ক্লাব ইনসাইড

ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে সারাদেশে ছাত্রদলের ২ দিনের কর্মসূচি

প্রকাশ: ০৯:৪৩ এএম, ২৫ মে, ২০২২


Thumbnail ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে সারাদেশে ছাত্রদলের ২ দিনের কর্মসূচি

দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে দুই দিনের বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে ছাত্রদল।

মঙ্গলবার (২৪ মে) রাতে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবন এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন।

দুই দিনের কর্মসূচিতে থাকছে- আগামী ২৬ মে সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়) ও ২৭ মে সারাদেশের জেলা ও মহানগরে বিক্ষোভ সমাবেশ।

সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল অভিযোগ করেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সশস্ত্র হামলায় ছাত্রদলের নারী নেত্রীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ৮০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অনেকের অবস্থা সঙ্কটাপন্ন। ক্যাম্পাসে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি পালনের সময় ছাত্রলীগ হকিস্টিক, রড, রামদা, চাপাতি ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এই হামলা চালায়।

তিনি বলেন, ছাত্রদলের নেত্রী মানসুরা আলম, রেহেনা আক্তার শিরীন, শানজিদা ইয়াসমিন তুলি, সৈয়দা সুমাইয়া পারভীন, তন্বী মল্লিক এই হামলা থেকে রেহাই পাননি। তাদেরও সড়কে ফেলে পেটানো হয়েছে। দুজন ছাত্রদল নেতাকে তুলে নিয়ে শহীদুল্লাহ হলের ড্রেনে ফেলে নির্যাতন করেছে তারা। এছাড়াও বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত নেতাকর্মী ও চিকিৎসকদের হয়রানি করছে ছাত্রলীগের কর্মীরা।



সারাদেশে   ছাত্রদলের   ২ দিনের   কর্মসূচি  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

র‍্যাগিং ও যৌন নিপিড়নের দায়ে জবির ৩ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার

প্রকাশ: ০৫:৫৪ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

র‌্যাগিং ও যৌন নিপিড়নের দায়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) তিন শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিস্কার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বোর্ডের ৬২তম সভায় বহিস্কারের এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। 

 

সাময়িক বহিস্কার হওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন- গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের দুই শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান (মেহেদী কাওছার) ও রাকিব মোল্লা (রাকিব ইসলাম ফারাবি)। তাদের দুজনকে জুনিয়র ব্যাচের শিক্ষার্থীদের র‌্যাগিং দেয়ার অভিযোগে বহিস্কার করা হয়েছে। আরেকজন হলে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আশিকুল ইসলাম আশিক। এ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে একাধিক ছাত্রীকে যৌন নিপিড়নের অভিযোগ রয়েছে। 

 

শৃঙ্খলা কমিটির সদস্য সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বলেন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে র‌্যাগিংয়ের জন্য ব্যবস্থা নিতে দুই জনের নাম প্রস্তাব করা হয়। মেহেদী ও রাকিব নামে ওই দুই শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিস্কার করা হয়েছে। এসময় তাদের ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ থাকবে। এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সদস্যরা হলেন, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ফারহানা জামান, সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার এনামুল হক মোল্লা। 

 

প্রক্টর মোস্তফা কামাল আরো বলেন, এছাড়া আশিকুল ইসলাম নামে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের এক ছাত্রকে একাধিক ছাত্রীকে যৌন নিপিড়নের জন্য সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগ যৌন নিপিড়ন বিরোধী সেল থেকে বহিস্কারের সুপারিশ করা হয়। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নিপিড়ন বিরোধী সেল এই ছাত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্ত করছে।


জবি   শিক্ষার্থী   বহিস্কার  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

ইবি শিক্ষার্থীদের সুনাগরিক ও ভালো মানুষ হওয়ার পরামর্শ দিলেন প্রো-ভিসি

প্রকাশ: ০৫:৩৭ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) প্রথমবারের মতো নবীন শিক্ষার্থীদের আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করে নিয়েছে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ। অনুষদভুক্ত ৮টি বিভাগ থেকে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হওয়া প্রায় পাঁচশত নবীন শিক্ষার্থীকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়। বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে এই আয়োজন করা হয়।

ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামের আহবায়ক ও অর্থনীতি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. কাজী মোস্তফা আরীফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ট্রেজারার অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ কে এম মতিনুর রহমান। এসময় জীব বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. রেজওয়ানুল ইসলাম, প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা, লোক প্রশাসন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি শিরিনা খাতুন, ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি এ এইচ এম নাহিদ, ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি ড. আবু শিবলী মোঃ ফতেহ আলী চৌধুরী, সোস্যাল ওয়েলফেয়ার বিভাগের সভাপতি শ্যাম সুন্দর সরকার এবং শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মিজানুর রহমানসহ অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ইতিহাস-ঐতিহ্য নিয়ে ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। পরে নবীন শিক্ষার্থীদেরকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেয় সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ। পরে নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন অতিথিরা। অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী ইজাজ মাহমুদ অনিক ও ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী লামিয়া হোসেন। পরে মধ্যাহ্নভোজ শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।

সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ কে এম মতিনুর রহমান বলেন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ শুধু ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় নয়, বাংলাদেশ ও বিদেশেও এই অনুষদের গুরুত্ব অনেক। অনুষদের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক স্থাপন ও সবাই যেন একে অপরের সঙ্গে সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি বজায় রাখতে পারে-সেই লক্ষ্যে এই ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামের আয়োজন করা হয়েছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে বেছে নেওয়ার জন্য তোমাদের আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালায়ে পড়তে আসার উদ্দেশ্য হলো সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত ও সুনাগরিক হওয়া। এসময় তিনি একজন নবীন শিক্ষার্থীর দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধ কি তা নিয়ে চিন্তা করা ও সর্বোপরি নিজেকে ভালোমানুষ হিসেবে গড়ে তোলার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানিক জ্ঞান অর্জন ও সিজিপিএ অর্জনের পাশাপাশি তোমাদের প্রকৃত মানুষ হতে হবে। পাশাপাশি বিশ^বিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠন এবং কো-কারিকুলার এক্টিভিটিসের সঙ্গে যুক্ত থেকে নিজের দক্ষতা ও কানেক্টিভিটি বাড়ানোর পরামর্শ দেন তিনি।

উল্লেখ্য, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আটটি অনুষদের অধীনে বর্তমানে ৩৬ টি বিভাগ রয়েছে। এর মধ্যে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে থাকা বিভাগগুলো হলো- অর্থনীতি, লোকপ্রশাসন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, উন্নয়ন অধ্যয়ন, সমাজ কল্যাণ, ফোকলোর স্টাডিজ, কমিউনিকেশন এন্ড মাল্টিমিডিয়া জার্নালিজম এবং শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগ।


কুষ্টিয়া   প্রো-ভিসি   উপদেশ  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

সিট ছাড়তে বলায় হল গেটে তালা মারলেন ছাত্রলীগ নেত্রী

প্রকাশ: ১১:২১ এএম, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) রহমতুন্নেছা হল শাখা ছাত্রলীগের এক নেত্রী অবৈধভাবে হলে অবস্থান করায় তাকে কক্ষ ত্যাগ করার নির্দেশ দিয়েছে হল প্রশাসন। এ নির্দেশ অমান্য করে ওই নেত্রী অন্যান্য হলের নেত্রীদের নিয়ে শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫টার দিকে হল গেটে তালা লাগিয়ে দেন। এতে ভোগান্তিতে পড়েন হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। পরে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা গেলে তালা খুলে দেন।

এ ব্যাপারে হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক হাসনা হেনা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে তার একাডেমিক পড়ালেখা শেষ। তারপরেও সে হলে সিট ধরে রেখেছে। এমনকি কক্ষের আলাদা একটি সিটেও কাউকে ওঠতে দেয় না। এদিকে অনেক গরিব মেধাবী শিক্ষার্থী হলে সিট পাচ্ছে না। তাকে বিষয়টি একাধিকবার বলা হলেও সেটা মানেনি। সে পদের বলে হলে থাকতে চায়। ওই ছাত্রী বলে সে এমফিল করবে কিন্তু এখানে এমফিল শিক্ষার্থীর জন্য কোন সিট নেই। 

জানা গেছে, তন্নী বিশ্ববিদ্যালয়ের চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং হল ছাত্রলীগের সভাপতি। তিনি রহমতুন্নেসা হলের ৪৫৯ নং কক্ষে থাকেন। ছয় মাস আগে তার একাডেমিক পড়াশোনা শেষ হয়েছে। ফলে তার সিটে অন্য ছাত্রীকে এলোট দিয়েছেন হল প্রশাসন। তবে সিট ছাড়তে রাজি নন এই নেত্রী। এ নিয়ে একাধিকবার তাকে নোটিশ করেছে হল প্রশাসন। সর্বশেষ গতকাল রাতে এ নেত্রীকে সিট ছাড়ার নির্দেশ দেন প্রাধ্যক্ষ। কিন্তু সেই নির্দেশ অমান্য করে হল গেটে তালা দেন তন্নি। এ সময় অন্যান্য হল ছাত্রলীগের নেতানেত্রীরা উপস্থিত ছিলেন। 

হল ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না তন্নি বলেন, আমি হল ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্বে আছি। বিভিন্ন প্রয়োজনে ছাত্রীরা আমার কক্ষে আসে। তাই প্রাধ্যক্ষই একটি সিট ফাঁকা রাখতে বলেছিলেন। এখন তিনি ছাত্রলীগকে বিতর্কিত করতে এসব করছেন। এমনকি হলের জুনিয়র ছাত্রীদের দিয়ে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে বিতর্ক ছড়ান তিনি। 

হলে এমফিল শিক্ষার্থীদের থাকার সুযোগ না থাকলেও সিটে ধরে রাখার ব্যাপারে জানতে চাইলে এ নেত্রী জানান, আমি হলে রাজনীতি করি। এ হলে না থাকলে কর্মীদের কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করব। তাই সংগঠনকে গতিশীল রাখতে এ সিটে থাকার কথা বহুবার প্রাধ্যক্ষকে জানিয়েছি।


ছাত্রলীগ নেত্রী   রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়   হল  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

ইবিতে উন্মুক্ত কনসার্ট, আসছে খ্যাতমানা পাঁচ ব্যান্ড দল

প্রকাশ: ০৬:৩৫ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাদ্দাম হোসেন হলের উদ্যোগে প্রবীণ শিক্ষার্থীদের বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে হলের অভ্যন্তরে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এসময় হলটিতে অবস্থানরত ২০১৬-১৭ ও ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের বিদায়ী সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

এদিকে শিক্ষার্থীদের বিদায়ে 'অন্তিম উৎসব' উপলক্ষে উন্মুক্ত কনসার্টের আয়োজন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্রিকেট মাঠে জাঁকজমকপূর্ণ এই কনসার্ট অনুষ্ঠিত হবে।

আয়োজকেরা জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে কনসার্ট শুরু হবে। যা শেষ হবে রাত সাড়ে আটটার দিকে। কনসার্টে দেশের স্বনামধন্য পাঁচটি ব্যান্ডের (সোনার বাংলা সার্কাস, মাশা, দ্যা ভাইপারস, জেমস সম্রাট, ওয়েভ দ্যা ব্যান্ড) শিল্পীরা গান পরিবেশন করবেন।
কনসার্টে প্রায় ৩ হাজার লোকের সমাগম হবে বলে জানিয়েছে আয়োজকেরা।

এদিকে অন্তিম উৎসব উপলক্ষ্যে আজ বুধবার হলে বিতর্ক প্রতিযোগিতা, বিদায়ী সংবর্ধনা ও প্রীতি ভোজের আয়োজন করা হয়েছে। পরে রাত সাড়ে আটটার দিকে আনপ্লাগড সেশনে কনসার্ট অনুষ্ঠিত হবে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধন ৩২ ব্যাচের ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আগত শিল্পীরা এখানে পারফর্ম করবেন।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে সাদ্দাম হোসেন হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান বলেন, মূলত এটা আমাদের হলের ২০১৬-১৭ ও ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান। সেখানে আমরা তাদের বিদায় দিব। এই আয়োজন আমরা হলেই করেছি। কনসার্ট অনুষ্ঠানে পুলিশ প্রশাসন, প্রক্টরিয়াল বডি ও হল বডি সবাই সজাগ থাকবে। ভলান্টিয়ার বাহিনী ও রয়েছে। সকলের সার্বিক সহযোগিতায় আশা করি ভালো ভাবেই অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে৷

অনুষ্ঠানকে ঘিরে নিরাপত্তা জোরদারের বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, আমরা হল কর্তৃপক্ষ, প্রক্টরিয়াল বডি, ইবি থানার ওসির সাথে যৌথভাবে সভা করেছি। এরপর গোয়েন্দা সংস্থা, এনএসআই'র সাথে কথা বলেছি। এছাড়া সার্বিক নিরাপত্তা বিধান করার জন্য দুই জেলার এসপি ও লোকাল দুই থানার ওসির কাছে চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।


ইবি   কনসার্ট  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

ইবিতে কমিউনিটি ডিজিটাল স্টোরি টেলিং ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত

প্রকাশ: ০৮:৩২ পিএম, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ‘কমিউনিটি ডিজিটাল স্টোরি টেলিং ওয়ার্কশপ: লিগ্যাল এন্ড শারিয়াহ পার্সপেক্টিভ’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন একাডেমিক ভবনের ১৩৪ নং কক্ষে এটি অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মশালাটি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ফটোগ্রাফিক সোসাইটি এবং আল ফিকহ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের যৌথভাবে আয়োজন করে। অনুষ্ঠানটির সহযোগিতায় ছিল ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা, মিডিয়া ও যোগাযোগ বিভাগ।

আল ফিকহ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাছির উদ্দীনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির জার্নালিজম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আব্দুল কাবিল খান। অতিথি হিসেবে ছিলেন ইবির আইন বিভাগের প্রফেসর ড. শাহজাহান মন্ডল ও আল ফিকহ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আমজাদ হোসেন।

ইবি ফটোগ্রাফিক সোসাইটির স্ক্রিক্ট রাইটার এন্ড হোস্ট লামিয়া হোসাইনের সঞ্চালনায় কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সভাপতি নাছির উদ্দীন আবির, সাধারণ সম্পাদক হৃদয় তালুকদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন, মাইনুল, সাংগঠনিক সম্পাদক গালিব, দপ্তর সম্পাদক নাইম, কোষাধ্যক্ষ শামিম সহ সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা।

কর্মশালায় কমিউনিটি ডিজিটাল স্টোরি টেলিং ওয়ার্কশপের আইনি দৃষ্টিকোণের উপর আলোচনা করেন প্রফেসর ড. শাহজাহান মন্ডল। এছাড়া এর শরয়ী দৃষ্টিকোণ নিয়ে আলোচনা করেন ড. মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন। তিনি বলেন, মানবতার জন্য দরকারী কাজ করা জায়েয এবং এটা প্রয়োজনের ভিত্তিতে বাধ্যতামূলক ও ওয়াজিব হতে পারে। মিথ্যা বানোয়াট ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করা অবৈধ। কাজটি শরয়ী দৃষ্টিকোণ থেকে বৈধ হতে হলে তথ্যে সততা, ট্রান্সমিশনে নির্ভুলতা এবং বিষয় উপস্থাপনে বস্তুনিষ্ঠতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ হতে হবে। কুৎসা, গীবত, পরচর্চা, কেলেঙ্কারি ও অপবাদ থেকে বিরত থাকতে হবে৷ এছাড়াও তিনি কপিরাইট, স্টোরিটেলিংয়ের শরয়ী চ্যালেন্জ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভূমিকা সহ বিভিন্ন বিষয়ে কুরআন ও হাদীসের দলীল উল্লেখপূর্বক বিস্তারিত আলোচনা করেন।  

ক্যামেরা সেটিংস, সমসাময়িক চাহিদাসম্পন্ন ছবি, স্টোরি আইডিয়া ও রিচার্স সহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন ড. আব্দুল কাবিল খান। তিনি বলেন, যে স্টোরি নিয়ে সমাজে কেউ কথা বলেনা সেটাই স্টোরি। তৃণমূল মানুষদের বিভিন্ন অজানা বিষয় স্টোরি হতে পারে। স্টোরি নির্বাচন করার ক্ষেত্রে সমসাময়িক চাহিদাসম্পন্ন বিষয়কে নির্বাচন করতে হবে। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দর্শক নির্বাচন, কোন মাধ্যমে দর্শক আপনাকে দেখবে তাও ঠিক করতে হবে।

পরে তিনি বিভিন্ন ব্যবহারিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। ক্যামেরা সেটিংস, স্টোরির কোয়ালিটি, এফপিএস (ফ্রেম পার সেকেন্ড), ভিডিওর উপযুক্ত ফ্রেম ব্যবহার সহ নানা বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। কর্মশালায় শেষে অংশ নেওয়া সকল শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট দেওয়া হয়।



মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন