ক্লাব ইনসাইড

বেলা বোসের খোঁজে জাবির মুক্তমঞ্চে অঞ্জন দত্ত

প্রকাশ: ০৮:৩৮ পিএম, ০৩ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চ রাঙাতে আসছেন দুই বাংলার নন্দিত গায়ক অভিনেতা, পরিচালক ও লেখক অঞ্জন দত্ত। এবার নাটক-সিনেমা বা নিজের লেখা কোনো বই নিয়ে  নয়, অঞ্জন আসবেন সংগীতপ্রেমীদের প্রিয় শিল্পী হিসেবে।

আজ শুক্রবার (৩-রা মার্চ) সন্ধ্যায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩১ ব্যাচের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের আয়োজনে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে সংগীত পরিবেশনা করবেন দুই বাংলার নন্দিত গায়ক অঞ্জন দত্ত।

গত কয়েক দশকে  হাতেগোনা যে কয়েকজন শিল্পী গভীর আবেশে শ্রোতাদের আবিষ্ট করে রেখেছেন, তাঁদের মধ্যে অঞ্জন দত্ত অন্যতম। অঞ্জন দত্তের গান বর্তমান জেনারেশনের শ্রোতা শ্রেনীর অনেক দিনের সঙ্গী। তাঁর করা অনেক গানই শ্রোতা মনে বুদ্‌বুদ তুলে আসছে। মনে হয় অঞ্জন যেন শ্রোতাদের মনের  কথাগুলোই গানে গানে বলছেন।

অঞ্জনের গানে পাহাড়ি রাস্তায় আঁকাবাঁকা শরীরের আলো, ফুটপাথের কলে স্নান করার সময় ঝলমল করে ওঠা কিশোরের শরীর, অফিস ফেরত ক্লান্ত মধ্যবিত্তের নাছোড় আশাবাদ আর অনন্ত সাতের দশক। তিনি থিয়েটার করেন, সিনেমা বানান, গান বাঁধেন, আরও কত কী! বেড়ে ওঠার শহর দার্জিলিং ফিরে ফিরে এসেছে তাঁর গানে, ‘আমার শৈশবের দার্জিলিংটা’ বা ‘কাঞ্চনজঙ্ঘা’—এগুলোর মধ্যে শ্রোতারা যেন দেখতে পান পাহাড়ঘেরা দার্জিলিংয়ের অপরূপ প্রকৃতি।


শ্রোতা মনে সাড়া জাগানো অঞ্জনের তুমুল জনপ্রিয় গান,  বেলা বোস তুমি শুনতে পাচ্ছো কি?... দশ বারো বার রং নম্বর পেরিয়ে তোমায় পেয়েছি...। গানের সেই বেলা বোস কি আভিজাত্য মোড়া এক অশরীরী নাম? নাকি, সত্যিই তিনি ছিলেন? সত্যই কি তিনি ভাবুক, চাকুরীহীন প্রেমিককে ছেড়ে, মা-বাবার পছন্দের পাত্রকে বিয়ে করে সুখের অজানা দেশে পাড়ি দিয়েছিলেন? এতই কঠোরমনা ছিলেন কি তিনি?

অঞ্জন দত্তের সেই গান আজকের অতি আধুনিক যুগেও যুবকদের হৃদয়ে দোলা জাগায়। আজও স্মৃতিতে উজ্জ্বল কোনও এক নীরব নারীর সেই নিরুচ্চারিত প্রত্যাখ্যান। বেকারত্বের অন্ধকারে তলিয়ে যেতে থাকা এক যুবকের করুণ আর্তচিৎকার । ভেসে যেতে যেতে খড়কুটোর মতো আঁকড়ে ধরতে চাওয়া সেই তরুণ প্রাণ। একচিলতে আলোর মত 'নতুন চাকরি'।

পশ্চিমের সঙ্গীতের শ্রোতা এই বাঙালিকেই নিজের গানের মাধ্যমে সমৃদ্ধ করেন অঞ্জন। সেই নব্বই দশকের গোড়া থেকেই। তার কিছু বিখ্যাত গানের মধ্যে রয়েছে, ছেলেবেলার স্মৃতিচারণ, গান শেখানোর শিক্ষককে উৎসর্গ করে ‘ফাইভ হান্ড্রেড মাইলস’ (500 Miles) গানের সুর অনুকরণে রচিত গান 'মিস্টার হল'।
জন ডেনভারের গানের প্রতি অঞ্জনের আকর্ষণ থেকে রচিত গান 'সানশাইন'।

‘পুরনো গিটার’ অ্যালবামের 'মালা' গানটি অঞ্জনের অত্যন্ত বিখ্যাত গানের একটি। সাধারণ গরিব পরিবারের একটি মেয়ে কীভাবে আর্থসামাজিক কাঠামোর চূড়ায় পৌঁছে যায়, কীভাবে বদলে যায় তার জীবন— সেই গল্প নিয়েই তার এই গান। ব্রিটিশ গায়ক পিটার সারসটেটের ‘হোয়্যার ডু ইউ গো টু মাই লাভলি’ (Where Do You Go To My Lovely)-র সুর এমন মূল ভাবনার কিছুটা আদলে এই গানটি তৈরি করেছিলেন অঞ্জন।

পিট সিগারের গাওয়া গান থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ২০০১ সালে প্রকাশিত অঞ্জনের ‘রং পেন্সিল’ অ্যালবামের 'ছোট বাক্স' গানটি শ্রোতাদের মাঝে বেশ জনপ্রিয়তা পায়।তার জনপ্রিয় আরেকটি গান 'পুরনো গিটার'। যে গানটি অঞ্জনের সেই সব শিল্পীর প্রতি হোমেজ, যাঁরা তাঁকে গান গাইতে সাহস জুগিয়েছেন। সেই শিল্পীদের তালিকায় যেমন আছেন কবীর সুমন, তেমনই আছেন বব ডিলনও। ডিলনের ‘ব্লোয়িং ইন দ্য উইন্ড’ (Blowin' in the Wind), ‘মিস্টার ট্যাম্বুরিন ম্যান’ (Mr Tambourine Man)-ও অঞ্জনকে মঞ্চে গাইতে দেখা গিয়েছে বারবার।


গান-সিনেমায় একাকার হলেও অঞ্জন হয়তো অভিনেতা হিসেবেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন।
বছর কয়েক আগে ঢাকায় এসে একবার সে কথাও বলেছিলেন স্পষ্ট ভাবে, ‘এখন গানই আমার পরিচয়। কিন্তু আমি আসলে অভিনেতা হতে চেয়েছি। বড় মাপের পরিচালকের সঙ্গে কাজ করেছি বটে, কিন্তু বড় অভিনেতা হতে পারিনি। আমি এখন আর নতুন করে অভিনেতা হওয়ার চেষ্টা করি না। আমি মনে করি, একটা সময় যেভাবে অভিনেতা হওয়ার জন্য কাজ করেছি, তা এখন আর সম্ভব নয়। যদি বয়স কম হতো, তাহলে অভিনেতাই হতে চাইতাম। তবে গান না গাইলে হয়তো হারিয়েই যেতাম।’

এই গুণী শিল্পীর জন্ম ১৯৫৩ সালের ১৯ জানুয়ারি কলকাতায়। তবে তার পড়াশোনা ও বেড়ে উঠা দার্জিলিংয়ে। সেখানকার সেন্ট পলস স্কুলের কঠোর নিয়মের মধ্যেও পালিয়ে সিগারেট খাওয়া, প্রেম করা। আবার স্কুলমাস্টারের বেত খাওয়ার বাইরে একজন অঞ্জন হয়ে ওঠার আকুতি স্কুল থেকেই পেয়েছিলেন এই শিল্পী।

অঞ্জন দত্ত  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

ঢাবি রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ, ফলাফল রোববার

প্রকাশ: ০৮:২৭ এএম, ১৯ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে ২৫ জন রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব, নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন এবং শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রে নির্বাচনের ঢাকা এলাকার ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। এর আগে গত ৪, ১১ ও ১৪ মার্চ সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে ভোটগ্রহণ করা হয়।

রোববার সকাল ১০টায় নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে সিনেট নির্বাচনের ভোট গণনা এবং গণনা শেষে ফলাফল প্রকাশ করা হবে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর থেকে জানানো হয়েছে। 

এদিকে, শনিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান ঢাকার কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ নির্বাচনের চিফ প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন।

উল্লেখ্য, রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচনে ভোটগ্রহণ ঢাকার বাইরে গত ৪ মার্চ ২৯টি কেন্দ্রে, গত ১১ মার্চ ৯টি কেন্দ্রে এবং ১৪ মার্চ ৪টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ছিল ৫৯ হাজার ৩২০ জন। 



মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

হল থেকে বের করে দেয়ায় রাতে ঢাবি শিক্ষার্থীদের অবস্থান

প্রকাশ: ০৮:৫১ এএম, ১৬ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন স্যার এ এফ রহমান হলের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থীরা। তৃতীয় বর্ষের ‘বড় ভাই’রা হল থেকে বের করে দেওয়ার প্রতিবাদে ও হলে স্বাভাবিকভাবে থাকার জায়গার দাবিতে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন।

বুধবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এই অবস্থান শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এক ঘণ্টার বেশি সময় অবস্থানের পর রাত ২টা ৪০ মিনিটে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনানের আশ্বাসে সরে যান শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা যায়, স্যার এ এফ রহমান হলের ১১১ নম্বর কক্ষে ৪৩ জন শিক্ষার্থী থাকেন। কক্ষটি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনানের নিয়ন্ত্রণাধীন। এখানে চার জনের জায়গায় সর্বোচ্চ আট জন থাকা সম্ভব। অথচ সেখানে থাকেন ৪৩ জন শিক্ষার্থী। 

অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা বলেন,  চার জনের এক রুমে ৪৩ জন থাকা একপ্রকার অসম্ভব। সমস্যার কথা জানালে বড় ভাইয়েরা বলেন, ‘তোরা পচে মর, আমাদের সমস্যা নাই’। পাঁচ মিনিটের আল্টিমেটামে আমাদের বের করে দিয়েছে। আমাদের জিনিসপত্র নেওয়ার সময় পর্যন্ত তারা দেননি।

রাত আড়াইটার দিকে ঘটনাস্থলে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়ালি আসিফ ইনান উপস্থিত হন। তিনি শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে রুম দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে হলে ফেরত পাঠান।

এ সময় ওয়ালি আসিফ ইনান সাংবাদিকদের বলেন, শিক্ষার্থীদের অবস্থানের বিষয় জানতে পেরে আমার বিবেকের টান থেকেই এখানে এসেছি। 

এসময় তিনি সিটের দাবিতে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের পরবর্তীতে কোনো ধরনের হয়রানি করা হবে না বলে জানান। যারা তাদের কক্ষ থেকে বের করে দিয়েছেন তাদের মানসিক সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ওয়ালি আসিফ ইনান।



মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

অডিও ভাইরালের নেপথ্যদের খুঁজছে ইবি কর্তৃপক্ষ


Thumbnail

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ভিসির নয়টি অডিও ভাইরাল হয়েছে। এই ঘটনায় ভিসির কার্যালয়ে তালা দিয়ে তিনদিন আন্দোলন করেছে চাকরি প্রত্যাশী ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকর্মীরা। ভিসির অপসারণ দাবি ও ভিসির ফাঁস হওয়া অডিও রেকর্ড মাইকে বাজিয়ে আন্দোলন করে তারা। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক কর্তাব্যক্তির অডিও ফাঁস হয়েছে। এসব ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ণ হয়েছে দাবি করে এসবের নেপথ্যের মানুষদের চিহ্নিত করতে একটি কমিটি করেছে প্রশাসন।

রবিবার (১২ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। রেজিস্ট্রার দপ্তরের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বিগত দুই/তিন সপ্তাহ যাবত এবং ইতোপূর্বেও বিভিন্ন সময়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ প্রশাসন, শিক্ষকসহ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যদের নামে অনেক ক্ষেত্রে অডিও, ভিডিও ধারণ করে ফেক আইডি খুলে তা গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন ডিজিটাল মিডিয়া ও পত্র-পত্রিকায় প্রচার করা হচ্ছে। কখনও কখনও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মাইক বাজিয়েও এ ধরনের প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এসব বিষয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ণ করছে। বিষয়গুলো সামাগ্রীকভাবে খতিয়ে দেখা ও এসবের নেপথ্যের মানুষদের চিহ্নিত করতে ৫ সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে।

কমিটিতে জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোঃ রেজওয়ানুল ইসলামকে আহ্বায়ক ও আইসিটি সেলের সিস্টেম এনালিস্ট মোঃ নাঈম মোরশেদকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, আই আই ই আর-এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মোঃ মামুনুর রহমান, গণিত বিভাগের অধ্যাপক মোঃ মিজানুর রহমান ও আইসিটি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপকনড. মোঃ সাদেক আলী।

কমিটিতে কর্তৃপক্ষের নিকট যথাশীঘ্রই প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া এই কমিটি প্রয়োজনে যেকোন সংশ্লিষ্ট সরকারী দপ্তর, পেশাদারী প্রতিষ্ঠান/ব্যক্তির সহযোগিতা নিতে পারবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ রয়েছে।

প্রসঙ্গত, ‘ফারাহ জেবিন’ ও ‘মিসেস সালাম’ নামে পৃথক দুটি ফেসবুক আইডি থেকে ১৬ ও ১৭ই ফেব্রুয়ারি ভিসির পাঁচটি ফোনালাপের অডিও ভাইরাল হয়। সর্বশেষ ১৯ ও ২০শে ফেব্রুয়ারি আরও দুইটা অডিও ফাঁস হয়। পরে ওই আইডিগুলো থেকে পরপর আরও দুইটা অডিও ভাইরাল করা হয়। অডিওগুলোতে নিয়োগ বোর্ড, চাকরির প্রশ্নের বিষয়ে কথোপকথন, চাকরির বিনিময়ে আর্থিক লেনদেন ও শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারির নিয়োগ বাণিজ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে ভিসিকে কথা বলতে শোনা যায়। এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ১৭ই ফেব্রুয়ারি ইবি থানায় জিডি করা হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ১৮, ২০ ও ২২ ফেব্রুয়ারি ভিসির কার্যালয়ে তালা ঝুলিয় আন্দোলন করে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত অস্থায়ী চাকরিজীবী পরিষদ। এদের সকলেই ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকর্মী। এসময় তারা ভিসির অপসারণ দাবি করেন।

এদিকে গত ২০ ফেব্রুয়ারি গোপন ডিভাইসের খোঁজে ভিসির কার্যালয়ে ও বাসভবনে তল্লাশি চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এছাড়াও গত ১৯ ও ২২ ফেব্রুয়ারি পৃথক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মোট পাঁচটি নিয়োগ নির্বাচনী বোর্ড স্থগিত করে কর্তৃপক্ষ। এছাড়া গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ভিসির একান্ত সচিব আইয়ূব আলীকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

এদিকে অডিও ফাঁসের ঘটনায় সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন শাপলা ফোরাম। একইসঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত ভিসির অডিও ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরসমূহ বিশ্লেষণ পূর্বক ‘অস্বস্তিকর অবস্থা’ থেকে পরিত্রাণের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে আচার্য, প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ইউজিসিসহ বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরে চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় তারা। এছাড়া অডিও ফাঁসের ঘটনায় গত শনিবার সংবাদ সম্মেলন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতিও সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ইউজিসিসহ বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখার জন্য আহ্বান করেন তারা।

অডিও ভাইরাল  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

এবার রেল লাইনে আগুন দিলো রাবি শিক্ষার্থীরা, ট্রেন চলাচল বন্ধ


Thumbnail

এবার রেল লাইনে আগুন দিয়ে বিক্ষোভ করছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এতে রাজশাহীর-ঢাকা রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। গতকাল রোববার রাত পৌনে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী রেল লাইনে আগুন দেন তারা। পশ্চিম রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) অসিম কুমার তালুকদার  এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, রাবি শিক্ষার্থীদের দেওয়া আগুনের কারণে রাজশাহীর সঙ্গে সারাদেশে রেল যোগাযোগ বন্ধ। প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনুমতি পেলে ট্রেন যোগাযোগ আবারও চালু করা হবে।

অসিম কুমার আরও বলেন, এখন পর্যন্ত চারটি ট্রেন আটকা পড়েছে। অনেক ট্রেন ছেড়ে যেতে পারছে না। যাত্রীরা চাইলে ট্রেনের টিকিট ফেরত দিয়ে টাকা নিতে পারবেন।

এর আগে স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে কয়েক দফা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে এবং আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বিভিন্ন ব্যানার এনে রেল লাইন দুই পাশে আগুন জালিয়ে স্লোগান দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীদের তৈরি করা বিশাল আকৃতির ময়ূর এনে সেখানে আগুন জ্বালাতে দেখা যায়।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি চালানো হয়েছে। আমাদের শতাধিক ভাই আহত হয়ে মেডিকেল ভর্তি আছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে। গতকালের ঘটনায় আমরা প্রশাসনের কাউকেই পাশে পাইনি। প্রক্টরের পদ কেন রাখা হয়েছে। পুলিশকে গুলি করার হুকুম কে দিয়েছে? প্রক্টরের পদত্যাগের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।

এর আগে  শনিবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যায় বাসের ভেতর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা কাটাকাটির জের ধরে সহপাঠীরা বিনোদপুর বাজারে চালক ও হেলপারকে মারধর করেন। বাস থেকে চালককে নামিয়ে মারধর করা হয়। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এতে বাধা দিলে তাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের বিরোধ দেখা দেয়। এরপর রাতভর দফায় দফায় স্থানীয়দের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে অন্তত ২০০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এদের মধ্যে প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

রেল লাইনে আগুন  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

উত্তপ্ত রাবি ক্যাম্পাস, ভিসি অবরুদ্ধ

প্রকাশ: ০৫:২৫ পিএম, ১২ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনার দ্বিতীয় দিনের মত উত্তপ্ত অবস্থা বিরাজ করছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে । এরই ধারাবাহিকতায় আজ রোববার সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা জড় হতে শুরু করছে চারুকলা বিভাগের সামনে। এ সময় তারা শিক্ষাদের উপর বহিরাগতদের হামলার ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করে।  এক পর্যায়ে  বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী রাবি ভিসির বাসভবন ঘেরাও করে। এসময় সাংবাদিকরা ছবি তুলতে গেলে তার উপর হামলা চালায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভিসি শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলতে এলে তাকে সাবাস বাংলা মাঠে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ভিসি সাবাস বাংলা মাঠে অবরুদ্ধ ছিল। বর্তমান ভিসিকে রাবির শহীদ তাজ উদ্দিন আহমেদ সিনেট ভবনের সামনে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে।

মূলত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে দক্ষিণ পাশে অবস্থিত উপাচার্য ভবনের সামনে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেন। এসময় তারা জ্বালো জ্বালো, আগুন জ্বালো স্লোগান দিতে থাকেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে কথা বলতে এলে শিক্ষার্থীদের রোষানলে পড়েন ভিসি। সেখানে উপাচার্যকে উদ্দেশ্য করে শিক্ষার্থীরা ‘ভূয়া, ভূয়া’ বলে স্লোগান দিতে থাকে।

এর আগে, এদিন সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের ফটকে তালা দিয়ে সামনে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। পরে সেখান থেকে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে উপাচার্য ভবনের সামনে শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেন।

শিক্ষার্থীরা ভিসির বাসভবন ঘেরাও করলে  সেখানে সাংবাদিকরা  ছবি তুলতে যান। এসময় শিক্ষার্থীরা কালেরকণ্ঠ পত্রিকার ফটোসাংবাদিক সালাহ উদ্দিন ও চ্যানেল ২৪ এর ক্যামেরাম্যানের উপর হামলা চালায়। তারা এই দুই সাংবাদিকের ক্যামেরা ভাংচুর করে।

এদিকে শিক্ষার্থীরা সকাল থেকে বেশ কিছু দাবি তুলে ধরে ভিসির বাস ভবন ঘেরাও করে রাখে। তাদের দাবিগুলো হলো- শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারী স্থানীয় ও পুলিশ সদস্যদের বিচার, বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগতদের প্রবেশ বন্ধ ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত, বিশ্ববিদ্যালয়কে শতভাগ আবাসিক করা, আহত শিক্ষার্থীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত, ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন নীতি নির্ধারণে শিক্ষার্থী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে।

এদিকে পারিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বিজিবি ও পুলিশ  মোতায়েন আছে। বর্তমান থমথমে অবস্থা বিরাজ করায়  রাবি এলাকায়।  শনিবার রাত ১০টার দিকে সাত প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়।  এরআগে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল।

স্থানীয় ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থী সাথে সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে পুলিশের ছোড়া টিয়ারসেলের আঘাতে এবং শিক্ষার্থী-ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ২০০ জন আহত হয়।

রাজশাহী নগরীর মতিয়া থানার ওসি হাফিজুর রহমান জানান, পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

উত্তপ্ত রাবি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন