নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১
অতিমারী করোনায় অত্যন্ত নাজুক হয়ে পড়েছে ব্যাংকিং খাতের ঋণ আদায়। তবে ঋণ আদায় না হলেও ঋণ বিতরণ প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে ব্যাংকগুলোতে। এদের মধ্যে পাঁচ ব্যাংক নিয়মিত ঋণ থেকে এক টাকাও আদায় করতে পারেনি। একই সঙ্গে খেলাপী ঋণের এক টাকাও আদায় করতে পারেনি আরো পাঁচ ব্যাংক। এ ছাড়া ২১টি ব্যাংক নিয়মিত এবং খেলাপি ঋণ থেকে এক শতাংশেরও কম আদায় করেছে। এই চিত্র এ বছরের মার্চ মাস থেকে জুন পর্যন্ত সময়ের। ঋণ আদায় সংক্রান্ত হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য প্রকাশ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এটা খুব অস্বাভাবিক ঘটনা। এবং একই সঙ্গে উদ্বেগেরও। এভাবে ঋণ আদায় বন্ধ হয়ে গেলে তা ব্যাংকিং খাতের জন্য অশনিসংকেত হবে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা।
অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নূরুল আমিন বলেন, তিন মাসে এক টাকাও আদায় হয়নি। এটা অস্বাভাবিক ঘটনা। যত সমস্যা থাকুক পুরোপুরি ঋণ আদায় কখনো বন্ধ থাকার সুযোগ নেই। সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের বসা উচিত। কেন এমন হলো জানা দরকার। সমস্যা শনাক্ত করে তা সমাধানে উদ্যোগ নিতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন মতে, ব্যাংকিং খাতে জুন পর্যন্ত ঋণস্থিতি ১০ লাখ ১৯ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা। এ সময় ৯৫ হাজার ২৪৩ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে খেলাপি ঋণস্থিতি। এর মধ্যে তিন মাসে ব্যাংকগুলো আদায় করতে সক্ষম হয়েছে মাত্র ১৭৯৫ কোটি টাকা। যা পুরো খেলাপি ঋণের ১ দশমিক ৮৯ শতাংশ।
প্রতিবেদনে আরও দেখা যায়, চলতি বছরের মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত খেলাপি গ্রাহকদের থেকে এক টাকাও আদায় করতে পারেনি এমন ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে বিদেশি সিটিব্যাংক এনএ, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, হংকং অ্যান্ড সাংহাই ব্যাংক, উরি ব্যাংক এবং দেশি সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক। এ ছাড়া নিয়মিত ঋণ থেকে এক টাকাও আদায় করতে পারেনি আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক। তবে কমিউনিটি ব্যাংক নামমাত্র টাকা আদায় করেছে বলে জানায় বাংলাদেশ ব্যাংক।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেডের (বিডিবিএল) খেলাপি ঋণের অঙ্ক ৬৫৮ কোটি টাকা। চলতি বছরের মার্চ থেকে জুনে ব্যাংকটির আদায় হয়েছে মাত্র দুই কোটি ৫৯ লাখ টাকা। যা খেলাপি ঋণের ০.৪ শতাংশ। আরও খারাপ অবস্থা বেসিক ব্যাংকের। ব্যাংকটির বর্তমান খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৮ হাজার ৮১ কোটি টাকা। মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত খেলাপি থেকে ব্যাংকিটি আদায় মাত্র ০.২ শতাংশ। যা টাকার পরিমাণে ১২ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। এ ছাড়া উল্লিখিত সময়ে খেলাপি গ্রাহক থেকে ১ শতাংশের বেশি আদায় করতে পারেনি রাষ্ট্রায়ত্ত অন্য ব্যাংকগুলোও।
খেলাপি গ্রাহক থেকে এক শতাংশের নিচে আদায় করছে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক। মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত ব্যাংকটি আদায় করেছে মাত্র ০.৫ শতাংশ, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক ০.১ শতাংশ, আইএফআইসি ব্যাংক ০.৪ শতাংশ, মিডল্যান্ড ব্যাংক ০.৯ শতাংশ, মধুমতি ব্যাংক ০.৩ শতাংশ, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক ০.৭ শতাংশ, এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক (গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক) ০.৮ শতাংশ, ওয়ান ব্যাংক ০.৪ শতাংশ, পদ্মা ব্যাংক ০.৩ শতাংশ, প্রিমিয়ার ব্যাংক ০.৬ শতাংশ, সাউথইস্ট ব্যাংক ০.৮ শতাংশ এবং স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক ০.৪ শতাংশ। এ ছাড়া বিদেশি ব্যাংকগুলোর মধ্যেও খেলাপি ঋণ থেকে আদায়ের অবস্থাও একই রকম। আলোচ্য সময়ে খেলাপিদের থেকে মাত্র ৩ লাখ টাকা আদায় করতে সক্ষম হয়েছে ব্যাংক আল-ফালাহ। ব্যাংকটির ঋণ আদায়ের হার ০.১ শতাংশ। পাশাপাশি হাবিব ব্যাংকের আদায়ের হার ০.৩ শতাংশ।
খেলাপি ঋণের পাশাপাশি নিয়মিত ঋণ আদায়ের গতি শ্লথ হওয়ার কারণ হিসেবে বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, ঋণ নিয়ে ঋণ পরিশোধ না করার সংস্কৃতি চালু হওয়ায় যারা নিয়মিত ঋণ পরিশোধ করতেন তারাও উৎসাহ হারিয়ে ফেলছেন। নিয়মিত ঋণ আদায় কমে যাওয়ার এটাই বড় প্রমাণ। নিয়মিত ঋণ আদায় কমে গেলে এসব ঋণ আবার খেলাপি হয়ে যাবে।
অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, দেশের অর্থনীতির স্বার্থে বাংলাদেশ ব্যাংককে আরো কঠোর হাতে মনিটরিং করতে হবে। ঋণ আদায়ের ওপর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা যথাযথ পরিপালনে বাধ্য করতে হবে ব্যাংকগুলোকে। অন্যথায় খেলাপি ঋণ আরো বেড়ে যাবে। এরই মধ্যে খেলাপি ঋণের পাহাড় জমে গেছে। এ পরিস্থিতিতে বেকায়দায় পড়বে ছোট ও মাঝারি উদ্যোক্তারা। আর মাঝারিরা উঠতে না পারলে বড় উদ্যোক্তা সৃষ্টি হবে না। সব মিলে দেশের আর্থিক ব্যবস্থাপনায় বিপর্যয় এড়ানো যাবে না। পরিস্থিতি উন্নতি করতে, ব্যাংকারদের ঋণ আদায়ে সচেষ্ট থাকতে হবে। বিশেষ করে ভালো গ্রাহকদের পুরস্কার বা বিশেষ সুবিধা দিতে হবে। এটি দেখে মন্দ গ্রাহকও ঋণ পরিশোধে এগিয়ে আসবেন।
উল্লেখ্য, ব্যাংক খাতে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ঋণ বিতরণ করা হয়েছে ১১ লাখ ৩৯ হাজার ৭৭৬ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে ৯৯ হাজার ১৬৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা (অভ্যন্তরীণ+অফশোর ইউনিট)। যা মোট ঋণ বিতরণের ৮ দশমিক ৬১ শতাংশ। গত মার্চে খেলাপি ছিল ৯৫ হাজার ৮৫ কোটি টাকা। সে হিসাবে মাত্র তিন মাসে ৩ হাজার ৭৯ কোটি এবং ছয় মাসে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৯ হাজার ৪৩০ কোটি টাকা।
মন্তব্য করুন
রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ বেসরকারি সিটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত না হওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ কথা জানিয়ে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়েছে।
এর আগে ৯ এপ্রিল অর্থমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দিয়ে ব্যাংকটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও বলেছিলেন, তাঁরা বেসরকারি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে চান না। বেসিক ব্যাংক শতভাগ রাষ্ট্রমালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক। সরকারি এই ব্যাংককে বেসরকারি একটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার খবরে তাঁরা ‘আতঙ্কগ্রস্ত’।
বেসরকারি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার সিদ্ধান্তে আতঙ্কগ্রস্ত হয়েছেন বেসিক ব্যাংকের আমানতকারীরা। তাঁদের কেউ কেউ বেসিক ব্যাংক থেকে আমানত তুলে নিতে শুরু করেছেন। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোই আমানত বেশি সরিয়ে নিচ্ছে।
বেসিক ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে, পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে ও পরে পাঁচ কার্যদিবসে ব্যাংকটি থেকে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা আমানত তুলে নেওয়া হয়েছে। আমানত তুলে নিতে আরও কিছু প্রতিষ্ঠান ব্যাংকটিকে চিঠি দিয়েছে। এতে তীব্র তারল্যসংকটে পড়েছে ব্যাংকটি। এর ফলে বেসিক ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চাহিদামতো নগদ জমা (সিআরআর) ও বিধিবদ্ধ জমা (এসএলআর) রাখতে পারছে না।
বেসিক ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে, ব্যাংকটিতে আমানতের পরিমাণ ছিল প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকা, যা কমে এখন ১২ হাজার কোটি টাকায় নেমেছে। গত ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকটির বিতরণ করা ঋণ ছিল ১২ হাজার ৮৬৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণই ৮ হাজার ২০৪ কোটি টাকা বা ৬৪ শতাংশ।
বেসিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) এ এম মোফাজ্জেল বলেন, ‘২০১৫ সাল থেকে সোনালী, জনতার মতো আমরাও রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংক। এ কারণে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা আমাদের ব্যাংকে টাকা জমা রেখেছে। বেসরকারি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হওয়ার খবরে তারা টাকা তুলে নিতে শুরু করেছে।’ তিনি বলেন, এ জন্যই সরকারি কোনো ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার জন্য সরকারের কাছে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় পরিচালনা পর্ষদ।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৬৫ টাকা বাড়িয়ে এক লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। দেশের বাজারে এটাই স্বর্ণের সর্বোচ্চ দাম। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নতুন দাম নির্ধারণের কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।
বাজুস জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের দাম বেড়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ সন্ধ্যা ৭টা থেকেই নতুন দাম কার্যকর করা হবে।
নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ১৪ হাজার ২০২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ৮৮৪ টাকা। ভালো মানের স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলেও কমানো হয়েছে সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম। সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের নতুন দাম হবে ৭৮ হাজার ৮০২ টাকা যা এতদিন ছিল ৮০ হাজার ১৯০ টাকা।
এদিকে অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী, বর্তমানে ২২ ক্যারেটে প্রতি ভরি রুপার দাম ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ১৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা।
গত ৮ এপ্রিল স্বর্ণের দাম কমিয়েছিল বাজুস। যা ওইদিনই বিকেলে কার্যকর হয়। ওই দাম অনুযায়ী আজ ৭টা পর্যন্ত সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ এক লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ১২ হাজার ২০৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৯৬ হাজার ২২৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম ৮০ হাজার ১৯০ টাকায় বিক্রি হয়।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সপ্তাহের তৃতীয় কর্মদিবস দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে
(ডিএসই) সকাল থেকে সূচকের বেশ উত্থান–পতন লক্ষ করা যাচ্ছে। আজ বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে
লেনদেন শুরুর প্রথম আধা ঘণ্টা পরই ডিএসইর প্রধান সূচকটি বেশ নিচে নেমে যায়। তবে প্রথম
ঘণ্টা শেষে সূচক আবার ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। লেনদেনের প্রথম দেড় ঘণ্টা শেষে ডিএসইতে ২০০
কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, সকালে বেশ কিছু ভালো কোম্পানির শেয়ারের
দাম কমেছে। ডিএসইতে প্রথম দেড় ঘণ্টার লেনদেনে এগিয়ে রয়েছে ওষুধ ও রাসায়নিক, প্রকৌশল,
ভ্রমণ, খাদ্য, সিরামিক এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতের কোম্পানিগুলো।
এ সময় লেনদেনে শীর্ষে ছিল ওষুধ ও রাসায়নিক খাতের কোম্পানি এশিয়াটিক
ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড। দেড় ঘণ্টায় এটির ১৭ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। লেনদেনে দ্বিতীয়
অবস্থানে ছিল প্রকৌশল খাতের প্রতিষ্ঠান গোল্ডেন সন লিমিটেড।
এ সময় এটির ১১ কোটি ২০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর তৃতীয়
অবস্থানে থাকা ভ্রমণ খাতের কোম্পানি বেস্ট হোল্ডিংস লিমিটেডের ৯ কোটি ২৬ লাখ টাকার
শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দিন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) তিনটি সূচকই নিম্নমুখী ছিল। এদের মধ্যে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স প্রায় ৪ দশমিক ১৯ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৭৭৫ পয়েন্টে, ডিএসইএস সূচক ১ দশমিক ৯৫ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৬৪ পয়েন্টে অবস্থান করে। এ ছাড়া ডিএস ৩০ সূচক ২ দশমিক ১৮ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৩ পয়েন্টে অবস্থান করে। ডিএসইতে গতকাল লেনদেন হয়েছে প্রায় ৫৪০ কোটি টাকার।
মন্তব্য করুন
সপ্তাহের তৃতীয় কর্মদিবস দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সকাল থেকে সূচকের বেশ উত্থান–পতন লক্ষ করা যাচ্ছে। আজ বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে লেনদেন শুরুর প্রথম আধা ঘণ্টা পরই ডিএসইর প্রধান সূচকটি বেশ নিচে নেমে যায়। তবে প্রথম ঘণ্টা শেষে সূচক আবার ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। লেনদেনের প্রথম দেড় ঘণ্টা শেষে ডিএসইতে ২০০ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে।