ক্লাব ইনসাইড

ফেসবুকে ইবি উপাচার্যের কণ্ঠ সদৃশ অডিও ফাঁস


Thumbnail

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের কণ্ঠ সদৃশ একাধিক অডিও রেকর্ড ফাঁস হয়েছে। ‘ফারাহ জেবিন’ নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে বৃহস্পতিবার (১৬ই ফেব্রুয়ারি) পরপর তিনটি ফেসবুকে ইবি উপাচার্যের কণ্ঠ সদৃশ অডিও ফাঁস, থানায় জিডি

ইবি প্রতিনিধি-
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের কণ্ঠ সদৃশ একাধিক অডিও রেকর্ড ফাঁস হয়েছে। ‘ফারাহ জেবিন’ নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে বৃহস্পতিবার (১৬ই ফেব্রুয়ারি) পরপর তিনটি ফোনালাপের অডিও পোস্ট করা হয়। পোস্টের ক্যাপশনে লেখা হয়, ‘‘এভাবেই নিয়োগ বোর্ডের আগে টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন ফাঁস করেন ড. শেখ আবদুস সালাম’’। মুহূর্তেই রেকর্ডটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। এই ঘটনায় শুক্রবার (১৭ই ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে থানায় জিডি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার এইচ এম আলী হাসান। জিডি নাম্বার ৬৭২। জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আননূর যায়েদ।

‘ফারাহ জাবিন’ আইডি থেকে পোস্ট করা প্রথম রেকর্ডের ক্যাপশনে লেখা হয়, ‘‘গত ২৫ অক্টোবর গণ যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় তাঁর পছন্দের প্রার্থী অলিউর রহমান অলিকে নিয়োগ দিতে ব্যর্থ হওয়ায় পুর্নবিজ্ঞপ্তি দিয়ে সেই প্রার্থীকে আবার নিয়োগ দেয়ার জন্য প্রশ্ন সরবরাহ করছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম। অলিকে আরো দুইজন প্রার্থীকে প্রয়োজনে টাকা দিয়ে হলেও আবেদন করাতে বলেন ভিসি শেখ আবদুস সালাম। আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি ইবির গণ যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের নিয়োগ বোর্ড অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন উপাচার্য হয়ে নিয়োগ বোর্ডের আগে প্রশ্ন ফাঁস করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত পদকে কলঙ্কিত করেছেন। তাঁর সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে যত নিয়োগ বোর্ড হয়েছে (শিক্ষক-পরিবহন অফিসসহ) সবগুলোর আগেই তিনি টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন ফাঁস করে এসব পদে নিয়োগ দিয়েছেন। সামনে যে নিয়োগ বোর্ড হবে সেগুলোরও প্রশ্ন ফাঁস করে দিয়েছেন তিনি।’’

‘৬ মিনিট ১২ সেকেন্ডের’ প্রথম অডিওটিতে অলি নামের প্রার্থীকে নিয়োগ বোর্ড স্থগিত হওয়া সম্পর্কে ড. সালাম (?) কে বলতে শোনা যায়, “তিনজন এপ্লিকেন্ট ছিলো, তিনজনই হলে (উপস্থিত) হয়ে যেত। বোর্ডটা ই (স্থগিত) হইছে এই কারণে। আমরা ৩০ তারিখের পরই পূণর্বিজ্ঞাপনে যাচ্ছি। এতে ডিজএ্যাপোএন্টমেন্ট এর কোন কারণ নাই। আপনি শুধু এর পরে তিনজন কেন্ডিডেড গোছান যে, তারা এপ্লাই করবে আপনি তাদের পয়সা দিয়ে দিবেন এবং ওরা এখানে জাস্ট এপিয়ার করবে। আর কিচ্ছু না। ডোন্ট গেট ওরিট। ট্রেজারার আমাকে বলেছে এটা। কারণ তিনজন হলে কিন্তু আপনাদের কালকে আসতে বলতাম, বলতাম যে ‘যান’, ওকে দেখতামও না। আচ্ছা আপনি সব দিয়ে রেডি থাকেন। যেদিন সব দিয়ে দিবেন তার ঠিক একুশ দিনের মাথায় গোছায় দিব।”

এদিকে ‘১ মিনিট ২৯ সেকেন্ডের’ দ্বিতীয় অডিওটির ক্যাপশনে লেখা হয়, ‘‘এভাবেই নিয়োগ বোর্ডের আগে টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন ফাঁস করেন ড. শেখ আবদুস সালাম।" অডিওটিতে তাকে বলতে শোনা যায়, ''২০২৩ সালে বাংলাদেশের জন্য দশটি চ্যালেঞ্জ, চ্যালেঞ্জগুলো ইংরেজিটা করেন, এটা হয়তো কনটেমপোরারি বিষয়ে, পরীক্ষায় (থাকবে?)। আর খুব বেসিক কনসেপ্টস গুলা আছে না? কমিউনিকেশন এপ্রিহেনশন, তারপর গত ইসে (পরীক্ষায়) যা যা ছিলো। রইট টু ইনফরমেশন ও চ্যালেঞ্জগুলা ইংরেজিতে আরকি। একলাইন দুই লাইন করে ছোট ছোট করে। বুঝতে পারছেন?’’

এছাড়া আরো একটি পর্বে অডিওটিতে পরীক্ষার প্রশ্ন সংক্রান্ত আলোচনায় ড. সালাম (?) বলেন, “আমি তো আপনাকে সোর্সটা সহ দিয়েছি। দেখেন ওখানে। খুব চমৎকার করে একবারে চুম্বক লেখা আছে আরকি, দশটা আইটেম। এরকম দশটা ইস্যু কি? এরকম যদি কাউকে লিখতে দেয়, তাহলে সেটার একটা ইংরেজিতে প্রস্তুতি রাখেন। এখন আমি এইটুক যা বললাম। আর ট্রেজারারের সাথে একটু যোগাযোগ রাখেন। আচ্ছা যা হোক ওনাকে একটু বুঝায়ে বলেন। আর ওনাদের সাথে একটু যোগাযোগ করে আইসেন।”

অডিওতে সরবারহকৃত প্রশ্নগুলো নিয়োগ পরীক্ষার জন্য চাকরীপ্রত্যাশী অলিকে সরবারহ করা হয়েছে বলে আভিযোগ রয়েছে। তবে ফোনালাপে অপর পক্ষের কোন কথা শোনা যায়নি অডিওতে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বলেন, “উপাচার্য স্যার আমাকে জিডি করতে বলেছেন। তাই ইবি থানায় করেছি।” কি কারণে জিডি করেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, “অডিও পোস্টদাতার একাউন্টটি আইডেনটিফাই করতে জিডি করা হয়েছে।” অডিওটি উপাচার্য ড. সালামের কি, না? জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, “এটা তো আমি জানিনা, এটা প্রশাসন বের করবে।”

এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের সাথে শুক্রবার সন্ধ্যায় একাধিকবার মুঠোফেনে যোগাযোগের চেষ্ট করলেও তার সাড়া মেলেনি। পরে রাত ৯টার দিকে আবার ফোন করলে তিনি কেটে দেন। এরপর রাত ১১টার দিকে আবারও যোগাযোগ করা হলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

উল্লেখ্য, গত ২৫ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিউনিকেশন এন্ড মাল্টিমিডিয়া জার্নালিজম বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড অনুষ্ঠিত হয়। এতে সহকারী অধ্যাপক পদে আবেদনকারীরা হলেন ড. মো অলিউর রহমান, মোশারফ হোসেন ও বিউটি মন্ডল। এসময় বোর্ডে সর্বনিম্ন সংখ্যক আসন পূর্ণ না হওয়ায় সেই বোর্ড স্থগিত করা হয়। পরে গত ২ ডিসেম্বর আবারো পূণর্বিজ্ঞপ্তি প্রদান করে কর্তৃপক্ষ। আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি এই নিয়োগ বোর্ড অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে সূত্র।dt  ফোনালাপের অডিও পোস্ট করা হয়। পোস্টের ক্যাপশনে লেখা হয়, ‘‘এভাবেই নিয়োগ বোর্ডের আগে টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন ফাঁস করেন ড. শেখ আবদুস সালাম’’। মুহুর্তেই রেকর্ডটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। এই ঘটনায় শুক্রবার (১৭ই ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে থানায় জিডি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান। জিডি নাম্বার ৬৭২। জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আননূর যায়েদ।

‘ফারাহ জাবিন’ আইডি থেকে পোস্ট করা প্রথম রেকর্ডের ক্যাপশনে লেখা হয়, ‘‘গত ২৫ অক্টোবর গণ যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় তাঁর পছন্দের প্রার্থী অলিউর রহমান অলিকে নিয়োগ দিতে ব্যর্থ হওয়ায় পুর্নবিজ্ঞপ্তি দিয়ে সেই প্রার্থীকে আবার নিয়োগ দেয়ার জন্য প্রশ্ন সরবরাহ করছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম। অলিকে আরো দুইজন প্রার্থীকে প্রয়োজনে টাকা দিয়ে হলেও আবেদন করাতে বলেন ভিসি শেখ আবদুস সালাম। আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি ইবির গণ যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের নিয়োগ বোর্ড অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন উপাচার্য হয়ে নিয়োগ বোর্ডের আগে প্রশ্ন ফাঁস করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত পদকে কলঙ্কিত করেছেন। তাঁর সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে যত নিয়োগ বোর্ড হয়েছে (শিক্ষক-পরিবহন অফিসসহ) সবগুলোর আগেই তিনি টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন ফাঁস করে এসব পদে নিয়োগ দিয়েছেন। সামনে যে নিয়োগ বোর্ড হবে সেগুলোরও প্রশ্ন ফাঁস করে দিয়েছেন তিনি।’’

‘৬ মিনিট ১২ সেকেন্ডের’ প্রথম অডিওটিতে অলি নামের প্রার্থীকে নিয়োগ বোর্ড স্থগিত হওয়া সম্পর্কে ড. সালাম (?) কে বলতে শোনা যায়, “তিনজন এপ্লিকেন্ট ছিলো, তিনজনই হলে (উপস্থিত) হয়ে যেত। বোর্ডটা ই (স্থগিত) হইছে এই কারণে। আমরা ৩০ তারিখের পরই পূণর্বিজ্ঞাপনে যাচ্ছি। এতে ডিজএ্যাপোএন্টমেন্ট এর কোন কারণ নাই। আপনি শুধু এর পরে তিনজন কেন্ডিডেড গোছান যে, তারা এপ্লাই করবে আপনি তাদের পয়সা দিয়ে দিবেন এবং ওরা এখানে জাস্ট এপিয়ার করবে। আর কিচ্ছু না। ডোন্ট গেট ওরিট। ট্রেজারার আমাকে বলেছে এটা। কারণ তিনজন হলে কিন্তু আপনাদের কালকে আসতে বলতাম, বলতাম যে ‘যান’, ওকে দেখতামও না। আচ্ছা আপনি সব দিয়ে রেডি থাকেন। যেদিন সব দিয়ে দিবেন তার ঠিক একুশ দিনের মাথায় গোছায় দিব।”

এদিকে ‘১ মিনিট ২৯ সেকেন্ডের’ দ্বিতীয় অডিওটির ক্যাপশনে লেখা হয়, ‘‘এভাবেই নিয়োগ বোর্ডের আগে টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন ফাঁস করেন ড. শেখ আবদুস সালাম।" অডিওটিতে তাকে বলতে শোনা যায়, ''২০২৩ সালে বাংলাদেশের জন্য দশটি চ্যালেঞ্জ, চ্যালেঞ্জগুলো ইংরেজিটা করেন, এটা হয়তো কনটেমপোরারি বিষয়ে, পরীক্ষায় (থাকবে?)। আর খুব বেসিক কনসেপ্টস গুলা আছে না? কমিউনিকেশন এপ্রিহেনশন, তারপর গত ইসে (পরীক্ষায়) যা যা ছিলো। রইট টু ইনফরমেশন ও চ্যালেঞ্জগুলা ইংরেজিতে আরকি। একলাইন দুই লাইন করে ছোট ছোট করে। বুঝতে পারছেন?’’

এছাড়া আরো একটি পর্বে অডিওটিতে পরীক্ষার প্রশ্ন সংক্রান্ত আলোচনায় ড. সালাম (?) বলেন, “আমি তো আপনাকে সোর্সটা সহ দিয়েছি। দেখেন ওখানে। খুব চমৎকার করে একবারে চুম্বক লেখা আছে আরকি, দশটা আইটেম। এরকম দশটা ইস্যু কি? এরকম যদি কাউকে লিখতে দেয়, তাহলে সেটার একটা ইংরেজিতে প্রস্তুতি রাখেন। এখন আমি এইটুক যা বললাম। আর ট্রেজারারের সাথে একটু যোগাযোগ রাখেন। আচ্ছা যা হোক ওনাকে একটু বুঝায়ে বলেন। আর ওনাদের সাথে একটু যোগাযোগ করে আইসেন।”

অডিওতে সরবারহকৃত প্রশ্নগুলো নিয়োগ পরীক্ষার জন্য চাকরীপ্রত্যাশী অলিকে সরবারহ করা হয়েছে বলে আভিযোগ রয়েছে। তবে ফোনালাপে অপর পক্ষের কোন কথা শোনা যায়নি অডিওতে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বলেন, “উপাচার্য স্যার আমাকে জিডি করতে বলেছেন। তাই ইবি থানায় করেছি।” কি কারণে জিডি করেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, “অডিও পোস্টদাতার একাউন্টটি আইডেনটিফাই করতে জিডি করা হয়েছে।” অডিওটি উপাচার্য ড. সালামের কি, না? জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, “এটা তো আমি জানিনা, এটা প্রশাসন বের করবে।”

এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের সাথে শুক্রবার সন্ধ্যায় একাধিকবার মুঠোফেনে যোগাযোগের চেষ্ট করলেও তার সাড়া মেলেনি। পরে রাত ৯টার দিকে আবার ফোন করলে তিনি কেটে দেন। এরপর রাত ১১টার দিকে আবারও যোগাযোগ করা হলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

উল্লেখ্য, গত ২৫ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিউনিকেশন এন্ড মাল্টিমিডিয়া জার্নালিজম বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড অনুষ্ঠিত হয়। এতে সহকারী অধ্যাপক পদে আবেদনকারীরা হলেন ড. মো অলিউর রহমান, মোশারফ হোসেন ও বিউটি মন্ডল। এসময় বোর্ডে সর্বনিম্ন সংখ্যক আসন পূর্ণ না হওয়ায় সেই বোর্ড স্থগিত করা হয়। পরে গত ২ ডিসেম্বর আবারো পূণর্বিজ্ঞপ্তি প্রদান করে কর্তৃপক্ষ। আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি এই নিয়োগ বোর্ড অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে সূত্র।

অডিও ফাঁস  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

চুয়েটে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ

প্রকাশ: ০৫:৪১ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

শিক্ষার্থীদের অবরোধ ও বিক্ষোভের মধ্যে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেল ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি বৈঠকে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।

জানা গেছে, ঘোষণায় বিকেল ৫টার মধ্যে ছাত্রদের আর শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ৯টার মধ্যে ছাত্রীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে এ সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের কার্যালয়ে তালা এবং জব্দ থাকা ২টি বাসের একটিতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন।

চুয়েটের ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের পরিচালক রেজাউল বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন করে আসছিল শিক্ষার্থীরা। প্রশাসন তাদের শান্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি একাডেমিক সভায় চুয়েট বন্ধ ঘোষণা করেছেন উপাচার্য।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের বাসে আগুন দেওয়ার পর ক্যাম্পাসে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি।

এর আগে, ২৩ এপ্রিল বাসের ধাক্কায় চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের দুই শিক্ষার্থী নিহত হন। এ ঘটনায় সড়ক অবরোধ করে বাস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

চুয়েট   শিক্ষার্থীদের অবরোধ  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

কুবি শাখা ছাত্রলীগের বৃক্ষরোপন কর্মসূচী

প্রকাশ: ০২:৪৭ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail কুবি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বৃক্ষরোপন কর্মসূচী পালন

দেশের ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা সহনশীল পর্যায়ে নিয়ে আসা এবং তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এসডিজি অর্জনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশনা অনুযায়ী ১০ দিনে ৫ লাখ ও সর্বমোট এক কোটি বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।  

 

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরের দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্টে অর্ধ-শতাধিকের বেশি বৃক্ষরোপণ করেন শাখা ছাত্রলীগ। 

সবাইকে বৃক্ষ রোপণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে কুবি শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেন মাসুম বলেন, "শাখা ছাত্রলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহণে সফলভাবে আমাদের কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। কর্মসূচীতে প্রায় ৭০-৮০ টি বিভিন্ন ফলজ, বনজ এবং ঔষধি গাছ আমরা রোপন করেছি। সেই সাথে  গাছগুলো যাতে তীব্র গরমে পানি সংকটে না ভুগে সে ব্যাপারেও আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি এবং সজাগ থাকছি। আমরা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সবসময়ই গঠনতান্ত্রিক এবং নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় দেশ এবং জাতির বৃহত্তর স্বার্থে কাজ করে যাওয়ায় অঙ্গীকারবদ্ধ। আমরা সকলকে উদাত্ত আহবান জানাই আপনারাও বৈশ্বিক উষ্ণতা প্রতিরোধে আপনার আঙ্গিনায় গাছ লাগান,গাছের যত্ন নিন এবং আগামীর জন্য সুস্থ এবং সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মানে অংশগ্রহণ করুন।"


ছাত্রলীগ   বৃক্ষরোপন   তীব্র তাপদাহ   SDG অর্জন  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

ইবিতে গণরুমে র‌্যাগিংয়ের সত্যতা মিলেছে, সর্বোচ্চ শাস্তির সুপারিশ


Thumbnail লালন শাহ হল, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

সম্প্রতি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) লালন শাহ হলের গণরুমে এক নবীন ছাত্রকে র‌্যাগিং, বিবস্ত্র করে কুরুচিপূর্ণ আচরণ ও রড দিয়ে শারীরিকভাবে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠে।

এ ঘটনায় প্রশাসন ও হল প্রশাসন পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। উভয় কমিটি অভিযুক্ত ৩ শিক্ষার্থীর সরাসরি সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে। এর মধ্যে দুইজনের নির্যাতনের মাত্রা বেশি ছিল। যার ফলে তাদের বিধি অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি ও কম জড়িত থাকা এক শিক্ষার্থীকে সতর্ক করার সুপারিশ করা হয়েছে। পরবর্তীতে ছাত্র-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় আলোচনা সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কর্তৃপক্ষ।

এঘটনায় গুরুতর অভিযুক্ত দুইজন হলেন, শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের মুদাচ্ছির খান কাফি এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের মোহাম্মদ সাগর। এছাড়া ইতিহাস বিভাগের উজ্জ্বল হোসেন নামেও একজন জড়িত ছিল। তারা সকলেই ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-ফিকহ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

তদন্ত কমিটি সূত্রে জানা যায়, গত ৭ ফেব্রুয়ারি ইবির লালন শাহ হলের গণরুমে (১৩৬ নং কক্ষ) এক ছাত্রকে বিবস্ত্র করে রাতভর র‌্যাগিং করা হয়। এসময় কথা না শুনলে তাকে লোহার রড দিয়ে পেটানো হয়। এক পর্যায়ে ভুক্তভোগীকে উলঙ্গ করে পর্ণগ্রাফি দেখে অশ্লীল অঙ্গ-ভঙ্গি করতে বাধ্য করে নির্যাতনকারীরা।

এদিকে ওই কক্ষে প্রায়ই র‌্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটে বলে সাক্ষাতকার দেওয়া শিক্ষার্থীরা তদন্ত কমিটির কাছে জানিয়েছে। এছাড়াও প্রশাসনের গঠিত কমিটির ১৪ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংযুক্ত করা হয়েছে।

হল কর্তৃপক্ষের গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ড. আলতাফ হোসেন বলেন, ‘সোমবার তদন্ত প্রতিবেদন হল প্রভোস্ট বরাবর জমা দিয়েছি। আমরা ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। বিধি অনুযায়ী শাস্তি দিতে কর্তৃপক্ষকে সুপারিশ করা হয়েছে।’

লালন শাহ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আকতার হোসেন বলেন, ‘আমরা তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। জড়িতদের শাস্তির সুপারিশ করে আমরা তদন্ত প্রতিবেদন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে প্রেরণ করেছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিধি অনুযায়ী তাদের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’

প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা বলেন, ‘আমরা ঈদের আগেই তদন্ত কার্যক্রম শেষ করেছি। ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। আমরা জড়িতদের বিষয়ে প্রশাসন বরাবর বিধি অনুযায়ী শাস্তির সুপারিশ করেছি।’


ইবি   র‌্যাগিং   গণরুম  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

চুয়েটের ২ শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় বাসে আগুন

প্রকাশ: ১০:৪৬ এএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাঙ্গুনিয়ায় বাস ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই ছাত্র নিহতের ঘটনায় সোমবার রাতে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের সড়কে একটি বাসে আগুন দেয়। 

সোমবার বিকেল ৩টার দিকে দিকে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের সেলিমা কাদের কলেজ গেট এলাকায় বাস ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে শান্ত সাহা ও তৌফিক হোসেন নামে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই ছাত্র নিহত হন।

ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক আবদুল মালেক জানান, ‘রাতে চুয়েট সংলগ্ন সড়কে শাহ আমানত নামে একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। খবর পেয়ে রাঙ্গুনিয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশন থেকে দুইটি গাড়ি গিয়ে আগুন নেভায়। 

ঘটনার পরপরই চুয়েট ক্যাম্পাস ও আশপাশের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এ সময় শাহ আমানত লাইনের ৪টি বাস আটকে রাখে শিক্ষার্থীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়।


চুয়েট   শিক্ষার্থী   নিহত   বাস   আগুন  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

কুবিতে অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত

প্রকাশ: ০২:৩১ পিএম, ২২ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

প্রচন্ড তাপদাহের কারনে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) প্রশাসন৷ রবিবার (২১ এপ্রিল) ৮০ তম একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভা শেষে বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন।

 

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈন বলেন, 'সকল ক্লাস রুটিন মোতাবেক অনলাইনে নেওয়া হবে। তবে সেমিস্টার ফাইনালের পরীক্ষা চলমান থাকবে৷ এই পরীক্ষাসমূহ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত শ্রেণী কক্ষে নেওয়া হবে। পাশাপাশি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত আগামী ২ মে পর্যন্ত সকল মিডটার্ম ও ক্লাস টেস্ট স্থগিত থাকবে। এ সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন সেবা অর্ধেক চলমান থাকবে।'

 

উল্লেখ্য, বৈশাখের শুরু থেকে বাড়তে থাকা তাপমাত্রায় জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে গেলে সরকার দেশের সমস্ত স্কুল কলেজ ৭ দিনের জন্য ছুটি ঘোষণা করে। এছাড়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সকল কলেজের ক্লাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে।


তাপদাহ   অনলাইন ক্লাস   কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন