কালার ইনসাইড

রূপালী পর্দায় বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন যারা

প্রকাশ: ০৫:০২ পিএম, ১৭ মার্চ, ২০২২


Thumbnail রূপালী পর্দায় বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন যারা

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন আজ। ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন এই মহান নেতা। স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টার জন্মবার্ষিকীতে গোটা দেশের মানুষই শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন, স্মরণ করছেন। বাংলা ইনসাইডারের  পক্ষ থেকে এই মহান নেতার প্রতি রইলো জন্মদিনের শুভেচ্ছা।

বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে একটি রয়েছে বায়োপিক। এছাড়াও আরো তিনটি সিনেমা নির্মাণ করা হয়েছে, যেসবে বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন সময়কালকে তলে ধরা হয়েছে। বঙ্গন্ধুর বায়োপিক “বঙ্গবন্ধু”তে মুজিব চরিত্রে অভিনয় করেছেন আরিফিন শুভ, “চিরঞ্জীব মুজিব” নামে চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন আহমেদ রুবেল, “টুঙ্গিপাড়ার মিয়াঁভাই” চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন শান্ত খান ও ফেরদৌস অভিনয় করেছেন “হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি” চলচ্চিত্রে। বঙ্গবন্ধুর বায়োপিকে কিশোরবেলার চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিব্য জ্যোতি ও "টুঙ্গিপাড়ার দুঃসাহসী খোকা" চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন সৌম্য জ্যোতি।

আহমেদ রুবেল



জাতির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের 'অসমাপ্ত আত্মজীবনী' অবলম্বনে নির্মিত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোটবোন শেখ রেহানা নিবেদিত পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র 'চিরঞ্জীব মুজিব।' বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায় ৩১ ডিসেম্বর। ‘চিরঞ্জীব মুজিব’ চলচ্চিত্রে বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন আহমেদ রুবেল। এছাড়াও বেগম ফজিলাতুন্নেছা রেণুর চরিত্র রূপায়ন করেছেন পূর্ণিমা এবং বঙ্গবন্ধুর বাবার চরিত্রে খায়রুল আলম সবুজ ও মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন দিলারা জামান। ছবিটির সৃজনশীল পরিচালক জুয়েল মাহমুদ।

চলচ্চিত্রটি বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় ডাবিং করা হবে বলে গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে এক অনুষ্ঠানে জানিয়েছিলেন বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। বঙ্গবন্ধু চরিত্রে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা হয় অভিনেতা আহমেদ রুবেলের সঙ্গে।

ভয়েস অফ আমেরিকাকে আহমেদ রুবেল বলেন, বঙ্গবন্ধু চরিত্রে অভিনয় করাটা খুব একটা সহজ নয়। অজানা, অচেনা চরিত্রে সহজেই অভিনয় করা যায়, কিন্তু বঙ্গবন্ধু এমন একজন্য ব্যক্তি যাকে সবাই চেনে, যার প্রতিটি ভঙ্গিমা সকলের মুখস্থ। যার ফলে এই চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব পেয়ে আমি টেনশনে পড়ে যাই। ভালো যেমন লেগেছিল, কিছুটা ভীতিও ছিল। তারপরেও ১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৫২ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর এই সময়কালটা যেহেতু এই চলচ্চিত্রে তুলে ধরা হয়েছে, বঙ্গবন্ধুর জেল জীবন দেখানো হয়েছে সেহেতু কিছুটা সাহস পেয়েছি। কেননা এমন চরিত্রে অভিনয় করাটা অনেকের নিকট স্বপ্নের মতো। আমি খুবই আনন্দিত যে বঙ্গবন্ধুর মতো এমন একজিন মহান নেতার চরিত্রে অভিনয় করতে পেরেছি।"

দর্শক প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে আহমেদ রুবেল বলেন, চিরঞ্জীব মুজিব চলচ্চিত্রটি মুক্তি দেওয়া হয়েছে ঢাকার বাইরে, বগুড়ায়। আমিও সেখানে গিয়েছিলাম। সাধারণ দর্শকেরা ছবিটি দেখছে মন্তব্য করছে। বেশ ইতিবাচক সাড়া পেয়েছি। এছাড়াও ঢাকায় সিনেমা হলগুলোতে মুক্তি দেওয়া না হলেও বিভিন্ন জায়গায় প্রদর্শনী হয়েছে। মন্ত্রী থেকে সংসদ সদস্য বা যারাই দেখেছেন আমার অভিনয়ের প্রশংসা করেছেন- এটা আমার কাছে ছিল আনন্দদায়ক।

আরিফিন শুভ


এই চলচ্চিত্রটি মূলত বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক। বলিউডের শ্যাম বেনেগাল ছবিটি পরিচালনা করেছেন। চলচ্চিত্রটিতে শেখ মুজিবুর রহমানের চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেতা আরিফিন শুভ। ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে মুম্বাইয়ের দাদাসাহেব ফিল্ম সিটিসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় সিনেমার ৮০ ভাগ দৃশ্যধারণ করা হয়। এরপর ২০২১ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ অংশের শুটিং সম্পন্ন হয়। তেজগাঁওয়ের পুরানো বিমানবন্দরসহ ঢাকার বেশকিছু এলাকায় এবং গোপালগঞ্জে চলচ্চিত্রটির দৃশ্যধারণ করা হয়। চলতি বছরের মার্চে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীতে সিনেমাটি মুক্তির কথা থাকলেও মুক্তি পাচ্ছে না।

বঙ্গবন্ধু চরিত্রে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা বা শুটিং বিষয়ে কোনো তথ্য জানাতে নিষেধ রয়েছে বলে জানালেন শুভ। তবে এই চরিত্র অভিনয়ের অনুভূতি জানাতে গিয়ে ভয়েস অফ আমেরিকাকে শুভ বলেন, কোনো আপনজন যদি চিরতরে ছেড়ে চলে যায়, তাহলে সেটা বিশ্বাস করতে অনেকটা সময় লেগে যায়। ঠিক এমনই, আমি যে বঙ্গবন্ধু চরিত্রে অভিনয় করেছি, আজ থেকে দেড় বছর আগে শুটিং শুরু হয়েছিল, কিছুদিন আগে শুটিং শেষ করলাম- এখন ও বিশ্বাস করতে পারছি না যে আমি সেই চরিত্রে অভিনয় করেছি। আমি নিজেকে জিজ্ঞেস করলেও সেই উত্তর পেতে কষ্ট হয়।

শুভ আরো বলেন, এমন নয় যে আমি আরিফিন শুভ বলেই এই চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছি। আমার পাঁচবার অডিশন নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশে তিনবার, ভারতে দুইবার। প্রতিবারই আমাকে ডাকা হয়েছিল অডিশন নেওয়া হয়েছিল তারপরেও বলা হয়েছিল তোমাকে আমাকে জানাবো। প্রতিবারই আমাকে একই কথা বলা হতো। চূড়ান্ত ভাবে যখন জানানো হলো, তুমিই বঙ্গবন্ধু চরিত্রে অভিনয় করতে যাচ্ছ- সে মুহূর্ত আমার বর্ণনা করার ভাষা নেই।

ফেরদৌস



এই চলচ্চিত্রে ফেরদৌস একজন থিয়েটারকর্মী হিসেবে কাজ করেন। সেই থিয়েটার বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে একটি নাটক বানাবে। বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে অভিনয়ের জন্য নির্বাচিত করা হয় ফেরদৌসকে। ফেরদৌস এই চরিত্র নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন। একসময় নানা পড়াশোনা ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে চরিত্রের মধ্যে ঢুকে পড়েন। নিজে এক সময় অনুভব করেন বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিত্বকে। সেই নাটক মঞ্চস্থ হয়, দর্শকেরা মঞ্চে দেখতে পান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে।

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি চলচ্চিত্রে অভিনয় প্রসঙ্গে ফেরদৌস ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, এটি একটি ভিন্নধারার গল্প। থিয়েটার নিয়ে গল্প। সেই থিয়েটারের নাটকে আমি বঙ্গবন্ধু হিসেবে আবির্ভূত হই। বলা যায় এটি একটি নিরীক্ষণধর্মী কাজ, যেখানে বঙ্গবন্ধুকে দেখানো হয় কঠিন ও মুক্তির ত্রাতা হিসেবে। এই চরিত্রে অভিনয়ের জন্য সাজ থেকে শুরু করে বঙ্গবন্ধু হিসেবে মঞ্চে সকলের সামনে আসা সবকিছুই আমার জন্য চ্যালেঞ্জ ছিল।

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি পরিচালনা করেছেন এখলাস আবেদীন। ২০২০ সালে শুটিং সম্পন্ন হয়েছে চলচ্চিত্রটির। এ বছরেই মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।


শান্ত খান


মূলত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শৈশব ও কিশোরকাল এই চলচ্চিত্রে উঠে এসেছে। এখানে বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন ২০ বছর বয়সী শান্ত খান। এই চলচ্চিত্রে ফজিলাতুন্নেছা মুজিব রেণুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন প্রার্থনা ফারদীন দীঘি। ২০২০ সালে এই ছবিটি নির্মাণ করা হয়। ২০২১ সালে ছবিটি মুক্তি দেওয়া হয়। এছাড়াও মাধ্যমিক পর্যায়ে ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘টুঙ্গিপাড়ার মিয়া ভাই’ সিনেমাটি প্রদর্শনের নির্দেশ দিয়েছিল বাংলাদেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

বঙ্গবন্ধু চরিত্রে অভিনয় প্রসঙ্গে ভয়েস অফ আমেরিকাকে শান্ত খান বলেন, ‘‘আমার জীবনে সবচেয়ে বড়প্রাপ্তি বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করা। আমি আমার এই ২০ বছরের জীবনে যা পেয়েছি তা হয়তো আর কখনোই পাবো না, এটা আমার কাছে অন্যরকম অনুভূতির বিষয়। কারণ বঙ্গবন্ধুর মতো ব্যক্তি কিংবা এমন মহান নেতার চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ কজন পায়? আমি যখন পেয়েছি, তখন আমার মধ্যে ভয় কাজ করেছে, মনে হয়েছে মানুষ আমাকে গ্রহণ করবে কি না, কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমি সাধারণ মানুষের ভালোবাসাও পেয়েছি। এই চরিত্রে অভিনয় করাটা অনেক কষ্টসাধ্য বিষয়। শুটিংয়ের সময় বারবার নানারকম ভয়ভীতি এসে উপস্থিত হয়েছে, হয়তো একাধিকবার শট দিতে হয়েছে কিন্তু শেষ পর্যন্ত কাজটা শেষ হয়েছে এবং মানুষ দেখেছে বা দেখবে।

আরেকটা অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করলেন শান্ত। বললেন, ‘‘ছবিটি সেন্সর বোর্ডের সদস্যরা দেখেছেন। তারা আমাকে চেনেন না। আব্বু (সেলিম খান) যেহেতু ছবিটির প্রযোজক তাই আব্বুকে সেন্সর বোর্ড থেকে ডাকা হলো, জিজ্ঞেস করা হলো যে ছেলেটি কে? আব্বু তখন বললেন, যে আমার ছেলে। তারা কোনোভাবেই বিশ্বাস করতে পারছিলেন না যে আমি আব্বুর ছেলে, তারা ধরেই নিয়েছিলেন আব্বু মজা করছে। আব্বু তখনই আমাকে ফোন করে জানিয়েছিলেন বিষয়টি।’’

শামীম আহমেদ রনীর চিত্রনাট্যে ‘টুঙ্গিপাড়ার মিয়া ভাই’ সিনেমার নির্বাহী পরিচালক হিসেবে ছিলেন সেলিম খান।

দিব্য জ্যোতি


শ্যাম বেনেগল পরিচালিত বঙ্গবন্ধুর বায়োপিকে কিশোর বয়সের বঙ্গবন্ধু চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিব্য জ্যোতি। ইতোমধ্যে মুম্বাইয়ে গিয়ে শুটিং শেষ করে এসেছেন দিব্য।

বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা জানিয়ে দিব্য ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, "মুম্বাইয়ে টানা ২২ দিন শুটিং করেছি। বলতে গেলে এই শুটিং হয়েছে একেবারে গাণিতিক নিয়মে। ভোর ৬ টায় কল টাইম থাকতো। ৫ টায় ঘুম থেকে উঠতাম, ৫ টা ৩৫ মিনিটে হোটেলের সামনে গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকতো। ঠিক টাইমে হোটেলের সামনে চলে যেতাম। পনের মিনিট আগে শুটিং স্পটে গাড়ি পৌঁছতো। ছবির শুটিং করতে গিয়ে আমি বঙ্গবন্ধুর অনেক কাছাকাছি চলে গিয়েছিলাম। সবাই আমাকে মুজিব বলেই ডাকতো। বলতো, 'মুজিব ইধার আও' 'মুজিব রেডি' এমন ডাক শুনতে শুনতো মনে হতো না আমি দিব্য। এই ২২ দিন আমার জীবনের এমন দিন ছিল যা আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না।"

বঙ্গবন্ধু চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পাওয়া প্রসঙ্গে দিব্য বলেন, "ছোটবেলা থেকেই বঙ্গবন্ধুর গল্প শুনেছি, পড়েছি। ঢাকায় দুইবার অডিশন দেবার পরে অনলাইনে শ্যাম বেনেগল সাহেব আমার অডিশন নেওয়ার পরে যখন বললেন, 'ডু ইট।' আমি বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। ধীরে ধীরে নিজেকে তৈরি করেছি। ফাইনালি মুম্বাইয়ে গেলাম, খুবই চমৎকার একটা অভিজ্ঞতা।

দিব্য জ্যোতি বঙ্গবন্ধুর বায়োপিকে কিশোর বয়সের বঙ্গবন্ধু চরিত্রে অভিনয় করেছেন, আর পুর্ণ বয়সের চরিত্রে অভিনয় করেছেন আরিফিন শুভ।


সৌম্য জ্যোতি



দিব্য জ্যোতি ও সৌম্য জ্যোতি দুই জমজ ভাই। দুজনই ঢাকার নর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষে পড়ছেন। এক ভাই দিব্য বঙ্গবন্ধুর বায়োপিকে অভিনয়ের সুযোগ পেয়ে গেছেন। এদিকে সৌম্যের ভাগ্যেও ধরা দেয় একই চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে মুশফিকুর রহমান গুলজার নির্মাণ করছেন ‘টুঙ্গিপাড়ার দুঃসাহসী খোকা’। মাসুম রেজার চিত্রনাট্যে সরকারি অনুদান পাওয়া এই চলচ্চিত্রে বঙ্গবন্ধুর কিশোরবেলার চরিত্রে অভিনয়ের জন্য নির্বাচিত করা হয় সৌম্য জ্যোতিকে। এই ছবিটি মূলত বঙ্গবন্ধুর কিশোরবেলাকে কেন্দ্র করে নির্মিত হচ্ছে।

বিষয়টি সৌম্যের জন্য অবাক করার মতোই ছিল। সৌম্য জ্যোতি ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, আমি ও আমার পরিবারের সবাই বঙ্গবন্ধুর বিষয়ে ছোটবেলা থেকেই নানা বইপত্র পড়েছি, জেনেছি। গত বছর আমাকে যখন বলা হয় বঙ্গবন্ধুর কিশোরবেলার চরিত্রে অভিনয় করতে হবে। আমি অবাক হয়েছি। কারণ যে মানুষটার গল্প আমার কাছে গল্পের মতোই মনে হতো তার চরিত্রে আমাকে অভিনয় করতে হবে তখন বিস্মিত না হয়ে পারিনা।, পরে নিজেকে সেভাবেই প্রস্তুত করেছি। বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে আরো জানার জন্য বিস্তর পড়াশোনা করেছি, আত্মস্থ করার চেষ্টা করেছি।

শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা জানিয়ে সৌম্য বলেন, আমাদের শুটিং শুরু হয় টুঙ্গিপাড়ায়। ওই সময় ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে অনুভব করতে থাকি যে আমিই ছোটবেলার বঙ্গবন্ধু যার ফলে ভয় কেটে যায়। সুন্দরভাবে শুটিং শেষ হয়। এখন চারদিনের শুটিং বাকি রয়েছে। একদিনের শুটিং হবে মানিকগঞ্জে, আর বাকি তিন দিনের শুটিং হবে কলকাতায়। ভিসা জটিলতায় কলকাতার শুটিং পিছিয়ে গেছে। শিগগির বাকি শুটিং শুরু হবে।


বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান   জন্মদিন   বায়োপিক   আরেফিন শুভ  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

এবার বিয়ে ও বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন জয়া

প্রকাশ: ০৯:৪৯ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত ও দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। ইতোমধ্যে ঢালিউড-টালিউড মাতিয়ে অভিনয়ের দ্যুতি ছড়িয়েছেন বলিউডেও। পর্দায় ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে নিজেকে ফুটিয়ে তোলেন এই নায়িকা। সাবলীল অঙ্গভঙ্গি আর অভিনয় দক্ষতায় বরাবরই দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়ে যান তিনি।

কাজের পাশাপাশি এই অভিনেত্রীর ঘরের খবর পেতেও মুখিয়ে থাকেন দর্শক। কবে বিয়ে করছেন, কেন একা থাকেন এসব জানার খুব শখ তাদের। বরাবরই তিনি মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন। তবে এবার সবকিছু নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে জয়া কথা বলেছেন বিয়ে ও বিচ্ছেদ নিয়ে।

বিয়ে নিয়ে জয়া বলেন, বর্তমান জীবন খুবই এনজয় করছি। দেখুন, পরিবার তো শুধু স্বামী-স্ত্রীকেই ঘিরে নয়, অথবা পার্টনার হলেই হয় না, পরিবারে আরও অনেকেই আছে। পরিবারে মা-বাবা আছেন, আমার বাড়িতে যেসব লোক কাজ করেন, তারা আছেন। আমি খুবই এনজয় করি।

একাকী জীবনযাপন নিয়ে এ অভিনেত্রী বলেন, আমি তো কোনোকিছু পরিকল্পনা করি না। যদি মনে করি যে সিঙ্গেল থেকে ডাবল হতে চাই, দরকার আছে, তখনই হবো। তবে এই মুহূর্তে আমার কোনো পরিকল্পনা নেই। কারণ, আমি খুবই ভালো আছি, শান্তিতে আছি চারদিকে। আমার আপাতত কোনো প্ল্যান নেই।

এদিকে প্রথমবারের মতো ওয়েব সিরিজে কাজ করতে যাচ্ছেন জয়া। এটি নির্মাণ করবেন মহানগর খ্যাত নির্মাতা আশফাক নিপুণ।


জয়া আহসান  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

কবে আসছে ‘অ্যানিমাল-২, জানালেন সিনেমাটির নির্মাতা

প্রকাশ: ০৪:০১ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বহুল আলোচিত সিনেমা 'অ্যানিমাল' দেখেনি এখন খুব কম মানুষ আছে। সেই ছবিতে রণবীর কাপুরের অভিনয় মুগ্ধ করেছে সকলকেই। এই ছবির শেষেই পরিচালক দেখিয়েছিলেন যে এই সিনেমার সিক্যুয়েল আসছে। অনেকেই মুখিয়ে আছেন এই সিক্যুয়েলের জন্য, যার নাম 'অ্যানিমাল পার্ক'।

সম্প্রতি সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা জানিয়েছেন কবে আসছে সেই ছবি। সাম্প্রতিক অ্যাওয়ার্ড শোতে সিনেমাটির পরিচালক শেয়ার করেছেন, ২০২৬ সালে রণবীর কাপুর-অভিনীত 'অ্যানিমাল'-এর সিক্যুয়েলের কাজ শুরু হয়েছে। তিনি সন্দীপ রেড্ডি সিনেমাটিক ইউনিভার্সের সম্ভাবনার কথাও বলেছেন।

পুরস্কার গ্রহণ করার সময় হোস্টরা তাকে রণবীর কাপুর-অভিনীত 'অ্যানিমাল' সিক্যুয়েল 'অ্যানিমাল পার্ক' সম্পর্কে কিছু বিশদ প্রকাশ করতে বলায় তখনই তিনি জানান, ছবিটি ২০২৬ সালে ফ্লোরে যাবে।

তিনি আরও যোগ করেছেন, 'অ্যানিমাল পার্ক' আসলে 'অ্যানিমাল'-এর চেয়ে বড় এবং আরও বন্য একটি সিনেমা হবে। যদিও এমন দাবি তিনি আগেও করেছিলেন।


অ্যানিমাল   রণবির কাপুর   বলিউড   সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

আদালতের রায়: অভিভাবকত্ব পেয়ে ইতিহাস গড়লেন বাঁধন

প্রকাশ: ০৩:১১ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আবারও আদালত প্রাঙ্গণে সগর্বে উচ্চারিত হলো অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধনের নাম। বাংলাদেশের ইতিহাসে তিনিই একমাত্র মা, যিনি সন্তানের পূর্ণ অভিভাবকত্ব পেয়েছেন। বাঁধনের আগে এবং পরে এখনো কোনো নারী সন্তানের অভিভাবকত্ব পাননি।

গত সোমবারের (২২ এপ্রিল) নাবালক সন্তানের অভিভাবকত্ব নির্ধারণে নীতিমালা প্রণয়নে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আগামী ৪ আগস্টের মধ্যে এই কমিটিকে নীতিমালা দাখিল করতে। বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবারের (২২ এপ্রিল) রুলসহ এই আদেশ দেন।

অভিভাবক ও প্রতিপাল্য আইন, ১৮৯০-এর ১৯(খ) ধারা অনুসারে কোনো নাবালক সন্তানের বাবা জীবিত থাকা অবস্থায় অন্য কারো পক্ষে সেই নাবালকের অভিভাবক হওয়ার সুযোগ নেই।

আইনটির এই ধারা সংবিধান স্বীকৃত মৌলিক অধিকারের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ায় কেন তা সংবিধানের ২৬, ২৭ ও ২৮ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, এক রুলে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। এর পরই আদালত প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন আইনজীবী সারা হোসেন।

তিনি বলেন, ‘এটা অনেক বড় একটা অর্জন। বাংলাদেশে যদিও নারীরা সন্তানদের হেফাজত (কাস্টডি) পাচ্ছেন, একটি ঘটনা ছাড়া আর কাউকে অভিভাবকত্ব দেওয়া হচ্ছে না। আমাদের অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন তাঁর সন্তানের অভিভাবকত্ব পেয়েছিলেন। এর বাইরে বাংলাদেশের ইতিহাসে আর কোনো উদাহরণ নেই যে নারীরা সন্তানের অভিভাবকত্ব পাচ্ছেন।’

উচ্চ আদালতের এই রুল জারির পর ভীষণ উচ্ছ্বসিত ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ অভিনেত্রী। আজ থেকে ছয় বছর আগে (২০১৮ সালের ৩০ এপ্রিল) ঢাকার দ্বাদশ সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতের বিচারক ইসরাত জাহান একমাত্র কন্যাসন্তান মিশেল আমানি সায়রার অভিভাবকত্ব দিয়েছিলেন বাঁধনকে।

বাঁধন বলেন, ‘আইনটা পরিবর্তনের একটা প্রক্রিয়া শুরু হলো, এটা সবচেয়ে আনন্দের। যাঁরা আপিল করেছেন তাঁদের সাধুবাদ জানাই। আমার অর্জনটা শুধু আমারই থাকুক তা চাই না, আমি চাই বাংলাদেশের সব মেয়ের অধিকার থাকুক তাঁর সন্তানের ওপর।’

তবে, ছয় বছর আগে যখন কন্যা সায়রার অভিভাবকত্ব পেয়েছিলেন, তখনো এই রায়ের মাহাত্ম্য পুরোপুরি বুঝতে পারেননি বাঁধন। সময়ের সঙ্গে এই রায়ের গুরুত্ব অনুধাবন করেছেন তিনি।

বাঁধন বলেন, ‘আমার পক্ষে যখন রায় এলো, তখন এর গুরুত্ব এতটা বুঝতে পারিনি। বাচ্চাটাকে কাছে রাখতে চেয়েছি, যেহেতু ওর সম্পূর্ণ ভরণ-পোষণ আমিই করতাম, আমি কেন ওর অভিভাবক হতে পারব না! বাচ্চার বাবা কোনো দায়িত্বই কখনো পালন করেননি। আদালতে সেটা প্রমাণও করতে পারেননি, তার জন্য আমাকে অভিভাবকত্ব দেওয়া হয়েছিল।’

অভিভাবকত্ব আইন নিয়ে দীর্ঘ লড়াই করেছিলেন তিনি। অধিকার আদায়ে লড়াই করে অর্জন করেছেন দীর্ঘ অভিজ্ঞতাও। এই আইন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘উনি (আইনজীবী সারা হোসেন) কিন্তু উল্লেখ করেছেন, সাধারণত মাকে কাস্টডি দেওয়া হয়, শারীরিক জিম্মা যেটাকে বলে। বাবা বেঁচে থাকতে মাকে অভিভাবকত্ব দেওয়া হয় না। যদি বাবা না পান সে ক্ষেত্রে দাদা-চাচা, এমনকি নানা-মামারা অভিভাবকত্ব পান। অনেক পরে আসে মায়ের নাম। যে কারণে আমারটা ব্যতিক্রমী একটা রায় ছিল। আমাদের প্রচলিত আইনে একটা লুপ হোল কিন্তু আছে, মাকে অভিভাবকত্ব দেওয়া যাবে, তবে যে শর্তগুলো পূরণ করতে হবে সেটা খুবই কঠিন। কাস্টডি আর অভিভাবকত্ব এক নয়। অভিভাবকত্ব পুরো ডিফারেন্ট একটা বিষয়। আমাদের আইনে বাবা ন্যাচারাল গার্ডিয়ান, অভিভাবকত্বের প্রশ্নে দূর-দূরান্ত পর্যন্ত মায়ের অস্তিত্ব নেই আসলে। এসব জায়গায় অনেক সংশোধনী আনা প্রয়োজন।’

ক্লাস ফাইভের ছাত্রী সায়রা সারাক্ষণ মায়ের আশপাশেই থাকে। প্রায়ই মা-মেয়ে একসঙ্গে দেশ-বিদেশ ঘুরতে বেরিয়ে পড়ে। মেয়েকে ঘিরেই কাজের শিডিউল করেন বাঁধন। মেয়ে এখন বড় হচ্ছে, মায়ের এই অর্জন সম্পর্কে তার কি কোনো ধারণা আছে? বাঁধন বলেন, ‘ও বুঝতে পারে।

তবে এত কিছু ওর ধারণায় নেই। শুধু জানে, ওর মা ওকে কাছে রাখার জন্য লড়াই করেছে এবং জিতেছে। এটাও জানে, তাকে কাছে রাখার জন্য তার মা সমাজ ও আইনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে গেছে। তার মা একজন ফাইটার, এটা সে এখন ভালোই বোঝে। টিচাররা, আশপাশের সবাই যখন ওর সামনে এসব বলে, তখন ও বুঝতে পারে মা ওর জন্য কী করেছে। তবে বিষয়টার গুরুত্ব ওর বোঝার জন্য অনেক কঠিন। সেই ক্ষমতা এখনো তার হয়নি।’


উচ্চ আদালত   আজমেরী হক বাঁধন  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

শিল্পীরা সন্ত্রাসীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারে না: রিয়াজ

প্রকাশ: ০২:১৭ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সদ্যই সম্পন্ন হয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) প্রাঙ্গণে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। এই নির্বাচনে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ছিল। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে সাংবাদিক ও ইউটিউবারদের ওপর হামলার ঘটনায় আহত হয়েছেন কয়েকজন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিএফডিসিতে শিল্পী সমিতির সদস্য শিবা শানুর সঙ্গে এক সাংবাদিকের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। তখন আশপাশে থাকা উপস্থিত সাংবাদিকরা সেখানে এগিয়ে গেলে বাগবিতণ্ডা হয়। এরপরই সাংবাদিক ও ইউটিউবারদের ওপর হামলা চালানো হয়।

এদিকে বিএফডিসির মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা তাৎক্ষণিক ছড়িয়ে পড়লে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠে। নানা শ্রেণি-পেশার মানুষরা ঘটনাটিকে চরম ন্যক্কারজনক বলে অভিহত করেন। একইসঙ্গে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।

অন্যদিকে চিত্রনায়ক রিয়াজও এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে এক স্ট্যাটাস লিখেন এই তারকা। স্ট্যাটাসে বলেন, ‘প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা, একজন চলচ্চিত্র শিল্পী হিসেবে আজকে আমি লজ্জিত ও আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আমি আপনাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’

এ নায়ক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আজ বিএফডিসিতে যে ঘটনা ঘটেছে সেটি কোনোভাবেই প্রত্যাশিত নয়। যদিও আমি ঘটনার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলাম না। সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন অনলাইন গণমাধ্যম থেকে জানতে পেরেছি।

তিনি বলেন, সাংবাদিক ভাইয়েরা আমাদের কাজের সঙ্গে দর্শকদের মেলবন্ধন তৈরি করেন। তাদের বিএফডিসির ভেতরে নির্মমভাবে পেটানো হয়েছে, যা চরম ন্যক্কারজনক। এ ঘটনার বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখে খারাপ লাগছে। চলচ্চিত্র শিল্পী ও সন্ত্রাসীর মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। শিল্পীরা কখনো সন্ত্রাসীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারে না। আমি আহত সাংবাদিক ভাই-বোন ও তাদের পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করছি। এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই’।

এছাড়া এ ঘটনায় চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন সাংবাদিকরা। এই সময়ের মধ্যে বিষয়টি সমাধান না হলে শিল্পী সমিতির সব ধরণের সংবাদ প্রচার থেকে বিরত থাকবেন সাংবাদিকরা।

এ ব্যাপারে নবনির্বাচিত কমিটির সভাপতি মিশা সওদাগর জানিয়েছেন, গণমাধ্যমকর্মীরা যে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন সেটি তারা মেনে নিয়েছেন।

আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল থেকে আল্টিমেটামটি কার্যকর হবে। একইসঙ্গে এদিন থেকে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করবে শিল্পী সমিতি। হামলার শিকার সাংবাদিকদের চিকিৎসাভার নিয়েছে সংগঠনটি।

আর এ ঘটনায় যেসব কর্মীদের যন্ত্রাংশের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তার জন্য ক্ষতিপূরণ দেবে সমিতি।


চিত্রনায়ক রিয়াজ   বিএফডিসি   চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

সাংবাদিকদের মারধর: চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

প্রকাশ: ০৯:৫৯ এএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন সাংবাদিকরা। বিএফডিসিতে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় এই আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সমাধান না হলে শিল্পী সমিতির সব ধরনের সংবাদ প্রচার থেকে বিরত থাকবেন বলে জানানো হয়।

জানা গেছে, সাংবাদিকদের একটি প্রতিনিধিদল চলচ্চিত্র সমিতির ভেতরে গিয়ে উপস্থিত নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছেন।

এসময় বর্তমান কমিটির সভাপতি মিশা সওদাগর জানান, গণমাধ্যমকর্মীরা যে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে, সেটা তারা মেনে নিয়েছেন। বুধবার সকাল থেকে আল্টিমেটামটি কার্যকর হবে।

আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) থেকে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করবে শিল্পী সমিতি। হামলার শিকার সাংবাদিকদের চিকিৎসাভার গ্রহণ করেছে চলচ্চিত্র সমিতি। এ ঘটনায় যেসব কর্মীদের যন্ত্রাংশের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তার জন্য ক্ষতিপূরণ দেবে সমিতি। 

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ছিল মঙ্গলবার। শপথগ্রহণ শেষে সমিতির অফিসে খবরের কাগজ পত্রিকার সাংবাদিক মিথুন আল মামুন সাক্ষাৎকার নিচ্ছিলেন অভিনেত্রী ময়ূরীর মেয়ের।

এ সময় অভিনেতা শিবা শানু ওই সাংবাদিককে বেরিয়ে যেতে বলেন। তিনি না যেতে চাইলে তাকে ধাক্কাতে ধাক্কাতে অফিস থেকে বের করে দেন শানু। এর মধ্যে সেটি থামাতে এগিয়ে আসেন উপস্থিত অন্য সাংবাদিকরা। এ সময় সমিতির আরেক নেতা জয় চৌধুরী ‘মার মার’ বলে তেড়ে যান সাংবাদিকদের দিকে। এতেই শুরু সাংবাদিকদের ওপর হামলা। চেয়ার থেকে শুরু করে গাছের ডাল দিয়েও সাংবাদিকদের পেটানো হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, অভিনেতা শিবা শানু, শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরী ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো এই মারধরের ঘটনায় নেতৃত্ব দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ১৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদে মিশা সওদাগর, সাধারণ সম্পাদক পদে মনোয়ার হোসেন ডিপজল নির্বাচিত হন।


চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি   আল্টিমেটাম  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন