নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৫৮ এএম, ৩১ মে, ২০২০
ক্যারিয়ার বা জীবিকা নির্বাচন। মানুষের জীবনের বলতে গেলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ এটি। কারণ এই সমাজে বাঁচার জন্য আমরা সবাই একটি পরিচয় খুঁজি কিংবা মানবসভ্যতাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কোন কাজ করতে চাই। আর এভাবে গড়ে উঠে আমাদের পেশা বা জীবিকা। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে শৈশব থেকেই অনেকাংশে মা-বাবা তার সন্তান বড় হয়ে কি হবে তা ঠিক করে দিয়ে থাকেন। আমাদের অনেকেই শিক্ষা জীবন শুরু করেন ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে। স্কুলে পড়ার সময় মনে ই হতো না যে এর বাইরে কোন পেশা বা জীবিকা রয়েছে। তাই চলুন জেনে নেই কিভাবে নির্বাচন করবেন আপনার ক্যারিয়ার সেই বিষয়ে।
আমরা স্কুল জীবন থেকে মা-বাবা, শিক্ষক, আত্মীয় কিংবা শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছ থেকে বড় হয়ে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হতে হবে এই প্রত্যাশা নিয়ে বড় হয়ে উঠি। শিক্ষা জীবনের শুরু থেকেই বেছে নিতে হচ্ছে সাইন্স, কমার্স বা হিউম্যানিজম ইত্যাদি গ্রুপ। এই বিষয়ে পড়াশোনা করার সময় ই আমাদের মনে একটা প্রথাগত ধারণা তৈরি হয়ে যায় যে সাইন্স এ পড়লেই বুঝি আমি বড় হয়ে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হয়ে যাচ্ছি। কমার্স এ পড়াশোনা শেষ করেই আমি হয়ে উঠবো বড় ব্যবসায়ী। আর হিম্যানিজম পড়ে হব শিক্ষক। অবশ্য বর্তমানে এই ধারণার কিছুটা হলেও পরিবর্তিত হয়েছে বলে মনে হয়। যদিও গবেষণা থেকে প্রাপ্ত কোন তথ্য উপাত্ত নেই।
পেশা বা জীবিকা এমন একটা বিষয়, যার সাথে প্রত্যেকটা মানুষকে কম করে ২০ থেকে ৩০ বৎসর জড়িত থাকতে হয়। কোন কোন সময় তার চেয়েও বেশি। ফলে ঐ কাজের প্রতি বা পেশার প্রতি যদি ভালবাসা না থাকে তাহলে অনেক ক্ষেত্রেই পেশাটি একঘেয়েমি হয়ে উঠে বা লাগে। তাই ভালবাসা নিয়ে কোন একটি পেশায় থাকার জন্য অবশ্যই ভালবাসা আর আন্তরিকতা নিয়ে কোন একটি পেশায় আসা উচিত। আর এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্ব দেওয়া উচিত নিজের ভালোলাগাকে। আর এ ক্ষেত্রে সবার আগে নিজেকে ভালোভাবে চেনা জরুরী। নিজেকে ভালোভাবে না চিনতে পারলে, কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাস কাজ করে না। কারণ ক্যারিয়ার বাছাই করার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল আপনার স্কিল বা দক্ষতা, আপনার ভালোলাগা এই বিষয়টি বুঝতে হবে। অনুধাবণ করতে হবে, তবেই আপনি সাহস করতে পারবেন নিজের সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে।
আপনি যদি স্কুল জীবন থেকেই ডাক্তার হতে চান, কোন সমস্যা নেই। আপনি এই পেশা সম্পর্কে ভাল করে জানুন। পরিচিত যে কার কাছ থেকে তথ্য নিন। এখন ইন্টারনেটে সার্চ করলেই অনেক কিছু জানা যায়। ক্যারিয়ার ঠিক করার আগে আপনার দেশের কোন সেক্টরে দক্ষ জনশক্তি দরকার সে বিষয়ে খোঁজ নিন। কারণ বর্তমান বিশ্ব খুব দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। পূর্বের প্রথাগত জীবিকা বা পেশার বাইরে এখন অনেক নতুন নতুন কাজের ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে, হচ্ছে। ফলে শিক্ষা জীবনের শুরুতে যদি এই বিষয়গুলো নিয়ে ভাবতে পারেন সাহস করে আত্মবিশ্বাস নিয়ে একটা সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। তবে হয়ত আপনার জীবনের মোড় ঘুরে যেতে পারে। সেইসাথে উচ্চতর শিক্ষা শেষে নিজেকে সমাজের বা পরিবারের বোঝা মনে হবে না। জীবন নিয়ে হতাশ হবেন না।
তাই ক্যারিয়ার নির্বাচন করার আগে অবশ্যই আপনার ভাল লাগা, মন্দ লাগা, নিজের দক্ষতা, সীমাবদ্ধতা, শক্তি বা দুর্বলতাগুলো ভালোভাবে চিহ্নিত করে লেগে থাকুন। দেখবেন একটা সময় আপনি ঐ পেশায় সফল হওয়ার পাশাপাশি অনেকের জন্যই উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবেন।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা তৃতীয়
ধাপের সংশোধিত ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে (তিন পার্বত্য জেলা
বাদে ২১টি জেলা) লিখিত পরীক্ষার উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪৬ হাজার ১৯৯ জন।
সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত দেড়টায় এ ফলাফল প্রকাশ করা হয়। গণশিক্ষা
মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান জানান, তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় ৪৬ হাজার
১৯৯ জন প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে।
এর আগে রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে এই পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়।
পরে রাতে মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, প্রকাশিত প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের
ফলে ত্রুটি ধরা পড়েছে। মেঘনা ও যমুনা সেটের পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র মূল্যায়নে কারিগরি
ত্রুটি পরিলক্ষিত হওয়ায় এ দুই সেটের ফল আজ রাত ১২টার পর প্রকাশ করা হবে। সেই সংশোধিত
ফল রাতে প্রকাশ করা হয়।
গত ২৯ মার্চ এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন
৩ লাখ ৪৯ হাজার ২৯৩ জন
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট www.mopme.gov.bd এবং
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.dpe.gov.bd -তে ফলাফল পাওয়া যাবে। উত্তীর্ণ
পরীক্ষার্থীরা মোবাইলেও মেসেজ পাবেন।
মৌখিক পরীক্ষার তারিখ, সময় ও স্থান পরবর্তীতে জানানো হবে। গত বছরের
১৪ জুন এ নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়।
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ফল প্রকাশ
মন্তব্য করুন
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রো-ভিসি) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ
মিজানুর রহমানের নিয়োগের আদেশ স্থগিত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নিয়োগের প্রজ্ঞাপন
জারির কয়েক ঘণ্টা পরই বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) রাতে ‘জনস্বার্থে’ জারি করা আরেকটি আদেশে
নিয়োগ স্থগিতের তথ্য জানানো হয়েছে।
আদেশে বলা হয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের
৪ এপ্রিল তারিখের প্রজ্ঞাপনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য হিসেবে অধ্যাপক মোহাম্মদ
মিজানুর রহমানের নিয়োগাদেশ নির্দেশক্রমে স্থগিত করা হলো।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বিকেলে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও
উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব শতরূপা তালুকদারের সই করা প্রজ্ঞাপনে ‘রাষ্ট্রপতির
আদেশক্রমে’ তাকে নিয়োগ দেওয়ার কথা জানানো হয়।
অধ্যাপক মিজানুর রহমানের নিয়োগের বিষয়টি জানাজানি হলে সামনে আসে
২০২১ সালের একটি যৌন হয়রানির অভিযোগ। তাতে দেখা যায়, মিজানুর রহমান যখন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট
অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড রিসার্চের (নিটার) দায়িত্বে ছিলেন, তখন তার বিরুদ্ধে
নারী সহকর্মীরা যৌন হয়রানি ও নিপীড়নের অভিযোগ করেছিলেন।
প্রো-ভিসি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপ-উপাচার্য
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদপ্তরের (এনএসআই) নতুন মহাপরিচালক
(ডিজি) হিসেবে মেজর জেনারেল মো. হোসাইন আল মোরশেদ পিএসসিকে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। মঙ্গলবার
(২ এপ্রিল) এ আদেশ জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
ওই আদেশে বলা হয়, সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা বিএ-৪৩১৪ মেজর জেনারেল
মো. হোসাইন আল মোরশেদকে এনএসআইর মহাপরিচালক পদে প্রেষণে নিয়োগের জন্য তার চাকরি প্রধানমন্ত্রীর
কার্যালয়ে ন্যস্ত করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতির উপসচিব আব্দুল্লাহ আরিফ মোহাম্মদ স্বাক্ষরিত এ আদেশ জনস্বার্থে অবিলম্বে কার্যকর করা হবে বলে জানানো হয়।
মন্তব্য করুন