নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৫৯ এএম, ২২ নভেম্বর, ২০২০
রায়হান ভুঞা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ শেষ করেছেন ২ বছর হল। কিন্তু এখনো পর্যন্ত নিজের ক্যারিয়ার গুছাতে পারছেন না। বিসিএস এর পেছনে না ছুটে তাই বিকল্প চাকরির কথা ভাবছেন রায়হান। কিন্তু কোনদিকে যাবেন। ব্যাংক, এনজিও নাকি বেসরকারি কোন প্রতিষ্ঠান বা ফার্মে জব নিবেন- বুঝতে পারছেন না রায়হান। শুধু রায়হান নয়, উচ্চ শিক্ষ শেষে কোন চাকরিতে যাওয়া উচিত; কি করা উচিত এমন ভাবনায় আছেন অনেকেই। তাই চলুন জেনে নেই কোন চাকরি করা উচিত এই রকম কিছু বিষয়ে।
এনজিও
একটা সময় দেশে সবচেয়ে আকর্ষণীয় চাকরির মধ্যে অন্যতম ছিল বিভিন্ন এনজিও ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের চাকরি। আন্তর্জাতিক গ্রেডে দেওয়া এই সমস্ত চাকরির বেতন ছিল অনেক বেশী। কিন্তু বর্তমানে এই চাকরিগুলো আর আগের মতো আকর্ষণীয় নেই। প্রচুর পরিমাণ দেশীয় এনজিও প্রতিষ্ঠান হওয়ায় বেতন গ্রেড অনেকাংশে কমে গেছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে বাড়েনি। কিছু প্রতিষ্ঠানে দাতা সংস্থার তহবিল আগের চেয়ে কমে গেছে। আর একটি বিষয় হল ধীরে ধীরে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় ঢুকে পরছে। এতে করে অনেক সাহায্য সহযোগিতাই আর আগের মতো বা এখনকার মতো আসবে না। তাছাড়া, অভিজ্ঞতা, দক্ষতা ও সহ শিক্ষা কার্যক্রম সবকিছু মিলিয়ে এনজিও ও আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থার চাকরিগুলো আর আগের মতো নেই।
বেসরকারি চাকরি
বেসরকারি চাকরি দেশে প্রচুর পরিমাণে বাড়বে। সামনের দিনগুলোতে দেশে প্রচুর পরিমাণ বিনিয়োগ হবে বলেই আশা করা হচ্ছে। কারণ পদ্মাসেতু ও দেশে চলমান মেগা প্রকল্পগুলো শেষ হলেই দেশি বিদেশী বিনিয়োগ অনেকাংশে বাড়বে। জিডিপির আকারও অনেক বড় হবে। ফলে বেসরকারি চাকরির বাজার অনেক বড় ও বিস্তৃত হবে। তবে একটা শঙ্কা থেকেই যাবে। আর তা হল প্রতিযোগিতা। বেসরকারি চাকরি গুলো হয় যোগ্যতার ভিত্তিতে। চাকরির ধরণের দিক থেকে এই চাকরিগুলো স্থায়ি নয়। তবে যোগ্যতা ও দক্ষতা দিয়ে আপনি অনেক উপরে উঠতে পারবেন। শুরুতে বেতন মন্দ হলেও একটা নির্দিষ্ট সময় পরে আশানুরূপের চেয়ে কম নয়। ফলে ক্যারিয়ারে যারা প্রতিযোগিতা পছন্দ করেন তাদের জন্য এ ধরণের চাকরি মন্দ নয়।
সরকারি চাকরি
সরকারি চাকরি নিয়ে তো কিছু বলারই নেই। এখন দেশের তরুণদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী যে ক্রেজিনেস কাজ করছে- তাহলো বিসিএস। বিসিএস কর্মকর্তা হওয়ার জন্য সবাই এখন উঠে পরে লেগেছে। তবে একটা বিষয় বলে রাখি- দেশের সরকারি চাকরি গুলো আর নচিকেতার গানের মতো নেই। ঢিলেমি করে দিন পার করে দিতে পারবেন, এমন প্রত্যাশা অন্তত ছেড়ে দেওয়াই ভালো। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে সরকারি অফিসগুলোও এখন কর্মীর দক্ষতা যাচাই ও মূল্যায়ন করছে। বর্তমান সময়ে চাকরির নিশ্চয়তা এবং সুযোগ-সুবিধা সবকিছু মিলিয়ে সরকারি চাকরির চাহিদাই বাড়ছে। মেধবিরা এখনে যেন হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। হয়তো একটা সময় পরে অন্য চাকরির গুলোতে মেধা শূন্যতা তৈরি হবে। তখন তারাও সুযোগ সুবিধা বাড়িয়ে দিবে। যাই হোক, জীবন আপনার। তাই সিদ্ধান্তও আপনার।
তবে একটা কথা, শুধু অর্থ বা সামাজিক মর্যাদার কথা ভেবে চাকরির সিদ্ধান্ত না নিয়ে নিজের মনকে জিজ্ঞেস করুন। চাকরি পেতে অসুস্থ প্রতিযোগিতায় না গিয়ে আপনার কাছে কোন কাজটা ভালো লাগে, আপনার আত্মতুষ্টি কোথায় এটাকে গুরুত্ব দিন। তাহলে জীবন নিয়ে অন্তত হতাশ হবেন না। মনে রাখবেন আত্মিক সুখ চাকরি কিংবা জীবিকার চেয়ে অনেক বড়।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা তৃতীয়
ধাপের সংশোধিত ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে (তিন পার্বত্য জেলা
বাদে ২১টি জেলা) লিখিত পরীক্ষার উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪৬ হাজার ১৯৯ জন।
সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত দেড়টায় এ ফলাফল প্রকাশ করা হয়। গণশিক্ষা
মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান জানান, তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় ৪৬ হাজার
১৯৯ জন প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে।
এর আগে রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে এই পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়।
পরে রাতে মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, প্রকাশিত প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের
ফলে ত্রুটি ধরা পড়েছে। মেঘনা ও যমুনা সেটের পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র মূল্যায়নে কারিগরি
ত্রুটি পরিলক্ষিত হওয়ায় এ দুই সেটের ফল আজ রাত ১২টার পর প্রকাশ করা হবে। সেই সংশোধিত
ফল রাতে প্রকাশ করা হয়।
গত ২৯ মার্চ এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন
৩ লাখ ৪৯ হাজার ২৯৩ জন
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট www.mopme.gov.bd এবং
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.dpe.gov.bd -তে ফলাফল পাওয়া যাবে। উত্তীর্ণ
পরীক্ষার্থীরা মোবাইলেও মেসেজ পাবেন।
মৌখিক পরীক্ষার তারিখ, সময় ও স্থান পরবর্তীতে জানানো হবে। গত বছরের
১৪ জুন এ নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়।
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ফল প্রকাশ
মন্তব্য করুন
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রো-ভিসি) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ
মিজানুর রহমানের নিয়োগের আদেশ স্থগিত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নিয়োগের প্রজ্ঞাপন
জারির কয়েক ঘণ্টা পরই বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) রাতে ‘জনস্বার্থে’ জারি করা আরেকটি আদেশে
নিয়োগ স্থগিতের তথ্য জানানো হয়েছে।
আদেশে বলা হয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের
৪ এপ্রিল তারিখের প্রজ্ঞাপনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য হিসেবে অধ্যাপক মোহাম্মদ
মিজানুর রহমানের নিয়োগাদেশ নির্দেশক্রমে স্থগিত করা হলো।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বিকেলে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও
উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব শতরূপা তালুকদারের সই করা প্রজ্ঞাপনে ‘রাষ্ট্রপতির
আদেশক্রমে’ তাকে নিয়োগ দেওয়ার কথা জানানো হয়।
অধ্যাপক মিজানুর রহমানের নিয়োগের বিষয়টি জানাজানি হলে সামনে আসে
২০২১ সালের একটি যৌন হয়রানির অভিযোগ। তাতে দেখা যায়, মিজানুর রহমান যখন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট
অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড রিসার্চের (নিটার) দায়িত্বে ছিলেন, তখন তার বিরুদ্ধে
নারী সহকর্মীরা যৌন হয়রানি ও নিপীড়নের অভিযোগ করেছিলেন।
প্রো-ভিসি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপ-উপাচার্য
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদপ্তরের (এনএসআই) নতুন মহাপরিচালক
(ডিজি) হিসেবে মেজর জেনারেল মো. হোসাইন আল মোরশেদ পিএসসিকে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। মঙ্গলবার
(২ এপ্রিল) এ আদেশ জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
ওই আদেশে বলা হয়, সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা বিএ-৪৩১৪ মেজর জেনারেল
মো. হোসাইন আল মোরশেদকে এনএসআইর মহাপরিচালক পদে প্রেষণে নিয়োগের জন্য তার চাকরি প্রধানমন্ত্রীর
কার্যালয়ে ন্যস্ত করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতির উপসচিব আব্দুল্লাহ আরিফ মোহাম্মদ স্বাক্ষরিত এ আদেশ জনস্বার্থে অবিলম্বে কার্যকর করা হবে বলে জানানো হয়।
মন্তব্য করুন