ইনসাইড ইকোনমি

দর বৃদ্ধিতে শীর্ষে আল-হাজ্জ টেক্সটাইলস, পতনে এসইএমএল

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:২৫ এএম, ০৫ অগাস্ট, ২০১৯


Thumbnail

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে গতকাল রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দর বৃদ্ধির শীর্ষে রয়েছে আল-হাজ্জ টেক্সটাইলস লিমিটেড। অন্যদিকে দরপতনের তালিকার শীর্ষ স্থান দখল করে রয়েছে এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড।

আল-হাজ্জ টেক্সটাইলস লিমিটেডের শেয়ারের দর বেড়েছে ৫ টাকা ৩০ পয়সা বা ৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ। গতকাল ৪৭৮ বারে তাদের ২ লাখ ৫৭ হাজার ৫৪০টি শেয়ার লেনদেন হয়। যার বাজার মূল্য ১ কোটি ৪৯ লাখ ৫২ হাজার টাকা।

দর বৃদ্ধিতে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ড্রাগন সুয়েটার অ্যান্ড স্পিনিং লিমিটেড। গতকাল তাদের শেয়ার দর বেড়েছে ১ টাকা ৭০ পয়সা বা ৯ টাকা ৮৮ শতাংশ। ১ হাজার ৫৪৮ বারে ৩১ লাখ ৯১ হাজার ৮৬টি শেয়ার লেনদেন করেছে তারা। যার বাজার মূল্য ৫ কোটি ৮২ লাখ ১০ হাজার টাকা।

দর বৃদ্ধিতে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইনটেক লিমিটেড। তাদের শেয়ারের দর বেড়েছে ৩ টাকা বা ৯ দশমিক ১৮ শতাংশ। কোম্পানিটি ১ হাজার ৯৪১ বারে ১৮ লাখ ১২ হাজার ৮৯৬টি শেয়ার লেনদেন করে। যার বাজার মূল্য ৬ কোটি ১০ লাখ ৪৩ হাজার টাকা।

রোববার দর বৃদ্ধির দিক থেকে শীর্ষ দশে থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হলো- স্টাইল ক্রাফট, সায়হাম টেক্সটাইলস, মুন্নু জুট স্টাফলারস লিমিটেড, গ্লাক্সো স্মিথ ক্লাইন, কাট্টালি টেক্সটাইলস, জাহিন স্পিনিং লিমিটেড ও মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) রোববার দরপতনের তালিকার শীর্ষ স্থান দখল করে রয়েছে এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড। এই ফান্ডের ইউনিট দর আগের দিনের চেয়ে ১০ শতাংশ বা ৯০ পয়সা কমেছে। রোববার তারা ৬৮৫ বারে ২০ লাখ ৩৬ হাজার ৩৪৭টি ইউনিট লেনদেন করে। যার বাজার মূল্য ১ কোটি ৭০ লাখ ৬৭ হাজার টাকা। 

দর পতনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে এসইএমএল এফবিএসএল গ্রোথ ফান্ড। ফান্ডটির ইউনিট দর আগের দিনের চেয়ে ৯ দশমিক ৫৭ শতাংশ বা ৩ টাকা ২০ পয়সা কমেছে। এদিন কোম্পানিটি ৩১৫ বারে ৯০ হাজার ৮৭৩টি শেয়ার লেনদেন করে। যার বাজার মূল্য ২৭ লাখ ২৫ হাজার টাকা।

এসইএমএল আইবিবিএল সরীআহ ফান্ড তালিকায় দর পতনের দিক থেকে তিন নম্বরে অবস্থান করছে। ফান্ডটির ইউনিট দর আগের দিনের চেয়ে ৯ দশমিক ৪৮ শতাংশ বা ১ টাকা ১০ পয়সা কমেছে। ফান্ডটির ইউনিট সর্বশেষ ১০ টাকা ৫০ পয়সা দরে লেনদেন হয়েছে। এদিন কোম্পানিটি ৫৬৩ বারে ১২ লাখ ৭৭ হাজার ৫৪৪টি শেয়ার লেনদেন করে। যার বাজার মূল্য ১ কোটি ৩৬ লাখ ৮৬ হাজার টাকা।

এছাড়া দর পতনের দিক থেকে শীর্ষ দশে থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হলো- ফিনিক্স ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, আইসিবি এএমসিএল ফার্স্ট অগ্রণী ব্যাংক মিউচুয়াল ফান্ড, সিএপিএম বিডিবিএল মিউচুয়াল ফান্ড-১, আইসিবি এএমসিএল সোনালী ব্যাংক ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, প্রাইম ব্যাংক ফার্স্ট আইসিবি এএমসিএল মিউচুয়াল ফান্ড, ইবিএল এনআরবি মিউচুয়াল ফান্ড ও কে অ্যান্ড কিউ বাংলাদেশ লিমিটেড।

রোববার সারাদিনের লেনদেন শেষে দেখা গেছে, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে মূল্যসূচক বাড়লেও কমেছে চট্টগ্রামে। গতকাল প্রধান বাজার ঢাকায় ৪৬৩ কোটি ৮৫ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে। গত সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্প‌তিবার এই বাজারে ৪৮২ কোটি ১৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল।

অপর বাজার চট্টগ্রামে রোববার ১৭ কোটি ১২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। বৃহস্পতিবার লেনদেনের অংক ছিল ১৬ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। 

রোববার ঢাকায় প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৩ পয়েন্ট। অপর বাজার চট্টগ্রামে প্রধান সূচক সিএএসপিআই কমেছে ৫ পয়েন্ট।

রোববার ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নিয়েছে ৩৫২টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৫২টির, কমেছে ১৬৭টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৩টির দর।

সিএসইতে গতকাল লেনদেনে অংশ নিয়েছে ২৫৯টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এরমধ্যে দর বেড়েছে ১২৬টির, কমেছে ১১২টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২১টির দর।

বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি



মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

২৪ ঘণ্টার কম সময় ফের কমলো স্বর্ণের দাম

প্রকাশ: ০৪:৩০ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দাম কমানোর ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ভরিতে ২ হাজার ১০০ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৪ হাজার ১৯০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস জানিয়েছে, এদিন বিকেল ৪টা ৫০ মিনিট থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য কমেছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
 
নতুন দাম অনুযায়ী প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ১৪ হাজার ১৯০ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৯ হাজার টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৩ হাজার ৪২৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৫ হাজার ২০৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
 
এর আগে গত ২৩ এপ্রিল দুই দিনের ব্যবধানে ভরিতে ৩ হাজার ১৩৮ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৬ হাজার ২৯০ টাকা  নির্ধারণ করেছিল বাজুস। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১০ হাজার ৯৯৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৫ হাজার ১৪৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৬ হাজার ৫৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা সেদিন বিকেল ৪টা থেকে কার্যকর হয়েছিল।
  
আর গত ২১ এপ্রিল একদিনের ব্যবধানে ভরিতে ৬৩০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৯ হাজার ৪২৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ৭০৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৮ হাজার ৬৬২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা সেদিন বিকেল ৩টা ৩০ মিনিট থেকে কার্যকর হয়েছিল।
 
এছাড়া গত ২০ এপ্রিল সবচেয়ে ভালো মানের ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ ৮৪০ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৯৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। আর ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৩ হাজার ৩৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ১৯৬ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৮ হাজার ২৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা সেদিন বিকেল ৩টা ৩০ মিনিট থেকে কার্যকর হয়েছিল।
 
উল্লেখ, চলতি বছরের প্রথম চার মাসেই দেশের বাজারে ১২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৭ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ৫ বার। এর মধ্যে এপ্রিলেই দাম সমন্বয় হয়েছে ৭ বার। আর ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন   বাজুস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির লক্ষ্যপূরণে শঙ্কা

প্রকাশ: ০১:০০ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নে প্রভাব পড়েছে চলমান অর্থনৈতিক সংকট। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে ৪২.৩০ শতাংশ। আর টাকার হিসাবে ব্যয় হয়েছে এক লাখ সাত হাজার ৬১২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। যদিও গত অর্থবছরের তুলনায় এবার এডিপি বাস্তবায়ন বেড়েছে। আগের বছর ৯ মাসে বাস্তবায়ন হয়েছিল ৪১.৬৫ শতাংশ।

অর্থবছরের বাকি আছে আর তিন মাস থাকলেও এই সময়ের মধ্যে শতাংশের হিসাবে বাস্তবায়ন করতে হবে ৫৭.৭০ শতাংশ। আর টাকার হিসাবে ব্যয় করতে হবে এক লাখ ৪৬ হাজার ৭৭৯ কোটি ১৯ লাখ টাকা। এই সময়ের মধ্যে শতভাগ এডিপি বাস্তবায়ন নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা।



গতকাল মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীন বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনের তথ্য বিশ্লেষণে এ চিত্র উঠে এসেছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, অর্থবছরের ছয় মাসে যেখানে অর্ধেকও বাস্তবায়ন হয়নি, সেখানে মাত্র তিন মাসে কী করে ৫৭ শতাংশ বাস্তবায়ন হবে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে জবাবদিহির আওতায় না আনলে শতভাগ এডিপি বাস্তবায়ন কোনো অর্থবছরেই সম্ভব হবে না।

আইএমইডির তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরে সবচেয়ে বেশি এডিপি বাস্তবায়ন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংস্থাটির চলতি অর্থবছরে একটি প্রকল্পের আওতায় বরাদ্দ ছিল ছয় কোটি ১৯ লাখ টাকা। ৯ মাসে তারা ব্যয় করেছে পাঁচ কোটি ৯৯ লাখ টাকা, যা শতাংশের হিসাবে ৯৬.৮৫ শতাংশ। আর শতাংশের হিসাবে বাস্তবায়নে পিছিয়ে থাকলেও টাকা খরচে এগিয়ে রয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। বিভাগটির ২৬৩টি প্রকল্পের বিপরীতে বরাদ্দ ছিল ৪২ হাজার ৯৫৬ কোটি ৭১ লাখ টাকা।

অর্থবছরের ৯ মাসে ব্যয় হয়েছে ১৯ হাজার ৭৭৩ কোটি ৪৬ লাখ টাকা, যা শতাংশের হিসাবে ৪৬.০৩ শতাংশ। এডিপি বাস্তবায়নে সবচেয়ে পিছিয়ে আছে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ। চলতি অর্থবছরে তাদের বরাদ্দ ছিল ২৪২ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। ৯ মাসে ব্যয় করেছে ৩৩ কোটি ৭২ লাখ টাকা, যা শতাংশের হিসাবে ১৩.৮৯ শতাংশ।

বিদ্যুৎ বিভাগের এডিপি বাস্তবায়নের হার ৬৩.৮৭ শতাংশ। বরাদ্দ ছিল ৩০ হাজার ৬৩ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। ব্যয় করেছে ১৯ হাজার ২০২ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের বরাদ্দ ছিল ২৭ হাজার ৮০৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। ব্যয় হয়েছে ১১ হাজার ১৭৩ কোটি ১৩ লাখ টাকা। শতাংশের হিসাবে ৪০.১৯ শতাংশ। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ ছিল ১৩ হাজার ১১৭ কোটি ৬২ লাখ টাকা। ৯ মাসে ব্যয় করেছে সাত হাজার ৮১ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। শতাংশের হিসাবে ৫৩.৯৮ শতাংশ।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ ছিল ১২ হাজার ১৯২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। ব্যয় করেছে চার হাজার ২১ কোটি ৯০ লাখ টাকা। বাস্তবায়ন হার ৩২.৯৯ শতাংশ। ভূমি মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন হার ৫০.৯২ শতাংশ। তাদের বরাদ্দ ছিল ৪৫৯ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। বিপরীতে ৯ মাসে ব্যয় করেছে ২৩৪ কোটি ছয় লাখ টাকা।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন হার ২৪.৪২ শতাংশ। পরিকল্পনা বিভাগের বাস্তবায়ন হার ৩৮.৫৬ শতাংশ। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ২৪.৪২ শতাংশ। ইআরডির ৭১.৬৭ শতাংশ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ২৩.৭৯ শতাংশ, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের ৩১.৬৭ শতাংশ, অর্থ বিভাগের ৫০.০৮ শতাংশ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ৩৩.৬৯ শতাংশ, কৃষি মন্ত্রণালয়ের ৪৯.৯১ শতাংশ, সেতু বিভাগের ৪৬.৬৮ শতাংশ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ১৯.৪৮ শতাংশ এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে।

চলতি অর্থবছরে এডিপি বাস্তবায়ন কম হওয়ার বিষয়ে আইএমইডি সচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন বলেন, ‘গত অর্থবছরের চেয়ে এবার বাস্তবায়ন হার বেশি। আমরা প্রকল্প বাস্তবায়নে গতি বাড়াতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছি। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবদের সঙ্গে বসছি। যেসব প্রকল্প শেষ পর্যায়ে আছে তাদের পর্যাপ্ত বরাদ্দ দিয়ে প্রকল্প শেষ করছি। প্রকল্প পরিচালক দক্ষতা বাড়াতেও উদ্যোগ নিচ্ছি।’


বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি   এডিপি   বাংলাদেশ ব্যাংক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

চার বিষয়ে অগ্রাধিকার দেবে আইএমএফ

প্রকাশ: ১২:০০ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের তৃতীয় কিস্তি ছাড়ের আগে শর্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি দেখতে ঢাকায় এসেছে সংস্থাটির ১০ সদস্যের একটি মিশন। মিশনটি গত ডিসেম্বর নাগাদ দেওয়া বিভিন্ন শর্ত বাস্তবায়ন ও সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে আজ বুধবার থেকে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে বৈঠকে বসবে।

এসব বৈঠকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, মূল্যস্ফীতি, ব্যাংকিং খাত ও রাজস্ব সংস্কারের ওপর গুরুত্ব দেবে পর্যালোচনা দলটি বলে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

আইএমএফ-এর এই প্রতিনিধি দলটি শুরুর দিন অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন শাখার সঙ্গে বৈঠক করবে। এরপর পর্যায়ক্রমে অর্থ বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংক, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ বিভাগ, জ্বালানি বিভাগ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ কয়েকটি সরকারি সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করবে। দলটি ঢাকায় থাকবে ৮ মে পর্যন্ত।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আইএমএফ এরই মধ্যে সরকারি কর্মকর্তাদের কাছে শতাধিক প্রশ্ন পাঠিয়েছে। সফররত মিশনটি দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য জ্বালানি ভর্তুকি, সরকারি ঋণ, আসন্ন বাজেট ও রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংস্থাগুলোর পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করবে।

গত এক দশকের বেশি সময় ধরে দেশের কর রাজস্ব জিডিপির অনুপাত ৮ থেকে ৯ শতাংশ। আইএমএফের ঋণ কর্মসূচিতে রাজস্ব খাতে সংস্কার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আইএমএফ প্রতিনিধি দল এ সফরে ব্যাংকিং খাতে বেশকিছু সংস্কার প্রস্তাব, ব্যাংক কোম্পানি আইন বাস্তবায়নসহ অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করবে।

গত বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের বৈঠকের এক পর্যায়ে সংবাদ সম্মেলনে আইএমএফের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিচালক কৃষ্ণা শ্রীনিবাসন বলেছিলেন, বাংলাদেশের রিজার্ভের খুব বেশি উন্নতি হয়নি। আইএমএফ গত বছরের ৩০ জানুয়ারি বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলার ঋণপ্রস্তাব অনুমোদন করে। এরই মধ্যে দুই কিস্তিতে ১১৫ কোটি ৮২ লাখ ডলার ছাড় করেছে। সব ঠিক থাকলে আগামী মে মাস নাগাদ তৃতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ২০ লাখ ডলার ছাড় করা হতে পারে। ২০২৬ সাল পর্যন্ত সাড়ে তিন বছরে মোট সাত কিস্তিতে পুরো অর্থ দেওয়ার কথা।

প্রাথমিকভাবে আইএমএফের তৃতীয় কিস্তি ছাড়ের জন্য গত ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে নিট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৬ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে রিজার্ভের উন্নতি না হওয়ায় বাংলাদেশের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে তা কমিয়ে ১৭ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলারে নামিয়ে আনা হয়। এর পরও বাংলাদেশ লক্ষ্যমাত্রা থেকে ৫৮ মিলিয়ন ডলার পিছিয়ে ছিল।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেছেন, আইএমএফের ঋণের ১০টি শর্তের ৯টি পূরণ করতে পেরেছে বাংলাদেশ। তাই ঋণের পরবর্তী কিস্তি পেতে কোনো অসুবিধা হবে না। জানা গেছে, তৃতীয় কিস্তির জন্য নির্ধারিত ছয়টি পরিমাণগত লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে রিজার্ভ ছাড়া পাঁচটি লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। এগুলোর মধ্যে গত বছরের ডিসেম্বরে কর রাজস্বের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ লাখ ৪৩ হাজার ৬৪০ কোটি টাকা। সরকার এরই মধ্যে এটি পূরণ করেছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে কর রাজস্ব আদায় হয়েছে ১ লাখ ৬২ হাজার ১৬৪ কোটি টাকা।


আইএমএফ   বাংলাদেশ ব্যাংক   গভর্নর   আব্দুর রউফ তালুকদার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে যে ব্যাখ্যা দিলো বাংলাদেশ ব্যাংক

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ব্যাংক একীভূত হওয়া নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত খবর সঠিকভাবে প্রকাশিত হচ্ছে না মনে করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে যে ভাবে সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে তা অনেক ক্ষেত্রেই প্রকৃত তথ্যনির্ভর নয় বলে মনে করছে ব্যাংকিং খাত নিয়ন্ত্রক এই প্রতিষ্ঠানটি। আর এটি দূর করতে বাংলাদেশ ব্যাংক একটি স্পষ্টীকরণ বিজ্ঞপ্তি করেছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মূলত দুটি উদ্দেশ্য নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে কাজ করছে। 

প্রথমটি হলো: ২০২৬ সালে বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। ফলে উন্নয়নশীল অর্থনীতিতে কার্যকর ব্যাংকিং সেবা প্রদানের জন্য দেশে অধিক সক্ষমতাসম্পন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন হবে যাতে করে অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কোনোরূপ বাধার সৃষ্টি না হয়।

দ্বিতীয়টি হলো: অপেক্ষাকৃত দুর্বল ব্যাংকের বিদ্যমান সমস্যা সমাধান এবং একইসাথে অপেক্ষাকৃত সবল ব্যাংকের কার্যক্রম উন্নয়নের মাধ্যমে আর্থিক খাতকে শক্তিশালী করা যাতে করে জনস্বার্থে একীভূত ব্যাংক কোম্পানি অধিকতর সেবা প্রদান করতে পারে।

একীভূতকরণের প্রক্রিয়াধীন ব্যাংকগুলোয় ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক আমানতকারীদের জমাকৃত আমানত সম্পূর্ণ নিরাপদ ও সুরক্ষিত থাকবে। একীভূতকরণের কাজ সম্পন্ন হওয়ার পরও স্ব স্ব ব্যাংকের হিসাবধারীদের বর্তমান হিসাব পূর্বের ন্যায় চলমান থাকবে।

একীভূতকরণের আওতাভুক্ত ব্যাংকগুলোর উদ্যোক্তা পরিচালক, বর্তমান পর্ষদ ও সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতির ভিত্তিতেই একীভূতকরণের কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ৪ এপ্রিল ২০২৪ তারিখে জারিকৃত বিআরপিডি সার্কুলার নং ৮ এ বর্ণিত নীতিমালা অনুসরণ করেই একীভূতকরণের সকল কার্যক্রম সম্পাদন হবে।

ব্যাংক একীভূতকরণ   বাংলাদেশ ব্যাংক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

তিনদিনের মাথায় আবারও কমল স্বর্ণের দাম

প্রকাশ: ০৪:৩১ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলতি মাসে তিন দফা বাড়ানোর পর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কিছুটা কমানো হয়েছে। এতে সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম আরও ৩ হাজার ১৩৮ টাকা কমিয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে ভালো মানের এক ভরি সোনার দাম হয়েছে ১ লাখ ১৬ হাজার ২৯০ টাকা। স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম কমার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম কমানো হয়েছে।

এর আগে গত তিনদিন পূর্বে দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কমায় বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। নতুন দাম নির্ধারণের তিন দিন না যেতেই এবার আবারও স্বর্ণের দাম কমালো দেশের বাজারে স্বর্ণের মূল্য নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেল ৪টা থেকেই নতুন দাম কার্যকর হবে বলে বাজুস। এদিন বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠক করে দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরবর্তীতে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের দাম কমেছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ জুয়েলারি অ্যাসোসিয়েশন সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করেছে, যা মঙ্গলবার বিকেল ৪টা থেকে কার্যকর হবে।

নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম তিন হাজার ১৩৮ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ১৬ হাজার ২৯০ টাকা। আর ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম তিন হাজার ৯ টাকা কমিয়ে এক লাখ ১০ হাজার ৯৯৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম দুই হাজার ৫৬৬ টাকা কমিয়ে ৯৫ হাজার ১৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম দুই হাজার ৭৬ টাকা কমিয়ে ৭৬ হাজার ৫৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

অবশ্য স্বর্ণের অলঙ্কার কিনতে এর থেকে বেশি অর্থ গুনতে হবে ক্রেতাদের। কারণ বাজুসের নির্ধারণ করা দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে স্বর্ণের অলঙ্কার বিক্রি করা হয়। সেইসঙ্গে ভরি প্রতি মজুরি ধরা হয় ন্যূনতম তিন হাজার ৪৯৯ টাকা। ফলে আগামীকাল থেকে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের অলঙ্কার কিনতে ক্রেতাদের গুনতে হবে এক লাখ ২৫ হাজার ৬০৪ টাকা।


স্বর্ণ   বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি   বাজুস  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন