ক্লাব ইনসাইড

জাবি ছাত্রলীগ দ্বারা জাবির সিনেট সদস্য লাঞ্ছিত

প্রকাশ: ১২:০৭ পিএম, ১১ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) মুক্তমঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলাকালে মঞ্চে উঠতে না দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তাসহ অতিথিকে মারধর করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ কর্মীরা৷ এসময় ছাত্রলীগের কর্মীদের হাতে লাঞ্ছিত হন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক দুই সভাপতি।

শুক্রবার (১০ মার্চ) রাত ১১ টায় সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চে ৩২ ব্যাচের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান চলাকালে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মীদের উপস্থিতিতে মারধরের ঘটনা ঘটে।

প্রাথমিক সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্তরা সকলেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক ছাত্র ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ছাত্রলীগ কর্মী। জানা যায় তারা সকলেই শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটনের অনুসারী।

প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা যায়, ৩২ ব্যাচের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে মঞ্চে পারফর্ম করছিলেন সোলস ব্যান্ডের পার্থ বড়ুয়া৷ এসময় ছাত্রলীগ কর্মীরা মঞ্চে ওঠার চেষ্টা করে। তবে আয়োজকরা অনুষ্ঠানের স্বার্থে ঢুকতে বাধা দেয়৷ এসময় পার্থ বড়ুয়ার সাথে আসা লিটন নামের একজনকে মারধর করে ছাত্রলীগ কর্মীরা৷ এসময় প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহিন পরিস্থিতি থামাতে গেলে তাকেও মারধর করে তারা।

এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য ও যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল পারভেজ এবং সাবেক সভাপতি রাশেদুল ইসলাম শাফিন এগিয়ে আসিলে তাদেরকেও লাঞ্ছছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।

এই মারধরের ঘটনায় শাখা ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক বাবুল হোসেন রনি, উপ-বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক উৎস দত্ত, উপ-ছাত্রবৃত্তি বিষয়ক সম্পাদক অরবিন্দ ভৌমিক,
সহ-সভাপতি কে এম রহমান জাকারিয়া, উপ-আন্তার্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সবুজ রায়ের নেতৃত্বে দেয়। এসময় তাদের সাথে ২০-২৫ জন ছাত্রলীগ কর্মী ছিলেন।

এসময় তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয় এক সাংবাদিককেও লাঞ্ছিত করা হয়৷

প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহিন বলেন, 'আমি দেখতে পেলাম অনেকগুলো ছেলে মিলে লিটনকে মাটিতে ফেলে মারধর করছে। এসময় আমি পরিচয় দিয়ে তাদের থামানোর চেষ্টা করি। কিন্তু তারা আমার উপর চড়াও হয়ে আমাকে মারধর করা শুরু করে।'

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৩২ ব্যাচের এক শিক্ষার্থী বলেন, :অতিথিকে মারধরের সময় সোহেল পারভেজ ও শাফিন ছেলেদের আটকানোর চেষ্টা করলে তাদেরকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়। এসময় প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহিনকে বেধড়ক মারধর করে উপস্থিত ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী।'

বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি রাশেদুল ইসলাম শাফিন বলেন, 'ঘটনার সময় আমি দর্শক সারিতে ছিলাম। হঠাৎ করেই কিছু ছেলে মঞ্চে উঠে মারধর শুরু করে। আমি সোহেল ভাইসহ ঘটনা থামাতে গেলে আমাদের কথায় কর্ণপাত না করে উল্টো চড়াও হয়। ওরা পুরো তিনদফায় মারামারি করে৷ '

মারামারির সাথে সম্পৃক্ততার অভিযোগ অস্বীকার করে উৎস দত্ত বলেন, 'আমি তখন মুক্তমঞ্চের পাশে ছিলাম । এরকম একটা ঘটনা ঘটেছে আমি শোনার পর মুক্তমঞ্চে গিয়ে দেখি আমার হলের জুনিয়ররা সেখানে ঝামেলা করতেছে। তাই আমি আমার দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে হলের সিনিয়র হিসেবে সেখান থেকে জুনিয়রদের পাঠিয়ে দেই। আমি এই মারামারিতে সম্পৃক্ত নয়। কেউ যদি বলে থাকে আমি সম্পৃক্ত তবে সেটা উদ্দেশ্য প্রনোদিত হয়ে বলেছে তারা।'

মারধরের ঘটনায় সম্পৃক্ততার অভিযোগ আসা আকাশ তুহিন বলেন, 'আমিতো উপস্থিত ছিলাম মুক্তমঞ্চে। কি ঘটেছে ভিতরের কাহিনী বিস্তারিত জানিনা। দেখলাম ঝামেলা হচ্ছে। এটা একটা রঙ ইনফরমেশন, আমি এমন কোন ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম না। আমি দর্শকদের সারিতে দাঁড়িয়ে ছিলাম।'

মারধরের ঘটনায় সম্পৃক্ততার অভিযোগী বাবুল হোসেন রনি, সবুজ রায়ের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তারা ফোন রিসিভ করেনি।

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটন বলে, 'আমি ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ভাইয়ের বিয়ের দাওয়াতে এসেছি। এই অপ্রীতিকর ঘটনার খবর জেনেছি। ক্যাম্পাসে ফিরে এবিষয়ে ব্যবস্থা নেব।নিজের ছাত্রলীগ কর্মীদের দ্বারা সাবেক দুই সভাপতি লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, এরকম কিছু ঘটে থাকলে অবশ্যই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।'

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ.স.ম ফিরোজ-উল হাসান বলেন, ‘আমি ক্যাম্পাসের বাইরে ছিলাম, মাত্র ক্যাম্পাসে এসেছি। মোবাইলে টুকটাক জেনেছি। বিস্তারিত জেনে ব্যবস্থা নিবো।’

ছাত্রলীগ  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

ঢাবি রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ, ফলাফল রোববার

প্রকাশ: ০৮:২৭ এএম, ১৯ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে ২৫ জন রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব, নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন এবং শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রে নির্বাচনের ঢাকা এলাকার ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। এর আগে গত ৪, ১১ ও ১৪ মার্চ সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে ভোটগ্রহণ করা হয়।

রোববার সকাল ১০টায় নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে সিনেট নির্বাচনের ভোট গণনা এবং গণনা শেষে ফলাফল প্রকাশ করা হবে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর থেকে জানানো হয়েছে। 

এদিকে, শনিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান ঢাকার কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ নির্বাচনের চিফ প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন।

উল্লেখ্য, রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচনে ভোটগ্রহণ ঢাকার বাইরে গত ৪ মার্চ ২৯টি কেন্দ্রে, গত ১১ মার্চ ৯টি কেন্দ্রে এবং ১৪ মার্চ ৪টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ছিল ৫৯ হাজার ৩২০ জন। 



মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

হল থেকে বের করে দেয়ায় রাতে ঢাবি শিক্ষার্থীদের অবস্থান

প্রকাশ: ০৮:৫১ এএম, ১৬ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন স্যার এ এফ রহমান হলের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থীরা। তৃতীয় বর্ষের ‘বড় ভাই’রা হল থেকে বের করে দেওয়ার প্রতিবাদে ও হলে স্বাভাবিকভাবে থাকার জায়গার দাবিতে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন।

বুধবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এই অবস্থান শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এক ঘণ্টার বেশি সময় অবস্থানের পর রাত ২টা ৪০ মিনিটে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনানের আশ্বাসে সরে যান শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা যায়, স্যার এ এফ রহমান হলের ১১১ নম্বর কক্ষে ৪৩ জন শিক্ষার্থী থাকেন। কক্ষটি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনানের নিয়ন্ত্রণাধীন। এখানে চার জনের জায়গায় সর্বোচ্চ আট জন থাকা সম্ভব। অথচ সেখানে থাকেন ৪৩ জন শিক্ষার্থী। 

অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা বলেন,  চার জনের এক রুমে ৪৩ জন থাকা একপ্রকার অসম্ভব। সমস্যার কথা জানালে বড় ভাইয়েরা বলেন, ‘তোরা পচে মর, আমাদের সমস্যা নাই’। পাঁচ মিনিটের আল্টিমেটামে আমাদের বের করে দিয়েছে। আমাদের জিনিসপত্র নেওয়ার সময় পর্যন্ত তারা দেননি।

রাত আড়াইটার দিকে ঘটনাস্থলে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়ালি আসিফ ইনান উপস্থিত হন। তিনি শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে রুম দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে হলে ফেরত পাঠান।

এ সময় ওয়ালি আসিফ ইনান সাংবাদিকদের বলেন, শিক্ষার্থীদের অবস্থানের বিষয় জানতে পেরে আমার বিবেকের টান থেকেই এখানে এসেছি। 

এসময় তিনি সিটের দাবিতে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের পরবর্তীতে কোনো ধরনের হয়রানি করা হবে না বলে জানান। যারা তাদের কক্ষ থেকে বের করে দিয়েছেন তাদের মানসিক সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ওয়ালি আসিফ ইনান।



মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

অডিও ভাইরালের নেপথ্যদের খুঁজছে ইবি কর্তৃপক্ষ


Thumbnail

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ভিসির নয়টি অডিও ভাইরাল হয়েছে। এই ঘটনায় ভিসির কার্যালয়ে তালা দিয়ে তিনদিন আন্দোলন করেছে চাকরি প্রত্যাশী ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকর্মীরা। ভিসির অপসারণ দাবি ও ভিসির ফাঁস হওয়া অডিও রেকর্ড মাইকে বাজিয়ে আন্দোলন করে তারা। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক কর্তাব্যক্তির অডিও ফাঁস হয়েছে। এসব ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ণ হয়েছে দাবি করে এসবের নেপথ্যের মানুষদের চিহ্নিত করতে একটি কমিটি করেছে প্রশাসন।

রবিবার (১২ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। রেজিস্ট্রার দপ্তরের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বিগত দুই/তিন সপ্তাহ যাবত এবং ইতোপূর্বেও বিভিন্ন সময়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ প্রশাসন, শিক্ষকসহ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যদের নামে অনেক ক্ষেত্রে অডিও, ভিডিও ধারণ করে ফেক আইডি খুলে তা গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন ডিজিটাল মিডিয়া ও পত্র-পত্রিকায় প্রচার করা হচ্ছে। কখনও কখনও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মাইক বাজিয়েও এ ধরনের প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এসব বিষয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ণ করছে। বিষয়গুলো সামাগ্রীকভাবে খতিয়ে দেখা ও এসবের নেপথ্যের মানুষদের চিহ্নিত করতে ৫ সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে।

কমিটিতে জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোঃ রেজওয়ানুল ইসলামকে আহ্বায়ক ও আইসিটি সেলের সিস্টেম এনালিস্ট মোঃ নাঈম মোরশেদকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, আই আই ই আর-এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মোঃ মামুনুর রহমান, গণিত বিভাগের অধ্যাপক মোঃ মিজানুর রহমান ও আইসিটি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপকনড. মোঃ সাদেক আলী।

কমিটিতে কর্তৃপক্ষের নিকট যথাশীঘ্রই প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া এই কমিটি প্রয়োজনে যেকোন সংশ্লিষ্ট সরকারী দপ্তর, পেশাদারী প্রতিষ্ঠান/ব্যক্তির সহযোগিতা নিতে পারবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ রয়েছে।

প্রসঙ্গত, ‘ফারাহ জেবিন’ ও ‘মিসেস সালাম’ নামে পৃথক দুটি ফেসবুক আইডি থেকে ১৬ ও ১৭ই ফেব্রুয়ারি ভিসির পাঁচটি ফোনালাপের অডিও ভাইরাল হয়। সর্বশেষ ১৯ ও ২০শে ফেব্রুয়ারি আরও দুইটা অডিও ফাঁস হয়। পরে ওই আইডিগুলো থেকে পরপর আরও দুইটা অডিও ভাইরাল করা হয়। অডিওগুলোতে নিয়োগ বোর্ড, চাকরির প্রশ্নের বিষয়ে কথোপকথন, চাকরির বিনিময়ে আর্থিক লেনদেন ও শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারির নিয়োগ বাণিজ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে ভিসিকে কথা বলতে শোনা যায়। এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ১৭ই ফেব্রুয়ারি ইবি থানায় জিডি করা হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ১৮, ২০ ও ২২ ফেব্রুয়ারি ভিসির কার্যালয়ে তালা ঝুলিয় আন্দোলন করে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত অস্থায়ী চাকরিজীবী পরিষদ। এদের সকলেই ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকর্মী। এসময় তারা ভিসির অপসারণ দাবি করেন।

এদিকে গত ২০ ফেব্রুয়ারি গোপন ডিভাইসের খোঁজে ভিসির কার্যালয়ে ও বাসভবনে তল্লাশি চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এছাড়াও গত ১৯ ও ২২ ফেব্রুয়ারি পৃথক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মোট পাঁচটি নিয়োগ নির্বাচনী বোর্ড স্থগিত করে কর্তৃপক্ষ। এছাড়া গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ভিসির একান্ত সচিব আইয়ূব আলীকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

এদিকে অডিও ফাঁসের ঘটনায় সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন শাপলা ফোরাম। একইসঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত ভিসির অডিও ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরসমূহ বিশ্লেষণ পূর্বক ‘অস্বস্তিকর অবস্থা’ থেকে পরিত্রাণের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে আচার্য, প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ইউজিসিসহ বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরে চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় তারা। এছাড়া অডিও ফাঁসের ঘটনায় গত শনিবার সংবাদ সম্মেলন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতিও সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ইউজিসিসহ বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখার জন্য আহ্বান করেন তারা।

অডিও ভাইরাল  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

এবার রেল লাইনে আগুন দিলো রাবি শিক্ষার্থীরা, ট্রেন চলাচল বন্ধ


Thumbnail

এবার রেল লাইনে আগুন দিয়ে বিক্ষোভ করছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এতে রাজশাহীর-ঢাকা রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। গতকাল রোববার রাত পৌনে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী রেল লাইনে আগুন দেন তারা। পশ্চিম রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) অসিম কুমার তালুকদার  এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, রাবি শিক্ষার্থীদের দেওয়া আগুনের কারণে রাজশাহীর সঙ্গে সারাদেশে রেল যোগাযোগ বন্ধ। প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনুমতি পেলে ট্রেন যোগাযোগ আবারও চালু করা হবে।

অসিম কুমার আরও বলেন, এখন পর্যন্ত চারটি ট্রেন আটকা পড়েছে। অনেক ট্রেন ছেড়ে যেতে পারছে না। যাত্রীরা চাইলে ট্রেনের টিকিট ফেরত দিয়ে টাকা নিতে পারবেন।

এর আগে স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে কয়েক দফা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে এবং আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বিভিন্ন ব্যানার এনে রেল লাইন দুই পাশে আগুন জালিয়ে স্লোগান দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীদের তৈরি করা বিশাল আকৃতির ময়ূর এনে সেখানে আগুন জ্বালাতে দেখা যায়।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি চালানো হয়েছে। আমাদের শতাধিক ভাই আহত হয়ে মেডিকেল ভর্তি আছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে। গতকালের ঘটনায় আমরা প্রশাসনের কাউকেই পাশে পাইনি। প্রক্টরের পদ কেন রাখা হয়েছে। পুলিশকে গুলি করার হুকুম কে দিয়েছে? প্রক্টরের পদত্যাগের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।

এর আগে  শনিবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যায় বাসের ভেতর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা কাটাকাটির জের ধরে সহপাঠীরা বিনোদপুর বাজারে চালক ও হেলপারকে মারধর করেন। বাস থেকে চালককে নামিয়ে মারধর করা হয়। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এতে বাধা দিলে তাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের বিরোধ দেখা দেয়। এরপর রাতভর দফায় দফায় স্থানীয়দের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে অন্তত ২০০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এদের মধ্যে প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

রেল লাইনে আগুন  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

উত্তপ্ত রাবি ক্যাম্পাস, ভিসি অবরুদ্ধ

প্রকাশ: ০৫:২৫ পিএম, ১২ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনার দ্বিতীয় দিনের মত উত্তপ্ত অবস্থা বিরাজ করছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে । এরই ধারাবাহিকতায় আজ রোববার সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা জড় হতে শুরু করছে চারুকলা বিভাগের সামনে। এ সময় তারা শিক্ষাদের উপর বহিরাগতদের হামলার ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করে।  এক পর্যায়ে  বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী রাবি ভিসির বাসভবন ঘেরাও করে। এসময় সাংবাদিকরা ছবি তুলতে গেলে তার উপর হামলা চালায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভিসি শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলতে এলে তাকে সাবাস বাংলা মাঠে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ভিসি সাবাস বাংলা মাঠে অবরুদ্ধ ছিল। বর্তমান ভিসিকে রাবির শহীদ তাজ উদ্দিন আহমেদ সিনেট ভবনের সামনে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে।

মূলত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে দক্ষিণ পাশে অবস্থিত উপাচার্য ভবনের সামনে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেন। এসময় তারা জ্বালো জ্বালো, আগুন জ্বালো স্লোগান দিতে থাকেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে কথা বলতে এলে শিক্ষার্থীদের রোষানলে পড়েন ভিসি। সেখানে উপাচার্যকে উদ্দেশ্য করে শিক্ষার্থীরা ‘ভূয়া, ভূয়া’ বলে স্লোগান দিতে থাকে।

এর আগে, এদিন সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের ফটকে তালা দিয়ে সামনে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। পরে সেখান থেকে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে উপাচার্য ভবনের সামনে শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেন।

শিক্ষার্থীরা ভিসির বাসভবন ঘেরাও করলে  সেখানে সাংবাদিকরা  ছবি তুলতে যান। এসময় শিক্ষার্থীরা কালেরকণ্ঠ পত্রিকার ফটোসাংবাদিক সালাহ উদ্দিন ও চ্যানেল ২৪ এর ক্যামেরাম্যানের উপর হামলা চালায়। তারা এই দুই সাংবাদিকের ক্যামেরা ভাংচুর করে।

এদিকে শিক্ষার্থীরা সকাল থেকে বেশ কিছু দাবি তুলে ধরে ভিসির বাস ভবন ঘেরাও করে রাখে। তাদের দাবিগুলো হলো- শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারী স্থানীয় ও পুলিশ সদস্যদের বিচার, বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগতদের প্রবেশ বন্ধ ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত, বিশ্ববিদ্যালয়কে শতভাগ আবাসিক করা, আহত শিক্ষার্থীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত, ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন নীতি নির্ধারণে শিক্ষার্থী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে।

এদিকে পারিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বিজিবি ও পুলিশ  মোতায়েন আছে। বর্তমান থমথমে অবস্থা বিরাজ করায়  রাবি এলাকায়।  শনিবার রাত ১০টার দিকে সাত প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়।  এরআগে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল।

স্থানীয় ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থী সাথে সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে পুলিশের ছোড়া টিয়ারসেলের আঘাতে এবং শিক্ষার্থী-ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ২০০ জন আহত হয়।

রাজশাহী নগরীর মতিয়া থানার ওসি হাফিজুর রহমান জানান, পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

উত্তপ্ত রাবি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন