নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৩০ পিএম, ১৩ নভেম্বর, ২০১৮
অফিসে অনেকটা সময়ই কেটে গেছে হাসনাতের। তার পারফরমেন্সও মোটামুটি সন্তোষজনক, অফিস বসের সঙ্গেও ভালোমন্দ মিলিয়ে সম্পর্ক। নির্দিষ্ট সময় পরে চাকরিতে কনফারমেশনও মিলেছে তার। কিন্তু সমস্যা রয়ে গেছে একখানে। সেটা হলো বেতন। অনেকটা সময় পার হলেও আজ পর্যন্ত বেতন বাড়েনি। চাকরিতে পদোন্নতি, ভালোমানের বেতন না হলে কাজের প্রতি আগ্রহ কমতে থাকে। হাসনাতের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। কিন্তু সে তার বেতন বাড়ানোর কথা বলবে কীভাবে সেটাই বুঝে উঠতে পারছে না। সেজন্য প্রয়োজন প্রস্তুতি আর সঠিক সময়ের।
বেছে নিন সঠিক সময়
বেতন বাড়ানোর দাবি সঠিক সময়ে আর পরিস্থিতি বুঝে উপস্থাপন করবেন। নির্দিষ্ট সময়ের আগে কখনো বেতন বাড়ানোর কথা বলতে যাবেন না। আর বসের মেজাজ বুঝে কথা বলুন। বস যদি উৎফুল্ল মেজাজে থাকে, তার যদি যুক্তি শোনার মুড থাকে তবে তখন কথা বলার চেষ্টা করুন। আর প্রতিষ্ঠানের আর্থিক পরিস্থিতি বুঝে তারপর বেতন বাড়ানোর কথা বলুন। খারাপ আর্থিক পরিস্থিতি হলে এই দাবি মেনে নেওয়া কঠিন হবে।
প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করুন
আপনার দাবিকে একটু শক্তিশালী করতে তথ্যের দরকার। মনে রাখবেন, বেতন বাড়াতে হলে আপনার প্রতিষ্ঠানের পলিসি, অতীত বর্তমান বিভিন্ন ধরনের রেকর্ড, অন্য প্রতিষ্ঠানের একই পদে কর্মীদের বেতনের পরিমাণ- এই খোঁজখবরগুলো নিন। তারপর কথা বলুন, দাবি জোরালো করুন। কতোটুকু বেতন বাড়ানো উচিৎ, সেটাও বুঝতে পারবেন তখন।
প্রতিষ্ঠানে আপনার অবস্থান সম্পর্কে বুঝুন
বেতন বাড়ানোর কথা বলবেন ভালো কথা। তার আগে সেই প্রতিষ্ঠানে আপনার অবস্থান বা মূল্যায়ন কতটুকু সে সম্পর্কে বুঝে নিন। আপনার দাবি কোম্পানি কেন মেনে নেবে সেই প্রশ্ন করুন নিজেকে। আপনি সাধারণমানের কর্মী হলে বেতন বাড়ার সম্ভাবনা কম। আর আপনি যদি একটু বিশেষমানের কর্মী হন তাহলে প্রতিষ্ঠান আপনার দাবির কথা অবশ্যই ভেবে দেখবে।
আলোচনা প্রক্রিয়া গুছিয়ে ফেলুন
সব পরিস্থিতি নিজের অনুকূলে থাকলেও আপনি সঠিক পরিকল্পনার অভাবে সব ভেস্তে যেতে পারে। তাই আগে কৌশলী হন। আপনার যুক্তিগুলো গুছিয়ে রেডি করুন, চাইলে একটু প্র্যাকটিস করে নিতে পারেন। আলোচনায় তথ্য, উপাত্ত আর পরিসংখ্যানের দ্বারা উদাহরণ দিন। এতে আপনি যুক্তিতে জিতে যাবেন। আপনার অর্জন আর সাফল্যগুলো দেখান। বসের যুক্তির পাল্টা যুক্তি দিন।
ইতিবাচক থাকুন
কর্তৃপক্ষের যেকোনো সিদ্ধান্তে ইতিবাচক থাকুন। আপনার পক্ষে সিদ্ধান্ত না আসলেও অসন্তোষ প্রকাশ করবেন না। আলোচনার শুরুতেই বস আর প্রতিষ্ঠানের প্রশংসা করে নিন। আপনাকে সময় দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান। আপনার পক্ষে সিদ্ধান্ত এলো না কেন তার কারণ জানতে চান, প্রতিষ্ঠানের চাহিদামতো কীভাবে আরও ভালো করতে পারেন সেটা জানুন।
নিজেকে অন্যদের থেকে এগিয়ে রাখার চেষ্টা করুন
অফিসের অন্যান্য কর্মীদের তুলনায় নিজেকে কিছুটা এগিয়ে রাখার চেষ্টা করুন। তবে সেটা কারো সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করে নয়। প্রতিষ্ঠানের বিশেষ প্রকল্পগুলোতে দায়িত্ব নিতে চেষ্টা করুন। নেতৃত্ব নিন, নেতৃত্ব দিন।
চাকরি ছাড়ার হুমকি দেবেন না
চাকরিতে বনিবনা না হলে আমরা চাকরি ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ফেলি। এতে করে আপনার অবস্থান আরও নড়বড়ে হয়ে যেতে পারে। সমস্যা হলে সেটা সমাধানের জন্য পর্যাপ্ত সময় নিন। প্রয়োজনে ক্লোজ কারো সঙ্গে আলোচনা করুন।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ
মন্তব্য করুন
৪১তম বিসিএস জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় পিএসসি
মন্তব্য করুন
২০২৪ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৩ হাজার ৭৮১ জন শিক্ষক নিয়োগ হবে। ২০২৩ সালে প্রাথমিকে ৩৭ হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
চলতি বছরে এ নিয়োগ কার্যক্রম শেষ হলে প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত হবে ১:৩০, অর্থাৎ প্রতি ৩০ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে একজন শিক্ষক। যা এসডিজি অর্জনের পথে অনেক ধাপে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষা।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সচিব ফরিদ আহাম্মদ এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
সচিব জানান, স্বাধীনতা পর একসঙ্গে সর্বোচ্চ ৫১ হাজার ৩৫৫ জন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এই নিয়োগের ধারাবাহিকা অব্যাহত থাকবে। শিক্ষক নিয়োগের এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে ২০৩০ সালের মধ্যে শিক্ষক শিক্ষার্থীর অনুপাত ১:৩০ করার এসডিজির যে লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে তার আগেই আমরা পূরণ করতে পারবো।
ফরিদ আহাম্মদ জানান, আগামী ৩ বছরের মধ্যে ঢাকা মহানগরীর বিদ্যমান ৩৪২টি সরকারি প্রাথমিক অবকাঠামো/পরিবর্তন উন্নয়ন করে দৃষ্টিনন্দন করা হবে। এছাড়া উত্তরাতে ৩টি ও পূর্বাচলে ১১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নতুনভাবে স্থাপন করা হবে। এরই মধ্যে ১৫৬টি বিদ্যালয়ের মাস্টার প্ল্যান অনুমোদন করা হয়েছে, তারমধ্যে ৪৩টি বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজ চলমান।
এর আগে, ৩ মার্চ জাতীয় সংসদে সরকারি দলের সদস্য এম আবদুল লতিফের লিখিত এক প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী জানিয়েছেন, গেল এক যুগে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২ লাখ ৩৮ হাজার ৫৭৯ জন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এই সময়ে বেসরকারি ও রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ লাখ ৪ হাজার ৮৭৫ শিক্ষকের চাকরি সরকারিকরণ করা হয়েছে।
প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) কেন্দ্রীয় মসজিদে ইমাম নিয়োগ দেবে কর্তৃপক্ষ। আগামীকাল ৬ ফেব্রুয়ারি এই পদের নিয়োগ বোর্ড অনুষ্ঠিত হবে। নিয়োগের জন্য প্রার্থীকে সুবক্তা মুফতি ও কারী হতে হবে। আর কোরআনের হাফিজ প্রার্থীদের অধিকার দেয়া হবে। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর সূত্র তথ্যটি নিশ্চিত করেছে।
তথ্য মতে, এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম ও খতিব হিসেবে সর্বশেষ দায়িত্বপালন করেছেন ড. আ স ম শোয়াইব আহমেদ। সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ২০২৩ সালের ১০ জুন তিনি মারা যান। দীর্ঘ ২৬ বছরের অধিক সময় ধরে তিনি ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ইমামতির পাশাপাশি তিনি ধর্ম প্রচার, অর্থসহ আল কোরআন ও সালাত শিক্ষা, হিফযুল কোরআন কোর্স, ইংরেজি ও আরবি ভাষা শিক্ষা কোর্স পরিচালনা করতেন। তার মৃত্যুর তিনমাস পর ১লা অক্টোবর ইমাম নিয়োগের (স্থায়ীপদ, গ্রেড নবম) বিজ্ঞপ্তি প্রদান করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রার্থীর বয়স কমপক্ষে ৩৫ বছর হতে হবে এবং সুবক্তা মুফতি ও কারী হতে হবে। চাকুরীরত প্রার্থীকে কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। আর কোরআনে হাফিজ প্রার্থীকে অধিকার দেয়া হবে। একইসঙ্গে শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে ইসলামী শিক্ষার সকল পর্যায়ে ২ শ্রেণী/সমমন সিজিপিএসহ মাস্টার্স ডিগ্রী / ৪ বছর মেয়াদী স্নাতক (সম্মান) সহ ০১ টিতে ১ম শ্রেণী অথবা শিক্ষার সকল পর্যায়ে ২য় বিভাগ শ্রেণী/সমমান সিজিপিএসহ কামিল ও ও দাওরাতে ১ম শ্রেণী থাকতে হবে বলে জানানো হয়।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ইমাম নিয়োগ
মন্তব্য করুন
১৮তম
শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আগামী ১৫ মার্চ অনুষ্ঠিত
হবে। সকালে স্কুল-২ ও স্কুল
পর্যায় এবং বিকেলে কলেজ
পর্যায়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) পরীক্ষা মূল্যায়ন ও প্রত্যয়ন পরিচালক (উপসচিব) মো. আবদুর রহমানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে
বলা হয়েছে, আগামী ১৫ মার্চ (শুক্রবার)
সকাল সাড়ে ৯টা থেকে
বেলা সাড়ে ১০টা পর্যন্ত
স্কুল-২ ও স্কুল
পর্যায়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বিকেল
সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে
৪টা পর্যন্ত কলেজ পর্যায়ের পরীক্ষা
অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে, কয়েক বছর ধরে স্কুল ও কলেজ পর্যায়ের পরীক্ষা পৃথক পৃথক দিনে অনুষ্ঠিত হলেও এবারই প্রথম একইদিনে নিয়োগ পরীক্ষার সূচি ঠিক করেছে এনটিআরসিএ। এনটিআরসিএর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এসএসসি পরীক্ষা, বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা, সিটি করপোরেশন ও উপজেলা নির্বাচনসহ নানা কারণে এবার একদিনে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গত বছরের ৪ নভেম্বর ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। এতে আবেদন করেছেন ১৮ লাখ ৬৫ হাজারের বেশি প্রার্থী।
প্রিলিমিনারিতে
১০০ নম্বরের বহু নির্বাচনী (এমসিকিউ)
পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে
প্রার্থীদের। এ ধাপে বাংলা,
ইংরেজি, গণিত ও সাধারণ
জ্ঞানে ২৫ করে মোট
১০০ নম্বর। পাস নম্বর ৪০।
প্রতিটি প্রশ্নের মান ১। ভুল
উত্তরের জন্য শূন্য দশমিক
২৫ নম্বর করে কাটা পড়বে।
তিনটি পর্যায়ে অর্থাৎ স্কুল পর্যায়, স্কুল পর্যায়-২ ও কলেজ
পর্যায়ে পৃথক প্রশ্নপত্রে পরীক্ষার্থীদের
প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নেওয়া হবে।
শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা প্রিলিমিনারি
মন্তব্য করুন
১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আগামী ১৫ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। সকালে স্কুল-২ ও স্কুল পর্যায় এবং বিকেলে কলেজ পর্যায়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) পরীক্ষা মূল্যায়ন ও প্রত্যয়ন পরিচালক (উপসচিব) মো. আবদুর রহমানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।