মন্তব্য করুন
পূর্ণাঙ্গ মহাপরিকল্পনা ব্যতীত অপরিকল্পিত উন্নয়নের নামে ভূমিগ্রাস, বৃক্ষনিধন
ও পরিবেশ-প্রতিবেশের ভারসাম্য বিনষ্ট, বনভূমি উজাড় করে আইবিএ
ভবন নির্মাণ এবং তৃতীয় প্রশাসনিক
ভবন নির্মাণের অপচেষ্টার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ-মিছিল করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষার্থীরা।
বুধবার
(৩১ মে) দুপুর ২টা
৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের উঁচু বটতলা সংলগ্ন
স্থানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল
শুরু হয়। পরবর্তীতে বিক্ষোভ-মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের উত্তরে বিজ্ঞান কারখানা সংলগ্ন স্থানে আইবিএ-র ভবন নির্মাণের
জন্য নির্ধারিত স্থানে এসে শেষ হয়।
এসময়
বিক্ষোভ-মিছিলরত শিক্ষার্থীদের "অবিলম্বে মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করো, করতে হবে"
"জনগণের টাকা অপচয় করে
উন্নয়ণ চাই না" "বনভূমি
ধ্বংস করে উন্নয়ন চাই
না" ইত্যাদি বিভিন্ন স্লোগান দিতে শোনা যায়।
বিক্ষোভ
মিছিলের শুরু হওয়ার পূর্বে
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নৃবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নুর-এ-তামিম
স্রোতের সঞ্চালনায় জহির রায়হান চলচ্চিত্র
সংসদের সাধারণ সম্পাদক মৌটুসী জুবাইদা রহমান তার বক্তব্যে বলেন,
'বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি মাস্টারপ্ল্যান থাকতেই
হবে। এর আগেও আমরা
ছেলেদের তিনটা হল ও মেয়েদের
তিনটা হল নির্মাণের সময়
প্রশাসনের অব্যস্থপনা দেখেছি। বিকল্প জায়গা থাকতেও আইবিএ ভবন নির্মাণের জন্য
যে জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে সেখানে
প্রায় ২৫০ শালবৃক্ষ রয়েছে,
অনেক প্রাণী রয়েছে সেখানে। এই বনভূমি ধ্বংসে
প্রশাসনের যে পাঁয়তারা সেটা
আমরা বাস্তবায়ন হতে দিবো না।
বিকল্প জায়গায় আইবিএ ভবন হতে পারে।'
এসময়
চলচ্চিত্র আন্দোলন কর্মী এরফানুল ইসলাম ইফতি তার বক্তব্যে
বলেন, 'আমরা ২০১৮ সাল
থেকেই মাস্টারপ্ল্যানের দাবি জানিয়ে আসছি।
মাস্টারপ্ল্যান ছাড়া কোনো ভবন হতে
পারে না। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের
শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবাই এই অপপরিকল্পানার
বিরুদ্ধে কথা বলে যাবে।'
ছাত্র
ইউনিয়ন জাবি সংসদের সহ-সাধারণ সম্পাদক ঋদ্ধ অনিন্দ্য গাঙ্গুলী
তার বক্তব্যে বলেন, 'সারাবিশ্ব যখন জলবায়ু পরিবর্তন
মোকাবেলায় কাজ করে যাচ্ছে
তখনও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরিবেশ ধ্বংস করে যাচ্ছে। আইবিএ
ভবন অবশ্যই প্রয়োজন, তবে সেটা বিকল্প
জায়গায় হতে পারে। এখানে
প্রাণ প্রকৃতি ধ্বংস করে উন্নয়ন চালানো
হচ্ছে। এখানে একটি মাস্টারপ্ল্যাণ জরুরি।
কোনো মাস্টারপ্ল্যান ছাড়া প্রশাসন কীভাবে এতো বড় একটি
প্রকল্প এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে? তারা
আমাদের ডেকে বারবর আইওয়াশ
করেছে। আমাদের এই আন্দোলন বৃহৎ
আকার ধারণ করবে।'
সমাপনী
বক্তব্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সৌমিক বাগচী বলেন, 'আমরা অনেক দিন
আগে থেকেই মাস্টারপ্ল্যানের দাবি জানিয়ে আসছি।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক ভবন অপূর্ণাঙ্গ
করে রাখা হয়েছে, এগুলোকে
পূর্ণাঙ্গ না করে নতুন
ভবন নির্মাণের দিকে প্রশাসনের এতো
আগ্রহ কেনো? এরা বারবার অপরাধ
করছে, এদিকে সবার নজর রাখা
উচিত। সেইসাথে আমরা এই অপরাধীদের
শাস্তির দাবি করছি। এর
আগেও বিভিন্ন জায়গায় স্থাপনা নির্মাণের নামে গাছ কাটা
হয়েছে, মেয়েদের খেলার মাঠ নির্মাণের নামে
করে গাছ কাটা হয়েছে,
কিন্তু সেই মাঠের কোনো
খবর নাই।'
উল্লেখ্য,
বিক্ষোভ মিছিল শেষে আইবিএ ভবন
নির্মাণের জন্য নির্ধারিত স্থানে
"গাছ কাটা নিষেধ" লেখা
একটি ব্যানার টানানো হয়।
মন্তব্য করুন
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার মধ্য দিয়ে তিনদিনের ভর্তিযুদ্ধ শুরু হচ্ছে আজ।
সোমবার (২৯ মে) সকাল ৯টা থেকে শুরু হবে তিনদিনব্যাপী ভর্তিযুদ্ধের প্রথম দিনের কার্যক্রম। এ বছর ‘সি’ ইউনিটে ১ হাজার ৫৯৪টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন ৭৫ হাজার ৮৫০ জন ভর্তিচ্ছু ৷ সে হিসাবে ভর্তিযুদ্ধে আসনপ্রতি লড়বেন ৪৮ জন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, চার শিফটের এ ভর্তি পরীক্ষার প্রথম শিফট সকাল ৯টায় শুরু হয়ে শেষ হবে সকাল ১০টায়। দ্বিতীয় শিফট বেলা ১১টায় শুরু হয়ে শেষ দুপুর ১২টায়। তৃতীয় শিফটের পরীক্ষা দুপুর ১টায় শুরু হয়ে শেষ হবে দুপুর ২টায় এবং চতুর্থ শিফটের পরীক্ষা বিকেল সাড়ে ৩টায় শুরু হয়ে শেষ হবে বিকেল সাড়ে ৪টায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ‘সি’ ইউনিটের ভর্তির পরিক্ষার কো-অর্ডিনেটর এবং বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মো. সাহেদ জামান জাগো নিউজকে বলেন, ভর্তি পরীক্ষার সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন। সব ঠিক থাকলে আশা করছি সবার সার্বিক সহযোগিতায় সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন করতে পারবো।
আগামীকাল মঙ্গলবার (৩০ মে) কলা অনুষদভুক্ত ‘এ’ ইউনিট এবং পরদিন বুধবার (৩১ মে) ব্যবসায় অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের রাবির ভর্তি পরীক্ষা।
এবার প্রতি ইউনিটে চার শিফটে হবে এ ভর্তি পরীক্ষা। এতে তিন হাজার ৯৩০টি আসনের বিপরীতে তিন ইউনিট মিলিয়ে কোটাসহ চূড়ান্ত আবেদন জমা পড়েছে মোট এক লাখ ৭৮ হাজার ৫৭৪টি। এরমধ্যে ‘এ’ ইউনিটে ৭২ হাজার ৫০টি, ‘বি’ ইউনিটে ৩০ হাজার ৬৭৪টি এবং ‘সি’ ইউনিটে ৭৫ হাজার ৮৫০টি চূড়ান্ত আবেদন জমা পড়ে।
মন্তব্য করুন
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ‘বাংলাদেশের ছাত্ররাজনীতি এবং নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে তরুণদের অংশগ্রহণ’ শীর্ষক সম্পূরক আলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নুরুল আলম বলেন, 'জাতীয় নির্বাচনের পর জাকসু নির্বাচনের আয়োজন করার ব্যাপারে আমরা আশাবাদী'।
গতকাল
শুক্রবার (২৭ মে) সন্ধ্যায়
জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটি (জাডস) এর আয়োজনে সেলিম
আল দীন মুক্তমঞ্চে আয়োজনের
তৃতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে
যমুনা টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি মাহফুজ মিশুর সঞ্চালনায় মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন জাবি
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: নূরুল
আলম, জাবির সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডীন অধ্যাপক বশির
আহমেদ, ঢাবির নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রাশেদা রওনক খান, জাবির
ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. আহমদ রেজা,
সেভ দ্য চিলড্রেনের হেড
অব মিডিয়া নুসরাত আমিন, ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সাবেক
সভাপতি নজির আমিন চৌধুরী
জয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের
সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন এবং
পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ঢাকা মহানগর শাখার
সভাপতি রেং ইয়ং ম্রো
অংশ নেন৷
মুক্ত
আলোচনায় বক্তারা বর্তমান প্রেক্ষাপটে ছাত্ররাজনীতিতে শিক্ষার্থীদের মতামত ও নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে
ছাত্ররাজনীতির প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেন। ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি নজির আমিন চৌধুরী
জয় বলেন, 'বাংলাদেশের স্বাধীনতার যাত্রাপথে ছাত্রদের ভূমিকা অস্বীকার করার উপায় নেই।
স্বাধীনতার পর ৯০ দশকের
আন্দোলনেও ছাত্ররা ভূমিকা পালন করেছে। তবে
এরপর রাজনীতিতে ছাত্ররা অপাংক্তেয় হয়ে গেছে। অন্তর্ভূক্তিমূলক
সমাজ গড়তে চাইলে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে ছাত্রদের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে।'
এক প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক বশির আহমেদ বলেন,
স্বাধীনতা পরবর্তী রাজনৈতিক বাস্তবতার সাথে আজকের বস্তবতা
মিলছে না। স্বাধীনতা পরবর্তী
সময়ে ছাত্ররাই প্রধান শ্রেণি হিসেবে ভূমিকা পালন করছে। তবে
পরবর্তীতে সাংঠনিক রাজনীতির ধারা ভিন্ন দিকে
প্রবাহিত হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধে তোফায়েল আহমেদ, জাতীয় চার নেতা বয়সে
সবাই কম ছিল। রাজনৈতিক
দলে কর্মসূচী পালন করা একটা
অংশ আর গবেষণা ও
পড়াশুনায় মনোযোগী হওয়া অন্য একটা অংশ।
ছাত্রদের শুধু মিছিল মিটিং
করলে হবেনা। রাজনীতির কনভেনশনাল ধারা থেকে বের
হয়ে বুদ্ধিবৃত্তিক ভূমিকা পালন করতে হবে।
উপাচার্য
অধ্যাপক ড. মো: নুরুল
আলম বলেন, 'বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চের ভাষণে
স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দিয়েছেন। যখন
শত্রুর মোকাবেলা করতে বলেছেন তখন
তিনি তরুণই ছিলেন। তখনকার প্রেক্ষাপট আর এখনকার প্রেক্ষাপট
ভিন্ন। আমি উপাচার্য হিসেবে
দায়িত্ব নেয়ার পর আট বছর
পর সমাবর্তন করেছি। গণরুম প্রথা উঠিয়ে দেয়ার অঙ্গীকার করেছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক ধারা বজায় রাখার
জন্যে পর্যায়ক্রমে
শিক্ষকদের নির্বাচন দেয়া হবে।'
ইংরেজি
বিভাগের অধ্যাপক ড. আহমেদ রেজা
বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি যেমন আছে, শিক্ষক
রাজনীতিও আছে। রাজনীতির ধারা
বহুদিন ধরে চলছে। শিক্ষকদেরও
রাজনীতি করার অধিকার আছে।
তবে ক্লাস ক্যান্সেলের অপসংস্কৃতি আছে। অনেক শিক্ষকরাই
কম ক্লাস নেন। প্রভাষক থেকে
সহকারী-সহযোগী হলেই তারা কম
ক্লাস নেন। অধ্যাপক হয়ে
গেলে একেবারে আসেনই না। শিক্ষকরা এ
স্বাধীনতাকে মনে করেন স্বেচ্ছাচারিতা।
আমাদের কর্মসংস্কৃতিতে ফিরে যেতে হবে।'
ঢাবি
ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন বলেন,
'বর্তমান সময়ে ছাত্রলীগ সবচেয়ে আলোচিত সংগঠন। ক্ষমতাসীন দলের ভ্রাতৃপ্রতিম বলেই
আমরা কখনো কখনো অন্যায়
আক্রমণের শিকার হই। বিশ্ববিদ্যালয়ে জনপ্রিয়তার
কারণে ছাত্রলীগের আধিপত্য রয়েছে। তবে সংগঠনের নেতিবাচক
খবর আমাদের ব্যাথিত করে। কর্মীরা অনেকে
ব্যক্তিগত অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। সমস্যা কাটিয়ে আমরা এ পরিস্থিতি
থেকে উত্তরণ ঘটাতে চাই, দক্ষ মানুষ
তৈরি করতে চাই। ছাত্ররাজনীতি
গুণগত মান হারাচ্ছে তবুও
তরুণরা আকৃষ্ট হচ্ছে। আগের তুলনায় ছাত্রদের
অংশগ্রহণ বেড়েছে।'
সমাপনী
বক্তব্যে উপাচার্য ড. মো: নুরুল
আলম বলেন, ছাত্র সংগঠনগুলোর কাছে অনুরোধ আপনারা
যেকোন সমস্যা আলাপ আলোচনার মাধ্যমে
সমাধান করবেন। নিজেদের ভুল বোঝাবুঝি থেকে
যেন বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা
না ঘটে।
মন্তব্য করুন
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে তিন দফা মারধরের ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার
(২৬ মে) দিবাগত রাতে
এসব ঘটনা ঘটে। রাত
২টার দিকে জোহা হলের
মধ্যে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয়
এক পক্ষ।
ছাত্রলীগ
ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার
জুম্মার নামাজ শেষে সালাম না
দেওয়াকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত
হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে জুম্মার নামাজ শেষে হল শাখা
ছাত্রলীগের আরমান খান নামের এক
কর্মী (মেসবাহুলের অনুসারী) সালাম না দিলে হুমকি
দেয় আমীর আলী হল
শাখার উপ-পরিবেশ বিষয়ক
সম্পাদক মাহফুজ আনাম (বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সদস্য
মুক্তাদির তরঙ্গের অনুসারী)। পরে এ
বিষয়ে মেজবাহুল জানতে চাইলে, মাহফুজ অভিযোগ করে তার ছেলে
আদবকায়দা জানে না। পরে
তাদের মধ্যে এ নিয়ে বাকবিতণ্ডা
হয়। তখন একপর্যায়ে মাহফুজকে
মারধর করে আরমান। এ
ঘটনায় মেজবাহকে দেখে নিবে বলে
হুমকি দিয়ে মাহফুজ স্থান
ত্যাগ করে।
এরপর
রাত সাড়ে ১১টার দিকে
মাহফুজের নেতৃত্বে রিয়াজ ও বর্ণ মিলে
রাজুকে মাদার বখশ হলের সামনে
মারধর করে। এরপর তারা
বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা হলের মধ্যে
প্রবেশ করে। পরবর্তীতে জোহা
হলের সামনে প্রায় ২ ঘন্টা অবস্থান
নেয়। এক পর্যায়ে দেশীয়
অস্ত্র নিয়ে জোহা হলের
ভিতরে প্রবেশ করে বর্তমান কমিটির
সহ-সভাপতি মেসবাহুল, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শাহিনুল ইসলাম সরকার (ডন), উপধর্মবিষয়ক সম্পাদক
তাওহীদ দুর্জয় ও সোহরাওয়ার্দী হলের
সভাপতি নিয়াজ মোর্শেদ।
পরে
রাত ৩টায় সমাধানের উদ্দেশ্যে
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
হলের সামনে দুই পক্ষ উপস্থিত
হলে আবার সংঘর্ষ বাধে।
এসময় মাহফুজকে মারধর করে সুজন চন্দ্রসহ
আরো কয়েক জন বলে
জানা যায়। পরে শাখা
ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ও সাধারণ সম্পাদক
ফয়সাল আহমেদ রুনু ঘটনাস্থলে উপস্থিত
হয়ে সংঘর্ষ থামান এবং দুই পক্ষকে
নিয়ে সমাধানে বসেন।
বিশ্ববিদ্যালয়
শাখা ছাত্রলীগের সদস্য মুক্তাদির তরঙ্গ বলেন, ‘মাহফুজের সঙ্গে তার একটা বন্ধুর
ঝামেলা হয়েছে শুনেছি। এটির বেশি কিছু
জানি না।
হলে
মহড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে জোহা হল শাখা
ছাত্রলীগের সভাপতি চিরন্তন চন্দ বলেন, ‘গত
রাত ২ টার দিকে
মেসবাহুল, সরকার ডনসহ ৪০ জনের
মতো নেতাকর্মী হলে দেশীয় অস্ত্র
নিয়ে মহড়া দিয়েছে। তবে
এ সময় আমি হলের
বাইরে খেতে গিয়েছিলাম।
মারধরের
বিষয়ে জানতে চাইলে শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মেজবাহুল হক মেজবাহ বলেন,
‘মাহফুজ এক সময় আমার
রাজনীতি করতো। তাকে আমার পোলাপান
সালাম-কালাম দেয়নি বলে থ্রেট করেছে।
পরে আমি তাকে ডেকে
নিয়ে জিজ্ঞেস করি, কি হয়েছে।
সে বলে, আমার ছোট
ভাই না কি ম্যানার
জানে না। তারপর আমার
ছোটভাই আরমান তাকে বের করে
নিয়ে মারধর করে। পরে আমি
দু'জনকে বুঝিয়ে থামিয়ে
দেই। পরে মাহফুজ আমাকে
হুমকি দিয়ে দিয়ে চলে
যায়।
সার্বিক
বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি
গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘তেমন কিছুই হয়নি।
কয়েক জন নেতাকর্মীর মধ্যে
একটু মনোমালিন্য হয়েছিলো আমি ও সাধারণ
সম্পাদক তাদের ডেকে মিমাংসা করে
দিয়েছি।
মন্তব্য করুন
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিপ ইকোলজি এন্ড স্নেক কনজারভেশন ফাউন্ডেশন এর আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
শুক্রবার
(২৬মে) সকাল ১১ টায়
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের সম্মেলন কক্ষে ৪৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী
মোসাদ্দেকুর রহমানকে সভাপতি করে এবং ৪৯
ব্যাচের সৈয়দা অনন্যা ফারিয়াকে সেক্রেটারি করে সংগঠনটির উপদেষ্টা
সহযোগী অধ্যাপক ইখতিয়ার উদ্দিন ভূঁইয়া সংগঠনটির আংশিক কমিটি
ঘোষণা করেন।
এসময়
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডিপ ইকোলজি এন্ড
স্নেক কনজার্ভেশন ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ইখতিয়ার উদ্দিন ভূঁইয়া, চেয়ারম্যান মোঃ মাহফুজুর রহমান।
নতুন
কমিটির সভাপতি মোসাদ্দেকুর রহমান তার অভিব্যক্তি প্রকাশ
করে বলেন, 'ডিপ ইকোলজি এন্ড
স্নেক কনজারভেশন ফাউন্ডেশনের কাজ শুরু হয়েছিলো
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই। প্রথমে সাপ নিয়ে কাজ
করলেও তা এখন অনেক
বিস্তৃত হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি
এই পৃথিবীর প্রত্যেক প্রাণীর বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে। "সুস্থ পৃথিবীর জন্য প্রকৃতির সাথে
সহাবস্থান" প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সবার সহযোগিতায়
সংগঠনের বিস্তৃতির এ ধারা অব্যাহত
রাখতে চাই।'
সাধারণ
সম্পাদক সৈয়দা অনন্যা ফারিয়া বলেন, 'ডিইএসসিএফ জাবি শাখার নতুন
কার্যনির্বাহী কমিটির হাত ধরে জাবিতে
পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের সুরক্ষা
নিশ্চিত করতে আমরা আরো
সুসংঘবদ্ধভাবে কাজ করতে পারব
বলে আশা করছি।'
তাছাড়া
আংশিক কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন হাসিব জামান, কোষাধ্যক্ষ আনিকা রাহী, দপ্তর সম্পাদক ওসমান সরদার, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক
মেহেরুন্নেসা নীলা এবং তিনজন
নির্বাহী সদস্য যথাক্রমে সীজেন সরকার, মো. নাজমুল ইসলাম
ও লাবীবা আহমেদ।
মন্তব্য করুন
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিপ ইকোলজি এন্ড স্নেক কনজারভেশন ফাউন্ডেশন এর আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। শুক্রবার (২৬মে) সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের সম্মেলন কক্ষে ৪৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী মোসাদ্দেকুর রহমানকে সভাপতি করে এবং ৪৯ ব্যাচের সৈয়দা অনন্যা ফারিয়াকে সেক্রেটারি করে সংগঠনটির উপদেষ্টা সহযোগী অধ্যাপক ইখতিয়ার উদ্দিন ভূঁইয়া সংগঠনটির আংশিক কমিটি ঘোষণা করেন।