ক্লাব ইনসাইড

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিত ঘোষণা

প্রকাশ: ০৫:১৪ পিএম, ০১ জুলাই, ২০২২


Thumbnail জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিত ঘোষণা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ কমিটিকে স্থগিত ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় কমিটি। একই সব সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।

শুক্রবার (১ জুলাই) দুপুরে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের এক জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সব সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত করা হলো।


জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়   ছাত্রলীগ কমিটি   স্থগিত  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

ইবি'র রংপুর জেলা ছাত্র কল্যাণের নেতৃত্বে মনির-সুমন

প্রকাশ: ০৩:৩৪ পিএম, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) রংপুর জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির আংশিক কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মনিরুজ্জামানকে সভাপতি ও আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের একই শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শামসুজ্জামান সুমনকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সংগঠনের সাবেক সভাপতি ফয়সাল মাহমুদ আল-মারজান ও সাধারণ সম্পাদক হাদিসুর রহমান এই কমিটির অনুমোদন দেন। আগামী এক বছর তারা এ দায়িত্ব পালন করবেন। কমিটির নতুন সভাপতি-সম্পাদককে আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

কমিটির নতুন সভাপতি মনিরুজ্জামান বলেন, "নতুন নেতৃত্ব পাওয়া মানেই নতুনত্ত্বের সংযোজন। শিক্ষা ও সংস্কৃতি বান্ধব জেলা হিসেবে রংপুর জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির গৌরব উজ্জ্বল সুনাম আছে। অগ্রজদের দেখানো পথ ধরে সংগঠনকে আরো বেশি আস্থাশীল, শিক্ষার্থীবান্ধব ও নির্ভরযোগ্য পরিবারে রুপান্তরিত করতে চাই। সকলের সহযোগিতা পেলে উদ্দেশ্যগুলো পুরণ করতে পারবো বলে বিশ্বাস রাখছি।"


রংপুর   জেলা   ছাত্র কল্যাণ  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

ঢাকা কলেজে গেস্টরুমে সাংবাদিক পেটাল ছাত্রলীগ

প্রকাশ: ০৮:৪৪ পিএম, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

ঢাকা কলেজের গেস্টরুমে নিয়ে ফয়সাল আহমেদ নামের এক সাংবাদিককে পিটিয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে এ ঘটনা ঘটে।  ইংরেজি বিভাগের ছাত্র ফয়সাল আহমেদ ঢাকা কলেজ সাংবাদিক সমিতির সদস্য এবং ডেইলি বাংলাদেশ ও প্রতিদিনের ক্যাম্পাসের কলেজ প্রতিনিধি।

জানা যায়, ফয়সাল আহমেদ গতকাল রাতে রিডিং রুমে পড়াশোনা করছিলো। একই সময়ে ৩০ সেপ্টেম্বরের ছাত্রলীগের কর্মীসভা বাস্তবায়ন করতে গেস্টরুমে আলোচনা শুরু করেন শহিদ ফরহাদ হোসেন ছাত্রাবাসের নেতাকর্মীরা। উপস্থিত হতে দেরি হওয়ায় রাত সোয়া বারোটার দিকে ফয়সালকে ধরে নিয়ে চর-থাপ্পর মারতে থাকে হলের ছাত্রলীগ নেতা আল আমিন। আর লাঠি দিয়ে পেটাতে থাকে সজিব আহমেদ এবং বালিশ দিয়ে চেপে ধরে মারতে থাকে ইকরাম। এতে ঐ সাংবাদিকের ঠোঁট ফেটে যায়। কানেও প্রচন্ড ব্যথা পায়। 

সাংবাদিকতা করার কারণে ঐ সাংবাদিককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে করতে ছাত্রলীগ নেতারা। বলতে থাকেন ‘হলে থাকলে কিসের সাংবাদিকতা, সাংবাদিকতা করতে হলে হলের বাইরে গিয়ে কর, সাংবাদিক বলে ছাত্রলীগের প্রোগ্রাম করবা না তা চলবে না।’ 

মারধরকারীরা সকলেই অনার্স ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি গ্রুপের বলে জানা গেছে। প্রায় দুই ঘণ্টারা বেশি সময় আটক রাখা হয় তাকে। 

হলে থাকা শিক্ষার্থীদের দাবি, ঢাকা কলেজের সবগুলো হলের নিয়ন্ত্রণ ছাত্রলীগের অধীনে। প্রশাসন সেখানে নাম মাত্র। ফরহাদ ছাত্রাবাসের ১০২ নং রুম যেন আবাসিক ছাত্রদের আতংকের নাম। এর আগেও ছাত্রলীগের অত্যাচারে হলের কিছুদিন আগে ১ম বর্ষের সব শিক্ষার্থী এক যোগে হল ছেড়েছিল।

এ বিষয়ে ফরহাদ হোসেন হলের সিনিয়র ছাত্রলীগ নেতা খায়রুল হাসু বলেন, বিষয়টি অপ্রত্যাশিত। যারা এর সঙ্গে জড়িত ছিল তাদের বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছি। ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উত্তর ছাত্রাবাসের ছাত্রলীগ নেতা জসিম উদ্দিন পুরো বিষয়টির জন্য লজ্জিত হয়ে ক্ষমা চেয়েছেন। জড়িতদের চিহ্নিত করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

এ বিষয়ে জানতে হল প্রভোস্ট নাসির উদ্দিনকে বার বার কল দিলেও তিনি ফোন ধরেননি। ঢাকা কলেজ অধ্যক্ষ আবু ইউসুফকে কল দিলে তিনিও কেটে দেন।

ঢাকা কলেজে   সাংবাদিক নির্যাতন   ছাত্রলীগ  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

র‍্যাগিং ও যৌন নিপিড়নের দায়ে জবির ৩ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার

প্রকাশ: ০৫:৫৪ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

র‌্যাগিং ও যৌন নিপিড়নের দায়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) তিন শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিস্কার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বোর্ডের ৬২তম সভায় বহিস্কারের এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। 

 

সাময়িক বহিস্কার হওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন- গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের দুই শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান (মেহেদী কাওছার) ও রাকিব মোল্লা (রাকিব ইসলাম ফারাবি)। তাদের দুজনকে জুনিয়র ব্যাচের শিক্ষার্থীদের র‌্যাগিং দেয়ার অভিযোগে বহিস্কার করা হয়েছে। আরেকজন হলে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আশিকুল ইসলাম আশিক। এ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে একাধিক ছাত্রীকে যৌন নিপিড়নের অভিযোগ রয়েছে। 

 

শৃঙ্খলা কমিটির সদস্য সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বলেন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে র‌্যাগিংয়ের জন্য ব্যবস্থা নিতে দুই জনের নাম প্রস্তাব করা হয়। মেহেদী ও রাকিব নামে ওই দুই শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিস্কার করা হয়েছে। এসময় তাদের ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ থাকবে। এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সদস্যরা হলেন, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ফারহানা জামান, সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার এনামুল হক মোল্লা। 

 

প্রক্টর মোস্তফা কামাল আরো বলেন, এছাড়া আশিকুল ইসলাম নামে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের এক ছাত্রকে একাধিক ছাত্রীকে যৌন নিপিড়নের জন্য সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগ যৌন নিপিড়ন বিরোধী সেল থেকে বহিস্কারের সুপারিশ করা হয়। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নিপিড়ন বিরোধী সেল এই ছাত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্ত করছে।


জবি   শিক্ষার্থী   বহিস্কার  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

ইবি শিক্ষার্থীদের সুনাগরিক ও ভালো মানুষ হওয়ার পরামর্শ দিলেন প্রো-ভিসি

প্রকাশ: ০৫:৩৭ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) প্রথমবারের মতো নবীন শিক্ষার্থীদের আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করে নিয়েছে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ। অনুষদভুক্ত ৮টি বিভাগ থেকে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হওয়া প্রায় পাঁচশত নবীন শিক্ষার্থীকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়। বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে এই আয়োজন করা হয়।

ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামের আহবায়ক ও অর্থনীতি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. কাজী মোস্তফা আরীফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ট্রেজারার অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ কে এম মতিনুর রহমান। এসময় জীব বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. রেজওয়ানুল ইসলাম, প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা, লোক প্রশাসন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি শিরিনা খাতুন, ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি এ এইচ এম নাহিদ, ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি ড. আবু শিবলী মোঃ ফতেহ আলী চৌধুরী, সোস্যাল ওয়েলফেয়ার বিভাগের সভাপতি শ্যাম সুন্দর সরকার এবং শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মিজানুর রহমানসহ অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ইতিহাস-ঐতিহ্য নিয়ে ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। পরে নবীন শিক্ষার্থীদেরকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেয় সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ। পরে নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন অতিথিরা। অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী ইজাজ মাহমুদ অনিক ও ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী লামিয়া হোসেন। পরে মধ্যাহ্নভোজ শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।

সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ কে এম মতিনুর রহমান বলেন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ শুধু ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় নয়, বাংলাদেশ ও বিদেশেও এই অনুষদের গুরুত্ব অনেক। অনুষদের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক স্থাপন ও সবাই যেন একে অপরের সঙ্গে সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি বজায় রাখতে পারে-সেই লক্ষ্যে এই ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামের আয়োজন করা হয়েছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে বেছে নেওয়ার জন্য তোমাদের আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালায়ে পড়তে আসার উদ্দেশ্য হলো সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত ও সুনাগরিক হওয়া। এসময় তিনি একজন নবীন শিক্ষার্থীর দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধ কি তা নিয়ে চিন্তা করা ও সর্বোপরি নিজেকে ভালোমানুষ হিসেবে গড়ে তোলার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানিক জ্ঞান অর্জন ও সিজিপিএ অর্জনের পাশাপাশি তোমাদের প্রকৃত মানুষ হতে হবে। পাশাপাশি বিশ^বিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠন এবং কো-কারিকুলার এক্টিভিটিসের সঙ্গে যুক্ত থেকে নিজের দক্ষতা ও কানেক্টিভিটি বাড়ানোর পরামর্শ দেন তিনি।

উল্লেখ্য, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আটটি অনুষদের অধীনে বর্তমানে ৩৬ টি বিভাগ রয়েছে। এর মধ্যে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে থাকা বিভাগগুলো হলো- অর্থনীতি, লোকপ্রশাসন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, উন্নয়ন অধ্যয়ন, সমাজ কল্যাণ, ফোকলোর স্টাডিজ, কমিউনিকেশন এন্ড মাল্টিমিডিয়া জার্নালিজম এবং শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগ।


কুষ্টিয়া   প্রো-ভিসি   উপদেশ  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

সিট ছাড়তে বলায় হল গেটে তালা মারলেন ছাত্রলীগ নেত্রী

প্রকাশ: ১১:২১ এএম, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) রহমতুন্নেছা হল শাখা ছাত্রলীগের এক নেত্রী অবৈধভাবে হলে অবস্থান করায় তাকে কক্ষ ত্যাগ করার নির্দেশ দিয়েছে হল প্রশাসন। এ নির্দেশ অমান্য করে ওই নেত্রী অন্যান্য হলের নেত্রীদের নিয়ে শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫টার দিকে হল গেটে তালা লাগিয়ে দেন। এতে ভোগান্তিতে পড়েন হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। পরে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা গেলে তালা খুলে দেন।

এ ব্যাপারে হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক হাসনা হেনা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে তার একাডেমিক পড়ালেখা শেষ। তারপরেও সে হলে সিট ধরে রেখেছে। এমনকি কক্ষের আলাদা একটি সিটেও কাউকে ওঠতে দেয় না। এদিকে অনেক গরিব মেধাবী শিক্ষার্থী হলে সিট পাচ্ছে না। তাকে বিষয়টি একাধিকবার বলা হলেও সেটা মানেনি। সে পদের বলে হলে থাকতে চায়। ওই ছাত্রী বলে সে এমফিল করবে কিন্তু এখানে এমফিল শিক্ষার্থীর জন্য কোন সিট নেই। 

জানা গেছে, তন্নী বিশ্ববিদ্যালয়ের চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং হল ছাত্রলীগের সভাপতি। তিনি রহমতুন্নেসা হলের ৪৫৯ নং কক্ষে থাকেন। ছয় মাস আগে তার একাডেমিক পড়াশোনা শেষ হয়েছে। ফলে তার সিটে অন্য ছাত্রীকে এলোট দিয়েছেন হল প্রশাসন। তবে সিট ছাড়তে রাজি নন এই নেত্রী। এ নিয়ে একাধিকবার তাকে নোটিশ করেছে হল প্রশাসন। সর্বশেষ গতকাল রাতে এ নেত্রীকে সিট ছাড়ার নির্দেশ দেন প্রাধ্যক্ষ। কিন্তু সেই নির্দেশ অমান্য করে হল গেটে তালা দেন তন্নি। এ সময় অন্যান্য হল ছাত্রলীগের নেতানেত্রীরা উপস্থিত ছিলেন। 

হল ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না তন্নি বলেন, আমি হল ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্বে আছি। বিভিন্ন প্রয়োজনে ছাত্রীরা আমার কক্ষে আসে। তাই প্রাধ্যক্ষই একটি সিট ফাঁকা রাখতে বলেছিলেন। এখন তিনি ছাত্রলীগকে বিতর্কিত করতে এসব করছেন। এমনকি হলের জুনিয়র ছাত্রীদের দিয়ে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে বিতর্ক ছড়ান তিনি। 

হলে এমফিল শিক্ষার্থীদের থাকার সুযোগ না থাকলেও সিটে ধরে রাখার ব্যাপারে জানতে চাইলে এ নেত্রী জানান, আমি হলে রাজনীতি করি। এ হলে না থাকলে কর্মীদের কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করব। তাই সংগঠনকে গতিশীল রাখতে এ সিটে থাকার কথা বহুবার প্রাধ্যক্ষকে জানিয়েছি।


ছাত্রলীগ নেত্রী   রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়   হল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন