ইনসাইড ইকোনমি

চামড়ার কারবারিদের ভবিষৎ অন্ধকার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:০৩ এএম, ২৫ অগাস্ট, ২০১৯


Thumbnail

স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে এ বছর কাঁচা  চামড়ার দর পতনে রেকর্ড গড়েছে। চামড়ার দাম কমায় সংশ্লিষ্ট চামড়ার কারবারিদের ব্যবসার সমীকরণ মোড় নিয়েছে অন্য দিকে। বিগত সাত বছরে চামড়ার দাম কমতে কমতে এখন এমন পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে যে, এই ব্যবসার সাথে সংশ্লিষ্টরা শত বছরের অধিক সময় ধরে বংশ পরম্পরায় করে আসা পৈতৃক পেশা বদলে অন্য পেশা বা কর্মে মনোযোগী হচ্ছে। 

দেশের কাঁচা চামড়া প্রাথমিকভাবে সংরক্ষণ করার জন্য একমাত্র স্থান  হচ্ছে রাজধানী ঢাকার লালবাগ থানার পোস্তা এলাকা। এই এলাকায় শত বছরেরো অধিক সময় ধরে বংশ পরম্পরায় চামড়া সংগ্রহ ও সংরক্ষণের ব্যাবসার সাথে জড়িত ছিলো প্রায় দুই হাজারের অধিক পরিবার। যা কমতে কমতে এখন এসে দাঁড়িয়েছে ২৮৫ পরিবারে। এই এলাকায় মূলত চামড়ার কারবারিরা দুই ভাগে বিভক্ত। এক ভাগ হচ্ছে নিজেদের গোডাউনে চামড়া সংরক্ষণ করে ট্যানারী মালিকদের কাছে বিক্রি করে দেয়। এদের চামড়া ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচয় থাকলেও এড়া মূলত এই ব্যাবসার মধ্যস্তভোগী। বিগত ত্রিশ বছর ধরে এই অংশটির সংখ্যা ছিলো ২০০ জন কিন্তু এখন সক্রিয়ভাবে ব্যবসা করছেন মাত্র ৮০ জন। অপর দিকে অন্য ভাগটি হচ্ছে স্থানীয় ভাষায় ফড়িয়া। এই অংশটিই দেশের প্রকৃত চামড়া ব্যবসায়ী। এরা  নিজেদের গাটের টাকা দিয়ে প্রান্তিক পর্যায়ে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে চামড়া কিনে এনে গোডাউনের মালিক বা মধ্যস্তভোগীদের কাছে সংরক্ষণ করেন। এই ফরিয়াদের সংখ্যা ছিলো প্রায় সতের শতের মতো কিন্তু নানা প্রতিকূলতায় ব্যবসা ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন অধিকাংশই। সতের শত থেকে কমতে কমতে এই অংশটির সংখ্যা এখন এসে দাড়িয়েছে সর্বচ্চ দেড় শত জনে। 

পোস্তার চামড়া ব্যবসার সাথে সংশ্লিষ্টদের কেন এমন অবস্থা? জানতে কথা হয় একশত বছরের পুরনো চামড়া সংরক্ষণ ও মধ্যস্তভোগী প্রতিষ্টান আব্দুর রাজ্জাক এ্যান্ড সন্সের সহকারী ব্যবস্থাপক ফিরোজ আহমদের সাথে। প্রায় পয়ত্রিশ বছর থেকে এই ব্যবসার সাথে যুক্ত ফিরোজ বাংলা ইনসাইডারের সাথে আলাপকালে জানান, এর জন্যে সব থেকে বেশি দায়ী ট্যানারী মালিকরা। তিনি বলেন, হাজারিবাগের ট্যানারী মালিকদের কাছে পোস্তার ১৩৫ টি মধ্যস্তভোগী প্রতিষ্ঠান চারশত কোটি টাকার উপরে পাওনা আছে। এই টাকাগুলো কিন্তু এক দিনে জমা হয়নি তাদের কাছে। এগুলো কম করে হলেও বিশ বছর ধরে আটকা আছে। ট্যানারীর মালিকদের ইচ্ছের উপর নির্ভর করে এই টাকাগুলো কবে পাবে মধ্যস্তভোগীরা। কোরবানির ঈদের আগে চারশত কোটি পাওনা টাকার মধ্যে পাঁচ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে, যা গড় হিসেব করলে প্রত্যেকে পাওনা টাকার শতকরা পাঁচ ভাগও পায়নি। শুধু এ্যাপেক্স,আজিজ আর সুপার ট্যানারী নিয়মিত ও নগদ টাকা পরিশোধ করে বলে জানান তিনি।

এই ব্যবসার সিস্টেম হলো, ফড়িয়ারা নিজেদের টাকা দিয়ে চামড়া কিনে এনে আমাদের এখানে সংরক্ষণ করতে দেয় এবং আমরা সংরক্ষণ করে সেগুলো ট্যানারীর মালিকদের কাছে বিক্রি করে  দেই। বিক্রির পরে ট্যানারী মালিকরা আমাদের যে টাকা দেয় সেই টাকা থেকে সংরক্ষণ ও মধ্যস্ততার কমিশন রেখে বাকি টাকাটা আমরা ফড়িয়াদের দেই। ওই টাকাটা নিয়ে তারা আবার কাঁচা চামড়া সংগ্রহ করে। কিন্তু দেখেন, যখন যুগের পর যুগ টাকা আটকে থাকে ট্যানারির মালিকদের কাছে তখন ফড়িয়ারা আর কত দিন নিজেদের টাকা দিয়ে মাল কিনে ফেলে রাখবে। ব্যবসায় পুঁজি খাটিয়ে যদি সেই পুঁজি আটকে থাকে তখন সেখানে আর নতুন করে পুঁজি খাটাতে চায় না অনেকে। আবার অনেকে পুঁজি খাটাতে খাটাতে নিঃস্ব হয়ে গেছে এমন নজিরও আছে। 

উদাহরণস্বরূপ তিনি বলেন, আমাদের আব্দুর রাজ্জাক এ্যাণ্ড সন্স পোস্তার পাঁচটা চামড়া সংরক্ষণ ও মধ্যস্তভোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্য একটা। আমরাই ট্যানারী মালিকদের কাছে পাওনা আছি বিশ কোটি টাকা অথচ কোরবানির ঈদের আগে আমাদের দেওয়া হলো মাত্র ৩১ লাখ টাকা। এখন এই টাকা দিয়ে আমরা ফড়িয়াদের পাওনা পরিশোধ করবো না কি কোরবানির সময় নতুন চামড়া কিনবো? সব কিছু হিসেব করে আমরা ফড়িয়াদের পাওনা সাধ্যমতো পরিশোধ করেছি এবং টাকা শেষ হয়ে যাওয়ায় কোরবানীতে কোন চামড়া আমরা কিনি নাই। অথচ সারা বছরে আমাদের লভ্যাংশের পঞ্চাশ ভাগ কিন্তু আসে এই কোরবানির চামড়া থেকেই। এই অবস্থা এক দিনে সৃষ্টি হয়নি, ধাপে ধাপে এই অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে আমাদের ব্যবসা। গত পাঁচ থেকে সাত বছর থেকে আমরা এমন লভ্যাংশ থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। বিগত কয়েক বছরে আমাদের প্রতিষ্ঠান ব্যবসার পরিধী ব্যাপক কমিয়ে ফেলেছে। শুধু আমরাই না এক সময় পোস্তায় দাপুটে প্রতিষ্ঠান ছিলো এমডি এন্টারপ্রাইস, সম্রাট এন্টারপ্রাইস, হাজী সিকান্দার ইন্টারপ্রাইসসহ মাহবুব এ্যান্ড সন্স।

এখন এই প্রতষ্ঠানগুলো কয়েকটা বন্ধ আর কিছু বন্ধের পথে। এসব প্রতিষ্টানের মালিক দেনার দায়ে জর্জরিত হয়ে আছে। সামাজিক ভাবে হেয়প্রতিপন্ন হবার আগেই অনেকেই ১ কোটি টাকার বাড়ি ৮০ লাখে বিক্রি করে দিতে চাইছেন। যিনি বাড়ি বিক্রি করতে চাইছেন ৮০ লাখ টাকায় তার ঋণ রয়েছে ৯০ লাখ টাকা। আবার অনেকেই চামড়ার গোডাউন বাদ দিয়ে সেগুলো প্ল্যাস্টিক ফ্যাক্টরির কাছে ভারা দিয়ে দিয়েছেন। কেও কেও বাবা-দাদার এই ব্যবসা গুঁটিয়ে নিয়ে শুরু করেছেন অন্য ব্যবসা। 

এতো গেলো মধ্যস্তভোগীদের কথা  কিন্তু যারা ফড়িয়া তাদের অবস্থা আরো করুণ। ফিরোজ আরো জানান, অনেকেই আটকে থাকা পুঁজি উঠাতে না পেরে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। চোখের সামনে অনেককেই নিঃস্ব হয়ে পান-বিড়ি,সিগারেটের দোকান করে জীবিকা নির্বাহ করতে দেখতেছি। 

তাহলে দেশে এই ব্যবসা আর প্রাথমিক পর্যায়ের সংশ্লিষ্টদের ভবিষ্যৎ কি? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি এক কথা উত্তর দিয়ে বলেন, অন্ধকার। আসলে যেভাবে চলছে সেভাবে চললে পুরো দেশের চামড়া ব্যবসাই বন্ধ হয়ে যাবে। এই সমস্যা থেকে উত্তরণের উপায় কি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ট্যানারী মালিকদের সদিচ্ছা আর সরকারের সঠিক পদক্ষেপই পারে চামড়া শিল্পেকে এই বেহাল দশা থেকে বাঁচাতে। উদাহারণ টেনে তিনি বলেন, সরকার যখন কাঁচা চামড়া রপ্তানী করার কথা ঘোষণা দিলো তখন কিন্তু ট্যানরী মালিকরা উচিৎ মূল্যে চামড়া কিনতে শুরু করেছে, ঈদের এক দিন পরে যেই চামড়া বিনামূল্যে দিলেও কেও নেয় নাই সেই চামড়া এখন ট্যানারী মালিকরা  এগারশত থেকে তেরশত টাকায় কিনছে।

উল্লেখ্য, এবারের কোরবানী ঈদে জবাই করা পশুর কাঁচা চামড়ার দাম গরুর প্রতি বর্গফুট সরকারি ভাবে নির্ধারোন করে দেওয়া হয়েছিলো ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা আর ছাগলের চামড়া প্রতি বর্গফুট নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিলো ৩৫ থেকে ৪৫ টাকা। কিন্তু ফড়িয়াদের হাতে টাকা না থাকায় চামড়া কেনার মতো মানুষ না পেয়ে দেশের নীলফামারি,বগুড়া,চট্টগ্রামসহ সিলেটের বেশ কিছু এলাকায় কাঁচা চামড়া মাটিতে পুতে ফেলার ঘটনাও ঘটেছে।              



মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

রিজার্ভ আরও কমলো

প্রকাশ: ০৭:৪৭ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ গত ১ সপ্তাহের ব্যবধানে আরও কিছুটা কমেছে। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে বিদেশি মুদ্রার সঞ্চায়ন স্থির হয়েছে ২৪ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলারে। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) গণনায় তা দাঁড়িয়েছে ১৯ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারে। এদিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইটে সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়, গত ২১ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবায়নে সঞ্চিত বিদেশি অর্থের পরিমাণ ছিল ২৫ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলার। আর আইএমএফের গণনা পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী তা ছিল ১৯ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার। সেই হিসাবে গত ১ সপ্তাহে গ্রস রিজার্ভ কমেছে ৫৩ কোটি ডলার।

এছাড়া দেশের আর্থিক খাত নিয়ন্ত্রণকারী সর্বোচ্চ সংস্থার নিট রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে। এটি শুধু আইএমএফকে দেয়া হয়, প্রকাশ করা হয় না। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সেই মেথডে দেশের প্রকৃত রিজার্ভ এখন প্রায় সাড়ে ১৭ বিলিয়ন ডলার। এ দিয়ে ৩ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে।

মূলত, প্রতি মাসে পণ্য কেনা বাবদ প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার করে দায় পরিশোধ করা হয়। সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। সেই মানদণ্ডে বাংলাদেশ বর্তমানে শেষ প্রান্তে রয়েছে।

অর্থনীতি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আলোচ্য সময়ে রেমিট্যান্স প্রবাহ এবং রপ্তানি আয় প্রায় স্থিতিশীল রয়েছে। ইতোমধ্যে বাইরের ছোট দায় পরিশোধ করা হয়েছে। ফলে বিদেশি অর্থের মজুত হালকা ক্ষয় হয়েছে।

রিজার্ভ   বাংলাদেশ ব্যাংক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

কোন দেশের মুদ্রার দাম কত

প্রকাশ: ০৩:২৫ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারিত হচ্ছে। ব্যবসায়িক লেনদেন ঠিক রাখতে মুদ্রা বিনিময়ের পরিমাণও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এছাড়া বিশ্বের নানা দেশে প্রায় ১ কোটি বাংলাদেশি বসবাস করেন। তারা বাংলাদেশের জন্য  সম্পদ। মূলত, তাদের পাঠানো কষ্টার্জিত অর্থে সচল রয়েছে দেশের অর্থনীতির চাকা।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ব্যবসায়ী ও প্রবাসীদের লেনদেনের সুবিধার্থে টাকায় বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার তুলে ধরা হলো-














মুদ্রা   টাকা   বাংলাদেশ ব্যাংক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

একনেকে ৪১ প্রকল্প উঠছে আজ

প্রকাশ: ১০:১৮ এএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

চলতি অর্থবছরের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) অষ্টম সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ। আর এটিই হতে যাচ্ছে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত নতুন সরকারের দ্বিতীয় একনেক সভা। এই সভায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার ১১টি প্রকল্প অনুমোদন দিতে যাচ্ছে সরকার। এর বাইরেও অনুমোদন পাচ্ছে আরো ৩০টি প্রকল্প।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকাল ১০টায় রাজধানীর শেরেবাংলানগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে চলতি অর্থবছরের ৮ম একনেক সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

কমিশন সূত্রে জানা গেছে, অনুমোদনের জন্য একনেক সভায় উপস্থাপনের জন্য এরই মধ্যে ৪১টি উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব যাচাই-বাছাই শেষে চূড়ান্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মেয়াদ বৃদ্ধি, সংশোধন এবং নতুন উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব ১১টি।

এর বেশির ভাগই নতুন প্রকল্প। সংশোধিত প্রকল্প রয়েছে চারটি। অর্থাৎ নতুন প্রকল্প রয়েছে সাতটি। এর বাইরে পরিকল্পনামন্ত্রী কর্তৃক অনুমোদিত ৩০টি প্রকল্প প্রস্তাব একনেক সভাকে অবহিত করা হবে।

নতুন সরকারের দ্বিতীয় একনেক সভায় যেসব প্রকল্প প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি স্থানীয় সরকার বিভাগের। এই বিভাগের রয়েছে তিনটি প্রকল্প। স্থানীয় সরকার বিভাগের বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের জেলাগুলোর পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন, ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ (৩য় পর্যায়) এবং অবকাঠামো, উন্নত দক্ষতা এবং তথ্যে অ্যাকসেসের মাধ্যমে দুর্বলদের জন্য স্থিতিস্থাপকতা প্রচার করা (পোভার্টি) (১ম সংশোধিত)।

এ ছাড়া একটি মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ বেতার, শাহবাগ কমপ্লেক্স, আগারগাঁও, ঢাকায় স্থানান্তর, নির্মাণ ও আধুনিকায়ন (১ম পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পটি তৃতীয় বার সংশোধনের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে।

এর বাইরেও একনেক সভার অবগতির জন্য পরিকল্পনামন্ত্রী কর্তৃক অনুমোদিত বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রস্তাবিত ৩০টি প্রকল্প প্রস্তাব উপস্থাপন করা হবে। এর মধ্যে আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগ সংশ্লিষ্ট ১৪টি, ভৌত অবকাঠামো বিভাগের ৯টি, শিল্প ও শক্তি বিভাগের একটি এবং কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের ছয়টি প্রকল্প।


একনেক   জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ   দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

দৈনিক রেমিট্যান্স এসেছে ৬ কোটি ৪৩ লাখ ডলার

প্রকাশ: ০৮:৫৩ পিএম, ২৪ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

চলতি মাসের প্রথম ২২ দিনে বৈধ বা ব্যাংকিং চ্যানেলে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৪১ কোটি ৪৪ লাখ মার্কিন ডলার। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ১৫ হাজার ২০৮ কোটি টাকা (প্র‌তি ডলার ১১০ টাকা হিসাব করে)। এই হিসেবে প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ৬ কোটি ৪৩ লাখ ডলার রেমিট্যান্স।

রোববার (২৪ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ পরিসংখ্যানে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়, মার্চ মাসে প্রথম ২২ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১৪১ কোটি ৪৪ লাখ মার্কিন ডলার। তার মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৮ কোটি ২৫ লাখ ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে দুই কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১২০ কোটি ৪৮ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫৭ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।

এ বছরের জানুয়ারিতে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১০ কোটি মার্কিন ডলার। আর ফেব্রুয়া‌রি‌তে আসে ২১৬ কো‌টি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার, যা চলতি অর্থবছরে সর্বোচ্চ।

রেমিট্যান্স   প্রবাসী আয়   বাংলাদেশ ব্যাংক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

বিশ্বব্যাংকের সবচেয়ে বড় ঋণগ্রহীতা বাংলাদেশ

প্রকাশ: ১০:৪১ পিএম, ২২ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বব্যাংক থেকে সবচেয়ে বেশি ঋণ নিয়েছে বাংলাদেশ। বর্তমানে বাংলাদেশের কাছে ১৮ দশমিক ১২৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ পাবে বিশ্বব্যাংকের অঙ্গভুক্ত প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (আইডিএ) আইডিএ।

আইডিএ ঋণের সার্ভিস চার্জ শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং সুদহার ১ দশমিক ২৫ শতাংশ। দুটি মিলিয়ে ২ শতাংশ হয়। অউত্তোলিত অর্থায়ন স্থিতির ওপর বছরে শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ কমিটমেন্ট ফি দিতে হবে। ঋণের গ্রেস পিরিয়ড বা কিস্তি অব্যাহতি ৫ বছর। আর পরিশোধ করতে হবে ৩০ বছরে। স্বাধীনতার পর এ পর্যন্ত বাংলাদেশ চার হাজার কোটি ডলারের বেশি আইডিএ ঋণ নিয়েছে। বর্তমানে দেশের চলমান প্রকল্পগুলোতে আইডিএ তহবিল রয়েছে ১৬০০ কোটি ডলারের বেশি।

ইআরডি’ প্রকাশিত ‘ডেবট লাইয়াবিলিটিস টু মেজর ডেভলপমেন্ট পার্টনার’ থেকে জানা গেছে এসব তথ্য।

বিশ্বব্যাংকের পরই বাংলাদেশের কাছে বেশি ঋণ পাবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), ১৩ দশমিক ২৭৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ঋণ দেওয়ার দিক থেকে তিন নম্বরে জাপান, ৯ দশমিক ২১৩ বিলিয়ন ঋণ দিয়েছে দেশটি।

এছাড়া রাশিয়া ৫, চীন ৪ দশমিক ৭৬, ভারত ১ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়া ৭৪৩ মিলিয়ন, ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক (আইডিবি) ৬৬৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়েছে। মোট ১০টি উন্নয়ন সহযোগী ৫৫ দশমিক ৬০ বিলিয়ন ডলার ঋণ পাবে বাংলাদেশের কাছ থেকে।

বিশ্বব্যাংক   বাংলাদেশ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন