ক্লাব ইনসাইড

রাবির সাবেক ভিসি আব্দুস সোবহান কি আইনের ঊর্ধ্বে?

প্রকাশ: ০৫:৩৭ পিএম, ০৬ মে, ২০২২


Thumbnail রাবির সাবেক ভিসি আব্দুস সোবহান কি আইনের ঊর্ধ্বে?

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সাবেক উপাচার্য এম আব্দুস সোবহান তার দ্বিতীয় মেয়াদের শেষ দিনে ১৩৮ জনকে অবৈধভাবে নিয়োগ দিয়ে তুমুল সমালোচিত হয়েছিলেন। এরই প্রেক্ষিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের করা তদন্ত কমিটিও অভিযোগের সত্যতা পেয়ে প্রতিবেদন দেয়। এই ঘটনার এক বছর পেরিয়ে গেলেও তার বিরুদ্ধে নেয়া হয়নি কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। একইসাথে অবিলম্বে সাবেক উপাচার্য এম আব্দুস সোবহানের শাস্তি দাবি করেছেন তাঁরা।

এর আগে, ২০২০ সালে সাবেক উপাচার্য এম আব্দুস সোবহানের বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, আর্থিক লেনদেনসহ নানা অনিয়মের একাধিক অভিযোগ এনে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর দফতরে চিঠি পাঠায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬২ জন শিক্ষক। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, নিয়োগ পাওয়ার পরপরই ২০১৭ সালের ২১ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতিকে অসত্য তথ্য দিয়ে উপাচার্য পদকে ১ দিনের জন্য শূন্য রেখে নিজের বিভাগ থেকে অবসর নেন তিনি। এছাড়াও মেয়ে ও জামাইকে নিয়োগ দিতে ২০১৭ সালের আগস্টে বিদ্যমান বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ নীতিমালায় যোগ্যতা শিথিল করেন।

এছাড়াও তিনি নিম্নস্তরের কর্মচারী নিয়োগে বয়স বাড়িয়ে শিক্ষাগত যোগ্যতাও কমিয়েছিলেন। এম আব্দুস সোবহানের দায়িত্বকালে প্রায় ৩৮ কোটি টাকার তিনটি বৃহৎ প্রকল্প অনুমোদন পায়। অভিযোগ রয়েছে, এসব প্রকল্পের খরচে অতিরিক্ত মূল্য ধরে তিনি অনুগত ও পছন্দের ব্যক্তিদের দায়িত্ব দিয়েছেন। এছাড়াও তার অনুগত ও পছন্দের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরদের স্বজনদেরও নানা পদে নিয়োগ দেয়ার অভিযোগও রয়েছে।

এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ডুপ্লেক্স বাড়ি ১৮ মাস নানা অজুহাতে দখলে রাখেন, যার ফলে প্রায় সাড়ে ৫ লাখ টাকার রাজস্ব ক্ষতি হয়। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে ২০২০ সালেই তদন্ত কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তদন্ত কমিটি এসব অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পায়। এরপর এম আব্দুস সোবহানসহ ঘনিষ্ঠজনদের সম্পদের গোয়েন্দা তদন্ত, তার মেয়ে-জামাতাসহ ৩৪ জন শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল, কোষাধ্যক্ষকে অপসারণসহ একাধিক সুপারিশ করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরনের নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

কিন্তু গত বছর ৬ মে বিদায়কালে মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করেই ১৩৮ জনকে বিভিন্ন পদে নিয়োগ দিয়ে যান এম আব্দুস সোবহান। একই দিন এই ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পরে গত বছর সেপ্টেম্বরে সুপারিশসহ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় কমিটি। এই তদন্তে বিদায়কালে এম আব্দুস সোবহানের দেয়া নিয়োগে অনিয়ম খুঁজে পাওয়া যায় বলে জানান ওই কমিটির এক সদস্য। এছাড়া ওই বছরের সেপ্টেম্বরে ১৩৮ জনের নিয়োগে স্থগিতাদেশ দেয়ার পাশাপাশি নিয়োগ বাতিল ও এম আব্দুস সোবহানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার প্রশ্নে রুল জারি করে হাইকোর্ট।

ওই সময় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কমিটির এক সদস্য জানান, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার আলোকে নিয়োগের ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে কিছু সুপারিশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বিতর্কিত ১৩৮ জনের নিয়োগে এম আব্দুস সোবহানকে মূল অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। তার ওপর দেশত্যাগেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা আছে।

এসব নিয়োগে বিদায়ী ভিসির সহযোগী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে তার জামাতা ও আইবিএ প্রভাষক এটিএম শাহেদ পারভেজ, ডেপুটি রেজিস্ট্রার ইউসুফ আলী, সহকারী রেজিস্ট্রার তারিকুল আলম ও সহকারী রেজিস্ট্রার মামুন অর রশীদকে। তাদের সকলের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

এদিকে, অনিয়ম করেও শাস্তির না পাওয়ায় হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী অর্বাক আদিত্য বলেন, নিয়োগবাণিজ্য, সিন্ডিকেটে মন মতো নিয়ম পরিবর্তন করে নিজের মেয়ে জামাইকে নিয়োগ, কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগেও তার অনিয়মের অভিযোগ গণমাধ্যমে দেখেছি। এসব অভিযোগের তদন্ত হয়েছে, সত্যতাও মিলেছে। কিন্তু তিনি কেন বিচারের মুখোমুখি হলেন না তা আমরা জানি না। তাকে বিচারের মুখোমুখি না করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নোংরা রাজনীতি, অযোগ্য ব্যক্তি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আসার স্রোত বন্ধ করা সম্ভব হবে না। এইটা জাতির জন্য, দেশের জন্য, একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য দীর্ঘমেয়াদী একটা ক্ষতির কারণ।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়   রাবি  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

ইবিতে গণরুমে র‌্যাগিংয়ের সত্যতা মিলেছে, সর্বোচ্চ শাস্তির সুপারিশ


Thumbnail লালন শাহ হল, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

সম্প্রতি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) লালন শাহ হলের গণরুমে এক নবীন ছাত্রকে র‌্যাগিং, বিবস্ত্র করে কুরুচিপূর্ণ আচরণ ও রড দিয়ে শারীরিকভাবে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠে।

এ ঘটনায় প্রশাসন ও হল প্রশাসন পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। উভয় কমিটি অভিযুক্ত ৩ শিক্ষার্থীর সরাসরি সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে। এর মধ্যে দুইজনের নির্যাতনের মাত্রা বেশি ছিল। যার ফলে তাদের বিধি অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি ও কম জড়িত থাকা এক শিক্ষার্থীকে সতর্ক করার সুপারিশ করা হয়েছে। পরবর্তীতে ছাত্র-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় আলোচনা সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কর্তৃপক্ষ।

এঘটনায় গুরুতর অভিযুক্ত দুইজন হলেন, শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের মুদাচ্ছির খান কাফি এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের মোহাম্মদ সাগর। এছাড়া ইতিহাস বিভাগের উজ্জ্বল হোসেন নামেও একজন জড়িত ছিল। তারা সকলেই ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-ফিকহ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

তদন্ত কমিটি সূত্রে জানা যায়, গত ৭ ফেব্রুয়ারি ইবির লালন শাহ হলের গণরুমে (১৩৬ নং কক্ষ) এক ছাত্রকে বিবস্ত্র করে রাতভর র‌্যাগিং করা হয়। এসময় কথা না শুনলে তাকে লোহার রড দিয়ে পেটানো হয়। এক পর্যায়ে ভুক্তভোগীকে উলঙ্গ করে পর্ণগ্রাফি দেখে অশ্লীল অঙ্গ-ভঙ্গি করতে বাধ্য করে নির্যাতনকারীরা।

এদিকে ওই কক্ষে প্রায়ই র‌্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটে বলে সাক্ষাতকার দেওয়া শিক্ষার্থীরা তদন্ত কমিটির কাছে জানিয়েছে। এছাড়াও প্রশাসনের গঠিত কমিটির ১৪ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংযুক্ত করা হয়েছে।

হল কর্তৃপক্ষের গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ড. আলতাফ হোসেন বলেন, ‘সোমবার তদন্ত প্রতিবেদন হল প্রভোস্ট বরাবর জমা দিয়েছি। আমরা ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। বিধি অনুযায়ী শাস্তি দিতে কর্তৃপক্ষকে সুপারিশ করা হয়েছে।’

লালন শাহ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আকতার হোসেন বলেন, ‘আমরা তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। জড়িতদের শাস্তির সুপারিশ করে আমরা তদন্ত প্রতিবেদন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে প্রেরণ করেছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিধি অনুযায়ী তাদের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’

প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা বলেন, ‘আমরা ঈদের আগেই তদন্ত কার্যক্রম শেষ করেছি। ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। আমরা জড়িতদের বিষয়ে প্রশাসন বরাবর বিধি অনুযায়ী শাস্তির সুপারিশ করেছি।’


ইবি   র‌্যাগিং   গণরুম  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

চুয়েটের ২ শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় বাসে আগুন

প্রকাশ: ১০:৪৬ এএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাঙ্গুনিয়ায় বাস ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই ছাত্র নিহতের ঘটনায় সোমবার রাতে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের সড়কে একটি বাসে আগুন দেয়। 

সোমবার বিকেল ৩টার দিকে দিকে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের সেলিমা কাদের কলেজ গেট এলাকায় বাস ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে শান্ত সাহা ও তৌফিক হোসেন নামে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই ছাত্র নিহত হন।

ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক আবদুল মালেক জানান, ‘রাতে চুয়েট সংলগ্ন সড়কে শাহ আমানত নামে একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। খবর পেয়ে রাঙ্গুনিয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশন থেকে দুইটি গাড়ি গিয়ে আগুন নেভায়। 

ঘটনার পরপরই চুয়েট ক্যাম্পাস ও আশপাশের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এ সময় শাহ আমানত লাইনের ৪টি বাস আটকে রাখে শিক্ষার্থীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়।


চুয়েট   শিক্ষার্থী   নিহত   বাস   আগুন  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

কুবিতে অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত

প্রকাশ: ০২:৩১ পিএম, ২২ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

প্রচন্ড তাপদাহের কারনে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) প্রশাসন৷ রবিবার (২১ এপ্রিল) ৮০ তম একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভা শেষে বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন।

 

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈন বলেন, 'সকল ক্লাস রুটিন মোতাবেক অনলাইনে নেওয়া হবে। তবে সেমিস্টার ফাইনালের পরীক্ষা চলমান থাকবে৷ এই পরীক্ষাসমূহ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত শ্রেণী কক্ষে নেওয়া হবে। পাশাপাশি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত আগামী ২ মে পর্যন্ত সকল মিডটার্ম ও ক্লাস টেস্ট স্থগিত থাকবে। এ সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন সেবা অর্ধেক চলমান থাকবে।'

 

উল্লেখ্য, বৈশাখের শুরু থেকে বাড়তে থাকা তাপমাত্রায় জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে গেলে সরকার দেশের সমস্ত স্কুল কলেজ ৭ দিনের জন্য ছুটি ঘোষণা করে। এছাড়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সকল কলেজের ক্লাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে।


তাপদাহ   অনলাইন ক্লাস   কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

রাবিতে স্ব-শরীরেই চলবে ক্লাস-পরীক্ষা

প্রকাশ: ০৪:১৬ পিএম, ২১ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সারাদেশে বয়ে চলেছে তীব্র তাপদাহ। এরইমধ্যে শনিবার (২০ এপ্রিল) থেকে দেশের স্কুল কলেজ সাত দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। তবে, স্ব-শরীরে ক্লাস চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তপক্ষ।

 

রবিবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রণব কুমার পাণ্ডে এ তথ্য জানান। 

 

তিনি বলেন, ‘সারাদেশে চলমান হিটওয়েভের কারনে গতকাল থেকে দেশের স্কুল কলেজ আগামী ১ সপ্তাহ বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। সেই ঘোষণার পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সকলের মধ্যে একটি উৎকণ্ঠা তৈরি হয়। আজ রবিবার মাননীয় উপাচার্যের নেতৃত্বে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সিদ্ধান্ত হয় আগামী ৩০ তারিখ পর্যন্ত ক্লাস পরীক্ষা যথারীতি চলবে।’


এদিকে রবিবার (২১ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় চলমান তাপদাহের কারনে অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। ওই দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে প্রকাশিত পৃথক দুটি বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা যায়।


তীব্র তাপদাহ   রাবি   স্কুল কলেজ বন্ধ ঘোষণা   হিটওয়েভে  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

তীব্র গরমে ঢাবিতে অনলাইন ক্লাসের সিদ্ধান্ত, চলবে পরীক্ষা

প্রকাশ: ০২:১৬ পিএম, ২১ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দেশজুড়ে চলমান তীব্র তাপদাহের কারণে আগামী ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত মাধ্যমিক পর্যায়ের বিদ্যালয়, কলেজ ও মাদ্রাসায় ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। এবার তীব্র তাপদাহের কারণে ঢাবিতেও অনির্দিষ্টকালের জন্য অনলাইন ক্লাসের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

রবিবার (২১ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতরের পরিচালক মাহমুদ আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সারাদেশের উপর দিয়ে প্রবহমান তীব্র তাপদাহ (হিট ওয়েভ)-এর কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন ক্লাস অনুষ্ঠিত হবে। তবে পরীক্ষাসমূহ যথারীতি চলমান থাকবে। উল্লেখ্য, বর্তমানে প্রচলিত ১০% অনলাইন ক্লাসের পরিবর্তে শতভাগ অনলাইন ক্লাস অনুষ্ঠিত হবে।

এছাড়াও বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষার্থীদের হল অথবা বাসার বাইরে আসতে চাইলে স্বাস্থ্য ঝুঁকি এড়াতে কিছু পরামর্শও দেওয়া হয়।

পরামর্শগুলো হলো, সাদা বা হালকা রঙের ঢিলেঢালা সুতির পোশাক পরিধান করা, যথাসম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে থাকা, বাইরে যেতে হলে মাথার জন্য চওড়া কিনারাযুক্ত টুপি, ক্যাপ বা ছাতা ব্যবহার করা, বিশুদ্ধ পানি পান করা, প্রয়োজনে লবনযুক্ত তরল যেমন- খাবার স্যালাইন ইত্যাদি পান করা, তাপমাত্রা বৃদ্ধিকারী পানীয় যেমন- চা কফি পান থেকে বিরত থাকা।

প্রসঙ্গত, শনিবার (২০ এপ্রিল) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, আগামী ৭ দিন সারা দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ থাকবে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চলমান তাপদাহে শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় আগামী ২১ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের বিদ্যালয় ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টারগুলো বন্ধ থাকবে। এর আগে, সকালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শুধু অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।

এছাড়া, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চলমান তাপদাহ ও আবহাওয়া দপ্তরের সতর্কতা জারির পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের সব স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।


অনলাইন ক্লাস   পরীক্ষা   তাপদাহ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন