ক্লাব ইনসাইড

পুরান ঢাকায় সড়কে আগুন জ্বালিয়ে জবি ছাত্রদলের অবরোধ


Thumbnail

বিএনপির দ্বিতীয় দফার অবরোধের সমর্থনে পুরান ঢাকার দয়াগঞ্জ মোড়ে সড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ ও অবরোধ পালন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল। 

সোমবার (৬ নভেম্বর) সকাল ৯টার দিকে শাখা ছাত্রদলের সভাপতি আসাদুজ্জামান আসলাম ও সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লার নেতৃত্বে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

সভপতি আসাদুজ্জামান আসলাম বলেন- দেশনায়ক জনাব তারেক রহমানের ডাকা দ্বিতীয় ধাপের ৪৮ ঘণ্টার সর্বাত্মক অবরোধ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল রাজপথে থেকে পালন করছে। অবৈধ ফ্যাসিস্ট সরকারের দূর্নীতি আর মিথ্যা মামলা হামলার কারণে সমগ্র দেশ বিপর্যস্ত এবং কারাগারে পরিণত হয়েছে। দেশের নতুন ভোটারদের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেয়ার অবরোধ, দ্রব্যমূল্য  সাধারণত জনগণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আনার অবরোধ, নিরীহ নিরপরাধ রাজবন্দীদের মুক্ত করার অবরোধ সফল হবে ইনশাআল্লাহ। ১ দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছেড়ে যাবো না। দেশ ও দলের প্রয়োজনে, সাম্য ও মানবিক রাষ্ট্র বিনির্মাণে জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত রাজপথে থাকবো ইনশাআল্লাহ।

এই অবৈধ ফ্যাসিস্ট সরকার অনতিবিলম্বে পদত্যাগ না করলে, লক্ষ শহীদের অর্জিত স্বাধীন ও সার্বভৌম এ রাষ্ট্রের জনগণ আর একটি মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে তাদেরকে বিতাড়িত করবে।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সহ সভাপতি - এবিএম মাহমুদ সর্দার, যুগ্ম সম্পাদক-মিলন হাওলাদার। জবি ছাত্রদলের সহ সভাপতি জুলকার নাইন, শামিম হোসেন। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুসাব্বির মিল্লাত পাটোয়ারী, জাফর আহমেদ, প্রচার সম্পাদক (যুগ্ম সম্পাদক পদমর্যাদা) মোস্তাফিজুর রহমান রুমি, দপ্তর সম্পাদক (যুগ্ম সম্পাদক পদমর্যাদা) সাখওয়াতুল ইসলাম খান পরাগ, আরিফুল ইসলাম আরিফ, মেহেদী হাসান অর্নব, সহ সাধারণ সম্পাদক- জহিরুল ইসলাম। সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুল হাসান, ফয়সাল, মাসফিক। সমাজ সেবা সম্পাদক রবিন মিয়া শাওন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মেহেদী হাসান, আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক মোজাম্মেল মামুন ডেনি সহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী।

পুরান ঢাকা   সড়ক অবরোধ   জবি ছাত্রদল  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

৮ম দফা অবরোধের সমর্থনে জবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ

প্রকাশ: ০৯:৪৮ এএম, ২৯ নভেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

জাতীয় নির্বাচনের তফসিল বাতিল, সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় সরকার গঠন ও কারাবন্দী নেতাদের মুক্তি দাবিতে বিএনপির ডাকা ৮ম দফা অবরোধের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল।

 

বুধবার (২৯ শে নভেম্বর) সকাল ৭ টায় রাজধানীর দয়াগঞ্জে শাখা ছাত্রদল সভাপতি মো. আসাদুজ্জামান আসলাম ও সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লার নেতৃত্বে এ বিক্ষোভ মিছিল করে। 

 

এ সময় শাখা ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লা বলেন, যেই দলের ইতিহাস ও ঐতিহ্যই হচ্ছে বাকশালী রাষ্ট্র তৈরি করা, সেই দলের কাছ থেকে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র আশা করা, আর হিজড়ার কাছে বাচ্চা আশা করা এক-ই কথা। এক দফা দাবি আদায় তথা স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও অবৈধ তফসির বাতিল না হওয়া পর্যন্ত, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের প্রতিটি নেতাকর্মী রাজপথে অবস্থান করবে এবং এই দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত,জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের একটি নেতাকর্মীও ঘরে ফিরে যাবে না, ইনশাআল্লাহ।

 

মিছিল পরবর্তী সময়ে শাখা ছাত্রদল সভাপতি মোঃ আসাদুজ্জামান আসলাম বলেন, অবৈধ ফ্যাসিস্ট দূর্নীতিবাজ সরকার সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা দিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। ফ্যাসিস্ট সরকারের অবৈধ তফসিল ছাত্রদল সহ দেশের সমগ্র মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। অবৈধ তফসিল বাতিল করে জনগনের এক দফা দাবি মেন না নিলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি ছাত্রদল তপ্ত রোদে উত্তাল রাজপথে ফয়সালা করবে। আমরা ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে পারিনি কিন্তু দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার্থে এই প্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধা হবো ইনশাআল্লাহ।

 

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সংসদের সহ সভাপতি বিএম মিলাদ উদ্দিন ভূইঁয়া, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সহ সভাপতি- জুলকার নাইন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক - সুমন সর্দার,  জাফর আহমেদ, প্রচার সম্পাদক ( যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদমর্যাদা) মোস্তাফিজুর রহমান রুমি, ইয়াকুব শেখ অনিক,দপ্তর সম্পাদক ( যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদমর্যাদা) সাখাওয়াতুল ইসলাম খান পরাগ, ইয়াসির আরাফাত, আসিফ আল ইমরান,মেহেদী হাসান অর্নব,আরিফুল ইসলাম আরিফ। সমাজসেবা সম্পাদক- রবিন মিয়া শাওন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক-রবিউল ইসলাম শাওন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক-মিরাজ, আপ্যায়ন সম্পাদক- মুজাম্মেল মামুন ডেনি,সহ প্রচার সম্পাদক - মেহেদী হাসান, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক- নাইমুর রহমান দুর্জয়, সাঈদুল হাসান,মাহবুব আলম, মামুন জামান, ফয়সাল, মাসফিক, মনিরুজ্জামান, আয়াত। সদস্য- রায়হান, তাজুল, অফনান, আনোয়ারসহ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা।


জবি   ছাত্রদল   অবরোধ   বিক্ষোভ  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

জাবিতে ‘জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

প্রকাশ: ০৬:৩৪ পিএম, ২৮ নভেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি এস্যুরেন্স সেল (আইকিউএসি) এর আয়োজনে ‘বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি ও জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন-অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা এবং জিআরএস সফটওয়্যার’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে কর্মশালার উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ নূরুল আলম।

ডেপুটি রেজিস্ট্রার (উচ্চশিক্ষা ও বৃত্তি) এবং এপিএ’র ফোকাল পয়েন্ট লূৎফর রহমানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, 'কাজের গুণগত মান বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণের গুরুত্ব অপরিসীম। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নিজেদের দক্ষ ও যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে।'

তিনি আরও বলেন, 'এপিএ’র উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতে পারলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়ন করতে পারবো। আশা করি, প্রশিক্ষণ কর্মশালাটি সকলের জন্য ফলপ্রসূ হবে। প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে সে অনুযায়ী কাজ করতে পারলে বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে যাবে।'

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক শেখ মোঃ মনজুরুল হক এবং সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইকিউএসি’র পরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ হাফিজুর রহমান।

প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) উপ-পরিচালক বিষ্ণু মল্লিক ‘বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি: বাস্তবায়ন ও প্রমাণক ব্যবস্থাপনা’ এবং উপ-পরিচালক মৌলি আজাদ ‘অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা নির্দেশিকা’ প্রতিপাদ্য বিষয়ে বক্তব্য উপস্থাপন করেন।

জাবি   প্রশিক্ষণ কর্মশালা  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

আয়কর তথ্য-সেবা প্রদান' শিরোনামে জাবিতে আয়কর মেলা অনুষ্ঠিত

প্রকাশ: ১১:৩১ এএম, ২৮ নভেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

'আয়কর তথ্য-সেবা প্রদান' শিরোনামে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির আয়োজনে এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর অঞ্চল-১১ এর সহযোগিতায় প্রথমবারের মতো আয়কর মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে।

সোমবার (২৭ নভেম্বর) সকাল সাড়ে দশটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনে আয়কর মেলার উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ নূরুল আলম।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ নূরুল আলম, কর কমিশনার রওনক আফরোজ এবং অন্যান্য অতিথিগণ আয়কর তথ্য-সেবা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এসময় আয়কর তথ্যসেবা কেন্দ্রগুলো বিকেল চারটা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের আয়কর গ্রহণ করে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত আয়কর মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপাচার্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃপক্ষকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এসে আয়কর তথ্য সেবা প্রদানের জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন পূর্বক বলেন, 'জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের এ কার্যক্রমের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা এবং কর অঞ্চল-১১ এর কর প্রদানকারীরা উৎসবমুখর পরিবেশে সহজে-নির্বিঘ্নে আয়কর প্রদান করতে পারছে। এতে তাদের ঢাকায় গিয়ে আয়কর জমা দেওয়ার কষ্ট দূর হয়েছে। আশা করছি ভবিষ্যতেও এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।'

অনুষ্ঠানে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. ফরিদ আহমদ তার অভিমত ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, 'আয়কর তথ্য সেবা প্রদান বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আয়োজনের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তাগণ আয়কর প্রদানের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট অন্যান্য তথ্যও জানতে পারছেন।'

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক শেখ মোঃ মনজুরুল হক, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. রাশেদা আখতার, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার, প্রক্টর এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর অঞ্চল-১১ ও ঢাকার কর কমিশনার রওনক আফরোজ, অতিরিক্ত কর কমিশনার সাধন কুমার রায়, যুগ্ম কর কমিশনার ফারজানা নাজনীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


আয়কর মেলা   অনুষ্ঠিত  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

'মৈমনসিংহ গীতিকা'র শতবর্ষে জবিতে আন্তর্জাতিক সেমিনার অনুষ্ঠিত


Thumbnail

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) 'মৈমনসিংহ গীতিকা'র শতবর্ষ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের আয়োজনে সাহিত্য-শিল্প বিষয়ক ষষ্ঠ পর্বে মৈমনসিংহ গীতিকা’র শতবর্ষ (১৯২৩-২০২৩) সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।

সোমবার (২৭ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক সেমিনারটিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বাংলা লোকসাহিত্য গুলো সংগ্রহ করে না রাখলে আমরা এ সম্পর্কে জানতে পারতাম না৷ দীনেশচন্দ্র সেন যদি এ 'মৈমনসিংহ-গীতিকা না লিখতেন, আমাদের মধ্যে তুলে না ধরতেন, সারা বিশ্বে ছড়িয়ে না পড়তো তাহলে সাহিত্যের মধ্যে লোকসাহিত্যের কি ভূমিকা তা আমরা বুঝতে পারতাম না৷ 

তিনি আরও বলেন, লোকসাহিত্য এবং লোক মানুষের সৃষ্টি, যা স্বতঃস্ফূর্তভাবে সৃষ্টি হয়, যেটা প্রকৃতিতে সৃষ্টি হয়, নদী-গঙ্গা বেয়ে যাচ্ছে তার ভেতরে কুলকুল শব্দ হয় সেটা কবিরা বুঝেছিলেন। এই যে গাঙের ঢেউ, গাঙের ঢেউয়ের যে ছন্দ তা আমাদেরকে বুঝতে সাহায্য করেছে৷ 

বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক আরও বলেন, প্রকৃতি থেকে বেড়িয়ে আসা সৃষ্টিশীলতা তার কথা বলছি, আর এই গুলোই বাংলার সৃষ্টিশীলতা৷ আমরা যদি ইংরেজি সাহিত্যের কথা বলি, ইটালিয়ানো সাহিত্যের কথা বলি, তখন আমরা যাই কিচ্ছা-কাহিনির দিকে। যে কিচ্ছা কাহিনি মিলে বড় ধরনের কাব্য তৈরি হয়৷ আর তাই বাংলা লোকসাহিত্য বিদ্যমান৷ 

বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক আলোচক হিসেবে ছিলেন ভারতের আচার্য দীনেশচন্দ্র সেন রিসার্চ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক দেবকন্যা সেন এবং ঢাকার ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টারের পরিচালক মৃন্ময় চক্রবর্তী।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সহযোগী অধ্যাপক ড. সাবিনা ইয়াসমিন এবং স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন সেমিনার কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ড. চঞ্চল কুমার বোস। এছাড়া আলোচকবৃন্দ হিসেবে ছিলেন বাংলা বিভাগের অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকা। এসময় বিভাগীয় শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মৈমনসিংহ-গীতিকা যাতে ময়মনসিংহ অঞ্চলে প্রচলিত পালাগান গুলো লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। এই গানগুলো প্রাচীন কাল থেকে মানুষের মুখে মুখে প্রচারিত হয়ে আসছে। তবে ১৯২৩-৩২ সালে ডক্টর দীনেশচন্দ্র সেন এই গানগুলো অন্যান্যদের সহায়তায় সংগ্রহ করেন এবং স্বীয় সম্পাদনায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় হতে প্রকাশ করেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

জাবিতে প্রজাপতি মেলা: নানান রং এর প্রজাপতির ডানায় প্রকৃতি সংরক্ষণের অঙ্গিকার

প্রকাশ: ০৮:১২ এএম, ২৫ নভেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

‘সকালে উঠেই দেখি প্রজাপতি একি আমার লেখার ঘরে, শেলফের পরে মেলেছে নিস্পন্দ দুটি ডানা-রেশমি সবুজ রঙ, তার পরে সাদা রেখা টানা।' প্রজাপতি নিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা কবিতার পড়ার পর মনে হয়  কল্পনায় যত রঙ আঁকা যায়, হয়তো তার সবগুলো রঙেরই প্রজাপতি থাকা সম্ভব।

প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় উদ্ভিদ ও প্রাণী-পাখির মতো প্রজাপতিরও যে ভূমিকা রয়েছে তা অনেকেরই অজানা। অনেকেই জানে না যে প্রজাপতি পরিবেশের সুস্থতার নির্ণায়ক। তাই তো  'উড়লে আকাশে প্রজাপতি, প্রকৃতি পায় নতুন গতি’ এই স্লোগানকে ধারণ করে প্রজাপতি সংরক্ষণ ও জনসচেতনতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘প্রজাপতি মেলা-২০২৩’। 

শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) সকাল দশটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনে দিনব্যাপী এ মেলার উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নূরুল আলম। 

মেলায় দিনব্যাপী নানা আয়োজনের মধ্যে ছিল শিশু-কিশোরদের জন্য প্রজাপতি নিয়ে  ছবি আঁকা প্রতিযোগিতা। যেখানে শিশু কিশোররা তাদের রঙিন তুলিতে ফুটিয়ে তোলে প্রজাপতির বিভিন্ন অবয়ব। ছবি আঁকা প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন বয়সের  প্রায় শতাধিক শিশু-কিশোররা অংশগ্রহণ করে। এর আগে অনুষ্ঠিত কুইজ প্রতিযোগিতায় প্রজাপতি বিষয়ক বিভিন্ন প্রশ্নে অংশগ্রহণ করে শিশু-কিশোররা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছবি চত্বরে আয়োজন করা হয় প্রজাপতির আলোকচিত্র প্রদর্শনী। এতে অনেকের তোলা প্রজাপতির বেশ কয়েকটি নির্বাচিত ছবি স্থান পায়।

এছাড়া অন্যান্য আয়োজনের মধ্যে ছিল প্রজাপতির আদলে তৈরি করা ঘুড়ি উড্ডয়ন, বারোয়ারি বিতর্ক প্রতিযোগিতা, প্রজাপতি চেনা প্রতিযোগিতা, প্রজাপতি বিষয়ক ডকুমেন্টারী প্রদর্শনী, পুরস্কার বিতরণী। 

শহরের যান্ত্রিকতা, কোলাহল থেকে থেকে একটুখানি হাফ ছেড়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে পরিবার, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধব নিয়ে অনেকেই ছুটে এসেছেন প্রকৃতির কোলে রংয়ের চাদর ছড়ানো এই পতঙ্গটির সৌন্দর্য উপভোগ করতে। 

শহুরে জীবনের ব্যস্ততা থেকে মুক্তি পেতে একটুখানি প্রশান্তির খোঁজে আব্দুস সালাম সাহেব তার দুই সন্তান সানহা ও সাব্বিরকে নিয়ে ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে প্রজাপতি মেলা উপভোগ করতে এসেছেন। প্রজাপতির এই মেলায় এসে রঙ-বেরঙের প্রজাপতি দেখতে তারা ছোটাছুটি করছে এদিক-সেদিক। তাদের মাঝে সে কি আনন্দ! এর মাঝেই আবার সন্তানদের পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন বিভিন্ন প্রজাতির প্রজাপতির সঙ্গে। 

আনন্দ প্রকাশ করে আব্দুস সালাম বলেন, ‘ফেসবুকে প্রজাপতি মেলার কথা জানতে পেরে মেয়েদের নিয়ে ছুটে এসেছি প্রজাপতি মেলায়। ইট-পাথরের শহুরে জীবনে প্রজাপতিরদেখা মেলা ভার। ছেলে-মেয়েরাও পাপেট শো, গান, ছবি আঁকা উপভোগ করে চমৎকার সময় পার করেছে।’ 

মেলার দিনব্যাপী আয়োজনকে ঘিরে শিশু-কিশোরদের পাহাড় সমান আগ্রহ ছিল চোখে পড়ার মতো। হরেক রকমের প্রজাপতির ওড়াউড়ি শিশু-কিশোরদের মনে গভীর আলোড়ন সৃষ্টি করে। বিচিত্র ও মনোমুগ্ধকর এসব প্রজাপতির পাখা যেন রঙ ছড়াচ্ছে শিশু-কিশোরদের মনে। সাভার থেকে মায়ের  সঙ্গে মেলা দেখতে এসেছেন ছোট্ট জোহান। বিচিত্র রকমের প্রজাপতির সাথে পরিচিতি, ছবি আঁকা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারা এবং পাপেট শো দেখতে পাওয়ায় তার চোখে- মুখে ফুটে উঠে আনন্দের উচ্ছ্বাস। 

এছাড়া দিনব্যাপী নানা আয়োজনে এবারের 'প্রজাপতি মেলা' আমন্ত্রিত অতিথিরা ঘুরে দেখেন মেলার বিভিন্ন স্টল। এবারের আয়োজনে পরিবেশ সংরক্ষণে বিশেষ অবদানের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো: আনোয়ারুল ইসলামকে Butterfly Award -2023 প্রদান করা হয়। এছাড়া প্রজাপতি নিয়ে গবেষণা কর্মের জন্য চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী মো: জহির রায়হানকে Butterfly Young Enthusiast Award- 2023  দেয়া হয়।

মেলার আহ্বায়ক এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে একসময় ১১০ প্রজাতির প্রজাপতির দেখা মিলতো। কিন্তু ক্যাম্পাসে নগরায়নের ফলে প্রজাপতি তার আবাসস্থল হারাচ্ছে। এখন ক্যাম্পাসে ৫৭ প্রজাতির দেখা মিলে। আমরা বৃক্ষরোপণের ফলে হয়তো বড় বড় গাছ লাগাই, কিন্তু নিচের ঝোঁপঝাড় হচ্ছে প্রজাপতির আবাসস্থল। সেটা একবার নষ্ট হয়ে গেলে আর লাগানো হয় না। ফলে দিন দিন কমছে প্রজাপতির পরিমাণ। আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সবাই প্রাণ-প্রকৃতি সম্পর্কে সচেতন হয়ে উঠবে। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নূরুল আলম বলেন, ‘প্রজাপতি মেলা সবার কাছে প্রিয় হয়ে উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষায় আমরা দুটি মাস্টারপ্ল্যান করার চেষ্টা করছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৃতি রক্ষায় একটা বায়োডাইভারসিটি প্ল্যান আরেকটি একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। প্রজাপতি মেলায় প্রজাপতির আদলে যে সকল প্রদর্শনী হচ্ছে তা শিশুদের মন ও মননে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে।’ এসময় তিনি দর্শনার্থী, প্রজাপতি বিশেষজ্ঞসহ সকলকে ধন্যবাদ জানান ও প্রকৃতি সংরক্ষণে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার মেলা উপলক্ষে প্রজাপতি পার্ক ও গবেষণা কেন্দ্র জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত ছিল। যেখানে ছিল জীবন্ত প্রজাপতি, প্রজাপতি বান্ধব বৃক্ষাদি ও প্রজাপতির প্রজনন ক্ষেত্রসহ উন্মুক্ত বাগান।


জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যাল   প্রজাপতি মেলা   প্রকৃতি সংরক্ষণ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন