ক্লাব ইনসাইড

ঢাবি ছাত্র অধিকার পরিষদের ২১ নেতার পদত্যাগ

প্রকাশ: ০৫:৩৩ পিএম, ২৩ জুলাই, ২০২৩


Thumbnail

বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ২১ নেতা একযোগে পদত্যাগ করেছেন। 

রোববার (২৩ জুলাই) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে এক সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে পদত্যাগের ঘোষণা দেন ঢাবি ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি আসিফ মাহমুদ। এসময় সাধারণ সম্পাদক আহনাফ সাঈদ খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুসরাত তাবাসসুমসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে আসিফ মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ কোটা সংস্কার আন্দোলনের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গড়ে ওঠা একটি ছাত্র সংগঠন। কোনো প্রকার দলীয় লেজুড়বৃত্তি না করে শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে সোচ্চার থাকাই ছিল যার অন্যতম লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের প্রতিষ্ঠার ঘোষণাপত্র, গঠনতন্ত্রের প্রস্তাবনা ও অনুচ্ছেদ ৮ (লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য) এর ১ নং ধারায় দলীয় দাসত্ব ও লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতির বাইরে স্বাধীন ধারায় ছাত্র রাজনীতি চর্চার মাধ্যমে ছাত্রদের যৌক্তিক দাবি ও ন্যায়সংগত অধিকার আদায়ে সোচ্চার ভূমিকা পালন করার কথা বলা হয়েছে।

তিনি বলেন, গত ১০-০৭-২০২৩, ঘোষণাপত্র, 'গঠনতন্ত্রের প্রস্তাবনা ও অনুচ্ছেদ ৮ এর ১ নং ধারা লঙ্ঘন করে কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কর্তৃক গণঅধিকার পরিষদের লেজুড়বৃত্তি করার অভিযোগ উত্থাপন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। এছাড়াও লিখিত অভিযোগ জানান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।'

তিনি আরও বলেন, গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করায়, গঠনতান্ত্রিকভাবে তাদের পদশূন্য হলেও সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদিব। অভিযোগ পরবর্তী গত দীর্ঘ দুই সপ্তাহেও কেন্দ্রীয় পরিষদ এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। যার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের প্রতিষ্ঠার ঘোষণাপত্র ও ছাত্র সমাজের প্রতি প্রতিশ্রুত আদর্শের বিচ্যুতি ঘটেছে বলে আমরা মনে করি।

পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, এ অবস্থায় লেজুড়বৃত্তিহীন ছাত্র রাজনীতি প্রতিষ্ঠার আদর্শ ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ আমরা বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা একযোগে পদত্যাগ করছি।

ঢাবি   ছাত্র অধিকার পরিষদ  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

৩০ নভেম্বর বিএনপির ডাকা হরতালের সমর্থনে জাবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল

প্রকাশ: ০৩:৫৬ পিএম, ৩০ নভেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

অবৈধ তফসিল বাতিল, ফ্যাসিস্ট হাসিনার পদত্যাগসহ নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে ৩০ নভেম্বর বিএনপির ডাকা হরতালের সমর্থনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাবি শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) সকাল ৯ টায় বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন সিএন্ডবি মোড় থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন গেটে গিয়ে শেষ হয়।

জাবি শাখা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি ও কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো ইব্রাহিম খলিল বিপ্লবের নেতৃত্বে এ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল বিপ্লব বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের আজ্ঞাবহ আউয়াল কমিশনের ঘোষিত তফসিল বাতিল এবং এই অবৈধ হাসিনা সরকার পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। অন্যথায় সাধারণ ছাত্রদের সাথে নিয়ে দূর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করে জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হবে।'

বিক্ষোভ মিছিলে অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদল নেতা সেলিম রেজা, শফিকুল ইসলাম, হোসাইন রাশেদ আল বাদল, রাজিব আহমেদ, দেওয়ান আলাউদ্দিন হোসাইন, সাদমান, রফিক, রাসেল, ইব্রাহিম, সাকিব, রাকিব, জামাল, জাহিদ প্রমুখ।


জাবি   হরতাল   ছাত্রদল  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

৮ম দফা অবরোধের সমর্থনে জবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ

প্রকাশ: ০৯:৪৮ এএম, ২৯ নভেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

জাতীয় নির্বাচনের তফসিল বাতিল, সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় সরকার গঠন ও কারাবন্দী নেতাদের মুক্তি দাবিতে বিএনপির ডাকা ৮ম দফা অবরোধের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল।

 

বুধবার (২৯ শে নভেম্বর) সকাল ৭ টায় রাজধানীর দয়াগঞ্জে শাখা ছাত্রদল সভাপতি মো. আসাদুজ্জামান আসলাম ও সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লার নেতৃত্বে এ বিক্ষোভ মিছিল করে। 

 

এ সময় শাখা ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লা বলেন, যেই দলের ইতিহাস ও ঐতিহ্যই হচ্ছে বাকশালী রাষ্ট্র তৈরি করা, সেই দলের কাছ থেকে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র আশা করা, আর হিজড়ার কাছে বাচ্চা আশা করা এক-ই কথা। এক দফা দাবি আদায় তথা স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও অবৈধ তফসির বাতিল না হওয়া পর্যন্ত, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের প্রতিটি নেতাকর্মী রাজপথে অবস্থান করবে এবং এই দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত,জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের একটি নেতাকর্মীও ঘরে ফিরে যাবে না, ইনশাআল্লাহ।

 

মিছিল পরবর্তী সময়ে শাখা ছাত্রদল সভাপতি মোঃ আসাদুজ্জামান আসলাম বলেন, অবৈধ ফ্যাসিস্ট দূর্নীতিবাজ সরকার সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা দিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। ফ্যাসিস্ট সরকারের অবৈধ তফসিল ছাত্রদল সহ দেশের সমগ্র মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। অবৈধ তফসিল বাতিল করে জনগনের এক দফা দাবি মেন না নিলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি ছাত্রদল তপ্ত রোদে উত্তাল রাজপথে ফয়সালা করবে। আমরা ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে পারিনি কিন্তু দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার্থে এই প্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধা হবো ইনশাআল্লাহ।

 

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সংসদের সহ সভাপতি বিএম মিলাদ উদ্দিন ভূইঁয়া, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সহ সভাপতি- জুলকার নাইন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক - সুমন সর্দার,  জাফর আহমেদ, প্রচার সম্পাদক ( যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদমর্যাদা) মোস্তাফিজুর রহমান রুমি, ইয়াকুব শেখ অনিক,দপ্তর সম্পাদক ( যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদমর্যাদা) সাখাওয়াতুল ইসলাম খান পরাগ, ইয়াসির আরাফাত, আসিফ আল ইমরান,মেহেদী হাসান অর্নব,আরিফুল ইসলাম আরিফ। সমাজসেবা সম্পাদক- রবিন মিয়া শাওন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক-রবিউল ইসলাম শাওন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক-মিরাজ, আপ্যায়ন সম্পাদক- মুজাম্মেল মামুন ডেনি,সহ প্রচার সম্পাদক - মেহেদী হাসান, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক- নাইমুর রহমান দুর্জয়, সাঈদুল হাসান,মাহবুব আলম, মামুন জামান, ফয়সাল, মাসফিক, মনিরুজ্জামান, আয়াত। সদস্য- রায়হান, তাজুল, অফনান, আনোয়ারসহ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা।


জবি   ছাত্রদল   অবরোধ   বিক্ষোভ  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

জাবিতে ‘জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

প্রকাশ: ০৬:৩৪ পিএম, ২৮ নভেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি এস্যুরেন্স সেল (আইকিউএসি) এর আয়োজনে ‘বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি ও জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন-অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা এবং জিআরএস সফটওয়্যার’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে কর্মশালার উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ নূরুল আলম।

ডেপুটি রেজিস্ট্রার (উচ্চশিক্ষা ও বৃত্তি) এবং এপিএ’র ফোকাল পয়েন্ট লূৎফর রহমানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, 'কাজের গুণগত মান বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণের গুরুত্ব অপরিসীম। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নিজেদের দক্ষ ও যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে।'

তিনি আরও বলেন, 'এপিএ’র উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতে পারলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়ন করতে পারবো। আশা করি, প্রশিক্ষণ কর্মশালাটি সকলের জন্য ফলপ্রসূ হবে। প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে সে অনুযায়ী কাজ করতে পারলে বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে যাবে।'

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক শেখ মোঃ মনজুরুল হক এবং সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইকিউএসি’র পরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ হাফিজুর রহমান।

প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) উপ-পরিচালক বিষ্ণু মল্লিক ‘বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি: বাস্তবায়ন ও প্রমাণক ব্যবস্থাপনা’ এবং উপ-পরিচালক মৌলি আজাদ ‘অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা নির্দেশিকা’ প্রতিপাদ্য বিষয়ে বক্তব্য উপস্থাপন করেন।

জাবি   প্রশিক্ষণ কর্মশালা  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

আয়কর তথ্য-সেবা প্রদান' শিরোনামে জাবিতে আয়কর মেলা অনুষ্ঠিত

প্রকাশ: ১১:৩১ এএম, ২৮ নভেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

'আয়কর তথ্য-সেবা প্রদান' শিরোনামে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির আয়োজনে এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর অঞ্চল-১১ এর সহযোগিতায় প্রথমবারের মতো আয়কর মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে।

সোমবার (২৭ নভেম্বর) সকাল সাড়ে দশটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনে আয়কর মেলার উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ নূরুল আলম।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ নূরুল আলম, কর কমিশনার রওনক আফরোজ এবং অন্যান্য অতিথিগণ আয়কর তথ্য-সেবা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এসময় আয়কর তথ্যসেবা কেন্দ্রগুলো বিকেল চারটা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের আয়কর গ্রহণ করে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত আয়কর মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপাচার্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃপক্ষকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এসে আয়কর তথ্য সেবা প্রদানের জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন পূর্বক বলেন, 'জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের এ কার্যক্রমের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা এবং কর অঞ্চল-১১ এর কর প্রদানকারীরা উৎসবমুখর পরিবেশে সহজে-নির্বিঘ্নে আয়কর প্রদান করতে পারছে। এতে তাদের ঢাকায় গিয়ে আয়কর জমা দেওয়ার কষ্ট দূর হয়েছে। আশা করছি ভবিষ্যতেও এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।'

অনুষ্ঠানে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. ফরিদ আহমদ তার অভিমত ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, 'আয়কর তথ্য সেবা প্রদান বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আয়োজনের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তাগণ আয়কর প্রদানের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট অন্যান্য তথ্যও জানতে পারছেন।'

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক শেখ মোঃ মনজুরুল হক, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. রাশেদা আখতার, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার, প্রক্টর এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর অঞ্চল-১১ ও ঢাকার কর কমিশনার রওনক আফরোজ, অতিরিক্ত কর কমিশনার সাধন কুমার রায়, যুগ্ম কর কমিশনার ফারজানা নাজনীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


আয়কর মেলা   অনুষ্ঠিত  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

'মৈমনসিংহ গীতিকা'র শতবর্ষে জবিতে আন্তর্জাতিক সেমিনার অনুষ্ঠিত


Thumbnail

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) 'মৈমনসিংহ গীতিকা'র শতবর্ষ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের আয়োজনে সাহিত্য-শিল্প বিষয়ক ষষ্ঠ পর্বে মৈমনসিংহ গীতিকা’র শতবর্ষ (১৯২৩-২০২৩) সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।

সোমবার (২৭ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক সেমিনারটিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বাংলা লোকসাহিত্য গুলো সংগ্রহ করে না রাখলে আমরা এ সম্পর্কে জানতে পারতাম না৷ দীনেশচন্দ্র সেন যদি এ 'মৈমনসিংহ-গীতিকা না লিখতেন, আমাদের মধ্যে তুলে না ধরতেন, সারা বিশ্বে ছড়িয়ে না পড়তো তাহলে সাহিত্যের মধ্যে লোকসাহিত্যের কি ভূমিকা তা আমরা বুঝতে পারতাম না৷ 

তিনি আরও বলেন, লোকসাহিত্য এবং লোক মানুষের সৃষ্টি, যা স্বতঃস্ফূর্তভাবে সৃষ্টি হয়, যেটা প্রকৃতিতে সৃষ্টি হয়, নদী-গঙ্গা বেয়ে যাচ্ছে তার ভেতরে কুলকুল শব্দ হয় সেটা কবিরা বুঝেছিলেন। এই যে গাঙের ঢেউ, গাঙের ঢেউয়ের যে ছন্দ তা আমাদেরকে বুঝতে সাহায্য করেছে৷ 

বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক আরও বলেন, প্রকৃতি থেকে বেড়িয়ে আসা সৃষ্টিশীলতা তার কথা বলছি, আর এই গুলোই বাংলার সৃষ্টিশীলতা৷ আমরা যদি ইংরেজি সাহিত্যের কথা বলি, ইটালিয়ানো সাহিত্যের কথা বলি, তখন আমরা যাই কিচ্ছা-কাহিনির দিকে। যে কিচ্ছা কাহিনি মিলে বড় ধরনের কাব্য তৈরি হয়৷ আর তাই বাংলা লোকসাহিত্য বিদ্যমান৷ 

বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক আলোচক হিসেবে ছিলেন ভারতের আচার্য দীনেশচন্দ্র সেন রিসার্চ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক দেবকন্যা সেন এবং ঢাকার ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টারের পরিচালক মৃন্ময় চক্রবর্তী।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সহযোগী অধ্যাপক ড. সাবিনা ইয়াসমিন এবং স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন সেমিনার কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ড. চঞ্চল কুমার বোস। এছাড়া আলোচকবৃন্দ হিসেবে ছিলেন বাংলা বিভাগের অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকা। এসময় বিভাগীয় শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মৈমনসিংহ-গীতিকা যাতে ময়মনসিংহ অঞ্চলে প্রচলিত পালাগান গুলো লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। এই গানগুলো প্রাচীন কাল থেকে মানুষের মুখে মুখে প্রচারিত হয়ে আসছে। তবে ১৯২৩-৩২ সালে ডক্টর দীনেশচন্দ্র সেন এই গানগুলো অন্যান্যদের সহায়তায় সংগ্রহ করেন এবং স্বীয় সম্পাদনায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় হতে প্রকাশ করেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন