মন্তব্য করুন
প্রথমবার কান চলচ্চিত্র উৎসবের মতো বিশ্বমঞ্চে স্থান করে নিয়েছে পাকিস্তানি ছবি। তরুণ নির্মাতা সায়েম সাদিকের ‘জয়ল্যান্ড’ যেন পাকিস্তানিদের আনন্দে ভাসাল।
শুক্রবার বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাতে পালে দে ফেস্টিভাল ভবনের সাল ডুবুসিতে ‘আঁ সার্তে রিগা’ বিভাগের বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। এই বিভাগে জুরি প্রাইজ জিতে নেয় পাকিস্তানের ছবি ‘জয়ল্যান্ড’। নাম ঘোষণার পরপরই সায়েম সাদিককে অভিনন্দন জানানোর হিড়িক পড়ে যায়।
বাংলাদেশি নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীও ফেসবুকে সায়েম সাদিককে মেনশন করে অভিনন্দন জানান। পাকিস্তানের ‘জয়ল্যান্ড’ ছাড়াও ‘আঁ সার্তে রিগা’ বিভাগে সেরা ছবির পুরস্কার জিতেছে ফ্রান্সের ছবি ‘দ্য ওয়ার্স্ট ওয়ান্স’, পরিচালনা করেছেন লিজ আকোকা ও রোমান গ্যুরে। ‘মেট্রোনম’ ছবির জন্য সেরা পরিচালকের পুরস্কার জিতে নিয়েছেন আলেকসান্দ্রু বেল্ক।
ফিলিস্তিনের ছবি ‘মাহা হাজ’-এর জন্য সেরা চিত্রনাট্যের পুরস্কার জিতেছেন মেডিটেরানিয়ান ফিভার। বেস্ট পারফর্মারের পুরস্কার জিতে নিয়েছেন ভিকি ক্রিপস (করসেজ) এবং অ্যাডাম বেসা (হারকা)। ফেভারিট অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন রোডিও (লোলা কিভোরন)।
‘জয়ল্যান্ড’ সিনেমাটি পাকিস্তানের লিঙ্গবৈষম্য দূর করার গল্পে নির্মিত। কানে ‘জুরি পুরস্কার’জয়ী এই সিনেমার মতোই গত বছর একই বিভাগে বাংলাদেশ থেকে প্রথমবারের মতো অংশ নেয় আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ পরিচালিত বহুল আলোচিত ছবি ‘রেহানা মরিয়ম নূর’।
মন্তব্য করুন
প্রকাশ হলো বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে প্রথম আন্তর্জাতিক সিনেমা ‘জেকে ১৯৭১’-এর টিজার। শুক্রবার বিকেলে গড়াই ফিল্মসের ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেইজে টিজারটি প্রকাশ করেন নির্মাতা ফাখরুল আরেফিন খান।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের মানুষকে সহায়তার জন্য ফরাসি যুবক জ্যঁ কুয়ে ছিনতাই করেছিলেন পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনসের [পিআইএ] একটি বিমান। তার দাবি ছিল, বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী মানুষের জন্য ২০ টন ওষুধ ও চিকিৎসাসামগ্রী ওই বিমানে তুলে দিতে হবে এবং তাহলেই কেবল মুক্তি পাবে বিমানের সব যাত্রী।
এই ঘটনা নিয়েই নির্মিত হয়েছে ছবিটি। ছবিটি নির্মাণ করেছেন ‘ভুবন মাঝি’ ও ‘গণ্ডি’র নির্মাতা ফাখরুল আরেফীন খান। সম্প্রতি সিনেমাটির দৃশ্যধারণ, সম্পাদনা, ডাবিং, কালার কারেকশন, ভিএফএক্সের কাজ শেষে গতকাল প্রকাশ হলো টিজার। জানা গেছে, ধীরে ধীরে ছবির অফিশিয়াল ট্রেলার ও পোস্টার প্রকাশ হবে।
‘জেকে ১৯৭১’ প্রসঙ্গে পরিচালক ফাখরুল আরেফিন খান বলেন, ‘আমরা প্রথম বিশ্বযুদ্ধের, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের, আফগান যুদ্ধ, এমনকি সোমালিয়ার যুদ্ধ নিয়ে নির্মিত সিনেমা দেখি। কিন্তু আন্তর্জাতিক দর্শকদের দেখানোর জন্য ইংরেজিতে আমাদের দেশের মুক্তিযুদ্ধের কোনো সিনেমা নেই। তাই আমরা এই সিনেমাটি বানানোর সিদ্ধান্ত নিলাম। এরই মধ্যে আমরা ছবির সব কাজ শেষ করেছি। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা ছবির টিজার প্রকাশ করলাম। আশা করছি খুব শিগগিরই ছবিটির মুক্তির বিষয়েও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারব। ’
গড়াই ফিল্মসের ব্যানারে নির্মিত ‘জেকে ১৯৭১’ ছবির নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন পশ্চিমবঙ্গের সৌরভ শুভ্র দাশ। এ ছাড়া বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভিনেতা ফ্রান্সিসকো রেমন্ড এবং রাশিয়ান অভিনেত্রী ডেরিয়া গভ্রুসেনকো ও অভিনেতা নিকোলাই নভোমিনাস্কি, পশ্চিমবঙ্গের সব্যসাচী চক্রবর্তী, ইন্দ্রনীলসহ আরো প্রায় ৩৬ জন অভিনয়শিল্পী।
মন্তব্য করুন
কেজিএফ: চ্যাপ্টার ২ রেকর্ড সঞ্জয় যশ হৃতিক রোশন
মন্তব্য করুন
মুম্বাইয়ে বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খানের স্বপ্নের বাসভবন ‘মান্নাত’ এর কথা কে না জানেন। বান্দ্রা পশ্চিমের ব্যান্ডস্ট্যান্ডের প্রায় শেষ প্রান্তে বলিউডের কিং খানের ঠিকানা মান্নাত। মুম্বাই আসলে মান্নাত দর্শন করে না, এ রকম মানুষের সংখ্যা নেই বললেই চলে। মুম্বাইয়ে একটি ঐতিহ্যবাহী ভবন এবং পর্যটন স্থান হিসেবে পরিচিত মান্নাত।
প্রতিদিনই বলিউড বাদশাহর কয়েকশো ভক্ত তাদের প্রিয় এই বলিউড তারকার এক ঝলক পাওয়ার আশায় মান্নাতের সামনে হাজির হয়ে থাকেন। শাহরুখকে এক ঝলক দেখার সৌভাগ্য না হলে, অন্তত তার বাড়ি সামনে সেলফি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন ভক্তরা।
গত মাসে শাহরুখ তার বাড়ির পুরোনো নামফলক পরিবর্তন করে নতুন নামফলক লাগান। প্রায় ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নতুন নামফলক লাগানোর ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিং হয় শাহরুখ খান এবং তার বাড়ির নাম।
তবে নতুন লাগানো সেই নামফলক হঠাৎ গায়েব হয়ে গেছে। বেশ কিছুদিন ধরেই শাহরুখের বাড়ির সামনে গিয়ে হতাশ হয়ে ফিরছেন ভক্তরা। এর আগে নামফলক ছাড়া ‘মান্নাত’ কখনও দেখা যায়নি।
নামফলক গায়েব হয়ে যাওয়ার ব্যাপারটা সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরেছেন কিং খানের ভক্তরাই। কেননা শাহরুখকে না পেলেও, তার বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে নামফলকের সঙ্গে সেলফি তোলার ব্যাপারটা চলতেই থাকে। গত কয়েকদিন ধরে টুইটারে অনেকেই উল্লেখ করছেন, ‘এই প্রথম মুম্বাই গেলাম। শাহরুখ খানের বাড়ির সামনে ছবি তুলতে গিয়ে দেখি মান্নাত নামফলকটাই নেই।’ বহুমূল্য নামফলকটি চুরি হয়ে গেল কিনা- এমন সংশয় প্রকাশ করছেন কেউ কেউ।
তবে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। হিন্দুস্তান টাইমস সিটির খবরে বলা হয়েছে, আসলে নামফলকে মেরামতের কাজ চলছে। তাই ওটাকে রাখা হয়েছে বাড়ির বাগানে। একবার ঠিক হয়ে গেলে ফের সেটাকে বাড়ির সামনে লাগিয়ে দেওয়া হবে।
নতুন নামফলকটি লাগানোর পরেই জানা গিয়েছিল শাহরুখের স্ত্রী গৌরী খান, যিনি একজন বিখ্যাত ডিজাইনার তিনিই বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বসে এটার ডিজাইন করেছেন। গৌরী চেয়েছিলেন এমন একটা লুক যা খুব ক্লাসি হবে ও খান পরিবারের স্বাদকে একদম ঠিকভাবে ফুটিয়ে তুলবে।
সংবাদমাধ্যম হোক কিংবা সোশ্যাল মিডিয়া, শিরোনামে থাকেন বলিউডের বাদশা। দু’দিন আগেই পরিচালক-প্রযোজক করন জোহরের জন্মদিনে ব্লকবাস্টার সিনেমা ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’-এর গানের সঙ্গে নেচে তুমুল প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন শাহরুখ। ৫৬ বছর বয়সেও পুরো একটা পার্টির সব আকর্ষণ কেড়ে নিতে পারেন তিনিই। সে জন্যই তিনি কিং খান।
বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান মান্নাত
মন্তব্য করুন
ঢাকাই সিনেমার নির্মাতা, প্রযোজকদের আস্থার প্রতীক শাকিব খান। যার বড় পর্দায় যাত্রা শুরু ১৯৯৯ সালে। ১৯৯৯ সালের ২৮ মে মুক্তি পায় তাঁর অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ‘অনন্ত ভালোবাসা’। সে হিসেবে চলচ্চিত্রে তার ২৩ বছরের ভ্রমণ। নারায়ণগঞ্জের তরুণ মাসুদ রানা এই সিনেমায় নাম পরিবর্তন করে ‘শাকিব খান’ নামে পর্দায় হাজির হন। প্রথম সিনেমা ব্যবসা সফল না হলেও নজর কাড়েন শাকিব। একটু একটু করে নিজেকে নিয়ে যান অনন্য উচ্চতায়। আজ তিনি ঢালিউডের এই সময়ের সবচেয়ে সফল নায়ক। ভক্তের দল যাকে ‘কিং খান’ নামে ডাকতে পছন্দ করে।
বিশেষ দিনটিকে স্মরণ করে শাকিব খান তার ফেসবুক পেইজে লিখেন, শুরুতে জানতাম না আমার ক্যারিয়ার কোন দিকে যাচ্ছে। প্রথমদিকে আমার অভিনীত চলচ্চিত্রগুলোও খুব বেশি সাফল্য পায়নি, তারপরও হাল ছাড়িনি। ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েছি, ব্যর্থতাকে সাফল্যের মতো প্রাধান্য দিয়েছি। আমি সবসময় কঠোর পরিশ্রম, কাজের প্রতি আন্তরিকতা ও সততায় বিশ্বাসী। হয়তো এ কারণেই আজ এই অবস্থানে পৌঁছেছি। আমি আনন্দিত এই ভেবে যে, আমার কাজের মাধ্যমে মানুষকে বিনোদিত করতে পেরেছি এবং তাদের খুশি করতে পেরেছি।
তিনি আরও লিখেন, অভিনয় জীবনে আজ পর্যন্ত যেসব পরিচালক, প্রযোজক, সহশিল্পী এবং ক্যামেরার পেছনে থাকা কলাকুশলীর সঙ্গে কাজ করেছি সবাইকে ধন্যবাদ। আমার ২৩ বছরের ক্যারিয়ারে তাদের অবদান অসামান্য! বিশেষভাবে আমি আমার দর্শকদের কাছে কৃতজ্ঞ; যারা আমার সকল শক্তি ও অনুপ্রেরণার উৎস, তারা আমাকে এতোগুলো বছর ভালবাসা এবং সম্মান দিয়ে যাচ্ছে। আমার পরিবারের কাছেও কৃতজ্ঞ, তাদের চিরস্থায়ী সমর্থনের জন্য। সবার জন্য হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা।
উল্লেখ্য, নৃত্যপরিচালক আজিজ রেজার সঙ্গে ১৯৯৫ সালে পরিচয় হয় নারায়ণগঞ্জে বেড়ে ওঠা মাসুদ রানার। তার মাধ্যমেই এফডিসিতে প্রবেশ করেন মাসুদ রানা। পরিচিত হন বেশ কয়েকজন চিত্রনির্মাতার সঙ্গে। ওই সময় শাকিল খানের সঙ্গে বিরোধের কারণে নতুন নায়ক খুঁজছিলেন পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান। কাকতালীয়ভাবে পেয়ে যান মাসুদ রানাকে। চুক্তিবদ্ধ করেন ‘অনন্ত ভালোবাসা’ সিনেমায়। এ সিনেমার শুটিংয়ে মাসুদ রানার নাম বদলে দেন পরিচালক সোহান। মাসুদ রানা হয়ে যান শাকিব খান। ১৯৯৯ সালের ২৮ মে মুক্তি পায় শাকিব অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র 'অনন্ত ভালোবাসা'। প্রথম সিনেমা ব্যবসা সফল না হলেও নজর কাড়েন তিনি।
সেই মাসুদ রানাই ধীরে ধীরে হয়ে উঠেছে সুপারস্টার, মেগাস্টার, কিং খান শাকিব খান। দীর্ঘ এই পথচলায় অভিনেতা থেকে হয়েছেন প্রযোজক। ছিলেন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি। অভিনয় করেছেন কলকাতার সিনেমায়। কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ চারবার পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এছাড়াও পেয়েছেন মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার, বাচসাস পুরস্কার ও সিজেএফবি পারফরম্যান্স পুরস্কার। এখন শাকিব খান অভিনীত মুক্তির অপেক্ষায় আছে
লিডার- আমিই বাংলাদেশ ও অন্তরাতা সিনেমা।
মন্তব্য করুন
১৯৯৯ সালের ২৮ মে মুক্তি পায় শাকিব খান অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ‘অনন্ত ভালোবাসা’। সে হিসেবে চলচ্চিত্রে তার ২৩ বছরের ভ্রমণ। নারায়ণগঞ্জের তরুণ মাসুদ রানা এই সিনেমায় নাম পরিবর্তন করে ‘শাকিব খান’ নামে পর্দায় হাজির হন। প্রথম সিনেমা ব্যবসা সফল না হলেও নজর কাড়েন শাকিব। একটু একটু করে নিজেকে নিয়ে যান অনন্য উচ্চতায়...