নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০৪ পিএম, ১৭ নভেম্বর, ২০১৭
ব্যাগ ভর্তি কাঁচা বাজার নিয়ে খুব খুশি মনেই বের হচ্ছিলেন রিয়াজ মাহমুদ মিঠু্। সঙ্গে স্ত্রী আছেন বাজারের সঙ্গী হিসেবে। বাজারে দর কেমন জিজ্ঞেস করতেই একটু আগ বাড়িয়েই মিঠুর স্ত্রী বললেন, ‘সবজির দাম অনেক কমেছে’। দুজনের হাতেই বড় ব্যাগ ভর্তি কাঁচা বাজার। এত বাজার করলেন জিঙ্গেস করতেই জানালেন, আমি, আমার স্ত্রী দুজনই চাকরি করি। বাজার করার সময় পাই না। সবজির দাম কম থাকায় সারা সপ্তাহের বাজার করেন নিলাম।
কারওয়ান বাজারে গতকাল বৃহস্পতিবার বাজার করতে আসা রমিজ মিয়া বড় বড় চারটি ফুলকপি কিনেছেন মাত্র ৫০ টাকা দিয়ে। সপ্তাহ খানেক আগেও যে কপির জোঁড়া ছিল ৬০ টাকা।
সবজির ব্যবসায়ীরা বলছেন, বলতে গেলে পানির দামেই সবজি বিক্রি হচ্ছে। তবে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি থাকায় বাজারে ক্রেতা সমাগম কম ছিল। এ কারণে কম লাভেই সবজি বিক্রি করতে দেখা গেছে কারওয়ান বাজারে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, সবজি সরবরাহ গত সপ্তাহের তুলনায় কয়েকগুণ বেড়েছে। শীতকালীন নতুন নতুন সবজির পসরা সাজিয়ে রেখেছেন দোকানিরা।
বাজারে শীতের নতুন সবজি ওল প্রতি কেজি পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ত্রিশ টাকায়। কয়েক সপ্তাহ আগেও যে শিম ১৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার সেই শিম মাত্র প্রতি কেজি ২৫ থেকে ৩০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
এছাড়া প্রতি কেজি আলু ২০ টাকা, নতুন আলু ৮০ টাকা, বেগুন ৩০ টাকা, পটল ৩০ টাকা, টমেটো ৮০ টাকা, মূলা ৩০ টাকা, লাউ ২৫ থেকে ৩০ টাকা, বাঁধাকপি প্রতি পিচ ২০ টাকা, ঢেঁড়স কেজি ৪০-৫০ টাকা, শসা কেজি ৪০-৫০ টাকা, ঝিঙে ৪০-৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০-৪০ টাকা, পেঁপে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি মাত্র ১৫ টাকায়।
কয়েক সপ্তাহ আগেও প্রতি আঁটি লাল শাক বিক্রি হয়েছে ২০ থেকে ২৫ টাকা সেই আঁটি গতকাল ৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
সবজির বাজার ক্রেতা সাধারণের নাগালের মধ্যে আসলেও কাঁচা মরিচ ও পেঁয়াজ চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারতে পেঁয়াজের দাম বেশি। এজন্য বেশি দামে আমদানি করায় বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকায়, ভারতীয় আমদানি করা পেঁয়াজ প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকায়। কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়।
চালের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মোটা চালে এক টাকা বেড়ে ৪৩ টাকা এবং মিনিকেট প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৭ টাকা। তবে কিছু দিনের মধ্যে নতুন চাল বাজারে উঠলে চালের দাম কিছুটা কমার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান কারওয়ান বাজারের চাল ব্যবসায়ীরা।
মাছ ও মাসের বাজারে স্থিতিশীল রয়েছে। মাছের বাজারে লোক সমাগম কম দেখা গেছে। বিক্রেতার বলছেন, অভিভাবকরা তাঁদের সন্তাদের পরীক্ষা নিয়ে ব্যস্ত থাকার কারণে বাজাররে বাজারে আসতে পারছেন না। এ জন্য মাছের বাজার তুলনামূলক মন্দা যাচ্ছে।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আকার ও জাত ভেদে প্রতি কেজি চিংড়ি ৫০০-৬০০ টাকা, প্রতি কেজি রুই ২২০-২৫০ টাকা, কাতলা ২০০-৩০০ টাকা, পাবদা ৩৮০-৪০০ টাকা, টেংড়া ৪০০ টাকা, ও চাষের শিং ৪০০-৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১২০ টাকা, লেয়ার মুরগি ১৫০, পাকিস্তানি মুরগি ২৫০০, দেশি মুরগি প্রতিটি আকারভেদে ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস ৪৫০ টাকা এবং খাসির মাংস ৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাংলা ইনসাইডার/এসএ/জেডএ
মন্তব্য করুন
রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ বেসরকারি সিটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত না হওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ কথা জানিয়ে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়েছে।
এর আগে ৯ এপ্রিল অর্থমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দিয়ে ব্যাংকটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও বলেছিলেন, তাঁরা বেসরকারি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে চান না। বেসিক ব্যাংক শতভাগ রাষ্ট্রমালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক। সরকারি এই ব্যাংককে বেসরকারি একটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার খবরে তাঁরা ‘আতঙ্কগ্রস্ত’।
বেসরকারি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার সিদ্ধান্তে আতঙ্কগ্রস্ত হয়েছেন বেসিক ব্যাংকের আমানতকারীরা। তাঁদের কেউ কেউ বেসিক ব্যাংক থেকে আমানত তুলে নিতে শুরু করেছেন। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোই আমানত বেশি সরিয়ে নিচ্ছে।
বেসিক ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে, পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে ও পরে পাঁচ কার্যদিবসে ব্যাংকটি থেকে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা আমানত তুলে নেওয়া হয়েছে। আমানত তুলে নিতে আরও কিছু প্রতিষ্ঠান ব্যাংকটিকে চিঠি দিয়েছে। এতে তীব্র তারল্যসংকটে পড়েছে ব্যাংকটি। এর ফলে বেসিক ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চাহিদামতো নগদ জমা (সিআরআর) ও বিধিবদ্ধ জমা (এসএলআর) রাখতে পারছে না।
বেসিক ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে, ব্যাংকটিতে আমানতের পরিমাণ ছিল প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকা, যা কমে এখন ১২ হাজার কোটি টাকায় নেমেছে। গত ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকটির বিতরণ করা ঋণ ছিল ১২ হাজার ৮৬৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণই ৮ হাজার ২০৪ কোটি টাকা বা ৬৪ শতাংশ।
বেসিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) এ এম মোফাজ্জেল বলেন, ‘২০১৫ সাল থেকে সোনালী, জনতার মতো আমরাও রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংক। এ কারণে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা আমাদের ব্যাংকে টাকা জমা রেখেছে। বেসরকারি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হওয়ার খবরে তারা টাকা তুলে নিতে শুরু করেছে।’ তিনি বলেন, এ জন্যই সরকারি কোনো ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার জন্য সরকারের কাছে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় পরিচালনা পর্ষদ।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৬৫ টাকা বাড়িয়ে এক লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। দেশের বাজারে এটাই স্বর্ণের সর্বোচ্চ দাম। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নতুন দাম নির্ধারণের কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।
বাজুস জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের দাম বেড়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ সন্ধ্যা ৭টা থেকেই নতুন দাম কার্যকর করা হবে।
নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ১৪ হাজার ২০২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ৮৮৪ টাকা। ভালো মানের স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলেও কমানো হয়েছে সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম। সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের নতুন দাম হবে ৭৮ হাজার ৮০২ টাকা যা এতদিন ছিল ৮০ হাজার ১৯০ টাকা।
এদিকে অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী, বর্তমানে ২২ ক্যারেটে প্রতি ভরি রুপার দাম ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ১৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা।
গত ৮ এপ্রিল স্বর্ণের দাম কমিয়েছিল বাজুস। যা ওইদিনই বিকেলে কার্যকর হয়। ওই দাম অনুযায়ী আজ ৭টা পর্যন্ত সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ এক লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ১২ হাজার ২০৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৯৬ হাজার ২২৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম ৮০ হাজার ১৯০ টাকায় বিক্রি হয়।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সপ্তাহের তৃতীয় কর্মদিবস দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে
(ডিএসই) সকাল থেকে সূচকের বেশ উত্থান–পতন লক্ষ করা যাচ্ছে। আজ বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে
লেনদেন শুরুর প্রথম আধা ঘণ্টা পরই ডিএসইর প্রধান সূচকটি বেশ নিচে নেমে যায়। তবে প্রথম
ঘণ্টা শেষে সূচক আবার ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। লেনদেনের প্রথম দেড় ঘণ্টা শেষে ডিএসইতে ২০০
কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, সকালে বেশ কিছু ভালো কোম্পানির শেয়ারের
দাম কমেছে। ডিএসইতে প্রথম দেড় ঘণ্টার লেনদেনে এগিয়ে রয়েছে ওষুধ ও রাসায়নিক, প্রকৌশল,
ভ্রমণ, খাদ্য, সিরামিক এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতের কোম্পানিগুলো।
এ সময় লেনদেনে শীর্ষে ছিল ওষুধ ও রাসায়নিক খাতের কোম্পানি এশিয়াটিক
ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড। দেড় ঘণ্টায় এটির ১৭ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। লেনদেনে দ্বিতীয়
অবস্থানে ছিল প্রকৌশল খাতের প্রতিষ্ঠান গোল্ডেন সন লিমিটেড।
এ সময় এটির ১১ কোটি ২০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর তৃতীয়
অবস্থানে থাকা ভ্রমণ খাতের কোম্পানি বেস্ট হোল্ডিংস লিমিটেডের ৯ কোটি ২৬ লাখ টাকার
শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দিন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) তিনটি সূচকই নিম্নমুখী ছিল। এদের মধ্যে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স প্রায় ৪ দশমিক ১৯ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৭৭৫ পয়েন্টে, ডিএসইএস সূচক ১ দশমিক ৯৫ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৬৪ পয়েন্টে অবস্থান করে। এ ছাড়া ডিএস ৩০ সূচক ২ দশমিক ১৮ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৩ পয়েন্টে অবস্থান করে। ডিএসইতে গতকাল লেনদেন হয়েছে প্রায় ৫৪০ কোটি টাকার।
মন্তব্য করুন
সপ্তাহের তৃতীয় কর্মদিবস দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সকাল থেকে সূচকের বেশ উত্থান–পতন লক্ষ করা যাচ্ছে। আজ বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে লেনদেন শুরুর প্রথম আধা ঘণ্টা পরই ডিএসইর প্রধান সূচকটি বেশ নিচে নেমে যায়। তবে প্রথম ঘণ্টা শেষে সূচক আবার ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। লেনদেনের প্রথম দেড় ঘণ্টা শেষে ডিএসইতে ২০০ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে।