নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:০১ এএম, ২৪ জুলাই, ২০২০
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের কারণে সারা বিশ্ব জুড়ে বাড়ছে বেকারত্ব। আর্থিক ক্ষতির হাত থেকে বাঁচতে ছোট বড় সকল প্রতিষ্ঠানই করছে কর্মী ছাঁটাই। আর এতে করে জীবন ও জীবিকার উপর চাপ অনেকখানি বেড়েছে। দিশেহারা হয়ে শহর ছাড়ছে মানুষ। নাড়ীর টানে সবাই ফিরে চলছে গ্রামে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ব্রাকের করা এক গবেষণায় উঠে আসে এমন চিত্র। করোনা সংক্রমণের একেবারে শুরুতে করা গবেষণা ফলাফলে তারা জানান ৫০ হাজার পরিবারের ঢাকা ছাড়ার কথা। যদিও এই সংখ্যা ধীরে ধীরে কেবল বাড়ছে। অনেকে এখনো ঢাকা ছাড়ছেন। আর এতে করে রাজধানী ঢাকা অনেকটাই চাপ মুক্ত হবে। চাপ মুক্ত হবে নগর ও শহর কেন্দ্রিক গড়ে উঠা ভাসমান অর্থনীতি। সেইসাথে আবার উৎপাদনমুখী হয়ে উঠবে গ্রামীণ অর্থনীতি।
সম্পদের পর্যাপ্ততা
একটা সময় গ্রামে বিদ্যুৎ ছিল না। যাতায়াতের জন্য ছিল না কোন রাস্তাঘাট। কিন্তু এখন আর এই সমস্যা নেই। উৎপাদন কাজের জন্য সবচেয়ে অপরিহার্য সম্পদ হচ্ছে বিদ্যুৎ। আর এই বিদ্যুৎ নিয়ে এখন কোন সমস্যা নেই। সেইসাথে যোগাযোগ ব্যবস্থাও এখন আগের চেয়ে অনেক ভালো। আর উৎপাদন কাজের জন্য জন্য দরকারি কাঁচামালও গ্রামে রয়েছে। ফলে সম্পদের দিক থেকে গ্রামকে এখনো স্বয়ংসম্পূর্ণ বলা চলে। তাই সম্পদের এই প্রাচুর্যতাকে কাজে লাগিয়ে গ্রামকে উৎপাদনমুখী করা সম্ভব। তাই গ্রামে ফিরে বিচলিত না হয়ে গ্রামীণ অর্থনীতিকে সচল করে তুলুন। সেইসাথে সৃষ্টি করুন কর্মসংস্থান। এতে করে খুব সহজেই ঘটবে আর্থনৈতিক বিকেন্দ্রীকরণ।
মৌলিক উৎপাদন
করোনার কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে সবচেয়ে বেশি চাপ পড়েছে পুঁজিবাদী ব্যবস্থার উপর। কারণ মানুষ এখন আর বেশি বেশি ভোগ করছে না। সেইসাথে সংকুচিত হয়ে পড়েছে বিলাসিতা। সবাই এখন মৌলিক চাহিদায় ফিরে গেছে। ব্যাক টু দ্য ব্যাসিক বলা চলে। করোনায় সবচেয়ে ভালো আছে গ্রামগুলো। কারণ গ্রাম এখনো মৌলিক চাহিদার উপর নির্ভর করে চলছে। তাই গ্রামীণ উৎপাদনও মৌলিক। সেখানে অপ্রয়োজনীয় বা বিলাসী পণ্য তৈরি হয় না। তাই গ্রামীণ অর্থনীতিকে কাজে লাগিয়ে মৌলিক উৎপাদন ব্যবস্থার সাথে সম্পৃক্ত হন।
বিকেন্দ্রীকরণ
করোনার এই সময়ে গ্রামীণ অর্থনীতিকে সচল করা গেলে খুব দ্রুত একটা আর্থনৈতিক বিকেন্দ্রীকরণ ঘটবে। এতে করে খুব দ্রুত কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। আর এভাবে একটা সময়ে বেকারত্ব দূরীকরণ ঘটবে। ফলে গ্রাম থেকে কাউকে কাজের আশায় শহরে ছুটে আসতে হবে না। আর এই বিকেন্দ্রীকরণের কারণে শহরের পরিবেশ দূষণ থেকে শুরু করে অপরাধ কিংবা বর্জ্য সকল কিছুই হ্রাস পাবে। এতে করে যেমন দূষণ কমবে, তেমনি কমবে যানজট। সেইসাথে জীবনযাত্রার মাণ কিছুটা হলেও বাড়বে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা তৃতীয়
ধাপের সংশোধিত ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে (তিন পার্বত্য জেলা
বাদে ২১টি জেলা) লিখিত পরীক্ষার উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪৬ হাজার ১৯৯ জন।
সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত দেড়টায় এ ফলাফল প্রকাশ করা হয়। গণশিক্ষা
মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান জানান, তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় ৪৬ হাজার
১৯৯ জন প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে।
এর আগে রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে এই পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়।
পরে রাতে মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, প্রকাশিত প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের
ফলে ত্রুটি ধরা পড়েছে। মেঘনা ও যমুনা সেটের পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র মূল্যায়নে কারিগরি
ত্রুটি পরিলক্ষিত হওয়ায় এ দুই সেটের ফল আজ রাত ১২টার পর প্রকাশ করা হবে। সেই সংশোধিত
ফল রাতে প্রকাশ করা হয়।
গত ২৯ মার্চ এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন
৩ লাখ ৪৯ হাজার ২৯৩ জন
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট www.mopme.gov.bd এবং
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.dpe.gov.bd -তে ফলাফল পাওয়া যাবে। উত্তীর্ণ
পরীক্ষার্থীরা মোবাইলেও মেসেজ পাবেন।
মৌখিক পরীক্ষার তারিখ, সময় ও স্থান পরবর্তীতে জানানো হবে। গত বছরের
১৪ জুন এ নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়।
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ফল প্রকাশ
মন্তব্য করুন
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রো-ভিসি) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ
মিজানুর রহমানের নিয়োগের আদেশ স্থগিত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নিয়োগের প্রজ্ঞাপন
জারির কয়েক ঘণ্টা পরই বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) রাতে ‘জনস্বার্থে’ জারি করা আরেকটি আদেশে
নিয়োগ স্থগিতের তথ্য জানানো হয়েছে।
আদেশে বলা হয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের
৪ এপ্রিল তারিখের প্রজ্ঞাপনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য হিসেবে অধ্যাপক মোহাম্মদ
মিজানুর রহমানের নিয়োগাদেশ নির্দেশক্রমে স্থগিত করা হলো।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বিকেলে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও
উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব শতরূপা তালুকদারের সই করা প্রজ্ঞাপনে ‘রাষ্ট্রপতির
আদেশক্রমে’ তাকে নিয়োগ দেওয়ার কথা জানানো হয়।
অধ্যাপক মিজানুর রহমানের নিয়োগের বিষয়টি জানাজানি হলে সামনে আসে
২০২১ সালের একটি যৌন হয়রানির অভিযোগ। তাতে দেখা যায়, মিজানুর রহমান যখন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট
অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড রিসার্চের (নিটার) দায়িত্বে ছিলেন, তখন তার বিরুদ্ধে
নারী সহকর্মীরা যৌন হয়রানি ও নিপীড়নের অভিযোগ করেছিলেন।
প্রো-ভিসি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপ-উপাচার্য
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদপ্তরের (এনএসআই) নতুন মহাপরিচালক
(ডিজি) হিসেবে মেজর জেনারেল মো. হোসাইন আল মোরশেদ পিএসসিকে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। মঙ্গলবার
(২ এপ্রিল) এ আদেশ জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
ওই আদেশে বলা হয়, সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা বিএ-৪৩১৪ মেজর জেনারেল
মো. হোসাইন আল মোরশেদকে এনএসআইর মহাপরিচালক পদে প্রেষণে নিয়োগের জন্য তার চাকরি প্রধানমন্ত্রীর
কার্যালয়ে ন্যস্ত করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতির উপসচিব আব্দুল্লাহ আরিফ মোহাম্মদ স্বাক্ষরিত এ আদেশ জনস্বার্থে অবিলম্বে কার্যকর করা হবে বলে জানানো হয়।
মন্তব্য করুন