নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:০১ এএম, ১৩ জুন, ২০২০
বাংলাদেশে চাকরির বাজারে শিক্ষিত বেকার তরুণদের প্রতিনিয়ত ভিড় বাড়ছে। প্রতি বৎসর হাজার হাজার শিক্ষিত তরুণ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করে নামছে চাকরি খোঁজার এই প্রতিযোগিতায়। অনেকেরই চাকরি পেতে চলে যাচ্ছে ৩/৪ বৎসর। আবার কারো কারো শেষ হয়ে যাচ্ছে সরকারি চাকরির বয়স। দীর্ঘ এই সময়ে অনেকেই থাকেন নানা আর্থিক টানা পোড়েনের মধ্যে। তাই চাকরির প্রস্তুতি নেওয়ার এই সময়ে করতে পারেন নানা খন্ডকালীন কাজ। তাই চলুন জেনে নেই এমন কিছু খন্ডকালীন কাজের বিষয়ে।
কল সেন্টার
বাংলাদেশের মুঠোফোন কোম্পানিগুলো বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের কল সেন্টারে বেশ কিছু স্বল্পকালীন চাকরির সুযোগ করে দিয়েছে। অনেক শিক্ষার্থী এখন কল সেন্টারে কাজ করছেন। এক্ষেত্রে প্রাধান্য পাচ্ছেন ইংরেজি জানা, ভালো কণ্ঠ ও যোগাযোগে দক্ষ তরুণ-তরুণীরা। পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টার শিফটে এমন কাজের জন্য থাকে আকর্ষণীয় সম্মানী।
প্রকাশনা সংস্থা
প্রকাশনা সংস্থায় কাজের ক্ষেত্রে লেখার হাত ভালো হলে দেড় হাজার থেকে শুরু করে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করার সুযোগ আছে। শুধু দরকার লেখালেখির প্রতি একনিষ্ঠতা। অনেক শিক্ষক, অধ্যাপকও প্রকাশনায় লিখে থাকেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সহ বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রকাশনা সংস্থাগুলোয় কাজ করে থাকেন। অনেক সময় এ ধরণের কাজের জন্য সরাসরি গিয়ে একটা লিখিত পরীক্ষা দিতে হয়।
ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট
ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট মূলত স্মার্ট তরুণ-তরুণীদের কাজ। এ ধরণের কাজের জন্য যোগাযোগে দক্ষতার প্রয়োজন হয়। বিভিন্ন ব্র্যান্ড প্রমোট করা, ক্যাম্পেইন কিংবা অনুষ্ঠান আয়োজনে সহায়তা করা ইত্যাদি কাজগুলো করা হয়ে থাকে। প্রতিদিন ৪শ’ থেকে শুরু করে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করা যায়। ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টে শেখার অনেক কিছু আছে। বিভিন্ন দেশের, এলাকার বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ে। সেইসাথে এই ধরণের কাজের মাধ্যমে শিখতে পারবেন কর্পোরেট দুনিয়ার হালচাল। বেশিরভাগ ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি যেকোনো কাজের আগে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে।
বিজ্ঞাপনী সংস্থা
বিজ্ঞাপনী সংস্থায় উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়া সম্ভব। একটি ভালো বিজ্ঞাপন ধারণার মূল্য অনেক। পড়ালেখার পাশাপাশি সৃজনশীল পেশায় যুক্ত হতে চাইলে প্রথম পছন্দ হতে পারে বিজ্ঞাপনী সংস্থাগুলো। সৃজনশীল যে কেউ বিজ্ঞাপনী সংস্থায় কাজ করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে লেখালেখি, গ্রাফিকস, ক্লায়েন্ট ধারণা ও উপস্থাপন দক্ষতা বেশ কাজে দেয়।
সুপার শপ
সময়ে প্রয়োজনে রাজধানী ঢাকা কেন্দ্রিক তৈরি হয়েছে অনেক সুপারশপ। আগোরা কিংবা মীনা বাজারের মতো সুপার শপগুলোতে কাজ করছেন অনেকে। তাই অলস সময় পাড় না করে আপনিও এখানে কাজ করতে পারেন।
এফএম রেডিও
এফএম রেডিওতে পার্টটাইম বা ফুলটাইম কাজ করতে পারেন শিক্ষার্থীরা। তবে এ ক্ষেত্রে প্রমিত উচ্চারণ, ইংরেজি ও বাংলায় দক্ষতা থাকার পাশাপাশি সমকালীন বিশ্ব সম্পর্কে একটু খোঁজ খবর রাখা লাগে। এইসাথে পার্টটাইম কাজ করে ভালো লাগলে পরবর্তীতে স্থায়ী হওয়ার সুযোগ রয়েছে এখানে।
এসব কাজের বাইরেও খন্ডকালীন কাজের কোন শেষ নেই। আপনি আপনার দক্ষতা অনুযায়ী করতে পারেন অসংখ্য খন্ডকালীন কাজ। তবে এসব কাজের জন্য প্রযুক্তিগত দক্ষতা সাম্প্রতিক সময়ে বেশ গুরুত্ব পাচ্ছে। তাই কম্পিউটার চালনাসহ দরকারি দক্ষতাগুলো অর্জন করতে পারলেই আপনি এই সমস্ত কাজে এগিয়ে থাকবেন। ভৌগোলিক দিক থেকে আপনি যদি গ্রামে থেকে থাকেন, তাহলে অবদান রাখতে পারেন গ্রামীণ অর্থনীতিতেও। এতে করে আপনি যেমন হতাশ হবেন না, তেমনি এগিয়ে যাবে আমাদের সামগ্রিক অর্থনীতি।
মন্তব্য করুন
৪১তম বিসিএস জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় পিএসসি
মন্তব্য করুন
২০২৪ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৩ হাজার ৭৮১ জন শিক্ষক নিয়োগ হবে। ২০২৩ সালে প্রাথমিকে ৩৭ হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
চলতি বছরে এ নিয়োগ কার্যক্রম শেষ হলে প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত হবে ১:৩০, অর্থাৎ প্রতি ৩০ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে একজন শিক্ষক। যা এসডিজি অর্জনের পথে অনেক ধাপে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষা।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সচিব ফরিদ আহাম্মদ এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
সচিব জানান, স্বাধীনতা পর একসঙ্গে সর্বোচ্চ ৫১ হাজার ৩৫৫ জন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এই নিয়োগের ধারাবাহিকা অব্যাহত থাকবে। শিক্ষক নিয়োগের এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে ২০৩০ সালের মধ্যে শিক্ষক শিক্ষার্থীর অনুপাত ১:৩০ করার এসডিজির যে লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে তার আগেই আমরা পূরণ করতে পারবো।
ফরিদ আহাম্মদ জানান, আগামী ৩ বছরের মধ্যে ঢাকা মহানগরীর বিদ্যমান ৩৪২টি সরকারি প্রাথমিক অবকাঠামো/পরিবর্তন উন্নয়ন করে দৃষ্টিনন্দন করা হবে। এছাড়া উত্তরাতে ৩টি ও পূর্বাচলে ১১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নতুনভাবে স্থাপন করা হবে। এরই মধ্যে ১৫৬টি বিদ্যালয়ের মাস্টার প্ল্যান অনুমোদন করা হয়েছে, তারমধ্যে ৪৩টি বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজ চলমান।
এর আগে, ৩ মার্চ জাতীয় সংসদে সরকারি দলের সদস্য এম আবদুল লতিফের লিখিত এক প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী জানিয়েছেন, গেল এক যুগে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২ লাখ ৩৮ হাজার ৫৭৯ জন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এই সময়ে বেসরকারি ও রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ লাখ ৪ হাজার ৮৭৫ শিক্ষকের চাকরি সরকারিকরণ করা হয়েছে।
প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) কেন্দ্রীয় মসজিদে ইমাম নিয়োগ দেবে কর্তৃপক্ষ। আগামীকাল ৬ ফেব্রুয়ারি এই পদের নিয়োগ বোর্ড অনুষ্ঠিত হবে। নিয়োগের জন্য প্রার্থীকে সুবক্তা মুফতি ও কারী হতে হবে। আর কোরআনের হাফিজ প্রার্থীদের অধিকার দেয়া হবে। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর সূত্র তথ্যটি নিশ্চিত করেছে।
তথ্য মতে, এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম ও খতিব হিসেবে সর্বশেষ দায়িত্বপালন করেছেন ড. আ স ম শোয়াইব আহমেদ। সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ২০২৩ সালের ১০ জুন তিনি মারা যান। দীর্ঘ ২৬ বছরের অধিক সময় ধরে তিনি ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ইমামতির পাশাপাশি তিনি ধর্ম প্রচার, অর্থসহ আল কোরআন ও সালাত শিক্ষা, হিফযুল কোরআন কোর্স, ইংরেজি ও আরবি ভাষা শিক্ষা কোর্স পরিচালনা করতেন। তার মৃত্যুর তিনমাস পর ১লা অক্টোবর ইমাম নিয়োগের (স্থায়ীপদ, গ্রেড নবম) বিজ্ঞপ্তি প্রদান করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রার্থীর বয়স কমপক্ষে ৩৫ বছর হতে হবে এবং সুবক্তা মুফতি ও কারী হতে হবে। চাকুরীরত প্রার্থীকে কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। আর কোরআনে হাফিজ প্রার্থীকে অধিকার দেয়া হবে। একইসঙ্গে শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে ইসলামী শিক্ষার সকল পর্যায়ে ২ শ্রেণী/সমমন সিজিপিএসহ মাস্টার্স ডিগ্রী / ৪ বছর মেয়াদী স্নাতক (সম্মান) সহ ০১ টিতে ১ম শ্রেণী অথবা শিক্ষার সকল পর্যায়ে ২য় বিভাগ শ্রেণী/সমমান সিজিপিএসহ কামিল ও ও দাওরাতে ১ম শ্রেণী থাকতে হবে বলে জানানো হয়।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ইমাম নিয়োগ
মন্তব্য করুন
১৮তম
শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আগামী ১৫ মার্চ অনুষ্ঠিত
হবে। সকালে স্কুল-২ ও স্কুল
পর্যায় এবং বিকেলে কলেজ
পর্যায়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) পরীক্ষা মূল্যায়ন ও প্রত্যয়ন পরিচালক (উপসচিব) মো. আবদুর রহমানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে
বলা হয়েছে, আগামী ১৫ মার্চ (শুক্রবার)
সকাল সাড়ে ৯টা থেকে
বেলা সাড়ে ১০টা পর্যন্ত
স্কুল-২ ও স্কুল
পর্যায়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বিকেল
সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে
৪টা পর্যন্ত কলেজ পর্যায়ের পরীক্ষা
অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে, কয়েক বছর ধরে স্কুল ও কলেজ পর্যায়ের পরীক্ষা পৃথক পৃথক দিনে অনুষ্ঠিত হলেও এবারই প্রথম একইদিনে নিয়োগ পরীক্ষার সূচি ঠিক করেছে এনটিআরসিএ। এনটিআরসিএর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এসএসসি পরীক্ষা, বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা, সিটি করপোরেশন ও উপজেলা নির্বাচনসহ নানা কারণে এবার একদিনে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গত বছরের ৪ নভেম্বর ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। এতে আবেদন করেছেন ১৮ লাখ ৬৫ হাজারের বেশি প্রার্থী।
প্রিলিমিনারিতে
১০০ নম্বরের বহু নির্বাচনী (এমসিকিউ)
পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে
প্রার্থীদের। এ ধাপে বাংলা,
ইংরেজি, গণিত ও সাধারণ
জ্ঞানে ২৫ করে মোট
১০০ নম্বর। পাস নম্বর ৪০।
প্রতিটি প্রশ্নের মান ১। ভুল
উত্তরের জন্য শূন্য দশমিক
২৫ নম্বর করে কাটা পড়বে।
তিনটি পর্যায়ে অর্থাৎ স্কুল পর্যায়, স্কুল পর্যায়-২ ও কলেজ
পর্যায়ে পৃথক প্রশ্নপত্রে পরীক্ষার্থীদের
প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নেওয়া হবে।
শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা প্রিলিমিনারি
মন্তব্য করুন
১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আগামী ১৫ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। সকালে স্কুল-২ ও স্কুল পর্যায় এবং বিকেলে কলেজ পর্যায়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) পরীক্ষা মূল্যায়ন ও প্রত্যয়ন পরিচালক (উপসচিব) মো. আবদুর রহমানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।