ক্লাব ইনসাইড

বাস ভাড়া এবং খাবারের দাম বৃদ্ধি, চবির প্রধান ফটকে ছাত্রলীগের তালা

প্রকাশ: ০৮:২৪ এএম, ১৮ মে, ২০২৩


Thumbnail বাস ভাড়া এবং খাবারের দাম বৃদ্ধি, চবির প্রধান ফটকে ছাত্রলীগের তালা।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে ক্যাম্পাসে রিকশা, সিএনজি ও বাসের ভাড়া এবং খাবারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় মূল ফটকে তালা দিয়ে বিক্ষোভ করেছে শাখা ছাত্রলীগের একাংশ। বুধবার (১৫ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে মূল ফটকে তালা দেয় বিক্ষোভকারীরা। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলে এ বিক্ষোভ।

জানা যায়, গত ১৫ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএনজি, রিকশা, অটোরিকশা ও বাসের ভাড়া এবং খাবারের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে বিভিন্ন সূত্র জানায়, তারা একটি সিন্ডিকেট করে এই দাম বৃদ্ধি করেছে।

ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে গত ১৫ মে থেকেই ক্যাম্পাসে হাজারও ভর্তিচ্ছুর আনাগোনা শুরু হয়েছে। এই সুযোগে ইচ্ছামত খাবারের দাম ও রিকশা ভাড়া আদায় করছে অসাধু ব্যবসায়ী এবং রিকশাচালকরা। ভর্তি পরীক্ষাকে সামনে রেখে খাবারের দাম ও যানবাহনের ভাড়া নির্ধারণ করে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে তা মানতে নারাজ ক্যাম্পাসের হোটেল ব্যবসায়ীরা।

এছাড়া ক্যাম্পাসের রিকশাচালকরা নির্ধারিত ভাড়ার থেকে কয়েকগুন বেশি চাচ্ছেন নবাগতদের থেকে। বেশি ভাড়া না দিলে কোনো চালকই যেতে রাজি হচ্ছেন না। তাই অসহায় হয়ে অতিরিক্ত ভাড়াতেই গন্তব্যে যেতে হচ্ছে ভর্তিচ্ছুদের।

এ বিষয়ে চবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু বলেন, জুনিয়র কর্মীরা বিভিন্ন অনিয়মের প্রতিবাদ জানিয়েছে। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে তারা তালা খুলে দিয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদার বলেন, ছাত্ররা প্রধান ফটকে তালা দিয়েছিল। আমরা বুঝানোর পর তারা তালা খুলে দিয়েছে।


বাস ভাড়া   খাবার   দাম বৃদ্ধি   চবি   ছাত্রলীগ   তালা  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

জাবিতে অনশনকারীসহ শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ

প্রকাশ: ০৮:৪৯ এএম, ০৭ জুন, ২০২৩


Thumbnail

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) গণরুম বিলুপ্তিসহ তিন দফা দাবিতে অনশনকারী সামিউল ইসলাম প্রত্যয়সহ কয়েকজন শিক্ষার্থীর উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কয়েক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে জাবির মীর মশাররফ হোসেন হলের সামনে এ ঘটনা ঘটে। সেই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যুৎ ছিল না।

হামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি শৌমিক বাগচি, ৪৭ ব্যাচের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী সৃষ্টি, চারুকলা বিভাগের মনিকা, ৪৮ ব্যাচের বঙ্গবন্ধু ও তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থী সুরসহ ৫ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণরুমের বিলুপ্তি, আবাসিক হল থেকে অছাত্রদের উচ্ছেদ ও বৈধ শিক্ষার্থীদের আবাসন নিশ্চিতের দাবিতে মীর মশাররফ হোসেন হলের সামনে অনশন করে আসছেন ওই হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সামিউল ইসলাম প্রত্যয়। বুধবার রাত সাড়ে এগারোটার দিকে বিদ্যুৎ চলে গেলে হঠাৎ ওই হলের ছাত্রলীগ নেতা মুরাদ (সহ-সম্পাদক), তারেক মীর (সহসম্পাদক), রাব্বির (কার্যকরী সদস্য) নেতৃত্বে গৌতম কুমার দাস (দর্শন, ৪৫), সৌমিক (৪৫), সজীব (৪৫), তুষার (ফার্মেসি, ৪৫), ফেরদৌস (ফার্মেসি, ৪৫), গোলাম রাব্বী (ইংরেজি ৪৫) নোবেল (বাংলা, ৪৩), মুরসালিন (৪৬), সোহেল (ইংরেজি ৪৬), তানভীর (৪৬), রায়হান (৪৬), নাফিস (৪৬) সহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজন অনশনকারী প্রত্যয় ও তার সাথে থাকা শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করে।

একপর্যায়ে অনশনরত শিক্ষার্থীকে জোরপূর্বক অ্যাম্বুলেন্সে উঠিয়ে মেডিকেলে পাঠিয়ে দেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় বাঁধা দিতে গেলে সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সৌমিক বাগচীকে মারধর করা হয়। এছাড়া ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক আলিফ মাহমুদ, মাশিয়াত সৃষ্টি, মনিকা নকরেক এবং শারমিন সুরকে হেনস্তা করা হয়। হামলায় জড়িতদের অধিকাংশই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত বলে জানা যায়। এ ঘটনায় আহতদের পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। এর আগে, সন্ধ্যায় মীর মোশররফ হোসেন হলের প্রাধ্যক্ষ ও গণিত বিভাগের অধ্যাপক সাব্বির আলম এবং হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকদের নিয়ে অছাত্রদের তালিকা করতে যান। তার প্রেক্ষিতে ছাত্রলীগের নেতারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক সাব্বির আলম বলেন, এটা একটা ন্যাক্কারজনক ঘটনা। এদেরকে চিহ্নিত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বলেন, ঘটনা শুনে এসেছি। এখানে যেসব শিক্ষার্থী হামলা করেছে তাদেরকে আমরা শনাক্ত করতে পারেনি। কারা হামলা করেছে আমরা তদন্ত করে বের করে ব্যবস্থা নেব।

এদিকে, এ ঘটনায় অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে রাত বারোটার দিকে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।



মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

ভূমিগ্রাস ও বৃক্ষনিধনের মাধ্যমে ভবন নির্মানের অপচেষ্টার প্রতিবাদে জাবিতে বিক্ষোভ-মিছিল

প্রকাশ: ০৬:৪৫ পিএম, ৩১ মে, ২০২৩


Thumbnail

পূর্ণাঙ্গ মহাপরিকল্পনা ব্যতীত অপরিকল্পিত উন্নয়নের নামে ভূমিগ্রাস, বৃক্ষনিধন ও পরিবেশ-প্রতিবেশের ভারসাম্য বিনষ্ট, বনভূমি উজাড় করে আইবিএ ভবন নির্মাণ এবং তৃতীয় প্রশাসনিক ভবন নির্মাণের অপচেষ্টার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ-মিছিল করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (৩১ মে) দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের উঁচু বটতলা সংলগ্ন স্থানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। পরবর্তীতে বিক্ষোভ-মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের উত্তরে বিজ্ঞান কারখানা সংলগ্ন স্থানে আইবিএ-র ভবন নির্মাণের জন্য নির্ধারিত স্থানে এসে শেষ হয়।

এসময় বিক্ষোভ-মিছিলরত শিক্ষার্থীদের "অবিলম্বে মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করো, করতে হবে" "জনগণের টাকা অপচয় করে উন্নয়ণ চাই না" "বনভূমি ধ্বংস করে উন্নয়ন চাই না" ইত্যাদি বিভিন্ন স্লোগান দিতে শোনা যায়।

বিক্ষোভ মিছিলের শুরু হওয়ার পূর্বে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নৃবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নুর-এ-তামিম স্রোতের সঞ্চালনায় জহির রায়হান চলচ্চিত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক মৌটুসী জুবাইদা রহমান তার বক্তব্যে বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি মাস্টারপ্ল্যান থাকতেই হবে। এর আগেও আমরা ছেলেদের তিনটা হল ও মেয়েদের তিনটা হল নির্মাণের সময় প্রশাসনের অব্যস্থপনা দেখেছি। বিকল্প জায়গা থাকতেও আইবিএ ভবন নির্মাণের জন্য যে জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে সেখানে প্রায় ২৫০ শালবৃক্ষ রয়েছে, অনেক প্রাণী রয়েছে সেখানে। এই বনভূমি ধ্বংসে প্রশাসনের যে পাঁয়তারা সেটা আমরা বাস্তবায়ন হতে দিবো না। বিকল্প জায়গায় আইবিএ ভবন হতে পারে।'

এসময় চলচ্চিত্র আন্দোলন কর্মী এরফানুল ইসলাম ইফতি তার বক্তব্যে বলেন, 'আমরা ২০১৮ সাল থেকেই মাস্টারপ্ল্যানের দাবি জানিয়ে আসছি। মাস্টারপ্ল্যান ছাড়া কোনো ভবন হতে পারে না। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবাই এই অপপরিকল্পানার বিরুদ্ধে কথা বলে যাবে।'

ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সহ-সাধারণ সম্পাদক ঋদ্ধ অনিন্দ্য গাঙ্গুলী তার বক্তব্যে বলেন, 'সারাবিশ্ব যখন জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় কাজ করে যাচ্ছে তখনও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরিবেশ ধ্বংস করে যাচ্ছে। আইবিএ ভবন অবশ্যই প্রয়োজন, তবে সেটা বিকল্প জায়গায় হতে পারে। এখানে প্রাণ প্রকৃতি ধ্বংস করে উন্নয়ন চালানো হচ্ছে। এখানে একটি মাস্টারপ্ল্যাণ জরুরি। কোনো মাস্টারপ্ল্যান ছাড়া প্রশাসন কীভাবে এতো বড় একটি প্রকল্প এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে? তারা আমাদের ডেকে বারবর আইওয়াশ করেছে। আমাদের এই আন্দোলন বৃহৎ আকার ধারণ করবে।'

সমাপনী বক্তব্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সৌমিক বাগচী বলেন, 'আমরা অনেক দিন আগে থেকেই মাস্টারপ্ল্যানের দাবি জানিয়ে আসছি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক ভবন অপূর্ণাঙ্গ করে রাখা হয়েছে, এগুলোকে পূর্ণাঙ্গ না করে নতুন ভবন নির্মাণের দিকে প্রশাসনের এতো আগ্রহ কেনো? এরা বারবার অপরাধ করছে, এদিকে সবার নজর রাখা উচিত। সেইসাথে আমরা এই অপরাধীদের শাস্তির দাবি করছি। এর আগেও বিভিন্ন জায়গায় স্থাপনা নির্মাণের নামে গাছ কাটা হয়েছে, মেয়েদের খেলার মাঠ নির্মাণের নামে করে গাছ কাটা হয়েছে, কিন্তু সেই মাঠের কোনো খবর নাই।'

উল্লেখ্য, বিক্ষোভ মিছিল শেষে আইবিএ ভবন নির্মাণের জন্য নির্ধারিত স্থানে "গাছ কাটা নিষেধ" লেখা একটি ব্যানার টানানো হয়।



মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

রাবির ৩ দিনের ভর্তিযুদ্ধ: আজ বসছেন পৌনে এক লাখ শিক্ষার্থী

প্রকাশ: ০৮:৩৫ এএম, ২৯ মে, ২০২৩


Thumbnail

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার মধ্য দিয়ে তিনদিনের ভর্তিযুদ্ধ শুরু হচ্ছে আজ। 

সোমবার (২৯ মে) সকাল ৯টা থেকে শুরু হবে তিনদিনব্যাপী ভর্তিযুদ্ধের প্রথম দিনের কার্যক্রম। এ বছর ‘সি’ ইউনিটে ১ হাজার ৫৯৪টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন ৭৫ হাজার ৮৫০ জন ভর্তিচ্ছু ৷ সে হিসাবে ভর্তিযুদ্ধে আসনপ্রতি লড়বেন ৪৮ জন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, চার শিফটের এ ভর্তি পরীক্ষার প্রথম শিফট সকাল ৯টায় শুরু হয়ে শেষ হবে সকাল ১০টায়। দ্বিতীয় শিফট বেলা ১১টায় শুরু হয়ে শেষ দুপুর ১২টায়। তৃতীয় শিফটের পরীক্ষা দুপুর ১টায় শুরু হয়ে শেষ হবে দুপুর ২টায় এবং চতুর্থ শিফটের পরীক্ষা বিকেল সাড়ে ৩টায় শুরু হয়ে শেষ হবে বিকেল সাড়ে ৪টায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ‘সি’ ইউনিটের ভর্তির পরিক্ষার কো-অর্ডিনেটর এবং বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মো. সাহেদ জামান জাগো নিউজকে বলেন, ভর্তি পরীক্ষার সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন। সব ঠিক থাকলে আশা করছি সবার সার্বিক সহযোগিতায় সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন করতে পারবো।

আগামীকাল মঙ্গলবার (৩০ মে) কলা অনুষদভুক্ত ‘এ’ ইউনিট এবং পরদিন বুধবার (৩১ মে) ব্যবসায় অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের রাবির ভর্তি পরীক্ষা।

এবার প্রতি ইউনিটে চার শিফটে হবে এ ভর্তি পরীক্ষা। এতে তিন হাজার ৯৩০টি আসনের বিপরীতে তিন ইউনিট মিলিয়ে কোটাসহ চূড়ান্ত আবেদন জমা পড়েছে মোট এক লাখ ৭৮ হাজার ৫৭৪টি। এরমধ্যে ‘এ’ ইউনিটে ৭২ হাজার ৫০টি, ‘বি’ ইউনিটে ৩০ হাজার ৬৭৪টি এবং ‘সি’ ইউনিটে ৭৫ হাজার ৮৫০টি চূড়ান্ত আবেদন জমা পড়ে।



মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

'জাতীয় নির্বাচনের পর জাকসু নির্বাচনে আমরা আশাবাদী' জানালেন জাবি উপাচার্য

প্রকাশ: ০৭:৪৪ পিএম, ২৭ মে, ২০২৩


Thumbnail

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ‘বাংলাদেশের ছাত্ররাজনীতি এবং নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে তরুণদের অংশগ্রহণ’ শীর্ষক সম্পূরক আলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নুরুল আলম বলেন, 'জাতীয় নির্বাচনের পর জাকসু নির্বাচনের আয়োজন করার ব্যাপারে আমরা আশাবাদী'।

গতকাল শুক্রবার (২৭ মে) সন্ধ্যায় জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটি (জাডস) এর আয়োজনে সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চে আয়োজনের তৃতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে যমুনা টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি মাহফুজ মিশুর সঞ্চালনায় মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন জাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: নূরুল আলম, জাবির সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডীন অধ্যাপক বশির আহমেদ, ঢাবির নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রাশেদা রওনক খান, জাবির ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. আহমদ রেজা, সেভ দ্য চিলড্রেনের হেড অব মিডিয়া নুসরাত আমিন, ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সাবেক সভাপতি নজির আমিন চৌধুরী জয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন এবং পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি রেং ইয়ং ম্রো অংশ নেন৷

মুক্ত আলোচনায় বক্তারা বর্তমান প্রেক্ষাপটে ছাত্ররাজনীতিতে শিক্ষার্থীদের মতামত ও নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে ছাত্ররাজনীতির প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেন। ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি নজির আমিন চৌধুরী জয় বলেন, 'বাংলাদেশের স্বাধীনতার যাত্রাপথে ছাত্রদের ভূমিকা অস্বীকার করার উপায় নেই। স্বাধীনতার পর ৯০ দশকের আন্দোলনেও ছাত্ররা ভূমিকা পালন করেছে। তবে এরপর রাজনীতিতে ছাত্ররা অপাংক্তেয় হয়ে গেছে। অন্তর্ভূক্তিমূলক সমাজ গড়তে চাইলে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে ছাত্রদের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে।'

এক প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক বশির আহমেদ বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী রাজনৈতিক বাস্তবতার সাথে আজকের বস্তবতা মিলছে না। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ছাত্ররাই প্রধান শ্রেণি হিসেবে ভূমিকা পালন করছে। তবে পরবর্তীতে সাংঠনিক রাজনীতির ধারা ভিন্ন দিকে প্রবাহিত হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধে তোফায়েল আহমেদ, জাতীয় চার নেতা বয়সে সবাই কম ছিল। রাজনৈতিক দলে কর্মসূচী পালন করা একটা অংশ আর গবেষণা ও পড়াশুনায় মনোযোগী হওয়া অন্য একটা অংশ। ছাত্রদের শুধু মিছিল মিটিং করলে হবেনা। রাজনীতির কনভেনশনাল ধারা থেকে বের হয়ে বুদ্ধিবৃত্তিক ভূমিকা পালন করতে হবে।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: নুরুল আলম বলেন, 'বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চের ভাষণে স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দিয়েছেন। যখন শত্রুর মোকাবেলা করতে বলেছেন তখন তিনি তরুণই ছিলেন। তখনকার প্রেক্ষাপট আর এখনকার প্রেক্ষাপট ভিন্ন। আমি উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর আট বছর পর সমাবর্তন করেছি। গণরুম প্রথা উঠিয়ে দেয়ার অঙ্গীকার করেছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক ধারা বজায় রাখার জন্যে  পর্যায়ক্রমে শিক্ষকদের নির্বাচন দেয়া হবে।'

ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. আহমেদ রেজা বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি যেমন আছে, শিক্ষক রাজনীতিও আছে। রাজনীতির ধারা বহুদিন ধরে চলছে। শিক্ষকদেরও রাজনীতি করার অধিকার আছে। তবে ক্লাস ক্যান্সেলের অপসংস্কৃতি আছে। অনেক শিক্ষকরাই কম ক্লাস নেন। প্রভাষক থেকে সহকারী-সহযোগী হলেই তারা কম ক্লাস নেন। অধ্যাপক হয়ে গেলে একেবারে আসেনই না। শিক্ষকরা এ স্বাধীনতাকে মনে করেন স্বেচ্ছাচারিতা। আমাদের কর্মসংস্কৃতিতে ফিরে যেতে হবে।'

ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন বলেন, 'বর্তমান সময়ে ছাত্রলীগ সবচেয়ে আলোচিত সংগঠন। ক্ষমতাসীন দলের ভ্রাতৃপ্রতিম বলেই আমরা কখনো কখনো অন্যায় আক্রমণের শিকার হই। বিশ্ববিদ্যালয়ে জনপ্রিয়তার কারণে ছাত্রলীগের আধিপত্য রয়েছে। তবে সংগঠনের নেতিবাচক খবর আমাদের ব্যাথিত করে। কর্মীরা অনেকে ব্যক্তিগত অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। সমস্যা কাটিয়ে আমরা এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ ঘটাতে চাই, দক্ষ মানুষ তৈরি করতে চাই। ছাত্ররাজনীতি গুণগত মান হারাচ্ছে তবুও তরুণরা আকৃষ্ট হচ্ছে। আগের তুলনায় ছাত্রদের অংশগ্রহণ বেড়েছে।'

সমাপনী বক্তব্যে উপাচার্য ড. মো: নুরুল আলম বলেন, ছাত্র সংগঠনগুলোর কাছে অনুরোধ আপনারা যেকোন সমস্যা আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করবেন। নিজেদের ভুল বোঝাবুঝি থেকে যেন বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।



মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

রাবি ছাত্রলীগের অস্ত্রের মহড়া ও তিন দফা মারধর

প্রকাশ: ০৭:৩৭ পিএম, ২৭ মে, ২০২৩


Thumbnail

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে তিন দফা মারধরের ঘটনা ঘটেছে। 

শুক্রবার (২৬ মে) দিবাগত রাতে এসব ঘটনা ঘটে। রাত ২টার দিকে জোহা হলের মধ্যে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয় এক পক্ষ।

ছাত্রলীগ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার জুম্মার নামাজ শেষে সালাম না দেওয়াকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে জুম্মার নামাজ শেষে হল শাখা ছাত্রলীগের আরমান খান নামের এক কর্মী (মেসবাহুলের অনুসারী) সালাম না দিলে হুমকি দেয় আমীর আলী হল শাখার উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মাহফুজ আনাম (বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সদস্য মুক্তাদির তরঙ্গের অনুসারী)। পরে এ বিষয়ে মেজবাহুল জানতে চাইলে, মাহফুজ অভিযোগ করে তার ছেলে আদবকায়দা জানে না। পরে তাদের মধ্যে এ নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয়। তখন একপর্যায়ে মাহফুজকে মারধর করে আরমান। এ ঘটনায় মেজবাহকে দেখে নিবে বলে হুমকি দিয়ে মাহফুজ স্থান ত্যাগ করে।

এরপর রাত সাড়ে ১১টার দিকে মাহফুজের নেতৃত্বে রিয়াজ ও বর্ণ মিলে রাজুকে মাদার বখশ হলের সামনে মারধর করে। এরপর তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা হলের মধ্যে প্রবেশ করে। পরবর্তীতে জোহা হলের সামনে প্রায় ২ ঘন্টা অবস্থান নেয়। এক পর্যায়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জোহা হলের ভিতরে প্রবেশ করে বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি মেসবাহুল, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শাহিনুল ইসলাম সরকার (ডন), উপধর্মবিষয়ক সম্পাদক তাওহীদ দুর্জয় ও সোহরাওয়ার্দী হলের সভাপতি নিয়াজ মোর্শেদ।

পরে রাত ৩টায় সমাধানের উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনে দুই পক্ষ উপস্থিত হলে আবার সংঘর্ষ বাধে। এসময় মাহফুজকে মারধর করে সুজন চন্দ্রসহ আরো কয়েক জন বলে জানা যায়। পরে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ও সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সংঘর্ষ থামান এবং দুই পক্ষকে নিয়ে সমাধানে বসেন।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সদস্য মুক্তাদির তরঙ্গ বলেন, ‘মাহফুজের সঙ্গে তার একটা বন্ধুর ঝামেলা হয়েছে শুনেছি। এটির বেশি কিছু জানি না। 

হলে মহড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে জোহা হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি চিরন্তন চন্দ বলেন, ‘গত রাত ২ টার দিকে মেসবাহুল, সরকার ডনসহ ৪০ জনের মতো নেতাকর্মী হলে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিয়েছে। তবে এ সময় আমি হলের বাইরে খেতে গিয়েছিলাম।

মারধরের বিষয়ে জানতে চাইলে শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মেজবাহুল হক মেজবাহ বলেন, ‘মাহফুজ এক সময় আমার রাজনীতি করতো। তাকে আমার পোলাপান সালাম-কালাম দেয়নি বলে থ্রেট করেছে। পরে আমি তাকে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞেস করি, কি হয়েছে। সে বলে, আমার ছোট ভাই না কি ম্যানার জানে না। তারপর আমার ছোটভাই আরমান তাকে বের করে নিয়ে মারধর করে। পরে আমি দু'জনকে বুঝিয়ে থামিয়ে দেই। পরে মাহফুজ আমাকে হুমকি দিয়ে দিয়ে চলে যায়।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘তেমন কিছুই হয়নি। কয়েক জন নেতাকর্মীর মধ্যে একটু মনোমালিন্য হয়েছিলো আমি ও সাধারণ সম্পাদক তাদের ডেকে মিমাংসা করে দিয়েছি।



মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন