ইনসাইড ইকোনমি

এক টাকাও ঋণ আদায় করতে পারেনি ১০ ব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১


Thumbnail

অতিমারী করোনায় অত্যন্ত নাজুক হয়ে পড়েছে ব্যাংকিং খাতের ঋণ আদায়। তবে ঋণ আদায় না হলেও ঋণ বিতরণ প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে ব্যাংকগুলোতে। এদের মধ্যে পাঁচ ব্যাংক নিয়মিত ঋণ থেকে এক টাকাও আদায় করতে পারেনি। একই সঙ্গে খেলাপী ঋণের এক টাকাও আদায় করতে পারেনি  আরো পাঁচ ব্যাংক। এ ছাড়া ২১টি ব্যাংক  নিয়মিত এবং খেলাপি ঋণ থেকে এক শতাংশেরও কম আদায় করেছে। এই চিত্র এ বছরের মার্চ মাস থেকে জুন পর্যন্ত সময়ের। ঋণ আদায় সংক্রান্ত হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য প্রকাশ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এটা খুব অস্বাভাবিক ঘটনা। এবং একই সঙ্গে উদ্বেগেরও। এভাবে ঋণ আদায় বন্ধ হয়ে গেলে তা ব্যাংকিং খাতের জন্য অশনিসংকেত হবে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা। 

অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নূরুল আমিন বলেন, তিন মাসে এক টাকাও আদায় হয়নি। এটা অস্বাভাবিক ঘটনা। যত সমস্যা থাকুক পুরোপুরি ঋণ আদায় কখনো বন্ধ থাকার সুযোগ নেই। সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের বসা উচিত। কেন এমন হলো জানা দরকার। সমস্যা শনাক্ত করে তা সমাধানে উদ্যোগ নিতে হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন মতে, ব্যাংকিং খাতে জুন পর্যন্ত ঋণস্থিতি ১০ লাখ ১৯ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা। এ সময় ৯৫ হাজার ২৪৩ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে খেলাপি ঋণস্থিতি। এর মধ্যে তিন মাসে ব্যাংকগুলো আদায় করতে সক্ষম হয়েছে মাত্র ১৭৯৫ কোটি টাকা। যা পুরো খেলাপি ঋণের ১ দশমিক ৮৯ শতাংশ। 

প্রতিবেদনে আরও দেখা যায়, চলতি বছরের মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত খেলাপি গ্রাহকদের থেকে এক টাকাও আদায় করতে পারেনি এমন ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে বিদেশি সিটিব্যাংক এনএ, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, হংকং অ্যান্ড সাংহাই ব্যাংক, উরি ব্যাংক এবং দেশি সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক। এ ছাড়া নিয়মিত ঋণ থেকে এক টাকাও আদায় করতে পারেনি আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক। তবে কমিউনিটি ব্যাংক নামমাত্র টাকা আদায় করেছে বলে জানায় বাংলাদেশ ব্যাংক।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেডের (বিডিবিএল) খেলাপি ঋণের অঙ্ক ৬৫৮ কোটি টাকা। চলতি বছরের মার্চ থেকে জুনে ব্যাংকটির আদায় হয়েছে মাত্র দুই কোটি ৫৯ লাখ টাকা। যা খেলাপি ঋণের ০.৪ শতাংশ। আরও খারাপ অবস্থা বেসিক ব্যাংকের। ব্যাংকটির বর্তমান খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৮ হাজার ৮১ কোটি টাকা। মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত খেলাপি থেকে ব্যাংকিটি আদায় মাত্র ০.২ শতাংশ। যা টাকার পরিমাণে ১২ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। এ ছাড়া উল্লিখিত সময়ে খেলাপি গ্রাহক থেকে ১ শতাংশের বেশি আদায় করতে পারেনি রাষ্ট্রায়ত্ত অন্য ব্যাংকগুলোও। 

খেলাপি গ্রাহক থেকে এক শতাংশের নিচে আদায় করছে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক। মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত ব্যাংকটি আদায় করেছে মাত্র ০.৫ শতাংশ, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক ০.১ শতাংশ, আইএফআইসি ব্যাংক ০.৪ শতাংশ, মিডল্যান্ড ব্যাংক ০.৯ শতাংশ, মধুমতি ব্যাংক ০.৩ শতাংশ, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক ০.৭ শতাংশ, এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক (গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক) ০.৮ শতাংশ, ওয়ান ব্যাংক ০.৪ শতাংশ, পদ্মা ব্যাংক ০.৩ শতাংশ, প্রিমিয়ার ব্যাংক ০.৬ শতাংশ, সাউথইস্ট ব্যাংক ০.৮ শতাংশ এবং স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক ০.৪ শতাংশ। এ ছাড়া বিদেশি ব্যাংকগুলোর মধ্যেও খেলাপি ঋণ থেকে আদায়ের অবস্থাও একই রকম। আলোচ্য সময়ে খেলাপিদের থেকে মাত্র ৩ লাখ টাকা আদায় করতে সক্ষম হয়েছে ব্যাংক আল-ফালাহ। ব্যাংকটির ঋণ আদায়ের হার ০.১ শতাংশ। পাশাপাশি হাবিব ব্যাংকের আদায়ের হার ০.৩ শতাংশ।

খেলাপি ঋণের পাশাপাশি নিয়মিত ঋণ আদায়ের গতি শ্লথ হওয়ার কারণ হিসেবে বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, ঋণ নিয়ে ঋণ পরিশোধ না করার সংস্কৃতি চালু হওয়ায় যারা নিয়মিত ঋণ পরিশোধ করতেন তারাও উৎসাহ হারিয়ে ফেলছেন। নিয়মিত ঋণ আদায় কমে যাওয়ার এটাই বড় প্রমাণ। নিয়মিত ঋণ আদায় কমে গেলে এসব ঋণ আবার খেলাপি হয়ে যাবে। 

অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, দেশের অর্থনীতির স্বার্থে বাংলাদেশ ব্যাংককে আরো কঠোর হাতে মনিটরিং করতে হবে। ঋণ আদায়ের ওপর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা যথাযথ পরিপালনে বাধ্য করতে হবে ব্যাংকগুলোকে। অন্যথায় খেলাপি ঋণ আরো বেড়ে যাবে। এরই মধ্যে খেলাপি ঋণের পাহাড় জমে গেছে। এ পরিস্থিতিতে বেকায়দায় পড়বে ছোট ও মাঝারি উদ্যোক্তারা। আর মাঝারিরা উঠতে না পারলে বড় উদ্যোক্তা সৃষ্টি হবে না। সব মিলে দেশের আর্থিক ব্যবস্থাপনায় বিপর্যয় এড়ানো যাবে না। পরিস্থিতি উন্নতি করতে, ব্যাংকারদের ঋণ আদায়ে সচেষ্ট থাকতে হবে। বিশেষ করে ভালো গ্রাহকদের পুরস্কার বা বিশেষ সুবিধা দিতে হবে। এটি দেখে মন্দ গ্রাহকও ঋণ পরিশোধে এগিয়ে আসবেন।

উল্লেখ্য, ব্যাংক খাতে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ঋণ বিতরণ করা হয়েছে ১১ লাখ ৩৯ হাজার ৭৭৬ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে ৯৯ হাজার ১৬৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা (অভ্যন্তরীণ+অফশোর ইউনিট)। যা মোট ঋণ বিতরণের ৮ দশমিক ৬১ শতাংশ। গত মার্চে খেলাপি ছিল ৯৫ হাজার ৮৫ কোটি টাকা। সে হিসাবে মাত্র তিন মাসে ৩ হাজার ৭৯ কোটি এবং ছয় মাসে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৯ হাজার ৪৩০ কোটি টাকা।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

তিনদিনের মাথায় আবারও কমল স্বর্ণের দাম

প্রকাশ: ০৪:৩১ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলতি মাসে তিন দফা বাড়ানোর পর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কিছুটা কমানো হয়েছে। এতে সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম আরও ৩ হাজার ১৩৮ টাকা কমিয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে ভালো মানের এক ভরি সোনার দাম হয়েছে ১ লাখ ১৬ হাজার ২৯০ টাকা। স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম কমার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম কমানো হয়েছে।

এর আগে গত তিনদিন পূর্বে দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কমায় বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। নতুন দাম নির্ধারণের তিন দিন না যেতেই এবার আবারও স্বর্ণের দাম কমালো দেশের বাজারে স্বর্ণের মূল্য নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেল ৪টা থেকেই নতুন দাম কার্যকর হবে বলে বাজুস। এদিন বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠক করে দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরবর্তীতে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের দাম কমেছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ জুয়েলারি অ্যাসোসিয়েশন সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করেছে, যা মঙ্গলবার বিকেল ৪টা থেকে কার্যকর হবে।

নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম তিন হাজার ১৩৮ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ১৬ হাজার ২৯০ টাকা। আর ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম তিন হাজার ৯ টাকা কমিয়ে এক লাখ ১০ হাজার ৯৯৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম দুই হাজার ৫৬৬ টাকা কমিয়ে ৯৫ হাজার ১৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম দুই হাজার ৭৬ টাকা কমিয়ে ৭৬ হাজার ৫৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

অবশ্য স্বর্ণের অলঙ্কার কিনতে এর থেকে বেশি অর্থ গুনতে হবে ক্রেতাদের। কারণ বাজুসের নির্ধারণ করা দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে স্বর্ণের অলঙ্কার বিক্রি করা হয়। সেইসঙ্গে ভরি প্রতি মজুরি ধরা হয় ন্যূনতম তিন হাজার ৪৯৯ টাকা। ফলে আগামীকাল থেকে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের অলঙ্কার কিনতে ক্রেতাদের গুনতে হবে এক লাখ ২৫ হাজার ৬০৪ টাকা।


স্বর্ণ   বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি   বাজুস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

পদ্মা ব্যাংকের এমডির পদত্যাগ, চার ব্যাংকে আসছে নতুন মুখ

প্রকাশ: ১১:৪২ এএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে যাওয়া পদ্মা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তারেক রিয়াজ খান পদত্যাগ করেছেন। এরই মধ্যে তাকে এমডি হিসেবে নিয়োগের জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনআরবি ব্যাংক।

এদিকে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক থেকে ছুটিতে পাঠানো এমডি মো. হাবিবুর রহমান চাকরিতে ফিরতে পারেননি এখনো। তবে নতুন এমডি পেয়েছে মেঘনা ব্যাংক। আর প্রিমিয়ার, এনসিসি ও বেসিক ব্যাংকের এমডি পদে নিয়োগ সংক্রান্ত কাজ চলমান রেখেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সূত্রের বরাত এসব তথ্য জানা গেছে।

সম্প্রতি এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে পদ্মা ব্যাংকের একীভূত হওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানা যায়। এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠান দুটির মধ্যকার পরিচালনা পর্ষদ সিদ্ধান্তও নিয়েছে। ব্যাংক দুটির নিরীক্ষার জন্য নিরীক্ষক নিয়োগ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আর এরই মধ্যে পদ্মা ব্যাংকের এমডি তারেক রিয়াজ খান সরে দাঁড়ালেন তার পদ থেকে। এনআরবি ব্যাংকে যোগদান করতে যাচ্ছেন তিনি। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অনুমোদন হলে তবেই এনআরবি ব্যাংকে যোগদান করবেন তারেক রিয়াজ খান।

এর আগে গত ফেব্রুয়াতি এনআরবি ব্যাংকের এমডির পদ থেকে পদত্যাগ করেন মামুন মাহমুদ শাহ। তারপর থেকে ভারপ্রাপ্ত এমডি দিয়ে পরিচালনা করা হচ্ছে ব্যাংকটি।

তারেক রিয়াজ খান পদ্মা ব্যাংক থেকে পদত্যাগের কারণ হিসেবে দেশের একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, পদ্মা ব্যাংক একীভূত হতে যাওয়ায় পদত্যাগ করেছি। আর নতুন কোনো প্রতিষ্ঠানে যাওয়া যায় কিনা, সেটি দেখছি।

এদিকে ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি শরিয়াভিত্তিক ব্যাংকে রূপান্তর হওয়া স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের এমডি হিসেবে যোগদান করেন মো. হাবিবুর রহমান। নির্ধারিত মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তাকে চলতি বছরের গত ২৯ ফেব্রুয়ারি তিন মাসের ছুটিতে পাঠানো হয়। প্রতিষ্ঠানটির পর্ষদের একজন প্রভাবশালী পরিচালকদের সঙ্গে দ্বন্দ্বের কারণে ছুটিতে পাঠানো হয় তাকে। আর এই বিষয়টি কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানতে পারলে এ নিয়ে শুরু করে পরিদর্শন। একই সঙ্গে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনাও করে। কিন্তু এখনো মো. হাবিবুর রহমানকে এমডির পদে ফেরানো নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তের ব্যাপারে জানা যায়নি।


পদ্মা ব্যাংক   এমডি   পদত্যাগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

বিদেশি ঋণের অর্থছাড়ে শীর্ষে এডিবি

প্রকাশ: ০৯:০৩ পিএম, ২২ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশেকে দেওয়া বিদেশি ঋণের অর্থছাড়ের তালিকার শীর্ষে রয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) ১৪০ কোটি ডলার ছাড় করেছে এশিয়া অঞ্চলের এই ঋণদাতা সংস্থাটি।

গতকাল রোববার প্রকাশিত দেশের বৈদেশিক ঋণের হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) তৈরি করা সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

ওই প্রতিবেদন অনুসারে, ঋণের অর্থছাড়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে জাপান। বাংলাদেশের অন্যতম বড় দ্বিপক্ষীয় দাতা দেশটি দিয়েছে ১৩৫ কোটি ৮০ লাখ ডলার। তৃতীয় স্থানে থাকা বিশ্বব্যাংক ছাড় করেছে ৯৬ কোটি ৭৩ লাখ ডলার।

চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে আছে যথাক্রমে রাশিয়া ও চীন। এই দুটি দেশ ছাড় করেছে যথাক্রমে ৮০ কোটি ৭০ লাখ ডলার ও ৩৬ কোটি ডলার।

বিদেশি সহায়তার প্রতিশ্রুতিতেও শীর্ষে আছে এডিবি। সংস্থাটি গত ৯ মাসে ২৬২ কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এ ছাড়া দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে থাকা যথাক্রমে জাপান ২০৩ কোটি ডলার ও বিশ্বব্যাংক ১৪১ কোটি ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

বিদেশি ঋণ   এডিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

বিদেশি ঋণের সুদ পরিশোধ ছাড়িয়েছে ১০০ কোটি ডলার

প্রকাশ: ০৩:০৪ পিএম, ২২ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধ প্রথমবারের মতো ১০০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসেই ঋণের সুদ বাবদ পরিশোধ করা হয়েছে ১০০ কোটি ডলারের বেশি। গত জুলাই-মার্চ সময়ে বিদেশি ঋণের বিপরীতে ১০৫ কোটি ডলার পরিশোধ করতে হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি। একই সময়ে গত অর্থবছরে সুদ বাবদ ৪৮ কোটি ডলার পরিশোধ করেছিল বাংলাদেশ।

দেশের বৈদেশিক ঋণের হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে প্রকাশিত সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) তৈরি করা সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ চিত্র উঠে এসেছে।

ইআরডি সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে বিদেশি ঋণের সুদাসল পরিশোধ বাবদ খরচ বেড়েছে। যা পরিমাণ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৮৯ কোটি ডলার। গত ৯ মাসে ২৫৭ কোটি ডলারের বেশি সুদ ও আসল পরিশোধ করা হয়েছে। গত বছর একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ১৭৩ কোটি ডলার।

বিদেশি ঋণ পরিশোধের চাপ এসেছে এমন সময়ে, যখন দেশে কয়েক মাস ধরে বৈদেশিক মুদ্রার সংকট চলছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, ডলার-সংকটের এ সময়ে বিদেশি ঋণ পরিশোধের জন্য অতিরিক্ত অর্থ ব্যয়ের কারণে রিজার্ভ ও বাজেটের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি হচ্ছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চীন ও রাশিয়ার স্বল্প মেয়াদের ঋণের কারণে ঋণ পরিশোধের চাপ বাড়ছে। ইতিমধ্যে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের ঋণ পরিশোধ শুরু হয়েছে। মেট্রোরেল প্রকল্পের ঋণ পরিশোধের কিস্তিও শুরু হয়েছে। এ ছাড়া কর্ণফুলী টানেল প্রকল্পের ঋণ পরিশোধও শিগগিরই শুরু হবে।

আগামী দু-তিন বছরের মধ্যে অন্য মেগা প্রকল্পের ঋণ পরিশোধ শুরু হলে চাপ আরও বাড়বে। অন্যদিকে ঋণের ছাড় আগের তুলনায় তেমন বাড়েনি।

ইআরডি সূত্র বলছে, জুলাই-মার্চ সময়ে সব মিলিয়ে এসেছে ৫৬৩ কোটি ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৫৩৬ কোটি ডলার।

বিদেশি ঋণ   ইআরডি   অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

ঋণখেলাপিদের চিহ্নিত করতে প্রার্থীদের তথ্য চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক

প্রকাশ: ১১:২০ এএম, ২২ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিত হবে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোট। এই ধাপের ভোটে ঋণ খেলাপিরা যেন প্রার্থী হতে না পারে, সেজন্য সকল রিটার্নিং কর্মকর্তাকে প্রার্থীদের তথ্য দিতে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকটির ক্রেডিট ইনফরেমশন ব্যুরোর অতিরিক্ত পরিচালক মো. আনিচুর রহমান এ সংক্রান্ত চিঠি দিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তাদের। এর আগে নির্বাচন কমিশন ঋণ খেলাপিদের তথ্য দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছিল।

আনিচুর রহমান তার চিঠিতে বলেছেন, উপজেলা পরিষদের দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলকারী প্রার্থীদের ঋণখেলাপ সংক্রান্ত তথ্য প্রদানের লক্ষ্যে সকল প্রার্থীর পূর্ণ নাম, পিতার নাম, মাতার নাম, স্বামীর নাম (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) বাংলা ও ইংরেজিতে, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, করদাতা শনাক্তকরণ সংখ্যা, জন্ম তারিখ, স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা সম্বলিত তথ্য সংযুক্ত ছক অনুযায়ী যথাযথভাবে পূরণ করে রিটার্নিং অফিসার/সহকারী রিটার্নিং অফিসারের নামসহ সিল, স্বাক্ষর ও ফোন (মোবাইল) নম্বর প্রদানপূর্বক তা ই-মেইলের মাধ্যমে পাঠাতে হবে। 

দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা ভোটে ২ হাজার ৫৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানিয়েছেন, চেয়ারম্যান পদে ৭৩০ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭৬৩ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫৬২ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

দ্বিতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল রোববার। মনোনয়নপত্র বাছাই ২৩ এপ্রিল, আপিল গ্রহণ ২৪ থেকে ২৬ এপ্রিল, আপিল নিষ্পত্তি ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিল। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২ মে। আর ১৬০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ভোটারের সংখ্যা ৫ লাখের বেশি যেখানে, সেখানে একাধিক সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োজিত থাকবেন।

এই ধাপের নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। আপিল কর্তৃপক্ষ জেলা প্রশাসক।

তৃতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন ফরম জমার শেষ তারিখ ২ মে, মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ৫ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ৬ থেকে ৮ মে। আপিল নিষ্পত্তি ৯ থেকে ১১ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ মে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে এবং ভোট ২৯ মে। এই ধাপে ৪৭ জেলার ১১২ উপজেলায় ভোট হবে। 

এই ধাপে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে অতিরিক্ত জেলা ও অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে৷ রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে নিষ্পত্তি করবেন জেলা প্রশাসক।

এদিকে প্রথম ধাপের তফসিল অনুযায়ী আপিল নিষ্পত্তি হয়েছে রোববার। মনোনয়নপত্র বাছাই শেষে বৈধ প্রার্থী হয়েছেন এক হাজার ৭৮৬ জন। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় আজ ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে। আগামী ৫ জুন চতুর্থ ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।


বাংলাদেশ ব্যাংক   উপজেলা নির্বাচন   ঋণখেলাপি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন