নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৫৯ এএম, ১৭ জুন, ২০২০
এখন বাজেট অধিবেশন চলছে। যারা বিশেষজ্ঞ তারা নানাভাবে দেয় বাজেটের গতানুগতিক সমালোচনা করছেন। কিন্তু কেউ তেমন করে বলছেন না যে কীভাবে সরকারের রাজস্ব বাড়ানো যায়। যা দিয়ে চলবে মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য প্রণোদনা, উন্নয়ন কাজ, ইত্যাদি। এমতাবস্থায় একটা নতুন কথা চিন্তা করা যেতে পারে। যা দিয়ে শুধু সরকারের রাজস্ব বাড়বে তাই নয় দুর্নীতিতেও কিছুটা লাগাম টানা যাবে।
নাগরিকদের অ-প্রদর্শিত আয় মানে কালো টাকা সাদা করার অন্যতম একটা খাত হচ্ছে জমি বা বাড়ি, ফ্লাট কেনা। এখানেই কিছু করা যায় কি না তা নিয়েই এই ভাবনা।
আমাদের দেশে বাড়ি আর ফ্লাট বাদে জমির প্রকৃতি হিসেবে যা দেখা যায় তাতে-
নাল- দুই বা তিন ফসলি আবাদি জমি কে নাল জমি বলে।
বাইদ- আবাদি বা আবাদযোগ্য নিচু জমি। ঢাকা ও ময়মনসিংহ অঞ্চলে প্রচলিত।
ভিটি- বসতবাড়ির ভূমি বা বসতবাড়ি নির্মাণের মত উঁচু জমিকে ভিটি বলে।
সিকস্তি- নদী ভাঙ্গনে পানিতে জমি বিলীন হয়ে যাওয়াকে সিকস্তি বলে।
পয়স্তি - নদীতে নতুন চর জেগে উঠে যে জমির আবির্ভাব হয়ে তাকে পয়স্তি জমি বলে। এছাড়া আছে নালা, ডোবা, কৃষি, অকৃষি, পতিত, ইত্যাদি ধরণের জমি।
সরকারীভাবে সামাজিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা না থাকায় সরকারী চাকুরে, কর্পোরেট হাউজ ও বিভিন্ন পেশাজীবীরা তাঁদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নগদ টাকার চেয়ে শিক্ষা আর নামে বেনামে স্থাবর সম্পত্তি বা জমি, ফ্লাট, বাড়ি কিনে থাকেন। এসব কেনাকাটায় কালো টাকা যেমন সাদা করা যায় ঠিক তেমনি জমির ক্ষত্রে মৌজা-ভেদে সরকার নির্ধারিত জমির রেজিস্ট্রি মূল্যের চেয়ে বাস্তবে দাম থাকে কয়েকশত গুণ বেশি। মনে করি ঢাকা শহরের কোন জমির সরকার নির্ধারিত দলিল মূল্য ৫ লাখ টাকা শতক কিন্তু বাস্তবে ঐ জমির মূল্য ৫০ লাখ টাকা শতক। এখানেই ৪৫ লাখ পুরো অবৈধ টাকা (অ-প্রদর্শিত টাকা নয়) সাদা হয়ে যায়। পরে জমির ক্রেতা মারা গেলে উত্তরাধিকার সূত্রে সন্তানগন ঐ সম্পত্তির মালিক বনে যান ওয়ারিশ সূত্রে। অন্য আত্মীয় যাদের নামে তারা জমি কেনেন তারা সামান্য টাকা খরচ করে তিন ধাপ উপর নীচে (দাদা-দাদি বাবা-মা, নিজ ভাই বোন, নিজ ভাই বোন, ছেলে-মেয়ে, নাতি নাতনি, এমন) হলে হ্যাবা করেন। অথবা একটা পবিত্র কোরআন কিংবা তসবি দিয়ে হ্যাবা বিল এওয়াজ করে বাড়ি, ফ্লাট, জমি ফেরত নেয়। তাই তারা ঘুস খেয়ে বা অবৈধ আয় করে ১০/২০টা ফ্লাট, বাড়ি জমি কিনে রাখেন নিজ নামে বা বেনামে।
এশিয়া ইউরোপের অনেক দেশ আছে যেখানে পিতা বা মাতার জমি, বাড়ি বা ফ্লাট উত্তারাধিকার সূত্রে নিজের নামে নিতে উচ্চ হারে ট্রান্সফার ফিস দিতে হয়, না হলে তা সরকার নিয়ে নিলামে তুলে বিক্রি করে দিয়ে রাজস্ব আদায় করে থাকেন। আমাদের দেশে এটা চালু করা যেতে পারে যে শহরে বা গ্রামে যাদের দুই বা ততোধিক বাড়ি থাকে তিন ধাপ উপর (নিজ ভাই বোন, বাবা-মা, দাদা-দাদি) না হয়ে মাত্র এক ধাপেই ৫/৭টা ফ্লাট বা বাড়ির মালিক হয়েছেন, অনেক জমির মালিক হয়েছেন তারা তাঁদের উত্তরাধিকারের নামে ঐ সম্পত্তি ট্রান্সফার করতে গেলে ৩০ বা ৪০ শতাংশ কর দিয়ে মালিক হবেন। শুরুতে সম্পত্তি ট্রান্সফার ফিস কম রাখতে হবে, পরে ধীরে ধীরে বছর বছর তা বাড়বে। এতে আগামী ১০/১৫ বছরে অবৈধ আয়ের মাধ্যমে স্থাবর সম্পত্তি করার প্রবণতা কমে যাবে। এদিকে সরকারী রাজস্ব আয় বেড়ে যাবে অনেক। বিদেশে টাকা পাচার বাড়বে, সেটা ঠেকাতে হবে অন্য কৌশলে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারিত হচ্ছে। ব্যবসায়িক লেনদেন ঠিক রাখতে মুদ্রা বিনিময়ের পরিমাণও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এছাড়া বিশ্বের নানা দেশে প্রায় ১ কোটি বাংলাদেশি বসবাস করেন। তারা বাংলাদেশের জন্য সম্পদ। মূলত, তাদের পাঠানো কষ্টার্জিত অর্থে সচল রয়েছে দেশের অর্থনীতির চাকা।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ব্যবসায়ী ও প্রবাসীদের লেনদেনের সুবিধার্থে টাকায় বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার তুলে ধরা হলো-
মন্তব্য করুন
চলতি অর্থবছরের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক)
অষ্টম সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ। আর এটিই হতে যাচ্ছে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত
নতুন সরকারের দ্বিতীয় একনেক সভা। এই সভায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার ১১টি প্রকল্প
অনুমোদন দিতে যাচ্ছে সরকার। এর বাইরেও অনুমোদন পাচ্ছে আরো ৩০টি প্রকল্প।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকাল
১০টায় রাজধানীর শেরেবাংলানগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে চলতি অর্থবছরের ৮ম একনেক সভা অনুষ্ঠিত
হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কমিশন সূত্রে জানা গেছে, অনুমোদনের জন্য একনেক সভায় উপস্থাপনের
জন্য এরই মধ্যে ৪১টি উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব যাচাই-বাছাই শেষে চূড়ান্ত করা হয়েছে।
এর মধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মেয়াদ বৃদ্ধি, সংশোধন এবং নতুন উন্নয়ন প্রকল্প
প্রস্তাব ১১টি।
এর বেশির ভাগই নতুন প্রকল্প। সংশোধিত প্রকল্প রয়েছে চারটি।
অর্থাৎ নতুন প্রকল্প রয়েছে সাতটি। এর বাইরে পরিকল্পনামন্ত্রী কর্তৃক অনুমোদিত ৩০টি
প্রকল্প প্রস্তাব একনেক সভাকে অবহিত করা হবে।
নতুন সরকারের দ্বিতীয় একনেক সভায় যেসব প্রকল্প প্রস্তাব অনুমোদনের
জন্য উপস্থাপন করা হবে সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি স্থানীয় সরকার বিভাগের। এই বিভাগের
রয়েছে তিনটি প্রকল্প। স্থানীয় সরকার বিভাগের বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের জেলাগুলোর পল্লী
অবকাঠামো উন্নয়ন, ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ (৩য় পর্যায়) এবং অবকাঠামো, উন্নত
দক্ষতা এবং তথ্যে অ্যাকসেসের মাধ্যমে দুর্বলদের জন্য স্থিতিস্থাপকতা প্রচার করা (পোভার্টি)
(১ম সংশোধিত)।
এ ছাড়া একটি মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা
হবে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ বেতার, শাহবাগ কমপ্লেক্স,
আগারগাঁও, ঢাকায় স্থানান্তর, নির্মাণ ও আধুনিকায়ন (১ম পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পটি তৃতীয়
বার সংশোধনের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে।
এর বাইরেও একনেক সভার অবগতির জন্য পরিকল্পনামন্ত্রী কর্তৃক অনুমোদিত
বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রস্তাবিত ৩০টি প্রকল্প প্রস্তাব উপস্থাপন করা হবে।
এর মধ্যে আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগ সংশ্লিষ্ট ১৪টি, ভৌত অবকাঠামো বিভাগের ৯টি, শিল্প
ও শক্তি বিভাগের একটি এবং কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের ছয়টি প্রকল্প।
একনেক জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন
মন্তব্য করুন
রেমিট্যান্স প্রবাসী আয় বাংলাদেশ ব্যাংক
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ গত ১ সপ্তাহের ব্যবধানে আরও কিছুটা কমেছে। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে বিদেশি মুদ্রার সঞ্চায়ন স্থির হয়েছে ২৪ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলারে। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) গণনায় তা দাঁড়িয়েছে ১৯ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারে। এদিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইটে সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।