কালার ইনসাইড

একুশে শোবিজ অঙ্গন হারিয়েছে যাদের

প্রকাশ: ০৮:০৭ পিএম, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২১


Thumbnail একুশে শোবিজ অঙ্গন হারিয়েছে যাদের

বিদায়ের দ্বারপ্রান্তে ২০২১। দুয়ারে নতুন বছর। করোনার প্রকোপ কিছুটা কাটিয়ে ফের নিয়মিত জীবনে ফিরেছেন মানুষ। বিনোদন জগতের জন্য এ বছরটি ছিল বেশ ঘটনাবহুল। ২০২১ সালে সংস্কৃতি অঙ্গনের অনেকেই চলে গেছেন না ফেরার দেশে। এসব মানুষের শূন্যতা কখনও পূরণ হওয়ার নয়। চলতি বছরে চলে যাওয়া বরেণ্য তারকাদের প্রতি রইল বাংলা ইনসাইডারের শ্রদ্ধাঞ্জলি।

এটিএম শামসুজ্জামান

একুশে পদকপ্রাপ্ত খ্যাতিমান অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান। বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে এই জাঁদরেল অভিনেতা উপহার দিয়েছেন অসংখ্য জনপ্রিয় সিনেমা। এটিএম শামসুজ্জামান ১৯৪১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর দৌলতপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন একাধারে একজন অভিনেতা, পরিচালক, কাহিনীকার, চিত্রনাট্যকর, সংলাপকার এবং গল্পকার। আজীবন সম্মাননাসহ পেয়েছেন পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। শিল্পকলায় অবদানের জন্য ২০১৫ সালে পেয়েছেন একুশে পদক।

চলচ্চিত্র জীবনের শুরু ১৯৬১ সালে পরিচালক উদয়ন চৌধুরীর ‘বিষকন্যা’ চলচ্চিত্রে সহকারী পরিচালক হিসেবে। প্রথম কাহিনী ও চিত্রনাট্য লিখেছেন ‘জলছবি’ চলচ্চিত্রের জন্য। এ পর্যন্ত শতাধিক চিত্রনাট্য ও কাহিনী লিখেছেন। প্রথম দিকে কৌতুক অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্র জীবন শুরু করেন তিনি। অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্র পর্দায় আগমন ১৯৬৫ সালের দিকে। ১৯৭৬ সালে চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেনের ‘নয়নমণি’ চলচ্চিত্রে খলনায়কের চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে আলোচনায় আসেন তিনি। এরপর শুধু এগিয়ে যাওয়ার গল্প। বরেণ্য এই অভিনেতা ২০২০ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে যান না ফেরার দেশে। তার শূন্যস্থান কখনও পূরণ হওয়ার নয়।

ফকির আলমগীর

কিংবদন্তি গণসঙ্গীত শিল্পী ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিক ফকির আলমগীর ২৩ জুলাই (শুক্রবার) রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এর আগে ১৪ জুলাই ফকির আলমগীরের শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া যায়। এর একদিন পর ১৫ জুলাই তার জ্বর ও শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ১৮ জুলাই থেকে তিনি ভেন্টিলেশনে ছিলেন। ২৩ জুলাই রাতে তার স্ট্রোক হয়। এর কিছুক্ষণ পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

সারাহ বেগম কবরী

ঢাকাই সিনেমার ‘মিষ্টি মেয়ে’খ্যাত নায়িকা সারাহ বেগম কবরী চলতি বছরের ১৬ এপ্রিল (শুক্রবার) দিবাগত রাত ১২টা ২০ মিনিটে রাজধানীর শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি রুপালি পর্দায় দর্শকদের নয়নমণি ছিলেন। অভিনয় জীবন পেরিয়ে বাস্তব জীবনেও মানুষের সঙ্গে সরাসরি কাজ করেছেন সংসদ সদস্য হিসেবে। চলচ্চিত্রে অভিনয় করে যশ-খ্যাতি, স্বীকৃতি-পুরস্কার থেকে শুরু করে এক জীবনে অনেক কিছুই পেয়েছেন। 

নায়িকা হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করে পরিচালক হিসেবেও কাজ করেছেন। চলচ্চিত্রের দর্শক নন্দিত অভিনেত্রী সারাহ বেগম কবরী মঞ্চে আবির্ভাব মাত্র ১৩ বছর বয়সে নৃত্যশিল্পী হিসেবে। ১৯৬৪ সালে সুভাষ দত্তের ‘সুতরাং’ সিনেমায় অভিনয়ের সুবাদে বড় পর্দায় যাত্রা শুরু। এ সিনেমার সাফল্যের পর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। একের পর এক সিনেমায় অসাধারণ অভিনয় করে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন কবরী। দর্শকের ভালোবাসায় খেতাব পান ‘মিষ্টি মেয়ে’। সব ধরনের সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি।

চিত্রনায়ক ওয়াসিম

ঢাকাই সিনেমার সোনালি দিনের চিত্রনায়ক মেজবাহউদ্দীন আহমেদ ওয়াসিম। চিকিৎসাধীন অবস্থায় চলতি বছরের ১৭ এপ্রিল (শনিবার) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই অভিনেতা। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। নায়িকা কবরীর মৃত্যুর শোক না কাটতেই কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ওয়াসিমের চলে যাওয়া বাকরুদ্ধ করে দেয় চলচ্চিত্রাঙ্গনকে। এক সময় বাণিজ্যিক-অ্যাকশনের পাশাপাশি ফোক-ফ্যান্টাসি সিনেমার এক নম্বর আসনটি দখলে ছিল ওয়াসিমের। ১৯৭২ সালে ঢাকাই সিনেমাতে ওয়াসিমের অভিষেক হয় সহকারী পরিচালক হিসেবে ‘ছন্দ হারিয়ে গেলো’র মাধ্যমে। আর নায়ক হিসেবে তার যাত্রা শুরু হয় মহসীন পরিচালিত ‘রাতের পর দিন’ সিনেমার মাধ্যমে। দিন যতই যেতে থাকে ওয়াসিমের জনপ্রিয়তা ততই আকাশচুম্বী হয়। এক সময় বাণিজ্যিক ঘরানার সিনেমায় অপরিহার্য নায়ক হয়ে উঠেছিলেন তিনি।

ড. ইনামুল হক

একুশে পদকপ্রাপ্ত গুণী অভিনেতা, নাট্যকার, নির্দেশক ও শিক্ষক ড. ইনামুল হক। চলতি বছরের ১১ অক্টোবর (সোমবার) হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে নিজ বাসাতে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। ড. ইনামুল হকের জন্ম ১৯৪৩ সালের ২৯ মে ফেনী সদরের মটবী এলাকায়। নটরডেম কলেজে পড়াশোনাকালীন তিনি প্রথম মঞ্চে অভিনয় করেন। ফাদার গাঙ্গুলীর নির্দেশনায় তখন তিনি ‘ভাড়াটে চাই’ নাটকে প্রথম অভিনয় করেন। এরপর অসংখ্য নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি।

এস এম মহসীন

একুশে পদকপ্রাপ্ত অভিনেতা এস এম মহসীন। প্রায় চার দশক ধরে মঞ্চ ও টেলিভিশনে অভিনয় করেন তিনি। চলতি বছরের ১৮ এপ্রিল (রোববার) তিনি মারা গেছেন। এস এম মহসীন প্রায় চার দশক ধরে মঞ্চ ও টেলিভিশনে অভিনয় করেছেন। অভিনয়ে প্রশংসনীয় অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২০২০ সালে একুশে পদক পেয়েছেন তিনি।

মাহমুদ সাজ্জাদ

প্রখ্যাত অভিনেতা মাহমুদ সাজ্জাদ। একাধারে মঞ্চ, টিভি ও চলচ্চিত্রে অভিনয় করে ব্যাপক পরিচিত ছিলেন তিনি। জহির রায়হান পরিচালিত ‘সংসার’ সিনেমায় প্রথম অভিনয় করেন মাহমুদ সাজ্জাদ। পরে তিনি খান আতাউর রহমান পরিচালিত ‘ঝড়ের পাখি’, ‘আপন পর’, আজিজ আজহারের ‘চোখের জলে’-সহ বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রতে অভিনয় করে পরিচিতি পান। চলতি বছরের ২৪ অক্টোবর (রোববার) তিনি মারা যান। এক সময় মঞ্চ নাটকে সরব হয়ে পড়েন মাহমুদ সাজ্জাদ। সেই সঙ্গে টেলিভিশন নাটকেও ব্যস্ততা বাড়ে। টেলিভিশনে তার অভিনীত প্রথম ধারাবাহিক নাটক ‘সকাল-সন্ধ্যা’। ৭৩ বছর বয়সী মাহমুদ সাজ্জাদ বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকেই নাট্যচক্রের সঙ্গে জড়িত। এই দলের হয়ে অভিনয় করেছেন ‘লেট দেয়ার বি লাইট’, ‘স্পার্টাকাস’ ও ‘জনক’-সহ বেশ কিছু নাটকে।

কায়েস চৌধুরী

নির্মাতা, অভিনেতা ও নাট্যকার কায়েস চৌধুরী ২১ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে নিজ বাসায় ইন্তেকাল করেন। দীর্ঘদিন ধরেই কিডনি রোগে ভুগছিলেন তিনি। কায়েস চৌধুরী দীর্ঘদিন নির্মাতা ও অভিনেতা হিসেবে কাজ করেছেন। নাট্যকার হিসেবেও অনেক দর্শকপ্রিয় নাটক উপহার দিয়েছেন তিনি।

ফরিদ আহমেদ

করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১৩ এপ্রিল (মঙ্গলবার) সকালে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত সঙ্গীত পরিচালক ফরিদ আহমেদ। এর আগে ২০ মার্চ ফরিদ আহমেদ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর ২১ ও ২৩ মার্চ টেস্ট করালে তার করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। কিন্তু শারীরিক অবস্থার উন্নতি না ঘটলে তিনি পুনরায় ২৫ মার্চ টেস্ট করান এবং তখন তার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় ১১ এপ্রিল ফরিদ আহমেদকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়। শেষ পর্যন্ত চিকিৎসকদের চেষ্টাকে ব্যর্থ করে তিনি না ফেরার দেশে চলে পাড়ি জমান।

মিতা হক

বরেণ্য রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী মিতা হক চলতি বছরের ১১ এপ্রিল (রোববার) সকালে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এর আগে ৩১ মার্চ মিতা হক করোনায় আক্রান্ত হন। তার রিপোর্ট নেগেটিভ হলে হাসপাতাল থেকে বাসায় চলে আসেন। তবে তিনি কিডনি রোগে আক্রান্ত ছিলেন।  

জানে আলম

‘একটি গন্ধমেরও লাগিয়া’ গানের শিল্পী জানে আলম ২ মার্চ (মঙ্গলবার) মারা গেছেন। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এর মাস খানেক আগে জানে আলম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। করোনামুক্ত হলেও তার নিউমোনিয়া ধরা পড়ে। এরপর থেকে তার অবস্থার অবনতি হলে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়। সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই গায়ক। 

শাহীন আলম

এক সময়ের জনপ্রিয় চলচ্চিত্র অভিনেতা শাহীন আলম চলতি বছরের ৮ মার্চ (সোমবার) মারা গেছেন। রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। এর আগে কিডনিজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন শাহীন আলম। 

শামীম ভিস্তি

মঞ্চ, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র অভিনেতা শামীম ভিস্তি। চলতি বছরের ২২ অক্টোবর (শুক্রবার) তিনি না ফেরার দেশে চলে যান। মৃত্যুকালে শামীম ভিস্তির বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর। তার গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার কবুতরখোলা গ্রামে। নাট্য সংগঠন নাট্য চক্রের সদস্য শামীম ভিস্তি ‘পরবাসিনী’সহ বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন।

আশা চৌধুরী

চলতি বছরের শুরুতেই ৪ জানুয়ারি (সোমবার) মধ্যরাতে মিরপুরের দারুস সালাম এলাকায় ট্রাক চাপায় মারা যান ছোট পর্দার অভিনেত্রী আশা চৌধুরী। বাংলাদেশ টেলিভিশনের তালিকাভুক্ত শিশুশিল্পী ছিলেন আশা চৌধুরী। একক নাটকে নিয়মিত অভিনয় করতেন তিনি। টেলিফিল্ম ও ধারাবাহিক নাটকেও অভিনয় করতে দেখা গেছে তাকে।

শোবিজ  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

এফডিসিতে মারামারি, শতাধিক সংবাদকর্মী আহত

প্রকাশ: ০৯:০২ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (এফডিসি) সাংবাদিকদের সঙ্গে চলচ্চিত্র শিল্পীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় দৈনিক খবরের কাগজের বিনোদন প্রতিবেদক মিঠুন আল মামুন ও তার ক্যামেরাম্যানসহ শতাধিক সংবাদকর্মী আহত হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। ঘটনার পর পরই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অসংখ্য পুলিশ সদস্য উপস্থিত হয়েছেন।

ঘটনাস্থলে সাংবাদিক মিঠুন আল মামুন বলেন, আমাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বলেই আমরা এসেছিলাম। সংবাদ সংগ্রহের জন্য এফডিসিতে আসি। কিন্তু এইভাবে সহকর্মীদের ওপর হামলাকারীদের শাস্তি দাবি করছি।

সাংবাদিকদের অভিযোগ এই হামলার পেছনে বেশ কয়েকজন শিল্পীও জড়িত।

রাত সাড়ে ৭ টার দিকে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে ঘটনাটি নিয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি মিশা সওদাগরের কাছে নানা দাবি দাওয়া তুলে ধরা হয়।

বিষয়টি সাংবাদিক ও শিল্পী দুই পক্ষ বসে সমাধানের চেষ্টা চলছে বলে জানা গেছে।

উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, চিত্রনায়িকা ময়ূরীর মেয়েকে একজন ইউটিউবার আপত্তির প্রশ্ন করেন। যেটি উপস্থিত শিল্পীদের একটি অংশ মেনে নিতে পারেননি। তারা ওই ইউটিউবারকে বেধড়ক পেটান। এ সময় কিছু সাংবাদিকও মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র মারামারির সূত্রপাত।


এফডিসি  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

বুবলী আগে থেকেই বিবাহিত, একটি মেয়েও আছে: সুরুজ বাঙালি

প্রকাশ: ০৭:৫৮ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

এবার ঈদের আগে থেকে ব্যক্তিজীবন নিয়ে কথা বলে বারবার শিরোনামে জায়গা করে নিয়েছেন আলোচিত চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী। ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের সঙ্গে দাম্পত্যজীবন এবং নায়কের প্রথম স্ত্রী অপু বিশ্বাসকে নিয়ে মন্তব্য করেই আলোচনার সূত্রপাত। এবার সেই বুবলীকে নিয়েই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা সুরুজ বাঙালি।

ঈদের একটি অনুষ্ঠানে বুবলী জানান, শাকিবের সঙ্গে এখনও ডিভোর্স হয়নি তার। সময় নিচ্ছেন তারা। কিন্তু আলাদা থাকছেন। মূলত ছেলে বীরের কথা ভেবেই সময় নিচ্ছেন তারা।

এবার বুবলীকে নিয়ে সুরুজ বাঙালি বলেন, এখন শাকিব-অপু দুজনেই ভালো আছেন। কিন্তু তাদের মধ্যে প্রবেশ করে সবকিছু নষ্ট করতে চাচ্ছে বুবলী। শাকিবের লেজ ধরেই তো আজকের অবস্থানে এসেছে বুবলী। তাকে ধরে ১০টি সিনেমাও করেছে। বুবলীকে শাকিবই ওপরে উঠিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এই বুবলী কিন্তু আগে থেকেই বিবাহিত। তবে এই বিষয়টা জানতো না শাকিব। শুধু তাই নয়, তার আগের ঘরে একটি মেয়েসন্তানও রয়েছে। শাকিব এটা পরবর্তীতে জানতে পেরে এড়িয়ে চলেছে তাকে। কিন্তু বীর তো শাকিবের নিজের রক্তের। এ জন্য বীরকে কখনোই ফেলে দেবে না শাকিব।

এই কৌতুক অভিনেতা বলেন, বুবলী চায় বীরকে দিয়ে শাকিবের সম্পত্তিতে ভাগ বসাতে। যেখানে শাকিব-অপু এক হয়েছেন, তখন তাদের মধ্যে বুবলীর নাক গলানোর কী প্রয়োজন?

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে শাকিবের বিপরীতে ‘বসগিরি’ সিনেমার মাধ্যমে রুপালি পর্দায় পা রাখেন বুবলী। এরপর বেশ কয়েকটি সিনেমায় কাজ করেছেন তারা। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে বেবিবাম্পের ছবি প্রকাশ করে আলোচনায় আসেন বুবলী। এরপর একদিন পরই একসঙ্গে ফেসবুকে ছেলে শেহজাদ খান বীরের ছবি প্রকাশ্যে আনেন শাকিব-বুবলী।

বুবলী   সুরুজ বাঙালি  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

ভারতের পদ্মশ্রী পুরস্কার পেলেন রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী বন্যা

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘পদ্মশ্রী’ পদক গ্রহণ করলেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। সোমবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় দিল্লিতে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাত থেকে এ পুরস্কার গ্রহণ করেন তিনি।

এদিকে ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন তাদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে এক পোস্টে জানায়, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু অধ্যাপক (ড.) রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে শিল্পকলায় পদ্মশ্রী পদক প্রদান করেছেন। তিনি বাংলাদেশের একজন দক্ষ পেশাদার সঙ্গীতশিল্পী, রবীন্দ্রসঙ্গীতের একজন নিবেদিতপ্রাণ অনুশীলনকারী।

ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা হচ্ছে ভারতরত্ন। তারপরই রয়েছে পদ্মবিভূষণ, পদ্মভূষণ ও পদ্মশ্রী। নানা ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য প্রদান করা হয়ে থাকে পুরস্কারগুলো।

এ বছর দেশটির সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে ১৩২ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে পদ্ম সম্মাননার জন্য মনোনীত করেছে। এদের মধ্যে পাঁচজন পদ্মবিভূষণ, ১৭ জন পদ্মভূষণ আর ১১০ জন পদ্মশ্রী সম্মাননা পেয়েছেন।

এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারির শেষ দিকে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এবারের পদ্ম পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের তালিকা প্রকাশ করে।

প্রসঙ্গত, রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা রবীন্দ্রসঙ্গীত ছাড়াও ধ্রুপদী, টপ্পা ও কীর্তন গানের ওপর শিক্ষা লাভ করেছেন। প্রাথমিক অবস্থায় রেজওয়ানা বন্যা ‘ছায়ানট’ ও পরে ভারতের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। তিনি বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতেও পড়াশোনা করেছেন। তিনি ‘সুরের ধারা’ নামের একটি সঙ্গীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করেন।

রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার কণ্ঠে এ পর্যন্ত বহু অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- ‘স্বপ্নের আবেশে’, ‘সকাল সাঁঝে’, ‘ভোরের আকাশে’, ‘লাগুক হাওয়া’, ‘আপন পানে চাহি’, ‘প্রাণ খোলা গান’, ‘এলাম নতুন দেশে’, ‘মাটির ডাক’, ‘গেঁথেছিনু অঞ্জলি’, ‘মোর দরদিয়া’, ‘শ্রাবণ তুমি’ ও ‘ছিন্নপত্র’ ইত্যাদি।

সঙ্গীতে অসামান্য অবদান রাখায় ২০১৬ সালে দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা স্বাধীনতা পদক লাভ করেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। এ ছাড়া তিনি ফিরোজা বেগম স্মৃতি স্বর্ণপদক, সিটিসেল-চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ড, আনন্দ সঙ্গীত পুরস্কারসহ বহু পুরস্কার পেয়েছেন। এর আগে ভারতে বঙ্গভূষণ সহ বেশ কিছু পদক পেয়েছেন তিনি।


ভারত   পদ্মশ্রী   পুরস্কার  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

লোকসভা ভোট: ডিপফেক ভিডিও নিয়ে বলিউডে দুশ্চিন্তা

প্রকাশ: ০৩:৩৭ পিএম, ২২ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের লোকসভা নির্বাচন কেন্দ্র করে বলিউড তারকাদের কিছু ডিপফেক ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এ নিয়েই শুরু হয়েছে হইচই।

ডিপফেক ভিডিও দেখা গেছে, গুলোতে দুই বলিউড সুপারস্টারকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ব্যাপক সমালোচনা করেছেন। একই সঙ্গে তারা চলমান লোকসভা নির্বাচনে বিরোধী দল কংগ্রেসকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে।

ভাইরাল দুই ভিডিওর মধ্যে ৩০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও আমির খানের এবং ৪১ সেকেন্ডের আর একটি ভিডিও রণবীর সিংয়ের। ওই ভিডিওতে এই দুই সুপারস্টারকে বলতে শোনা গেছে, মোদি যে নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা বাস্তবায়নে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন।

এছাড়া গত দুই মেয়াদের ক্ষমতায় তিনি অর্থনৈতিক সংকটে রোধেও তেমন কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে পারেন নাই। 

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে তৈরিকৃত এই ভিডিও’র শেষে কংগ্রেসের প্রতীক এবং শ্লোগান তুলে ধরা হয়। বলা হয়েছে ‘ভোট হলো অধিকার, কংগ্রেসকে ভোট দিন’। 

আমিরের ভাইরাল ডিপফেক ভিডিও নিয়ে মুম্বাইর থানায় একটি মামলাও করেছে পুলিশ। জানিয়েছে এই ঘটনার সাথে যুক্তদের ধরতে অভিযান শুরু হয়েছে।


ডিপফেক   লোকসভা নির্বাচন   আমির খান  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

ডিপজলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে নিলেন অভিনেত্রী

প্রকাশ: ০৩:১৭ পিএম, ২২ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ দ্বিবার্ষিক মেয়াদের নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খল-অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজলের বিরুদ্ধে সমিতির এক সদস্য টাকা দেয়ার অভিযোগ জানিয়েছিলেন নির্বাচন কমিশন বরাবর। তবে গত ১৯ এপ্রিল ভোটগ্রহণের পর এতে ডিপজল জয়লাভ করলে সেই অভিযোগ প্রত্যাহার করেন অভিযোগকারী অভিনেত্রী সাদিয়া মির্জা।

গতকাল রোববার (২১ এপ্রিল) বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন বিজয়ী সভাপতি খল-অভিনেতা মিশা সওদাগর। পর্দার দাপুটে এ অভিনেতা বলেন, ডিপজলের বিরুদ্ধে নির্বাচন আচরণবিধি দুই ও তিন ভঙ্গের যে অভিযোগ জানিয়েছিলেন সাদিয়া মির্জা, সেটি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন তিনি। বিষয়টি আমাদের জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।

প্রসঙ্গত, এবারের নির্বাচন ২৭ এপ্রিল সম্পন্ন করার কথা থাকলেও একটি প্যানেল আপত্তি জানালে পরে ১৯ এপ্রিল তারিখই চূড়ান্ত রাখা হয়। ২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির এ নির্বাচনে ছয়জন স্বতন্ত্রসহ দুটি প্যানেল থেকে প্রতিদ্বন্দিদ্বতা করেন ৪৮ প্রার্থী। প্যানেল দুটি হচ্ছে―মাহমুদ কলি ও নিপুণ আক্তার এবং অন্যটি মিশা সওদাগর ও মনোয়ার হোসেন ডিপজল।

নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করছেন খোরশেদ আলম খসরু। তার সঙ্গে সদস্য হিসেবে আছেন এ জে রানা ও বিএইচ নিশান।


ডিপজল   অভিযোগ   চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন