ক্লাব ইনসাইড

ভূমিগ্রাস ও বৃক্ষনিধনের মাধ্যমে ভবন নির্মানের অপচেষ্টার প্রতিবাদে জাবিতে বিক্ষোভ-মিছিল

প্রকাশ: ০৬:৪৫ পিএম, ৩১ মে, ২০২৩


Thumbnail

পূর্ণাঙ্গ মহাপরিকল্পনা ব্যতীত অপরিকল্পিত উন্নয়নের নামে ভূমিগ্রাস, বৃক্ষনিধন ও পরিবেশ-প্রতিবেশের ভারসাম্য বিনষ্ট, বনভূমি উজাড় করে আইবিএ ভবন নির্মাণ এবং তৃতীয় প্রশাসনিক ভবন নির্মাণের অপচেষ্টার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ-মিছিল করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (৩১ মে) দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের উঁচু বটতলা সংলগ্ন স্থানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। পরবর্তীতে বিক্ষোভ-মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের উত্তরে বিজ্ঞান কারখানা সংলগ্ন স্থানে আইবিএ-র ভবন নির্মাণের জন্য নির্ধারিত স্থানে এসে শেষ হয়।

এসময় বিক্ষোভ-মিছিলরত শিক্ষার্থীদের "অবিলম্বে মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করো, করতে হবে" "জনগণের টাকা অপচয় করে উন্নয়ণ চাই না" "বনভূমি ধ্বংস করে উন্নয়ন চাই না" ইত্যাদি বিভিন্ন স্লোগান দিতে শোনা যায়।

বিক্ষোভ মিছিলের শুরু হওয়ার পূর্বে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নৃবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নুর-এ-তামিম স্রোতের সঞ্চালনায় জহির রায়হান চলচ্চিত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক মৌটুসী জুবাইদা রহমান তার বক্তব্যে বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি মাস্টারপ্ল্যান থাকতেই হবে। এর আগেও আমরা ছেলেদের তিনটা হল ও মেয়েদের তিনটা হল নির্মাণের সময় প্রশাসনের অব্যস্থপনা দেখেছি। বিকল্প জায়গা থাকতেও আইবিএ ভবন নির্মাণের জন্য যে জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে সেখানে প্রায় ২৫০ শালবৃক্ষ রয়েছে, অনেক প্রাণী রয়েছে সেখানে। এই বনভূমি ধ্বংসে প্রশাসনের যে পাঁয়তারা সেটা আমরা বাস্তবায়ন হতে দিবো না। বিকল্প জায়গায় আইবিএ ভবন হতে পারে।'

এসময় চলচ্চিত্র আন্দোলন কর্মী এরফানুল ইসলাম ইফতি তার বক্তব্যে বলেন, 'আমরা ২০১৮ সাল থেকেই মাস্টারপ্ল্যানের দাবি জানিয়ে আসছি। মাস্টারপ্ল্যান ছাড়া কোনো ভবন হতে পারে না। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবাই এই অপপরিকল্পানার বিরুদ্ধে কথা বলে যাবে।'

ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সহ-সাধারণ সম্পাদক ঋদ্ধ অনিন্দ্য গাঙ্গুলী তার বক্তব্যে বলেন, 'সারাবিশ্ব যখন জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় কাজ করে যাচ্ছে তখনও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরিবেশ ধ্বংস করে যাচ্ছে। আইবিএ ভবন অবশ্যই প্রয়োজন, তবে সেটা বিকল্প জায়গায় হতে পারে। এখানে প্রাণ প্রকৃতি ধ্বংস করে উন্নয়ন চালানো হচ্ছে। এখানে একটি মাস্টারপ্ল্যাণ জরুরি। কোনো মাস্টারপ্ল্যান ছাড়া প্রশাসন কীভাবে এতো বড় একটি প্রকল্প এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে? তারা আমাদের ডেকে বারবর আইওয়াশ করেছে। আমাদের এই আন্দোলন বৃহৎ আকার ধারণ করবে।'

সমাপনী বক্তব্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সৌমিক বাগচী বলেন, 'আমরা অনেক দিন আগে থেকেই মাস্টারপ্ল্যানের দাবি জানিয়ে আসছি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক ভবন অপূর্ণাঙ্গ করে রাখা হয়েছে, এগুলোকে পূর্ণাঙ্গ না করে নতুন ভবন নির্মাণের দিকে প্রশাসনের এতো আগ্রহ কেনো? এরা বারবার অপরাধ করছে, এদিকে সবার নজর রাখা উচিত। সেইসাথে আমরা এই অপরাধীদের শাস্তির দাবি করছি। এর আগেও বিভিন্ন জায়গায় স্থাপনা নির্মাণের নামে গাছ কাটা হয়েছে, মেয়েদের খেলার মাঠ নির্মাণের নামে করে গাছ কাটা হয়েছে, কিন্তু সেই মাঠের কোনো খবর নাই।'

উল্লেখ্য, বিক্ষোভ মিছিল শেষে আইবিএ ভবন নির্মাণের জন্য নির্ধারিত স্থানে "গাছ কাটা নিষেধ" লেখা একটি ব্যানার টানানো হয়।



মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

সিট ছাড়তে বলায় হল গেটে তালা মারলেন ছাত্রলীগ নেত্রী

প্রকাশ: ১১:২১ এএম, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) রহমতুন্নেছা হল শাখা ছাত্রলীগের এক নেত্রী অবৈধভাবে হলে অবস্থান করায় তাকে কক্ষ ত্যাগ করার নির্দেশ দিয়েছে হল প্রশাসন। এ নির্দেশ অমান্য করে ওই নেত্রী অন্যান্য হলের নেত্রীদের নিয়ে শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫টার দিকে হল গেটে তালা লাগিয়ে দেন। এতে ভোগান্তিতে পড়েন হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। পরে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা গেলে তালা খুলে দেন।

এ ব্যাপারে হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক হাসনা হেনা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে তার একাডেমিক পড়ালেখা শেষ। তারপরেও সে হলে সিট ধরে রেখেছে। এমনকি কক্ষের আলাদা একটি সিটেও কাউকে ওঠতে দেয় না। এদিকে অনেক গরিব মেধাবী শিক্ষার্থী হলে সিট পাচ্ছে না। তাকে বিষয়টি একাধিকবার বলা হলেও সেটা মানেনি। সে পদের বলে হলে থাকতে চায়। ওই ছাত্রী বলে সে এমফিল করবে কিন্তু এখানে এমফিল শিক্ষার্থীর জন্য কোন সিট নেই। 

জানা গেছে, তন্নী বিশ্ববিদ্যালয়ের চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং হল ছাত্রলীগের সভাপতি। তিনি রহমতুন্নেসা হলের ৪৫৯ নং কক্ষে থাকেন। ছয় মাস আগে তার একাডেমিক পড়াশোনা শেষ হয়েছে। ফলে তার সিটে অন্য ছাত্রীকে এলোট দিয়েছেন হল প্রশাসন। তবে সিট ছাড়তে রাজি নন এই নেত্রী। এ নিয়ে একাধিকবার তাকে নোটিশ করেছে হল প্রশাসন। সর্বশেষ গতকাল রাতে এ নেত্রীকে সিট ছাড়ার নির্দেশ দেন প্রাধ্যক্ষ। কিন্তু সেই নির্দেশ অমান্য করে হল গেটে তালা দেন তন্নি। এ সময় অন্যান্য হল ছাত্রলীগের নেতানেত্রীরা উপস্থিত ছিলেন। 

হল ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না তন্নি বলেন, আমি হল ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্বে আছি। বিভিন্ন প্রয়োজনে ছাত্রীরা আমার কক্ষে আসে। তাই প্রাধ্যক্ষই একটি সিট ফাঁকা রাখতে বলেছিলেন। এখন তিনি ছাত্রলীগকে বিতর্কিত করতে এসব করছেন। এমনকি হলের জুনিয়র ছাত্রীদের দিয়ে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে বিতর্ক ছড়ান তিনি। 

হলে এমফিল শিক্ষার্থীদের থাকার সুযোগ না থাকলেও সিটে ধরে রাখার ব্যাপারে জানতে চাইলে এ নেত্রী জানান, আমি হলে রাজনীতি করি। এ হলে না থাকলে কর্মীদের কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করব। তাই সংগঠনকে গতিশীল রাখতে এ সিটে থাকার কথা বহুবার প্রাধ্যক্ষকে জানিয়েছি।


ছাত্রলীগ নেত্রী   রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়   হল  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

ইবিতে উন্মুক্ত কনসার্ট, আসছে খ্যাতমানা পাঁচ ব্যান্ড দল

প্রকাশ: ০৬:৩৫ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাদ্দাম হোসেন হলের উদ্যোগে প্রবীণ শিক্ষার্থীদের বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে হলের অভ্যন্তরে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এসময় হলটিতে অবস্থানরত ২০১৬-১৭ ও ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের বিদায়ী সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

এদিকে শিক্ষার্থীদের বিদায়ে 'অন্তিম উৎসব' উপলক্ষে উন্মুক্ত কনসার্টের আয়োজন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্রিকেট মাঠে জাঁকজমকপূর্ণ এই কনসার্ট অনুষ্ঠিত হবে।

আয়োজকেরা জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে কনসার্ট শুরু হবে। যা শেষ হবে রাত সাড়ে আটটার দিকে। কনসার্টে দেশের স্বনামধন্য পাঁচটি ব্যান্ডের (সোনার বাংলা সার্কাস, মাশা, দ্যা ভাইপারস, জেমস সম্রাট, ওয়েভ দ্যা ব্যান্ড) শিল্পীরা গান পরিবেশন করবেন।
কনসার্টে প্রায় ৩ হাজার লোকের সমাগম হবে বলে জানিয়েছে আয়োজকেরা।

এদিকে অন্তিম উৎসব উপলক্ষ্যে আজ বুধবার হলে বিতর্ক প্রতিযোগিতা, বিদায়ী সংবর্ধনা ও প্রীতি ভোজের আয়োজন করা হয়েছে। পরে রাত সাড়ে আটটার দিকে আনপ্লাগড সেশনে কনসার্ট অনুষ্ঠিত হবে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধন ৩২ ব্যাচের ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আগত শিল্পীরা এখানে পারফর্ম করবেন।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে সাদ্দাম হোসেন হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান বলেন, মূলত এটা আমাদের হলের ২০১৬-১৭ ও ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান। সেখানে আমরা তাদের বিদায় দিব। এই আয়োজন আমরা হলেই করেছি। কনসার্ট অনুষ্ঠানে পুলিশ প্রশাসন, প্রক্টরিয়াল বডি ও হল বডি সবাই সজাগ থাকবে। ভলান্টিয়ার বাহিনী ও রয়েছে। সকলের সার্বিক সহযোগিতায় আশা করি ভালো ভাবেই অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে৷

অনুষ্ঠানকে ঘিরে নিরাপত্তা জোরদারের বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, আমরা হল কর্তৃপক্ষ, প্রক্টরিয়াল বডি, ইবি থানার ওসির সাথে যৌথভাবে সভা করেছি। এরপর গোয়েন্দা সংস্থা, এনএসআই'র সাথে কথা বলেছি। এছাড়া সার্বিক নিরাপত্তা বিধান করার জন্য দুই জেলার এসপি ও লোকাল দুই থানার ওসির কাছে চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।


ইবি   কনসার্ট  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

ইবিতে কমিউনিটি ডিজিটাল স্টোরি টেলিং ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত

প্রকাশ: ০৮:৩২ পিএম, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ‘কমিউনিটি ডিজিটাল স্টোরি টেলিং ওয়ার্কশপ: লিগ্যাল এন্ড শারিয়াহ পার্সপেক্টিভ’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন একাডেমিক ভবনের ১৩৪ নং কক্ষে এটি অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মশালাটি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ফটোগ্রাফিক সোসাইটি এবং আল ফিকহ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের যৌথভাবে আয়োজন করে। অনুষ্ঠানটির সহযোগিতায় ছিল ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা, মিডিয়া ও যোগাযোগ বিভাগ।

আল ফিকহ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাছির উদ্দীনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির জার্নালিজম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আব্দুল কাবিল খান। অতিথি হিসেবে ছিলেন ইবির আইন বিভাগের প্রফেসর ড. শাহজাহান মন্ডল ও আল ফিকহ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আমজাদ হোসেন।

ইবি ফটোগ্রাফিক সোসাইটির স্ক্রিক্ট রাইটার এন্ড হোস্ট লামিয়া হোসাইনের সঞ্চালনায় কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সভাপতি নাছির উদ্দীন আবির, সাধারণ সম্পাদক হৃদয় তালুকদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন, মাইনুল, সাংগঠনিক সম্পাদক গালিব, দপ্তর সম্পাদক নাইম, কোষাধ্যক্ষ শামিম সহ সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা।

কর্মশালায় কমিউনিটি ডিজিটাল স্টোরি টেলিং ওয়ার্কশপের আইনি দৃষ্টিকোণের উপর আলোচনা করেন প্রফেসর ড. শাহজাহান মন্ডল। এছাড়া এর শরয়ী দৃষ্টিকোণ নিয়ে আলোচনা করেন ড. মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন। তিনি বলেন, মানবতার জন্য দরকারী কাজ করা জায়েয এবং এটা প্রয়োজনের ভিত্তিতে বাধ্যতামূলক ও ওয়াজিব হতে পারে। মিথ্যা বানোয়াট ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করা অবৈধ। কাজটি শরয়ী দৃষ্টিকোণ থেকে বৈধ হতে হলে তথ্যে সততা, ট্রান্সমিশনে নির্ভুলতা এবং বিষয় উপস্থাপনে বস্তুনিষ্ঠতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ হতে হবে। কুৎসা, গীবত, পরচর্চা, কেলেঙ্কারি ও অপবাদ থেকে বিরত থাকতে হবে৷ এছাড়াও তিনি কপিরাইট, স্টোরিটেলিংয়ের শরয়ী চ্যালেন্জ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভূমিকা সহ বিভিন্ন বিষয়ে কুরআন ও হাদীসের দলীল উল্লেখপূর্বক বিস্তারিত আলোচনা করেন।  

ক্যামেরা সেটিংস, সমসাময়িক চাহিদাসম্পন্ন ছবি, স্টোরি আইডিয়া ও রিচার্স সহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন ড. আব্দুল কাবিল খান। তিনি বলেন, যে স্টোরি নিয়ে সমাজে কেউ কথা বলেনা সেটাই স্টোরি। তৃণমূল মানুষদের বিভিন্ন অজানা বিষয় স্টোরি হতে পারে। স্টোরি নির্বাচন করার ক্ষেত্রে সমসাময়িক চাহিদাসম্পন্ন বিষয়কে নির্বাচন করতে হবে। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দর্শক নির্বাচন, কোন মাধ্যমে দর্শক আপনাকে দেখবে তাও ঠিক করতে হবে।

পরে তিনি বিভিন্ন ব্যবহারিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। ক্যামেরা সেটিংস, স্টোরির কোয়ালিটি, এফপিএস (ফ্রেম পার সেকেন্ড), ভিডিওর উপযুক্ত ফ্রেম ব্যবহার সহ নানা বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। কর্মশালায় শেষে অংশ নেওয়া সকল শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট দেওয়া হয়।



মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

জাবির বিসিএস অফিসার্স ফোরামের উদ্যোগে ৪০ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান

প্রকাশ: ০৮:৩২ পিএম, ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) বিসিএস অফিসার্স ফোরামের উদ্যোগে স্নাতক চূড়ান্ত পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জনকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগ থেকে ৪০ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে।

শনিবার (০৯ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে এ বৃত্তি প্রদান করা হয়।

এসময় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের ডেপুটি কমিশনার ও জাবি বিসিএস অফিসার্স ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আঃ আহাদ বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই হাজার পাঁচশ ক্যাডারের সমন্বয়ে আমাদের এই সংগঠন। সংগঠনের পক্ষ থেকে আজ আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৬ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের মাঝে এই বৃত্তি প্রদান করছি। আমরা এটির সম্প্রসারণ ও ধারাবাহিকতা বজায় রাখার প্রত্যাশা করছি।

প্রধান অতিথির বক্তব্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. নুরুল আলম বলেন, 'জাবি বিসিএস ফোরাম যে বৃত্তির আয়োজন করেছে তা মেধার মূল্যায়ন। আজ এখানে অনেক মেধাবির সম্মিলন হয়েছে। এই শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতে দেশ ও দশের সেবা করবে তা আশা করছি। জনগণের টাকায় আমরা মানুষ হয়েছি। আপনারা মান্যষের সেবা করবেন।'

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও জাবি বিসিএস অফিসার্স ফোরামের সভাপতি ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন বলেন, 'শিক্ষার্থীদের কৃতিত্বের স্বীকৃতি দিতে আমাদের এই উদ্যোগ। আমরা চাই এই শিক্ষার্থীরাও ভবিষ্যতে সফল হয়ে তাদের পরবর্তী প্রজন্মকে এগিয়ে নিতে কাজ করবে।'

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে আরো বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক বশির আহমেদ, সাবেক কর কমিশনার বজলুর করিম।



মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

শাটল ট্রেন থেকে পড়ে ১৫ শিক্ষার্থী আহত, মধ্যরাতে উত্তাল চবি, ভাঙচুর

প্রকাশ: ০৯:১৪ এএম, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail শাটল ট্রেন থেকে পড়ে ১৫ শিক্ষার্থী আহত, মধ্যরাতে উত্তাল চবি, ভাঙচুর।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) যাওয়ার পথে শাটল ট্রেনে গাছের ধাক্কায় ছাদে থাকা অন্তত ১৫ জন শিক্ষার্থী আহতের ঘটনায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে মধ্যরাতে উত্তাল হয়েছে চবি ক্যাম্পাস। এ ঘটনার জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবন ভাঙচুর করেছেন ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। 

বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে জড়ো হয়ে ভাঙচুর ও আগুন জ্বালিয়ে প্রতিবাদ করেন।

এর আগে, রাত সাড়ে ৮টার শাটল ট্রেন ক্যাম্পাসে এসে পৌঁছালেই শিক্ষার্থীরা নেমে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক আটকে দেন। এ সময় তারা আগুন জ্বালিয়ে প্রশাসনের নিকট শিক্ষার্থী আহতের জবাব ও শাটল ট্রেনের বগি বাড়ানোর দাবি জানান। এছাড়াও জিরো পয়েন্টে অবস্থিত পুলিশ বক্সে ভাঙচুর চালান শিক্ষার্থীরা।

রাতের শাটল ট্রেন বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছার সঙ্গে সঙ্গে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দায়ী করে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।

এদিকে আহতদের কয়েকজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর বলেও জানা গেছে।

এর আগে, নগরীর বটতলী স্টেশন থেকে রাত সাড়ে ৮টায় ছেড়ে আসা শাটল ট্রেন চৌধুরীহাট এলাকায় আসলে শাটল ট্রেনের ছাদে গাছের ধাক্কায় অন্তত ১৫ জন শিক্ষার্থী আহত হন। 

তবে এসব ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নূরুল আজিম শিকদারকে কল দিলেও সাড়া পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৭ হাজার শিক্ষার্থীর একমাত্র বাহন শাটল ট্রেন৷ তবে দীর্ঘদিন ধরে শাটল ট্রেনে বগি সংকট ভোগান্তির কারণ হয়ে  দাঁড়িয়েছে। শিক্ষার্থীদের তুলনায় শাটল অপর্যাপ্ত হওয়ায় বাধ্য হয়ে ছাদে উঠতে হয় শিক্ষার্থীদের। শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে শাটলের বগি বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে আসলেও মিলছে না কোন সুফল। যার ফলে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। 



শাটল ট্রেন   শিক্ষার্থী   আহত   মধ্যরাত   উত্তাল চবি   ভাঙচুর  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন