জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ‘বাংলাদেশের ছাত্ররাজনীতি এবং নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে তরুণদের অংশগ্রহণ’ শীর্ষক সম্পূরক আলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নুরুল আলম বলেন, 'জাতীয় নির্বাচনের পর জাকসু নির্বাচনের আয়োজন করার ব্যাপারে আমরা আশাবাদী'।
গতকাল
শুক্রবার (২৭ মে) সন্ধ্যায়
জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটি (জাডস) এর আয়োজনে সেলিম
আল দীন মুক্তমঞ্চে আয়োজনের
তৃতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে
যমুনা টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি মাহফুজ মিশুর সঞ্চালনায় মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন জাবি
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: নূরুল
আলম, জাবির সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডীন অধ্যাপক বশির
আহমেদ, ঢাবির নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রাশেদা রওনক খান, জাবির
ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. আহমদ রেজা,
সেভ দ্য চিলড্রেনের হেড
অব মিডিয়া নুসরাত আমিন, ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সাবেক
সভাপতি নজির আমিন চৌধুরী
জয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের
সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন এবং
পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ঢাকা মহানগর শাখার
সভাপতি রেং ইয়ং ম্রো
অংশ নেন৷
মুক্ত
আলোচনায় বক্তারা বর্তমান প্রেক্ষাপটে ছাত্ররাজনীতিতে শিক্ষার্থীদের মতামত ও নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে
ছাত্ররাজনীতির প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেন। ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি নজির আমিন চৌধুরী
জয় বলেন, 'বাংলাদেশের স্বাধীনতার যাত্রাপথে ছাত্রদের ভূমিকা অস্বীকার করার উপায় নেই।
স্বাধীনতার পর ৯০ দশকের
আন্দোলনেও ছাত্ররা ভূমিকা পালন করেছে। তবে
এরপর রাজনীতিতে ছাত্ররা অপাংক্তেয় হয়ে গেছে। অন্তর্ভূক্তিমূলক
সমাজ গড়তে চাইলে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে ছাত্রদের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে।'
এক প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক বশির আহমেদ বলেন,
স্বাধীনতা পরবর্তী রাজনৈতিক বাস্তবতার সাথে আজকের বস্তবতা
মিলছে না। স্বাধীনতা পরবর্তী
সময়ে ছাত্ররাই প্রধান শ্রেণি হিসেবে ভূমিকা পালন করছে। তবে
পরবর্তীতে সাংঠনিক রাজনীতির ধারা ভিন্ন দিকে
প্রবাহিত হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধে তোফায়েল আহমেদ, জাতীয় চার নেতা বয়সে
সবাই কম ছিল। রাজনৈতিক
দলে কর্মসূচী পালন করা একটা
অংশ আর গবেষণা ও
পড়াশুনায় মনোযোগী হওয়া অন্য একটা অংশ।
ছাত্রদের শুধু মিছিল মিটিং
করলে হবেনা। রাজনীতির কনভেনশনাল ধারা থেকে বের
হয়ে বুদ্ধিবৃত্তিক ভূমিকা পালন করতে হবে।
উপাচার্য
অধ্যাপক ড. মো: নুরুল
আলম বলেন, 'বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চের ভাষণে
স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দিয়েছেন। যখন
শত্রুর মোকাবেলা করতে বলেছেন তখন
তিনি তরুণই ছিলেন। তখনকার প্রেক্ষাপট আর এখনকার প্রেক্ষাপট
ভিন্ন। আমি উপাচার্য হিসেবে
দায়িত্ব নেয়ার পর আট বছর
পর সমাবর্তন করেছি। গণরুম প্রথা উঠিয়ে দেয়ার অঙ্গীকার করেছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক ধারা বজায় রাখার
জন্যে পর্যায়ক্রমে
শিক্ষকদের নির্বাচন দেয়া হবে।'
ইংরেজি
বিভাগের অধ্যাপক ড. আহমেদ রেজা
বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি যেমন আছে, শিক্ষক
রাজনীতিও আছে। রাজনীতির ধারা
বহুদিন ধরে চলছে। শিক্ষকদেরও
রাজনীতি করার অধিকার আছে।
তবে ক্লাস ক্যান্সেলের অপসংস্কৃতি আছে। অনেক শিক্ষকরাই
কম ক্লাস নেন। প্রভাষক থেকে
সহকারী-সহযোগী হলেই তারা কম
ক্লাস নেন। অধ্যাপক হয়ে
গেলে একেবারে আসেনই না। শিক্ষকরা এ
স্বাধীনতাকে মনে করেন স্বেচ্ছাচারিতা।
আমাদের কর্মসংস্কৃতিতে ফিরে যেতে হবে।'
ঢাবি
ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন বলেন,
'বর্তমান সময়ে ছাত্রলীগ সবচেয়ে আলোচিত সংগঠন। ক্ষমতাসীন দলের ভ্রাতৃপ্রতিম বলেই
আমরা কখনো কখনো অন্যায়
আক্রমণের শিকার হই। বিশ্ববিদ্যালয়ে জনপ্রিয়তার
কারণে ছাত্রলীগের আধিপত্য রয়েছে। তবে সংগঠনের নেতিবাচক
খবর আমাদের ব্যাথিত করে। কর্মীরা অনেকে
ব্যক্তিগত অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। সমস্যা কাটিয়ে আমরা এ পরিস্থিতি
থেকে উত্তরণ ঘটাতে চাই, দক্ষ মানুষ
তৈরি করতে চাই। ছাত্ররাজনীতি
গুণগত মান হারাচ্ছে তবুও
তরুণরা আকৃষ্ট হচ্ছে। আগের তুলনায় ছাত্রদের
অংশগ্রহণ বেড়েছে।'
সমাপনী
বক্তব্যে উপাচার্য ড. মো: নুরুল
আলম বলেন, ছাত্র সংগঠনগুলোর কাছে অনুরোধ আপনারা
যেকোন সমস্যা আলাপ আলোচনার মাধ্যমে
সমাধান করবেন। নিজেদের ভুল বোঝাবুঝি থেকে
যেন বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা
না ঘটে।
মন্তব্য করুন
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাদ্দাম হোসেন হলের উদ্যোগে প্রবীণ শিক্ষার্থীদের
বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে হলের
অভ্যন্তরে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এসময় হলটিতে অবস্থানরত ২০১৬-১৭ ও ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের
শিক্ষার্থীদের বিদায়ী সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
এদিকে
শিক্ষার্থীদের বিদায়ে 'অন্তিম উৎসব' উপলক্ষে উন্মুক্ত কনসার্টের আয়োজন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্রিকেট মাঠে জাঁকজমকপূর্ণ এই কনসার্ট
অনুষ্ঠিত হবে।
আয়োজকেরা
জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে কনসার্ট শুরু হবে। যা শেষ হবে রাত সাড়ে
আটটার দিকে। কনসার্টে দেশের স্বনামধন্য পাঁচটি ব্যান্ডের (সোনার বাংলা সার্কাস,
মাশা, দ্যা ভাইপারস, জেমস সম্রাট, ওয়েভ দ্যা ব্যান্ড) শিল্পীরা গান পরিবেশন করবেন।
কনসার্টে প্রায় ৩ হাজার লোকের সমাগম হবে বলে জানিয়েছে আয়োজকেরা।
এদিকে
অন্তিম উৎসব উপলক্ষ্যে আজ বুধবার হলে বিতর্ক প্রতিযোগিতা, বিদায়ী সংবর্ধনা ও
প্রীতি ভোজের আয়োজন করা হয়েছে। পরে রাত সাড়ে আটটার দিকে আনপ্লাগড সেশনে কনসার্ট
অনুষ্ঠিত হবে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধন ৩২ ব্যাচের ও জাহাঙ্গীরনগর
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আগত শিল্পীরা এখানে পারফর্ম করবেন।
সার্বিক
বিষয়ে জানতে চাইলে সাদ্দাম হোসেন হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান বলেন,
মূলত এটা আমাদের হলের ২০১৬-১৭ ও ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের
শিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান। সেখানে আমরা তাদের বিদায় দিব। এই আয়োজন আমরা হলেই
করেছি। কনসার্ট অনুষ্ঠানে পুলিশ প্রশাসন, প্রক্টরিয়াল বডি ও হল বডি সবাই সজাগ
থাকবে। ভলান্টিয়ার বাহিনী ও রয়েছে। সকলের সার্বিক সহযোগিতায় আশা করি ভালো ভাবেই
অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে৷
অনুষ্ঠানকে ঘিরে নিরাপত্তা জোরদারের বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, আমরা হল কর্তৃপক্ষ, প্রক্টরিয়াল বডি, ইবি থানার ওসির সাথে যৌথভাবে সভা করেছি। এরপর গোয়েন্দা সংস্থা, এনএসআই'র সাথে কথা বলেছি। এছাড়া সার্বিক নিরাপত্তা বিধান করার জন্য দুই জেলার এসপি ও লোকাল দুই থানার ওসির কাছে চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
মন্তব্য করুন
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ‘কমিউনিটি ডিজিটাল স্টোরি টেলিং ওয়ার্কশপ: লিগ্যাল এন্ড শারিয়াহ পার্সপেক্টিভ’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার
(১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের
মীর মশাররফ হোসেন একাডেমিক ভবনের ১৩৪ নং কক্ষে
এটি অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালাটি
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ফটোগ্রাফিক সোসাইটি এবং আল ফিকহ
এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের যৌথভাবে আয়োজন করে। অনুষ্ঠানটির সহযোগিতায়
ছিল ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা, মিডিয়া ও যোগাযোগ বিভাগ।
আল ফিকহ এন্ড লিগ্যাল
স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাছির
উদ্দীনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির জার্নালিজম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আব্দুল কাবিল
খান। অতিথি হিসেবে ছিলেন ইবির আইন বিভাগের
প্রফেসর ড. শাহজাহান মন্ডল
ও আল ফিকহ এন্ড
লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আমজাদ হোসেন।
ইবি
ফটোগ্রাফিক সোসাইটির স্ক্রিক্ট রাইটার এন্ড হোস্ট লামিয়া
হোসাইনের সঞ্চালনায় কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সভাপতি নাছির উদ্দীন আবির, সাধারণ সম্পাদক হৃদয় তালুকদার, যুগ্ম
সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন, মাইনুল, সাংগঠনিক সম্পাদক গালিব, দপ্তর সম্পাদক নাইম, কোষাধ্যক্ষ শামিম সহ সংগঠনের অন্যান্য
সদস্যরা।
কর্মশালায়
কমিউনিটি ডিজিটাল স্টোরি টেলিং ওয়ার্কশপের আইনি দৃষ্টিকোণের উপর
আলোচনা করেন প্রফেসর ড.
শাহজাহান মন্ডল। এছাড়া এর শরয়ী দৃষ্টিকোণ
নিয়ে আলোচনা করেন ড. মোহাম্মদ
নাছির উদ্দীন। তিনি বলেন, মানবতার
জন্য দরকারী কাজ করা জায়েয
এবং এটা প্রয়োজনের ভিত্তিতে
বাধ্যতামূলক ও ওয়াজিব হতে
পারে। মিথ্যা বানোয়াট ও বিভ্রান্তিকর তথ্য
প্রচার করা অবৈধ। কাজটি
শরয়ী দৃষ্টিকোণ থেকে বৈধ হতে
হলে তথ্যে সততা, ট্রান্সমিশনে নির্ভুলতা এবং বিষয় উপস্থাপনে
বস্তুনিষ্ঠতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ হতে হবে। কুৎসা,
গীবত, পরচর্চা, কেলেঙ্কারি ও অপবাদ থেকে
বিরত থাকতে হবে৷ এছাড়াও তিনি
কপিরাইট, স্টোরিটেলিংয়ের শরয়ী চ্যালেন্জ, কৃত্রিম
বুদ্ধিমত্তার ভূমিকা সহ বিভিন্ন বিষয়ে
কুরআন ও হাদীসের দলীল
উল্লেখপূর্বক বিস্তারিত আলোচনা করেন।
ক্যামেরা
সেটিংস, সমসাময়িক চাহিদাসম্পন্ন ছবি, স্টোরি আইডিয়া
ও রিচার্স সহ বিভিন্ন বিষয়ে
আলোচনা করেন ড. আব্দুল
কাবিল খান। তিনি বলেন,
যে স্টোরি নিয়ে সমাজে কেউ
কথা বলেনা সেটাই স্টোরি। তৃণমূল মানুষদের বিভিন্ন অজানা বিষয় স্টোরি হতে
পারে। স্টোরি নির্বাচন করার ক্ষেত্রে সমসাময়িক
চাহিদাসম্পন্ন বিষয়কে নির্বাচন করতে হবে। এছাড়া
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দর্শক নির্বাচন, কোন মাধ্যমে দর্শক
আপনাকে দেখবে তাও ঠিক করতে
হবে।
পরে
তিনি বিভিন্ন ব্যবহারিক বিষয় নিয়ে আলোচনা
করেন। ক্যামেরা সেটিংস, স্টোরির কোয়ালিটি, এফপিএস (ফ্রেম পার সেকেন্ড), ভিডিওর
উপযুক্ত ফ্রেম ব্যবহার সহ নানা বিষয়ে
বিস্তারিত আলোচনা করেন। কর্মশালায় শেষে অংশ নেওয়া
সকল শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট দেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন
জাহাঙ্গীরনগর
বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) বিসিএস অফিসার্স ফোরামের উদ্যোগে স্নাতক চূড়ান্ত পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জনকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগ থেকে
৪০ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি
প্রদান করা হয়েছে।
শনিবার
(০৯ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩ টায়
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে এ বৃত্তি
প্রদান করা হয়।
এসময়
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের ডেপুটি কমিশনার ও জাবি বিসিএস
অফিসার্স ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আঃ আহাদ
বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই হাজার পাঁচশ
ক্যাডারের সমন্বয়ে আমাদের এই সংগঠন। সংগঠনের
পক্ষ থেকে আজ আমরা
বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৬ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের
মাঝে এই বৃত্তি প্রদান
করছি। আমরা এটির সম্প্রসারণ
ও ধারাবাহিকতা বজায় রাখার প্রত্যাশা
করছি।
প্রধান
অতিথির বক্তব্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. নুরুল আলম
বলেন, 'জাবি বিসিএস ফোরাম
যে বৃত্তির আয়োজন করেছে তা মেধার মূল্যায়ন।
আজ এখানে অনেক মেধাবির সম্মিলন
হয়েছে। এই শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতে
দেশ ও দশের সেবা
করবে তা আশা করছি।
জনগণের টাকায় আমরা মানুষ হয়েছি।
আপনারা মান্যষের সেবা করবেন।'
প্রবাসী
কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান
মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও জাবি
বিসিএস অফিসার্স ফোরামের সভাপতি ড. আহমেদ মুনিরুছ
সালেহীন বলেন, 'শিক্ষার্থীদের কৃতিত্বের স্বীকৃতি দিতে আমাদের এই
উদ্যোগ। আমরা চাই এই
শিক্ষার্থীরাও ভবিষ্যতে সফল হয়ে তাদের
পরবর্তী প্রজন্মকে এগিয়ে নিতে কাজ করবে।'
অনুষ্ঠানে
অন্যান্যদের মাঝে আরো বক্তব্য
রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা)
অধ্যাপক মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক বশির
আহমেদ, সাবেক কর কমিশনার বজলুর
করিম।
মন্তব্য করুন
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) যাওয়ার পথে শাটল ট্রেনে গাছের ধাক্কায় ছাদে থাকা অন্তত ১৫ জন শিক্ষার্থী আহতের ঘটনায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে মধ্যরাতে উত্তাল হয়েছে চবি ক্যাম্পাস। এ ঘটনার জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবন ভাঙচুর করেছেন ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে জড়ো হয়ে ভাঙচুর ও আগুন জ্বালিয়ে প্রতিবাদ করেন।
এর আগে, রাত সাড়ে ৮টার শাটল ট্রেন ক্যাম্পাসে এসে পৌঁছালেই শিক্ষার্থীরা নেমে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক আটকে দেন। এ সময় তারা আগুন জ্বালিয়ে প্রশাসনের নিকট শিক্ষার্থী আহতের জবাব ও শাটল ট্রেনের বগি বাড়ানোর দাবি জানান। এছাড়াও জিরো পয়েন্টে অবস্থিত পুলিশ বক্সে ভাঙচুর চালান শিক্ষার্থীরা।
রাতের শাটল ট্রেন বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছার সঙ্গে সঙ্গে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দায়ী করে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
এদিকে আহতদের কয়েকজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর বলেও জানা গেছে।
এর আগে, নগরীর বটতলী স্টেশন থেকে রাত সাড়ে ৮টায় ছেড়ে আসা শাটল ট্রেন চৌধুরীহাট এলাকায় আসলে শাটল ট্রেনের ছাদে গাছের ধাক্কায় অন্তত ১৫ জন শিক্ষার্থী আহত হন।
তবে এসব ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নূরুল আজিম শিকদারকে কল দিলেও সাড়া পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৭ হাজার শিক্ষার্থীর একমাত্র বাহন শাটল ট্রেন৷ তবে দীর্ঘদিন ধরে শাটল ট্রেনে বগি সংকট ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শিক্ষার্থীদের তুলনায় শাটল অপর্যাপ্ত হওয়ায় বাধ্য হয়ে ছাদে উঠতে হয় শিক্ষার্থীদের। শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে শাটলের বগি বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে আসলেও মিলছে না কোন সুফল। যার ফলে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।
শাটল ট্রেন শিক্ষার্থী আহত মধ্যরাত উত্তাল চবি ভাঙচুর
মন্তব্য করুন
নীলক্ষেত সাত কলেজ আন্দোলন শিক্ষার্থী ঢাবি অধিভুক্ত
মন্তব্য করুন