশন সূত্রে জানা গেছে, অনুমোদনের জন্য একনেক সভায় উপস্থাপনের
জন্য এরই মধ্যে ৪১টি উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব যাচাই-বাছাই শেষে চূড়ান্ত করা হয়েছে।
এর মধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মেয়াদ বৃদ্ধি, সংশোধন এবং নতুন উন্নয়ন প্রকল্প
প্রস্তাব ১১টি।
এর বেশির ভাগই নতুন প্রকল্প। সংশোধিত প্রকল্প রয়েছে চারটি।
অর্থাৎ নতুন প্রকল্প রয়েছে সাতটি। এর বাইরে পরিকল্পনামন্ত্রী কর্তৃক অনুমোদিত ৩০টি
প্রকল্প প্রস্তাব একনেক সভাকে অবহিত করা হবে।
নতুন সরকারের দ্বিতীয় একনেক সভায় যেসব প্রকল্প প্রস্তাব অনুমোদনের
জন্য উপস্থাপন করা হবে সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি স্থানীয় সরকার বিভাগের। এই বিভাগের
রয়েছে তিনটি প্রকল্প। স্থানীয় সরকার বিভাগের বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের জেলাগুলোর পল্লী
অবকাঠামো উন্নয়ন, ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ (৩য় পর্যায়) এবং অবকাঠামো, উন্নত
দক্ষতা এবং তথ্যে অ্যাকসেসের মাধ্যমে দুর্বলদের জন্য স্থিতিস্থাপকতা প্রচার করা (পোভার্টি)
(১ম সংশোধিত)।
এ ছাড়া একটি মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা
হবে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ বেতার, শাহবাগ কমপ্লেক্স,
আগারগাঁও, ঢাকায় স্থানান্তর, নির্মাণ ও আধুনিকায়ন (১ম পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পটি তৃতীয়
বার সংশোধনের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে।
এর বাইরেও একনেক সভার অবগতির জন্য পরিকল্পনামন্ত্রী কর্তৃক অনুমোদিত
বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রস্তাবিত ৩০টি প্রকল্প প্রস্তাব উপস্থাপন করা হবে।
এর মধ্যে আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগ সংশ্লিষ্ট ১৪টি, ভৌত অবকাঠামো বিভাগের ৯টি, শিল্প
ও শক্তি বিভাগের একটি এবং কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের ছয়টি প্রকল্প।
একনেক জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন
মন্তব্য করুন
রেমিট্যান্স প্রবাসী আয় বাংলাদেশ ব্যাংক
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ গত ১ সপ্তাহের ব্যবধানে আরও কিছুটা কমেছে। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে বিদেশি মুদ্রার সঞ্চায়ন স্থির হয়েছে ২৪ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলারে। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) গণনায় তা দাঁড়িয়েছে ১৯ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারে। এদিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইটে সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।