নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:২৫ এএম, ০৫ অগাস্ট, ২০১৯
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে গতকাল রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দর বৃদ্ধির শীর্ষে রয়েছে আল-হাজ্জ টেক্সটাইলস লিমিটেড। অন্যদিকে দরপতনের তালিকার শীর্ষ স্থান দখল করে রয়েছে এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড।
আল-হাজ্জ টেক্সটাইলস লিমিটেডের শেয়ারের দর বেড়েছে ৫ টাকা ৩০ পয়সা বা ৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ। গতকাল ৪৭৮ বারে তাদের ২ লাখ ৫৭ হাজার ৫৪০টি শেয়ার লেনদেন হয়। যার বাজার মূল্য ১ কোটি ৪৯ লাখ ৫২ হাজার টাকা।
দর বৃদ্ধিতে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ড্রাগন সুয়েটার অ্যান্ড স্পিনিং লিমিটেড। গতকাল তাদের শেয়ার দর বেড়েছে ১ টাকা ৭০ পয়সা বা ৯ টাকা ৮৮ শতাংশ। ১ হাজার ৫৪৮ বারে ৩১ লাখ ৯১ হাজার ৮৬টি শেয়ার লেনদেন করেছে তারা। যার বাজার মূল্য ৫ কোটি ৮২ লাখ ১০ হাজার টাকা।
দর বৃদ্ধিতে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইনটেক লিমিটেড। তাদের শেয়ারের দর বেড়েছে ৩ টাকা বা ৯ দশমিক ১৮ শতাংশ। কোম্পানিটি ১ হাজার ৯৪১ বারে ১৮ লাখ ১২ হাজার ৮৯৬টি শেয়ার লেনদেন করে। যার বাজার মূল্য ৬ কোটি ১০ লাখ ৪৩ হাজার টাকা।
রোববার দর বৃদ্ধির দিক থেকে শীর্ষ দশে থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হলো- স্টাইল ক্রাফট, সায়হাম টেক্সটাইলস, মুন্নু জুট স্টাফলারস লিমিটেড, গ্লাক্সো স্মিথ ক্লাইন, কাট্টালি টেক্সটাইলস, জাহিন স্পিনিং লিমিটেড ও মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) রোববার দরপতনের তালিকার শীর্ষ স্থান দখল করে রয়েছে এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড। এই ফান্ডের ইউনিট দর আগের দিনের চেয়ে ১০ শতাংশ বা ৯০ পয়সা কমেছে। রোববার তারা ৬৮৫ বারে ২০ লাখ ৩৬ হাজার ৩৪৭টি ইউনিট লেনদেন করে। যার বাজার মূল্য ১ কোটি ৭০ লাখ ৬৭ হাজার টাকা।
দর পতনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে এসইএমএল এফবিএসএল গ্রোথ ফান্ড। ফান্ডটির ইউনিট দর আগের দিনের চেয়ে ৯ দশমিক ৫৭ শতাংশ বা ৩ টাকা ২০ পয়সা কমেছে। এদিন কোম্পানিটি ৩১৫ বারে ৯০ হাজার ৮৭৩টি শেয়ার লেনদেন করে। যার বাজার মূল্য ২৭ লাখ ২৫ হাজার টাকা।
এসইএমএল আইবিবিএল সরীআহ ফান্ড তালিকায় দর পতনের দিক থেকে তিন নম্বরে অবস্থান করছে। ফান্ডটির ইউনিট দর আগের দিনের চেয়ে ৯ দশমিক ৪৮ শতাংশ বা ১ টাকা ১০ পয়সা কমেছে। ফান্ডটির ইউনিট সর্বশেষ ১০ টাকা ৫০ পয়সা দরে লেনদেন হয়েছে। এদিন কোম্পানিটি ৫৬৩ বারে ১২ লাখ ৭৭ হাজার ৫৪৪টি শেয়ার লেনদেন করে। যার বাজার মূল্য ১ কোটি ৩৬ লাখ ৮৬ হাজার টাকা।
এছাড়া দর পতনের দিক থেকে শীর্ষ দশে থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হলো- ফিনিক্স ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, আইসিবি এএমসিএল ফার্স্ট অগ্রণী ব্যাংক মিউচুয়াল ফান্ড, সিএপিএম বিডিবিএল মিউচুয়াল ফান্ড-১, আইসিবি এএমসিএল সোনালী ব্যাংক ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, প্রাইম ব্যাংক ফার্স্ট আইসিবি এএমসিএল মিউচুয়াল ফান্ড, ইবিএল এনআরবি মিউচুয়াল ফান্ড ও কে অ্যান্ড কিউ বাংলাদেশ লিমিটেড।
রোববার সারাদিনের লেনদেন শেষে দেখা গেছে, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে মূল্যসূচক বাড়লেও কমেছে চট্টগ্রামে। গতকাল প্রধান বাজার ঢাকায় ৪৬৩ কোটি ৮৫ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে। গত সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার এই বাজারে ৪৮২ কোটি ১৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল।
অপর বাজার চট্টগ্রামে রোববার ১৭ কোটি ১২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। বৃহস্পতিবার লেনদেনের অংক ছিল ১৬ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।
রোববার ঢাকায় প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৩ পয়েন্ট। অপর বাজার চট্টগ্রামে প্রধান সূচক সিএএসপিআই কমেছে ৫ পয়েন্ট।
রোববার ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নিয়েছে ৩৫২টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৫২টির, কমেছে ১৬৭টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৩টির দর।
সিএসইতে গতকাল লেনদেনে অংশ নিয়েছে ২৫৯টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এরমধ্যে দর বেড়েছে ১২৬টির, কমেছে ১১২টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২১টির দর।
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সপ্তাহের তৃতীয় কর্মদিবস দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে
(ডিএসই) সকাল থেকে সূচকের বেশ উত্থান–পতন লক্ষ করা যাচ্ছে। আজ বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে
লেনদেন শুরুর প্রথম আধা ঘণ্টা পরই ডিএসইর প্রধান সূচকটি বেশ নিচে নেমে যায়। তবে প্রথম
ঘণ্টা শেষে সূচক আবার ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। লেনদেনের প্রথম দেড় ঘণ্টা শেষে ডিএসইতে ২০০
কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, সকালে বেশ কিছু ভালো কোম্পানির শেয়ারের
দাম কমেছে। ডিএসইতে প্রথম দেড় ঘণ্টার লেনদেনে এগিয়ে রয়েছে ওষুধ ও রাসায়নিক, প্রকৌশল,
ভ্রমণ, খাদ্য, সিরামিক এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতের কোম্পানিগুলো।
এ সময় লেনদেনে শীর্ষে ছিল ওষুধ ও রাসায়নিক খাতের কোম্পানি এশিয়াটিক
ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড। দেড় ঘণ্টায় এটির ১৭ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। লেনদেনে দ্বিতীয়
অবস্থানে ছিল প্রকৌশল খাতের প্রতিষ্ঠান গোল্ডেন সন লিমিটেড।
এ সময় এটির ১১ কোটি ২০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর তৃতীয়
অবস্থানে থাকা ভ্রমণ খাতের কোম্পানি বেস্ট হোল্ডিংস লিমিটেডের ৯ কোটি ২৬ লাখ টাকার
শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দিন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) তিনটি সূচকই নিম্নমুখী ছিল। এদের মধ্যে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স প্রায় ৪ দশমিক ১৯ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৭৭৫ পয়েন্টে, ডিএসইএস সূচক ১ দশমিক ৯৫ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৬৪ পয়েন্টে অবস্থান করে। এ ছাড়া ডিএস ৩০ সূচক ২ দশমিক ১৮ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৩ পয়েন্টে অবস্থান করে। ডিএসইতে গতকাল লেনদেন হয়েছে প্রায় ৫৪০ কোটি টাকার।
মন্তব্য করুন
বেসরকারি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে
চাচ্ছেন না সরকারি বেসিক ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাই সরকারি ব্যাংকের সঙ্গে
একীভূত হওয়ার দাবিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরকে স্মারকলিপি দিয়েছেন ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
একই দাবিতে তারা অর্থ মন্ত্রণালয়েও স্মারকলিপি দিয়েছেন। তবে বেসিক ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের
সরকারি বলে স্বীকারই করছে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ নিয়ে ধূম্রজাল তৈরি হয়েছে।
বেসিক ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা
গভর্নরকে দেওয়া স্মারকলিপিতে বলেন, দেশের ক্ষুদ্র শিল্পে অর্থায়নের লক্ষ্যে ১৯৮৯ সালে
বেসিক ব্যাংক লিমিটেডের কার্যক্রম শুরু হয়, যা ১৯৯২ সালে শতভাগ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন
ব্যাংক হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর থেকে এটি রাষ্ট্র মালিকানাধীন বিশেষায়িত ব্যাংক
হিসাবে সরকারি আর্থিক সেবা দিয়ে আসছে, যা ২০১৫ সালে পুরোপুরি রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাণিজ্যিক
ব্যাংক হিসাবে রূপান্তরিত হয়। বেসিক ব্যাংক প্রথম দিকে সরকারি খাতের ব্যাংক হিসাবে
অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে ব্যাংকিং ব্যবসা পরিচালনা করেছে এবং সরকারকে বিপুল অঙ্কের মুনাফা
দিয়েছে, যা অন্যান্য ব্যাংকের কাছে ছিল উদাহরণ। শেষের দিকে এসে ব্যাংকটি দুর্ঘটনার
শিকার হয়। বেসিক ব্যাংকে অন্য রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকের অনুরূপ চাকরি বিধিমালা
অনুসরণ করা হয়, যা বেসরকারি মালিকানার ব্যাংকের সঙ্গে পুরোপুরিভাবেই অসামঞ্জস্যপূর্ণ।
জাতীয় বেতন স্কেল-২০১৫ অনুযায়ী, বেসিক ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণের গ্রেড নির্ধারণ
এবং বেতন ও অন্যান্য ভাতাদি প্রদান করা হয়।
পাশাপাশি বলবৎ রয়েছে কর্মকর্তা/কর্মচারীগণের
পেনশন সুবিধা। এছাড়া, বেসিক ব্যাংকে নিয়োগ ও পদন্নোতিতে সম্পূর্ণরূপে সরকারি ব্যাংকের
অনুরূপ বিধিবিধান অনুসরণ করা হয়। এছাড়া বেসিক ব্যাংকে ১২তম থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মচারীগণের
স্থায়ী চাকরি বিদ্যমান রয়েছে। শ্রম আইন অনুযায়ী সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসাবে বেসিক ব্যাংকে
সরকারি শ্রম অধিদপ্তর অনুমোদিত ও রেজিস্ট্রেশন প্রাপ্ত কর্মচারী ইউনিয়নের (সিবিএ) কার্যক্রম
চলমান রয়েছে।
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, ব্যাংকিং
খাতে সংস্কারের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের গৃহীত একীভূতকরণের পদক্ষেপকে বেসিক ব্যাংকের
কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দের পক্ষ থেকে স্বাগত জানাই। এ লক্ষ্যে সম্প্রতি টেলিভিশন, অনলাইন
ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রকাশিত সংবাদের বরাতে জানতে পারি যে, রাষ্ট্র মালিকানাধীন সোনালী
ব্যাংকের সঙ্গে রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক এবং রাষ্ট্র মালিকানাধীন
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সঙ্গে রাষ্ট্র মালিকানাধীন রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক মার্জারের
পরিকল্পনা করা গ্রহণ করা হয়েছে, যা সামঞ্জস্যপূর্ণ। তবে, বেসরকারি মালিকানাধীন সিটি
ব্যাংকের সঙ্গে রাষ্ট্র মালিকানাধীন বেসিক ব্যাংক মার্জারের বিষয়ে যে আলোচনা হয়েছে
তা একেবারেই অসামঞ্জস্যপূর্ণ এবং অযৌক্তিক।
যেখানে রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ
ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক এবং রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক অন্য দুটি রাষ্ট্র মালিকানাধীন
ব্যাংকের সঙ্গে মার্জ হতে চলেছে সেখানে রাষ্ট্র মালিকানাধীন বেসিক ব্যাংককে কেন বেসরকারি
খাতের সিটি ব্যাংকের সঙ্গে মার্জারের আলোচনা চলছে? মার্জার প্রক্রিয়ায় কোনোভাবেই বৈষম্য
কাম্য নয়। এ ধরনের বৈষম্যনীতি পরিহার করে রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট
ব্যাংক এবং রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের মার্জার প্রক্রিয়ার সঙ্গে সামঞ্জস্যতা রেখে
রাষ্ট্র মালিকানাধীন বেসিক ব্যাংককে অন্য একটি রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকের
সঙ্গে মার্জারের জন্য আবেদন জানানো হয়।
দেশের অন্যান্য সরকারি ব্যাংকের ন্যয়
শতভাগ রাষ্ট্র মালিকানাধীন বেসিক ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান, পরিচালক, ব্যবস্থাপনা
পরিচালক এবং সিইও অর্থ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। উল্লিখিত বিষয়গুলোর সঙ্গে
বেসরকারি কোনো ব্যাংকের সামঞ্জস্যতা নেই। ইতোমধ্যে বেসিক ব্যাংকের কর্মকর্তাদের অনেকেই
সরকারি ব্যাংকের পদোন্নতির অধীনে পদোন্নতিপ্রাপ্ত হয়েছেন এবং বিভিন্ন সরকারি ব্যাংকের
গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজনকে সোনালী ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা
পরিচালক পদে পদায়নের পর কয়েক মাস আগে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের এমডি হিসাবে নিয়োগ
দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, রূপালী ব্যাংক ও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে দুজনকে ডিএমডি হিসাবে, একজনকে
জনতা ব্যাংকে এবং দুজনকে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে জিএম হিসাবে পদায়ন করা হয়।
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, বেসিক
ব্যাংকেরা কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সরকারি নন। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র ও
নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক বলেন, বেসিক সরকারের কোনো ব্যাংক অর্ডারের দ্বারা
স্থাপিত ব্যাংক নয়। সোনালী ব্যাংকের যেমন ব্যাংক অর্ডার আছে, বেসিকের তেমন নেই। একটা
আইন দ্বারা কিন্তু সোনালী, রূপালী ও অগ্রণী ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত। বেসিক ব্যাংক কোনো আইন
দিয়ে প্রতিষ্ঠিত নয়। সরকার যেমন বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের শেয়ার হোল্ড করে, তেমনি বেসিকেরও
শেয়ার হোল্ড করে।
তিনি আরও বলেন, সরকারি আর বেসিকের মধ্যে
পার্থক্য হচ্ছে সরকার যেটা রেভিনিউ থেকে দেয় সেটাই কিন্তু সরকারি প্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন
প্রতিষ্ঠান আছে সরকারের কমার্শিয়াল কাজের জন্য স্টাবলিস্ট করা। বেসিকও তেমন একটা প্রতিষ্ঠান।
বেসিক স্পেশালাইজ একটা ব্যাংক ছিল যেটা একটা বিশেষ উদ্দেশ্য গঠন করা হয়েছিল। এটা কিন্তু
ব্যাংক হিসাবে সরকারের আইন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত নয়।
একীভূতকরণের সর্বশেষ সিদ্ধান্ত উচ্চ
আদালতে: ব্যাংকগুলোর একীভূতকরণের সর্বশেষ সিদ্ধান্ত উচ্চ আদালতে হবে বলে জানিয়েছেন
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক। তিনি বলেন, এটা একটা লং টার্ম প্রসেস। এটা
পুরোপুরি বাস্তবায়ন হতে বেশ কয়েকটি প্রক্রিয়া অতিক্রম হতে হবে। বেশকিছু পদক্ষেপের পর
চূড়ান্তের বিষয় আছে। এখানে আইনগত বিষয় আছে, অডিটের বিষয় আছে। মার্জারের বিষয়ে সর্বশেষ
সিদ্ধান্ত হবে আদালতে।
তিনি আরও বলেন, এসব প্রক্রিয়া শেষ না
হওয়া পর্যন্ত ব্যাংকগুলো স্বাভাবিক নিয়মেই চলবে। মার্জারের আলোচনা বা প্রক্রিয়া চলমান
থাকা অবস্থায় কোনো দুর্বল ব্যাংক যদি সবল হয়, সে যদি চায় তারা মার্জারে যাবে না তবে
চূড়ান্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত মার্জারের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে পারবে। কোনো কারণে ব্যাংক
যদি একীভূত না হয়, তবে সেই ব্যাংকগুলোর স্বাভাবিক কার্যক্রম চলবে।
পদ্মা ও এক্সিম ব্যাংকের একীভূতকরণের অগ্রগতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা অডিটর নিয়োগ করেছি। এ প্রতিষ্ঠানটি ব্যাংক দুটির সম্পদ মূল্যায়ন করবে। এক্সিম ব্যাংক ও পদ্মা ব্যাংক একীভূত করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এজন্য ব্যাংক দুটির সম্পদ মূল্যায়ন করতে নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান রহমান রহমান হক’কে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি চূড়ান্ত রিপোর্ট দেবে।
একীভূত বেসিক ব্যাংক সিটি ব্যাংক
মন্তব্য করুন
চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে বাংলাদেশের মোট দেশজ
উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধিতে ধস হয়েছে। এ সময়ে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩ দশমিক ৭৮
শতাংশ।
সোমবার (১৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) দ্বিতীয়
প্রান্তিকের (অক্টোবর-ডিসেম্বর ২০২৩) ত্রৈমাসিক প্রবৃদ্ধির এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের
জিডিপি প্রাক্কলন মূল্যায়ন করা হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের দ্বিতীয় প্রান্তিকে জিডিপি
বৃদ্ধির হার হয়েছে ৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ। এর আগে, ২০২২-২৩ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে
প্রবৃদ্ধি ছিল ৭ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ এবং ২০২১-২২ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি
ছিল ৯ দশমিক ৩০ শতাংশ।
এছাড়া দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে কৃষি খাতে প্রবৃদ্ধি হয় ৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ,
যা ২০২২-২৩ অর্থবছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ৪ দশমিক ২২ শতাংশ এবং ২০২১-২২ অর্থবছরের
দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ২ দশমিক ২০ শতাংশ ছিল।
এদিকে শিল্প খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩ দশমিক ২৪ শতাংশ। এটি ২০২২-২৩
অর্থবছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ১০ শতাংশ এবং ২০২১-২২ অর্থবছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে
১৪ দশমিক ৫০ শতাংশ ছিল।
এছাড়া ২০২৩-২৪ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে সেবা খাতে প্রবৃদ্ধি
হয়েছে ৩ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ। ২০২২-২৩ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ৬ দশমিক ৬২ শতাংশ
এবং ২০২১-২২ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ছিল।
সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এবং এরপর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের
(আইএমএফ) পরামর্শে ত্রৈমাসিক জিডিপি প্রাক্কলন করে থাকে বিবিএস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের
মতো বিবিএসও উৎপাদন পদ্ধতিতে ত্রৈমাসিক জিডিপি প্রাক্কলন করে থাকে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সপ্তাহের তৃতীয় কর্মদিবস দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সকাল থেকে সূচকের বেশ উত্থান–পতন লক্ষ করা যাচ্ছে। আজ বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে লেনদেন শুরুর প্রথম আধা ঘণ্টা পরই ডিএসইর প্রধান সূচকটি বেশ নিচে নেমে যায়। তবে প্রথম ঘণ্টা শেষে সূচক আবার ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। লেনদেনের প্রথম দেড় ঘণ্টা শেষে ডিএসইতে ২০০ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে।
বেসরকারি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে চাচ্ছেন না সরকারি বেসিক ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাই সরকারি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হওয়ার দাবিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরকে স্মারকলিপি দিয়েছেন ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। একই দাবিতে তারা অর্থ মন্ত্রণালয়েও স্মারকলিপি দিয়েছেন। তবে বেসিক ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সরকারি বলে স্বীকারই করছে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ নিয়ে ধূম্রজাল তৈরি হয়েছে।