ঢাকা ইউনিভার্সিটি ট্যুরিস্ট সোসাইটি ও এডভেঞ্চার প্ল্যাটফর্ম Bengal Trekkers (বেঙ্গল ট্রেকার্স) এর যৌথ উদ্যোগে পর্বতারোহোণ
বিষয়ে ‘পাহাড় কথনঃ ট্রেকিং ও কাং ইয়াৎসে
(২) পাহাড়ের গল্প’ শিরোনামে এক সেমিনারের আয়োজন
করা হয়।
গতকাল সোমবার (৫ ডিসেম্বর) টিএসসি মুনির চৌধুরী মিলনায়তনে "Trekking for all" প্রতিপাদ্য নিয়ে আয়োজিত হয় এই সেমিনার।
আয়োজনের প্রথম ভাগে পাহাড়ে ট্রেকিং ও পর্বতারোহণ শুরু করার প্রস্তুতির হাতে খড়ির নিয়ে আলোচনা করা হয়।পাশাপাশি কিভাবে কখনো ট্রেকিং না করা কেউ ট্রেকিং শুরু করতে পারে তা নিয়েও আলোচনা করা হয় সবার জন্য উন্মুক্ত এই সভায়।
দ্বিতীয় পর্বে বেঙ্গল ট্রেকার্স টিমের ৬২৫০ মিটার উঁচু কাং ইয়াৎসে (২) পাহাড় অভিযানের অভিজ্ঞতা ও ভবিষ্যতে ছয় হাজার মিটার এর অধিক উচ্চতার পাহাড় অভিযানের গ্রাউন্ড ওয়ার্ক ও পরিকল্পনা বিষয়ক আলোচনা করেন বক্তারা।
অনুষ্ঠানে বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন Bengal Trekkers (বেঙ্গল ট্রেকার্স) এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ আরাফাত হোসেন, সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান কার্যনির্বাহী শূণ্য সাগর এবং পর্বতারোহী ও ট্রেক লিডার আসাদুজ্জামান সাজ্জাদ।
বেঙ্গল ট্রেকার্স এর প্রতিষ্ঠাতা ও
প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ আরাফাত হোসে বলেন, ‘আমাদের এই আয়োজনের মূল
লক্ষ্য মানুষের মাঝে ভ্রমণ, পর্বতারোহণ নিয়ে মানুষকে উৎসাহী করে তোলা এবং দেশে ই-ট্যুরিজমের প্রসার করা। তাছাড়া, আমাদের অভিজ্ঞতা থেকে তাদের জন্য পূর্ব প্রস্তুতি কিংবা প্রশিক্ষণ নিয়ে ধারণা দেইয়ার পাশাপাশি পাহাড় ভ্রমণের ক্ষেত্রে সুস্পষ্ট নির্দেশনা বা প্রয়োজনীয় তথ্য জানানোর চেষ্টা করেছি আমরা।।‘
Bengel Trekkers সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান
কার্যনির্বাহী শূণ্য সাগর বলেন, ‘ট্রেকিংকে সবার কাছে পরিচিত করার জন্য ও আগ্রহ বাড়ানোর
জন্যই আমাদের এই আয়োজন ছিল। কারণ আমার মতে বেসিক ও বিগিনার্স ট্রেকিং নিয়ে খোলাখুলি
কথা বলার জায়গা বা প্লাটফর্ম নেই। ফলে অনেকে
জানে না কি ভাবে ট্রেকিং শুরু করবে। অনেকে দিকনির্দেশনার অভাবে ট্রেকিং প্রস্তুতি ভুল
নিচ্ছে। আমরা সেই ঘাটতির জায়গা পূরণ করতেই এই উদ্যোগ নিয়েছি। তাছাড়া আগামীতেও আমদের
ট্রেকিং ও প্রশিক্ষণ নিয়ে কাজ করার পরিকল্পনাও রয়েছে আমাদের।‘’
এছাড়া বেঙ্গল ট্রেকার্স টিমের অন্যান্য সদস্যদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ইউনিভার্সিটি ট্যুরিস্ট সোসাইটি এর সহ-সভাপতি আলী রওনক ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক নাহিন আশরাফুল ও এক্সিকিউটিভ মেম্বার সাঈদ হাসান। সেমিনার শেষে উপস্থিত সবার মাঝে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।
মন্তব্য করুন
ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে ২৫ জন রেজিস্টার্ড
গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষ
হয়েছে। শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব,
নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট
ভবন এবং শারীরিক শিক্ষা
কেন্দ্রে নির্বাচনের ঢাকা এলাকার ভোটগ্রহণ
সম্পন্ন হয়। এর আগে গত ৪, ১১
ও ১৪ মার্চ সারাদেশের
বিভিন্ন স্থানে ভোটগ্রহণ করা হয়।
রোববার সকাল ১০টায় নবাব নওয়াব আলী
চৌধুরী সিনেট ভবনে সিনেট নির্বাচনের
ভোট গণনা এবং গণনা শেষে
ফলাফল প্রকাশ করা হবে বলে
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর থেকে জানানো
হয়েছে।
এদিকে,
শনিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান
ঢাকার কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ
অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ নির্বাচনের চিফ প্রিজাইডিং অফিসারের
দায়িত্ব পালন করেন।
উল্লেখ্য,
রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচনে ভোটগ্রহণ ঢাকার বাইরে গত ৪ মার্চ
২৯টি কেন্দ্রে, গত ১১ মার্চ
৯টি কেন্দ্রে এবং ১৪ মার্চ
৪টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে
ভোটার সংখ্যা ছিল ৫৯ হাজার ৩২০
জন।
মন্তব্য করুন
ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন স্যার এ এফ রহমান
হলের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থীরা।
তৃতীয় বর্ষের ‘বড় ভাই’রা
হল থেকে বের করে দেওয়ার প্রতিবাদে ও হলে স্বাভাবিকভাবে
থাকার জায়গার দাবিতে তারা এ কর্মসূচি পালন
করেন।
বুধবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এই অবস্থান শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এক ঘণ্টার বেশি সময় অবস্থানের পর রাত ২টা ৪০ মিনিটে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনানের আশ্বাসে সরে যান শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা যায়, স্যার এ এফ রহমান হলের ১১১ নম্বর কক্ষে ৪৩ জন শিক্ষার্থী থাকেন। কক্ষটি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনানের নিয়ন্ত্রণাধীন। এখানে চার জনের জায়গায় সর্বোচ্চ আট জন থাকা সম্ভব। অথচ সেখানে থাকেন ৪৩ জন শিক্ষার্থী।
অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা বলেন, চার জনের এক রুমে ৪৩ জন থাকা একপ্রকার অসম্ভব। সমস্যার কথা জানালে বড় ভাইয়েরা বলেন, ‘তোরা পচে মর, আমাদের সমস্যা নাই’। পাঁচ মিনিটের আল্টিমেটামে আমাদের বের করে দিয়েছে। আমাদের জিনিসপত্র নেওয়ার সময় পর্যন্ত তারা দেননি।
রাত আড়াইটার দিকে ঘটনাস্থলে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়ালি আসিফ ইনান উপস্থিত হন। তিনি শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে রুম দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে হলে ফেরত পাঠান।
এ সময় ওয়ালি আসিফ ইনান সাংবাদিকদের বলেন, শিক্ষার্থীদের অবস্থানের বিষয় জানতে পেরে আমার বিবেকের টান থেকেই এখানে এসেছি।
এসময় তিনি সিটের দাবিতে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের পরবর্তীতে কোনো ধরনের হয়রানি করা হবে না বলে জানান। যারা তাদের কক্ষ থেকে বের করে দিয়েছেন তাদের মানসিক সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ওয়ালি আসিফ ইনান।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন