নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:১৪ এএম, ০৪ অগাস্ট, ২০২০
বিশ্বে যা-কিছু মহান সৃষ্টি চির-কল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর। কাজী নজরুলের এই উক্তি যেন সবার মুখেই শোনা যায়। কিন্তু মুখে বলা কথা কি সবসময় মন থেকে মানা যায়? কেউ হয়তো মানে আর কেউ মানে না। বাংলাদেশে শিক্ষা ক্ষেত্রে নারীরা অদম্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। বেশ কয়েক বৎসর ধরেই এসএস সি ফলাফলে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা এগিয়ে। শিক্ষার সবচেয়ে কার্যকর বয়স হল ১৫ থেকে ২৪ বছর। সেখানেও মেয়েদের অবস্থান ছেলেদের তুলনায় ভালো। ইউএনডিপির প্রতিবেদন বলছে, এই বয়সীদের গড় শিক্ষার হার হচ্ছে ৭৫.৪ শতাংশ। এর মধ্যে মেয়েদের ৭৬.৬ শতাংশ এবং ছেলেদের ৭৪ শতাংশ। প্রাথমিক শিক্ষায় ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রেও এমনটা দেখা যায়। প্রাথমিকে মেয়েদের পরিসংখ্যান ৯৮.৮ শতাংশ আর ছেলেদের ৯৬.৬ শতাংশ। এমনটা দেখা উচ্চ শিক্ষায়ও। বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তেও মেয়েরা ঈর্ষণীয় ফলাফল করছে। সেইসাথে বিবিএ’র মতো বেশ কয়েকটি বিষয়ে মেয়েদের সংখ্যাও ছেলেদের চেয়ে বেশি।
কিন্তু শিক্ষা ক্ষেত্রে মেয়েদের যতটা দাপুটে অংশগ্রহণ। চাকরিতে কিংবা পেশাদার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে যেন তা নেই। ক্লাশরুমে মেয়েদের অংশগ্রহণ চিত্রের সাথে কর্মক্ষেত্রের চিত্র যেন সম্পূর্ণ বিপরীত। এমনটা দেখা যায় বোর্ড ফলাফলের মেধা তালিকা থেকে শুরু করে নিয়োগ তালিকাতেও। পাশের চিত্রে মেয়েরা সংখ্যা গরিষ্ঠ হলেও সরকারি বেসরকারি নিয়োগ তালিকায় মেয়েদের নাম খুব একটা দেখা যায় না।
মানসিকতা
শিক্ষা ক্ষেত্রে মেয়েরা যতোটা এগিয়ে কর্মক্ষেত্রে যেন ঠিক ততোটাই পিছিয়ে। আর এমনটার পেছনে নেতিবাচক সামাজিক মানসিকতাকে দায়ী করা হয়ে থাকে। সমাজ বিজ্ঞানীরা মনে করেন, কর্মক্ষেত্রে নারীদের পিছিয়ে থাকার ক্ষেত্রে সমাজের নেতিবাচক মানসিকতা অনেকাংশে দায়ী। কারণ নারীর চাকরি করাটাকে আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় ভালো চোখে দেখা হয় না। নারী হয়ে কেউ চাকরি করবে এমনটা লোকজন পছন্দই করেন না। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়গুলোতে ধীরে ধীরে এই অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। এই উন্নতি সামগ্রিকভাবে না ঘটলেও অন্তত কিছুটা হলেও হচ্ছে।
বিয়ে
আমাদের দেশে নারীর চাকরি বা পেশার ক্ষেত্রে বিয়ে অনেক বড় একটা বিষয় হয়ে উঠে। কারণ বিয়ের আগে চাকরি করতে পারলেও বিয়ের পরে এই বিষয়ে অনেক জটিলটা তৈরি হয়। অবশ্য আর্থিক দিক চিন্তা করে এখন অনেকেই স্ত্রীর চাকরির ক্ষেত্রে বাঁধা হচ্ছে না। তবে এটা অনেকাংশে সমাজের নিন্মবিত্তদের মধ্যে প্রচলিত। উচ্চ শিক্ষিত নারীদের বড় অংশই কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করতে পারছে না। অবশ্য মধ্যবিত্ত পরিবারের শিক্ষিত নারীদের কেউ কেউ শিক্ষকতার মতো পেশায় যাচ্ছে। কিন্তু এর বাইরে খুব একটা দেখা যায় না। আবার এর বাইরের পেশাগুলোতে যারা আছে। তারাও নানা সংগ্রাম করে টিকে আছে বলে জানা যায়। কারণ অনেক সময় নানা গঞ্জনা শুনতে হয়। আর সামাজিক নানা শৃঙ্খল বা উড়ো কথা তো আছেই।
উপার্জন
আমাদের সমাজ বাস্তবতায় পুরুষকেই উপার্জনকারী হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। অর্থ উপার্জনের বিষয়টা পুরুষদের উপরেই থাকে। আর নারী কাজ কেবল ঘরের মধ্যে এমনটাই ভাবা হয়ে থাকে। বর্তমান সমাজ বাস্তবতায় এই রকম রীতিই প্রচলিত হয়ে উঠেছে। অবশ্য এটা যে হাজার বৎসরের বাঙালি সংস্কৃতি এমনটা বলা যাবে না। কারণ চর্যাপদে নারীদের কৃষি কাজসহ বিভিন্ন পেশায় যুক্ত থাকার বিষয়ে জানা যায়। তাই আমাদের সংস্কৃতিতে নারীরা বাইরে কাজ করত না, এমনটা বলা যায় না।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা তৃতীয়
ধাপের সংশোধিত ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে (তিন পার্বত্য জেলা
বাদে ২১টি জেলা) লিখিত পরীক্ষার উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪৬ হাজার ১৯৯ জন।
সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত দেড়টায় এ ফলাফল প্রকাশ করা হয়। গণশিক্ষা
মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান জানান, তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় ৪৬ হাজার
১৯৯ জন প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে।
এর আগে রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে এই পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়।
পরে রাতে মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, প্রকাশিত প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের
ফলে ত্রুটি ধরা পড়েছে। মেঘনা ও যমুনা সেটের পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র মূল্যায়নে কারিগরি
ত্রুটি পরিলক্ষিত হওয়ায় এ দুই সেটের ফল আজ রাত ১২টার পর প্রকাশ করা হবে। সেই সংশোধিত
ফল রাতে প্রকাশ করা হয়।
গত ২৯ মার্চ এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন
৩ লাখ ৪৯ হাজার ২৯৩ জন
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট www.mopme.gov.bd এবং
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.dpe.gov.bd -তে ফলাফল পাওয়া যাবে। উত্তীর্ণ
পরীক্ষার্থীরা মোবাইলেও মেসেজ পাবেন।
মৌখিক পরীক্ষার তারিখ, সময় ও স্থান পরবর্তীতে জানানো হবে। গত বছরের
১৪ জুন এ নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়।
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ফল প্রকাশ
মন্তব্য করুন
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রো-ভিসি) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ
মিজানুর রহমানের নিয়োগের আদেশ স্থগিত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নিয়োগের প্রজ্ঞাপন
জারির কয়েক ঘণ্টা পরই বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) রাতে ‘জনস্বার্থে’ জারি করা আরেকটি আদেশে
নিয়োগ স্থগিতের তথ্য জানানো হয়েছে।
আদেশে বলা হয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের
৪ এপ্রিল তারিখের প্রজ্ঞাপনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য হিসেবে অধ্যাপক মোহাম্মদ
মিজানুর রহমানের নিয়োগাদেশ নির্দেশক্রমে স্থগিত করা হলো।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বিকেলে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও
উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব শতরূপা তালুকদারের সই করা প্রজ্ঞাপনে ‘রাষ্ট্রপতির
আদেশক্রমে’ তাকে নিয়োগ দেওয়ার কথা জানানো হয়।
অধ্যাপক মিজানুর রহমানের নিয়োগের বিষয়টি জানাজানি হলে সামনে আসে
২০২১ সালের একটি যৌন হয়রানির অভিযোগ। তাতে দেখা যায়, মিজানুর রহমান যখন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট
অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড রিসার্চের (নিটার) দায়িত্বে ছিলেন, তখন তার বিরুদ্ধে
নারী সহকর্মীরা যৌন হয়রানি ও নিপীড়নের অভিযোগ করেছিলেন।
প্রো-ভিসি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপ-উপাচার্য
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদপ্তরের (এনএসআই) নতুন মহাপরিচালক
(ডিজি) হিসেবে মেজর জেনারেল মো. হোসাইন আল মোরশেদ পিএসসিকে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। মঙ্গলবার
(২ এপ্রিল) এ আদেশ জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
ওই আদেশে বলা হয়, সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা বিএ-৪৩১৪ মেজর জেনারেল
মো. হোসাইন আল মোরশেদকে এনএসআইর মহাপরিচালক পদে প্রেষণে নিয়োগের জন্য তার চাকরি প্রধানমন্ত্রীর
কার্যালয়ে ন্যস্ত করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতির উপসচিব আব্দুল্লাহ আরিফ মোহাম্মদ স্বাক্ষরিত এ আদেশ জনস্বার্থে অবিলম্বে কার্যকর করা হবে বলে জানানো হয়।
মন্তব্য করুন