নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:১৪ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২০
করোনার কারণে দীর্ঘদিন ধরেই বন্ধ ছিল চাকরির নিয়োগ পরীক্ষা। সেইসাথে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিও বন্ধ ছিল দীর্ঘদিন। কিন্তু জীবন-জীবিকা সবকিছু স্বাভাবিক হওয়ার সাথে সাথে স্বাভাবিক হচ্ছে চাকরির বাজারও। সেইসাথে সরকারি ও বেসরকারি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিও শুরু হয়ে গেছে। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে চাকরির পরীক্ষা গ্রহণও।
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, করোনায় স্থগিত হওয়া বেশ কিছু নিয়োগ পরীক্ষা আবার শুরু হয়েছে। গত ১৫ আগস্ট ফায়ার সার্ভিসের ফায়ারম্যান পদের নিয়োগের পরীক্ষা হয়ে গেছে। এ প্রতিষ্ঠানের স্টাফ অফিসার, জুনিয়র প্রশিক্ষক ও স্টেশন অফিসার পদে ৭৩ জন প্রার্থীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা ৭ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। এখন যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়েছে।
সরকারি ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষাও শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে। জানা যায়, কিছু নিয়োগ পরীক্ষা স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে। এ ছাড়া সরকারি ৫ ব্যাংকের অফিসার (ক্যাশ) ১ হাজার ৫১১টি শূন্য পদে এমসিকিউ এবং লিখিত পরীক্ষা শিগগিরই অনুষ্ঠিত হবে। সরকারি সাতটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ‘সিনিয়র অফিসার’ পদে নিয়োগ পরীক্ষার প্রবেশপত্র সংগ্রহের সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ৭৭১টি শূন্য পদে নিয়োগের উদ্দেশ্যে এমসিকিউ এবং লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য অনলাইনে আবেদন করা প্রার্থীদের প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে। এই পরীক্ষাও শীঘ্রই হবে।
তাছাড়া, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বাংলা বিষয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষার তারিখ জানিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন। ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা শুরু হবে বলে জানানো হয়। ইউজিসি ২৫টি পদে ৩৭ জনকে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি পুনঃপ্রকাশ করে আবেদনের সময় বাড়ানো হয়েছে। সেইসাথে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) ৬০০ সিনিয়র স্টাফ নার্স নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিও আবার প্রকাশ করেছে। ফলে সবকিছু মিলিয়ে চাকরি প্রার্থীদের জন্য বিষয়গুলো সুখবরই বটে।
তাছাড়া, বয়স শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে যারা আবেদন করা নিয়ে জটিলতায় ছিলেন, তাদের সেই সমস্যারও সমাধান করে দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। কারোনাকালীন সময়ে বয়স শেষ হয়ে যাওয়া চাকরি প্রার্থীদেরকে আরও ৫ মাস সময় বাড়িয়ে দিয়েছে মন্ত্রণালয়। আর এতে করে তারা সামনের নিয়োগের জন্য আবেদন করা নিয়ে কোন প্রকার জটিলতায় থাকবে না।
মন্তব্য করুন
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপের ঢাকা
ও চট্টগ্রাম (তিন পার্বত্য জেলা বাদে) বিভাগের ২১ জেলায় পরীক্ষা শুরু আজ (শুক্রবার)।
সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে চলবে বেলা ১১টা পর্যন্ত।
৬ হাজার ২০২টি আসনের বিপরীতে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা তিন লাখ ৪৯
হাজার ২৯৩ জন। এ পরীক্ষায় মোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৪১৪টি।
এদিকে এই পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে সতর্কবার্তা পাঠিয়েছেন প্রাথমিক
শিক্ষা অধিদপ্তর। এতে বলা হয়েছে, এ নিয়োগ পরীক্ষায় মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতেই চাকরি
হবে। অর্থ লেনদেন বা অন্য কোনো অনৈতিক উপায়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে
নিয়োগ পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
মন্তব্য করুন
৪১তম বিসিএস জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় পিএসসি
মন্তব্য করুন
২০২৪ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৩ হাজার ৭৮১ জন শিক্ষক নিয়োগ হবে। ২০২৩ সালে প্রাথমিকে ৩৭ হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
চলতি বছরে এ নিয়োগ কার্যক্রম শেষ হলে প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত হবে ১:৩০, অর্থাৎ প্রতি ৩০ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে একজন শিক্ষক। যা এসডিজি অর্জনের পথে অনেক ধাপে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষা।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সচিব ফরিদ আহাম্মদ এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
সচিব জানান, স্বাধীনতা পর একসঙ্গে সর্বোচ্চ ৫১ হাজার ৩৫৫ জন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এই নিয়োগের ধারাবাহিকা অব্যাহত থাকবে। শিক্ষক নিয়োগের এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে ২০৩০ সালের মধ্যে শিক্ষক শিক্ষার্থীর অনুপাত ১:৩০ করার এসডিজির যে লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে তার আগেই আমরা পূরণ করতে পারবো।
ফরিদ আহাম্মদ জানান, আগামী ৩ বছরের মধ্যে ঢাকা মহানগরীর বিদ্যমান ৩৪২টি সরকারি প্রাথমিক অবকাঠামো/পরিবর্তন উন্নয়ন করে দৃষ্টিনন্দন করা হবে। এছাড়া উত্তরাতে ৩টি ও পূর্বাচলে ১১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নতুনভাবে স্থাপন করা হবে। এরই মধ্যে ১৫৬টি বিদ্যালয়ের মাস্টার প্ল্যান অনুমোদন করা হয়েছে, তারমধ্যে ৪৩টি বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজ চলমান।
এর আগে, ৩ মার্চ জাতীয় সংসদে সরকারি দলের সদস্য এম আবদুল লতিফের লিখিত এক প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী জানিয়েছেন, গেল এক যুগে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২ লাখ ৩৮ হাজার ৫৭৯ জন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এই সময়ে বেসরকারি ও রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ লাখ ৪ হাজার ৮৭৫ শিক্ষকের চাকরি সরকারিকরণ করা হয়েছে।
প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) কেন্দ্রীয় মসজিদে ইমাম নিয়োগ দেবে কর্তৃপক্ষ। আগামীকাল ৬ ফেব্রুয়ারি এই পদের নিয়োগ বোর্ড অনুষ্ঠিত হবে। নিয়োগের জন্য প্রার্থীকে সুবক্তা মুফতি ও কারী হতে হবে। আর কোরআনের হাফিজ প্রার্থীদের অধিকার দেয়া হবে। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর সূত্র তথ্যটি নিশ্চিত করেছে।
তথ্য মতে, এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম ও খতিব হিসেবে সর্বশেষ দায়িত্বপালন করেছেন ড. আ স ম শোয়াইব আহমেদ। সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ২০২৩ সালের ১০ জুন তিনি মারা যান। দীর্ঘ ২৬ বছরের অধিক সময় ধরে তিনি ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ইমামতির পাশাপাশি তিনি ধর্ম প্রচার, অর্থসহ আল কোরআন ও সালাত শিক্ষা, হিফযুল কোরআন কোর্স, ইংরেজি ও আরবি ভাষা শিক্ষা কোর্স পরিচালনা করতেন। তার মৃত্যুর তিনমাস পর ১লা অক্টোবর ইমাম নিয়োগের (স্থায়ীপদ, গ্রেড নবম) বিজ্ঞপ্তি প্রদান করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রার্থীর বয়স কমপক্ষে ৩৫ বছর হতে হবে এবং সুবক্তা মুফতি ও কারী হতে হবে। চাকুরীরত প্রার্থীকে কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। আর কোরআনে হাফিজ প্রার্থীকে অধিকার দেয়া হবে। একইসঙ্গে শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে ইসলামী শিক্ষার সকল পর্যায়ে ২ শ্রেণী/সমমন সিজিপিএসহ মাস্টার্স ডিগ্রী / ৪ বছর মেয়াদী স্নাতক (সম্মান) সহ ০১ টিতে ১ম শ্রেণী অথবা শিক্ষার সকল পর্যায়ে ২য় বিভাগ শ্রেণী/সমমান সিজিপিএসহ কামিল ও ও দাওরাতে ১ম শ্রেণী থাকতে হবে বলে জানানো হয়।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ইমাম নিয়োগ
মন্তব্য করুন