নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৫৬ পিএম, ২৯ জানুয়ারী, ২০২১
২০২০ সালে করোনার থাবায় জর্জরিত ছিলো বিশ্ব অর্থনীতি। মুখ থুবড়ে পড়া অর্থনীতির গ্রাস কেড়ে নিয়েছে সাধারণ মানুষের জীবন ও জীবিকা। মৃত্যু থামানো তো যায়নি বরং অর্থনৈতিক মন্দায় বেসামাল বহু ধনী দেশও। গেল বছর আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলও তাদের প্রতিবেদনে জানায়, বিশ্বে বেকারের সংখ্যা এখন ৪৭ কোটিরও বেশি৷
ভারতের চাকরির বাজার নিয়ে একটি সমীক্ষা চালিয়েছিলো সেন্টার ফর দ্য মনিটারিং অফ ইন্ডিয়ান ইকনমি (সিএমআইই) নামের একটি স্বাধীন সংস্থা। প্রতি বছরেই তারা এই সমীক্ষা চালায়। গেল বছর ৫ এপ্রিল পর্যন্ত সমীক্ষা চালিয়ে যে রিপোর্ট তারা পেশ করেছে, তা ভয়াবহ। রিপোর্টে বলা হয়, মাত্র দুই সপ্তাহে ভারতে চাকরি হারানোর হার ২৩ দশমিক ৪ শতাংশ। অদূর ভবিষ্যতে যা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। অর্থনীতিবিদদের মতে, কোনও দেশে যখন বেকারত্বের হার ২০ শতাংশের উপরে চলে যায়, তখন অর্থনৈতিক মন্দা স্পষ্ট হয়।
করোনার থাবায় আমেরিকায় এক কোটি বেকার হয়েছে গেল বছর। যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম বিভাগ জানায়, ৬৬ লাখের বেশি মার্কিন নাগরিক বেকারত্ব ভাতার জন্য আবেদন করেন খুব অল্প সময়ে। এর আগে ৩৩ লাখ মানুষের আবেদনের কথা জানানো হয়।
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব যুক্তরাজ্যে চাকরির বাজারে মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশটিতে দিন দিন বেকারের সংখ্যা বাড়ছে। গত সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত তিন মাসে বেকারত্বের এই হার ৪ দশমিক ৯ শতাংশ থেকে বেড়ে ৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বলে জানায় বিবিসি।
দেশটির ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিকস দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী প্রায় ১৭ লাখ ২০ হাজার মানুষ এখন বেকার। গত বছর একই সময়ের তুলনায় এ সংখ্যা ৪ লাখ ১৮ হাজার বেশি। ২০০৯ সালের পর বেকারের সংখ্যা বাড়ার সর্বোচ্চ হার এটি।
যুক্তরাজ্যের অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেন, ‘আমরা যতটা না আশঙ্কা করেছিলাম তার চেয়ে দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে এই সংকট। প্রতিটি চাকরি হারানোই দুঃখজনক ঘটনা। যদিও এনএইচএস (ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস) লোকজনকে টিকা প্রদানের মধ্য দিয়ে কোভিডের হাত থেকে রক্ষা করতে চাইছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পরিকল্পনা হলো চাকরির ক্ষেত্রে অনুদান ও ঋণ দেওয়া, যাতে প্রতিষ্ঠানগুলো কর্মীদের কাজে রাখতে পারে।
এতো জানা গেল ধনী দেশগুলোর বাস্তব চিত্রের কথা। মধ্যম ও নিম্ন আয়ের দেশগুলোর অবস্থা আরও খারাপ। তবে ২০২১ সালের শুরুতে না হলেও শেষে দিকে গোটা বিশ্বে কর্মসংস্থান বাড়ার সম্ভাবনা দেখছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা। তারা মনে করছেন, ভ্যাকসিন এসে যাওয়ায় মানুষের জীবনের সুরক্ষার পাশাপাশি অর্থনীতির ক্ষতির জায়গাগুলো পুনরুদ্ধার করা সম্ভব। আর তাহলেই কমবে বেকারত্বের হার।
মন্তব্য করুন
রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ বেসরকারি সিটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত না হওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ কথা জানিয়ে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়েছে।
এর আগে ৯ এপ্রিল অর্থমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দিয়ে ব্যাংকটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও বলেছিলেন, তাঁরা বেসরকারি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে চান না। বেসিক ব্যাংক শতভাগ রাষ্ট্রমালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক। সরকারি এই ব্যাংককে বেসরকারি একটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার খবরে তাঁরা ‘আতঙ্কগ্রস্ত’।
বেসরকারি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার সিদ্ধান্তে আতঙ্কগ্রস্ত হয়েছেন বেসিক ব্যাংকের আমানতকারীরা। তাঁদের কেউ কেউ বেসিক ব্যাংক থেকে আমানত তুলে নিতে শুরু করেছেন। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোই আমানত বেশি সরিয়ে নিচ্ছে।
বেসিক ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে, পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে ও পরে পাঁচ কার্যদিবসে ব্যাংকটি থেকে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা আমানত তুলে নেওয়া হয়েছে। আমানত তুলে নিতে আরও কিছু প্রতিষ্ঠান ব্যাংকটিকে চিঠি দিয়েছে। এতে তীব্র তারল্যসংকটে পড়েছে ব্যাংকটি। এর ফলে বেসিক ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চাহিদামতো নগদ জমা (সিআরআর) ও বিধিবদ্ধ জমা (এসএলআর) রাখতে পারছে না।
বেসিক ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে, ব্যাংকটিতে আমানতের পরিমাণ ছিল প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকা, যা কমে এখন ১২ হাজার কোটি টাকায় নেমেছে। গত ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকটির বিতরণ করা ঋণ ছিল ১২ হাজার ৮৬৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণই ৮ হাজার ২০৪ কোটি টাকা বা ৬৪ শতাংশ।
বেসিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) এ এম মোফাজ্জেল বলেন, ‘২০১৫ সাল থেকে সোনালী, জনতার মতো আমরাও রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংক। এ কারণে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা আমাদের ব্যাংকে টাকা জমা রেখেছে। বেসরকারি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হওয়ার খবরে তারা টাকা তুলে নিতে শুরু করেছে।’ তিনি বলেন, এ জন্যই সরকারি কোনো ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার জন্য সরকারের কাছে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় পরিচালনা পর্ষদ।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৬৫ টাকা বাড়িয়ে এক লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। দেশের বাজারে এটাই স্বর্ণের সর্বোচ্চ দাম। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নতুন দাম নির্ধারণের কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।
বাজুস জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের দাম বেড়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ সন্ধ্যা ৭টা থেকেই নতুন দাম কার্যকর করা হবে।
নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ১৪ হাজার ২০২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ৮৮৪ টাকা। ভালো মানের স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলেও কমানো হয়েছে সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম। সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের নতুন দাম হবে ৭৮ হাজার ৮০২ টাকা যা এতদিন ছিল ৮০ হাজার ১৯০ টাকা।
এদিকে অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী, বর্তমানে ২২ ক্যারেটে প্রতি ভরি রুপার দাম ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ১৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা।
গত ৮ এপ্রিল স্বর্ণের দাম কমিয়েছিল বাজুস। যা ওইদিনই বিকেলে কার্যকর হয়। ওই দাম অনুযায়ী আজ ৭টা পর্যন্ত সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ এক লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ১২ হাজার ২০৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৯৬ হাজার ২২৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম ৮০ হাজার ১৯০ টাকায় বিক্রি হয়।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সপ্তাহের তৃতীয় কর্মদিবস দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে
(ডিএসই) সকাল থেকে সূচকের বেশ উত্থান–পতন লক্ষ করা যাচ্ছে। আজ বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে
লেনদেন শুরুর প্রথম আধা ঘণ্টা পরই ডিএসইর প্রধান সূচকটি বেশ নিচে নেমে যায়। তবে প্রথম
ঘণ্টা শেষে সূচক আবার ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। লেনদেনের প্রথম দেড় ঘণ্টা শেষে ডিএসইতে ২০০
কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, সকালে বেশ কিছু ভালো কোম্পানির শেয়ারের
দাম কমেছে। ডিএসইতে প্রথম দেড় ঘণ্টার লেনদেনে এগিয়ে রয়েছে ওষুধ ও রাসায়নিক, প্রকৌশল,
ভ্রমণ, খাদ্য, সিরামিক এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতের কোম্পানিগুলো।
এ সময় লেনদেনে শীর্ষে ছিল ওষুধ ও রাসায়নিক খাতের কোম্পানি এশিয়াটিক
ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড। দেড় ঘণ্টায় এটির ১৭ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। লেনদেনে দ্বিতীয়
অবস্থানে ছিল প্রকৌশল খাতের প্রতিষ্ঠান গোল্ডেন সন লিমিটেড।
এ সময় এটির ১১ কোটি ২০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর তৃতীয়
অবস্থানে থাকা ভ্রমণ খাতের কোম্পানি বেস্ট হোল্ডিংস লিমিটেডের ৯ কোটি ২৬ লাখ টাকার
শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দিন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) তিনটি সূচকই নিম্নমুখী ছিল। এদের মধ্যে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স প্রায় ৪ দশমিক ১৯ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৭৭৫ পয়েন্টে, ডিএসইএস সূচক ১ দশমিক ৯৫ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৬৪ পয়েন্টে অবস্থান করে। এ ছাড়া ডিএস ৩০ সূচক ২ দশমিক ১৮ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৩ পয়েন্টে অবস্থান করে। ডিএসইতে গতকাল লেনদেন হয়েছে প্রায় ৫৪০ কোটি টাকার।
মন্তব্য করুন
সপ্তাহের তৃতীয় কর্মদিবস দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সকাল থেকে সূচকের বেশ উত্থান–পতন লক্ষ করা যাচ্ছে। আজ বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে লেনদেন শুরুর প্রথম আধা ঘণ্টা পরই ডিএসইর প্রধান সূচকটি বেশ নিচে নেমে যায়। তবে প্রথম ঘণ্টা শেষে সূচক আবার ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। লেনদেনের প্রথম দেড় ঘণ্টা শেষে ডিএসইতে ২০০ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে।