ক্লাব ইনসাইড

গৌরবের ৪৪ বছরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়


Thumbnail

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। স্বাধীন বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত প্রথম সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় এটি। ১৯৭৯ সালের ২২ নভেম্বর কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ জেলার মধ্যবর্তী স্থান শান্তিডাঙ্গা-দুলালপুরে বিশ্ববিদ্যালয়টির ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। ১৯৮৫-৮৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে ৪টি বিভাগে ৮জন শিক্ষক ও ৩০০ শিক্ষার্থী নিয়ে শুরু হয় একাডেমিক কার্যক্রম। নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) প্রতিষ্ঠার ৪৪ বছরে পদার্পণ করছে ১৭৫ একরের এই বিদ্যাপীঠ।  হাজারও প্রতিকূলতা পেরিয়ে শিক্ষার অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করে এগিয়ে চলেছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। শিক্ষা-গবেষণায়, সংস্কৃতি-ক্রীড়াঙ্গনে উল্লেখযোগ্য অর্জন দীর্ঘ পথচলাকে গৌরবান্বিত করেছে।
 
বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮টি অনুষদের অধীন রয়েছে ৩৬টি বিভাগ। রয়েছে ৪০৩ জন শিক্ষক ও ১৩হাজার ৪৬৮ জন শিক্ষার্থী এবং ৭৮৪ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২জন শিক্ষক ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় কর্তৃক ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি’ বিষয়ে বিশেষ গবেষণা প্রকল্প অনুদানের জন্য মনোনীত হয়েছেন। তাঁরা ৬টি প্রজেক্টের আওতায় কাজ করবেন। এর আগে ২০২১ সালে অ্যালপার ডগার (এডি) সায়েন্টিফিক ইনডেক্সের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিশ্বসেরা গবেষকের তালিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ১৭ শিক্ষক স্থান পেয়েছিলেন। এখানে রয়েছে সুবিশাল স্মৃতিসৌধ, শহীদ মিনার, মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরাল, চিকিৎসা কেন্দ্র, ব্যায়ামাগার ও কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার। রয়েছে ক্যাম্পাস ভিত্তিক সর্ববৃহৎ মসজিদ ও দৃষ্টিনন্দন মফিজ লেক। শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন খেলার জন্য রয়েছে সুবর্ণ সুযোগ। কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে মুক্তিযুদ্ধ কর্নার, বঙ্গবন্ধু কর্নার এবং একুশে কর্নার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়টি এ পর্যন্ত ৫৯৯ জনকে পিএইচ.ডি এবং ৭৫৮ জনকে এম.ফিল ডিগ্রি প্রদান করেছে। বর্তমানে ২৫০ জন পিএইচ.ডি এবং ৯৫ জন এম.ফিল গবেষণায় নিয়োজিত রয়েছেন। ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ থেকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ এবং শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের যাত্রা শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত বিশ^বিদ্যালয়ে ৪টি সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথম সমাবর্তন ২৭ এপ্রিল ১৯৯৩ সালে, দ্বিতীয় সমাবর্তন ৫ ডিসেম্বর ১৯৯৯ সালে, তৃতীয় সমাবর্তন ২৮ মার্চ ২০০২ সালে এবং সর্বশেষ ৪র্থ সমাবর্তন ৭ জানুয়ারি ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত হয়।

শিক্ষা ও গবেষণার পাশাপাশি ক্রীড়া ক্ষেত্রেও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে ঈর্ষণীয় সাফল্য। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী  ভারোত্তোলন, ফুটবল, ভলিবল, ক্রিকেট ও অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ছাত্রী ইসরাত জাহান ইভা দুইবার দেশের দ্রুততম মানবী হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ভলিবল প্রতিযোগিতায় এ বিশ্ববিদ্যালয় নয়বার, ফুটবল প্রতিযোগিতায় তিনবার ও অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতায় চারবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। এছাড়াও ভলিবল প্রতিযোগিতায় তিনবার রানার্স আপ এবং ক্রিকেটে তিনবার দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে। সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপ-এর ৩য় আসরের হ্যান্ডবল ফাইনালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে ৩১-২২ গোলে এবং বাস্কেটবল ইভেন্টে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়কে ৭৪-৬২ পয়েন্টে পরাজিত করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগটি বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় ক্রীড়াঙ্গনে বড় ধরণের ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বলে মনে করছেন কর্তৃপক্ষ।

এছাড়া হয়রানি-মুক্ত শিক্ষাক্ষেত্র ও কর্মপরিবেশ গড়ে তুলতে যৌন নিপীড়ন বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রচার অভিযানের অংশ হিসেবে হলে-হলে যৌন নিপীড়ন বিষয়ে সচেতনতামূলক আলোচনাসভা, তথ্য অধিকার বিষয়ে ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে র‌্যালি, লিফলেট বিতরণ, মনের স্বাস্থ্য বিষয়ে কর্মশালা, র‌্যাগিং বিরোধী সভা, প্রশিক্ষণ কর্মশালা, আন্তর্জাতিক সেমিনার, বৃক্ষরোপন কর্মসূচি ইত্যাদি কার্যক্রম বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত অনুষ্ঠিত হয়।

এদিকে নানা অর্জনের পাশাপাশি বেশকিছু সংকটও রয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে। গবেষণা, চিকিৎসা ও আইটি খাতে অপর্যাপ্ত বাজেট, শ্রেণীকক্ষ সংকট, সেশনজট, আবাসন সমস্যা, পরিবহন সংকট, মানসম্মত খাবার ও সুপেয় পানির অভাব, গণরুম কালচার, সিটবাণিজ্য, নিয়োগবাণিজ্যসহ নানা সমস্যায় রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বর্তমানে আটটি আবাসিক হল রয়েছে। তবে তা শিক্ষার্থী তুলনায় যথেষ্ট না। ফলে প্রায় অধিকাংশ শিক্ষার্থীকে ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থান করতে হয়।

বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে মেগাপ্রকল্পের আওতায় উন্নয়ন কর্মকান্ড চলমান রয়েছে। ৫৩৭ কোটি ৭ লাখ টাকার মেগা প্রকল্পের আওতায় নয়টি দশ তলা ভবনের সবগুলোর নির্মাণকাজ চলেছে। নির্মাণাধীন ভবনগুলোর মধ্যে রয়েছে দুটি ছাত্র ও দুটি ছাত্রী হল, একটি একাডেমিক ভবন, শিক্ষক-কর্মকর্তাদের জন্য একটি, কর্মচারীদের জন্য একটি, নির্মাণাধীন শেখ রাসেল হলের দ্বিতীয় ব্লক এবং নতুন প্রশাসন ভবন নির্মাণ। দশতলা বিশিষ্ট আবাসিক হলগুলো নির্মাণ শেষ হলে আবাসন সুবিধা নিশ্চিত হবে ৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থীর। এছাড়া একাডেমিক ভবনের নির্মাণকাজ শেষ হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের সংকট দূর হবে এবং নতুন-নতুন বিভাগ খোলার সুযোগ সৃষ্টি হবে। এছাড়া প্রশাসন ভবন নির্মাণ সম্পন্ন হলে অফিসসমূহ উন্নত হবে, শিক্ষার্থীদের সেবা প্রদানের মান বাড়বে এবং  স্থান সংকট অনেকটাই নিরসন হবে। এসব প্রকল্পের আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১টির মধ্যে ৫টি ভবনের উর্দ্ধমুখী সম্প্রসারণের কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য বর্তমানে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুলে গাড়ি রয়েছে ৪৯টি। এর মধ্যে ৭টি এসি কোস্টার গাড়ি, ডাবল ডেকার বাস ১টি, বড়বাস ১৩টি, নন-এসি মিনিবাস ৫টি। বাকিগুলোর মধ্যে রয়েছে এ্যাম্বুলেন্স, পিক-আপসহ অন্যান্য ছোট গাড়ি। গত ১৮ সেপ্টেম্বর পরিবহন পুলে সর্বশেষ সংযোজিত নতুন ৩ টি বড় বাস ও ২ টি  হায়েচ এসি মাইক্রোবাসের শুভ উদ্বোধন করেন ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে  ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম বাংলা ইনসাইডারকে বলেন, পুরাতন বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে আমাদের অনেক সংকট রয়েছে। এগুলো অস্বীকার করার উপায় নেই। ধীরে ধীরে আমরা এই সংকটগুলো কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি। এজন্য সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

ঢাবির কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ফল প্রকাশ

প্রকাশ: ০৪:২৯ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ১ম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষার কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেল সাড়ে তিনটায় আনুষ্ঠানিকভাবে ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এতে এ বছর এই ইউনিটে পাসের হার ১০.০৭ শতাংশ। অর্থাৎ, ফেল করেছেন ৮৯.৯৩ শতাংশ শিক্ষার্থী। 

এ বছর কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটে মোট আসন সংখ্যা দুই হাজার ৯৩৪টি। এরমধ্যে মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য ১ হাজার ৭০৭টি, বিজ্ঞান বিভাগের জন্য ৯৪৪টি ও ব্যবসা শিক্ষার জন্য ২৮৩টি আসন রয়েছে। এই আসনের বিপরীতে আবেদন পড়ে মোট এক লাখ ১২ হাজার ২২৫ জনের। আর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন ১ লাখ দুই হাজার জন শিক্ষার্থী। সবমিলিয়ে ভর্তি পরীক্ষায় পাস করেছেন ১০ হাজার ২৭৫ জন, যা মোট পরীক্ষার্থীর মাত্র ১০.০৭ শতাংশ।

কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটে প্রথম হয়েছেন খুলনা এম এম সিটি  কলেজের প্রিয়ন্তি মন্ডল। এসএসসি ও এইচএসসির জিপিএসহ ভর্তি পরীক্ষায় তার প্রাপ্ত মোট নম্বর ১০৫ দশমিক ২৫।

যেভাবে ফলাফল জানা যাবে:

ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী তার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার রোল নম্বর, বোর্ডের নাম, পাসের সন এবং মাধ্যমিক পরীক্ষার রোল নম্বরের মাধ্যমে https://admission.eis.du.ac.bd ওয়েবসাইট থেকে পরীক্ষার ফলাফল জানতে পারবেন। এছাড়া আবেদনকারীরা রবি, এয়ারটেল, বাংলালিংক অথবা টেলিটক নম্বর থেকে DU>Space> ALS> Space> Roll Number টাইপ করে ১৬৩২১ নম্বরে সেন্ড করে ফিরতি মেসেজে ফল জানতে পারবেন।

ঢাবি   কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

আজ ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ

প্রকাশ: ১১:৪৮ এএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ২০২৩-২৪ সেশনে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির সব ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল আজ (২৮ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৩টায় প্রকাশ করা হবে। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান গণমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার আমাদের ভর্তি পরীক্ষার সব ইউনিটের ফলাফল একসঙ্গে প্রকাশ করা হবে। বিকেল সাড়ে ৩টায় আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে উপাচার্য ফলাফল প্রকাশ করবেন।

এর আগে ২৩ ফেব্রুয়ারি ‘কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান’ ইউনিট, ‘বিজ্ঞান’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ১ মার্চ, ‘ব্যবসায় শিক্ষা’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২৪ ফেব্রুয়ারি ও চারুকলা ইউনিটের পরীক্ষা (সাধারণ জ্ঞান ও অংকন) ৯ মার্চ আটটি বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিত হয়।


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়   ঢাবি ২০২৩-২৪ সেশন   স্নাতক (সম্মান)   ভর্তি পরীক্ষা  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

বাঙলা কলেজ: দীর্ঘ ৮ বছর পর ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা

প্রকাশ: ১১:২৮ এএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

দীর্ঘ ৮ বছর পর বাংলাদেশ ছাত্রলীগের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট রাজধানীর সরকারি বাঙলা কলেজ শাখার কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। দীর্ঘ দিন পর কমিটি পেয়ে উচ্ছ্বসিত বাঙলা কলেজ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (২৭ মার্চ) রাতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান এ কমিটি ঘোষণা করেন। কমিটি ঘোষণার পর দেখা যায়, উল্লাসে ফেটে পড়ে সরকারি বাঙলা কলেজ ছাত্রলীগের কর্মীরা।  

মোঃ ফয়েজ আহমেদ নিজুকে সভাপতি ও রুবেল হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করে ৩৩ সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে ১৯ জন সহ-সভাপতি, ৬ জন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, এবং ৬ জনকে সাংগঠনিক পদে নির্বাচিত করা হয়েছে।

কমিটির সহ-সভাপতিরা হলেন, আক্তারুজ্জামান হাওলাদার হাফিজ, সাইফুল বাদশা, মোঃ সাদ্দাম হোসেন, মোঃ রাসেল হাওলাদার, ফরহাদ হোসেন রানা, কাউসার আহমেদ জনি, মোঃ রাসেল মোল্লা, রবিউল আউয়াল সানি, ইসরাত খান বাবু, মোঃ আরিফ হোসেন, মোঃ আল-আমিন মজুমদার, কাজী অমিত, মোঃ শাহরিয়ার আল ইমাম সাগর, মোঃ শাহরিয়ার নাফিজ সজীব, মোঃ জিয়ারুল ইসলাম, মোঃ রবিউল হাসান, বিপ্লব মীর উজ্জ্বল, মোহাম্মদ শামীম হযরত আলী হিমু।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকেরা হলেন, মোঃ আক্তার হোসেন, মোঃ হামিদুল্লাহ জিহাদ, মোঃ সাখাওয়াত হোসেন অর্নব, সোহাগ খান, মোঃ শিপন শিকদার, মোঃ মাহাবুব আলম।

সাংগঠনিক সম্পাদকেরা হলেন, শরিফুল ইসলাম সাগর, মিঠুন হালদার আকাশ, মেহেদী হাসান, সালাহউদ্দীন সরকার, মোঃ শফিকুর রহমান আদনান হাবিব।


ছাত্রলীগের কমিটি   সরকারি বাঙলা কলেজ   দীর্ঘ ৮ বছর পর  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

রুয়েটে নিয়োগ জালিয়াতি, সাবেক উপাচার্যের বিরুদ্ধে মামলা


Thumbnail অভিযুক্ত সাবেক ভিসি ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার

রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) সাবেক উপাচার্য ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টারের বিরুদ্ধে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। নিয়োগ পরীক্ষার উত্তরপত্র টেম্পারিং এর মতো জালিয়াতির জন্য এ মামলা করেছে দুদক। বুধবার (২৭ মার্চ) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ পরিচালক মোঃ আমিনুল ইসলাম এ মামলা করেছেন।

 

মামলায় রুয়েটের সাবেক উপাচার্য ও বর্তমানে ইলেকট্রিক্যাল বিভাগের অধ্যাপক মোঃ রফিকুল ইসলাম সেখ ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার এবং বর্তমানে ইইই বিভাগের অধ্যাপক মোঃ সেলিম হোসেনকে আসামি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য দুজনকেই ফোন করা হয়। তবে তারা কেউ ফোন ধরেননি।

 

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) প্রথমে তদন্তে এই অনিয়ম পায়। পরে ইউজিসির সুপারিশের ভিত্তিতে দুদক অনুসন্ধানে নামে। অনিয়মের সত্যতা পেয়ে মামলা করে দুদক। মামলা করার পর দুদক একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছে।  

 

এতে বলা হয়েছে, পারস্পরিক যোগসাজশে অসৎ অভিপ্রায়ে নিজেরা লাভবান হয়ে অন্যদের লাভবান করার জন্য অপরাধমূলক অসদাচরণ ও বিশ্বাসভঙ্গ করে অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে লিখিত পরীক্ষায় কম নম্বর প্রাপ্ত প্রার্থীদেরকে মৌখিক পরীক্ষায় বেশি নম্বর প্রদান করে এই নিয়োগ দিয়েছে।  

 

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি মোতাবেক ছয়জন সেকশন অফিসারের স্থলে ১৩ জনকে নিয়োগ প্রদান, জুনিয়র সেকশন অফিসার পদে নিয়োগের অনুমোদন ও শূণ্য পদ না থাকা সত্ত্বেও সহকারী লাইব্রেরিয়ান পদের বিপরীতে জুনিয়র সেকশন অফিসার পদে নিয়োগ প্রদান, পিএ টু ভিসি/ডিরেক্টর পদে দুইজনকে নিয়োগের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলেও তিন জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

 

এছাড়া ডাটা এন্ট্রি অপারেটর পদে ১ জন নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলেও ২ জন, মালি পদে ৩ জনক নিয়োগ প্রদানের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলেও ৭ জন, ড্রাইভার পদে একজনকে নিয়োগ প্রদানের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলেও ৩ জন এবং সহকারী কুক পদে ৩ জনকে নিয়োগ প্রদানের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলেও ৫ জনকে নিয়োগ প্রদান করা হয়।

 

এই অতিরিক্ত নিয়োগ প্রাপ্ত ১৭ জনের ২০২১ সালের জুন মাস থেকে গত বছরের আগস্ট পর্যন্ত বেতন ভাতাদি বাবদ সরকারের মোট ১ কোটি ২৬ লাখ ১২ হাজার ১০৯ টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। তাই দুর্নীতি দমন কমিশনের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ পরিচালক মোঃ আমিনুল ইসলাম রাজশাহী বাদী হয়ে দণ্ডবিধি ৪০৯/১০৯ ধারসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে এই মামলাটি দায়ের করেন। দুদক সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের মে মাসে ওই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

 

ওই নিয়োগে তৎকালীন উপাচার্যের আপন দুই ভাই, ফুফাতো ভাই, শ্যালিকা, চাচাতো বোন, গৃহকর্মী ও তার স্বামীসহ আত্মীয়-স্বজনরা চাকরি পান। তাদের অনেকে লিখিত পরীক্ষায় ফেল করেও চাকরি পান। এর জন্য নম্বরপত্রে কাটাকাটি (টেম্পারিং) করা হয়। রফিকুল ইসলাম সেখের আমলে রুয়েটে মোট ১৩৫ জনের নিয়োগ হয়েছে। এর মধ্যে ১৭ জনের ব্যাপারে দুদকের আপত্তি।


নিয়োগ জালিয়াতি   পরীক্ষার উত্তরপত্র টেম্পারিং   নিয়োগ পরীক্ষা   অসৎ অভিপ্রায়ে   নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

বিএসএমএমইউ উপাচার্য শারফুদ্দিন আহমেদের মেয়াদ শেষ আজ

প্রকাশ: ১০:১২ এএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

দেশের সবচেয়ে বড় চিকিৎসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য হিসাবে অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আজ। প্রতিষ্ঠানটিতে তিন বছর দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। এ পদের নতুন দায়িত্ব নিচ্ছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ও চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক।

সূত্রে মতে, বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মিল্টন হলে বর্তমান উপাচার্যের বিদায় ও নতুন উপাচার্যের দায়িত্ব গ্রহণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

জানতে চাইলে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমি বিগত বছরে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ চালু করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা গবেষণা এগিয়ে নিয়েছি। এর আগে কেউই এত কাজ করেনি। তারপরও সমালোচনা থাকবে। আমার চলে যাওয়ার পর নতুন উপাচার্যের পদে যিনি বসবেন আমি চাই অসমাপ্ত কাজগুলো যেন সম্পূর্ণ হয়।’

ডা. দীন মোহাম্মদ নুরুল হক চার বছরের জন্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিনের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন। ১১ মার্চ রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয় আচার্য মো. সাহাবুদ্দিন তাকে নিয়োগ দেন। এর আগে তিনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পরিচালক, জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক এবং ন্যাশনাল আই কেয়ারের লাইন ডিরেক্টরের দায়িত্ব পালন করেছেন।


বিএসএমএমইউ   উপাচার্য   শারফুদ্দিন আহমেদ   অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন