কালার ইনসাইড

দেশের সংগীতের সেকাল-একাল-ক্রান্তিকাল!

প্রকাশ: ০৯:৫৭ পিএম, ২১ জুন, ২০২২


Thumbnail দেশের সংগীতের সেকাল-একাল-ক্রান্তিকাল!

বাংলাদেশের সঙ্গীতের যুগ বলতে যেই সময়টাকে বোঝায় তা এক কথায় আশি নব্বইয়ের দশক নামে পরিচিত। আধুনিক গানের পাশাপাশি অনেকগুলো উল্লেখযোগ্য ব্যান্ডেরও আবির্ভাব হয় সেই সময়টাতেই। গানের জগতে টিকে থাকার ও শ্রোতাদের মুগ্ধ করে রাখার সবচেয়ে বড় একটা সময়ও ছিল সেই সময়টাই। ক্যাসেট, সিডির সেই সময়টায় ট্যাকনিকাল পরিবর্তন এসেছে খুব কমই। খুব বেশি দিবস কেন্দ্রিক চর্চাও ছিলনা। বছরে দুই ঈদ 'ডেইজ ইভেন্ট' হিসেবে স্বীকৃত হলেও সারা বছরই ইন্ডাস্ট্রি ব্যস্ত সময় পার করতো। এখনও তাই হয়, ব্যস্ততার কমতি নেই আজও। কিন্তু যাদের জন্য এই সৃষ্টিশীল কাজ, সেই শ্রোতাদের আগ্রহের ঘাটতি বেশ চোখে পড়ার মত। 

এই অনাগ্রহের কারণ কি? শ্রোতাদের অভিরুচির নেতিবাচক কোনো পরিবর্তন? একদমই না। সেই যুগে শ্রোতাদের মন জয় করে যারা শিল্পী হিসেবে সমাদৃত হয়েছিলেন, তারা আজও এক নামেই সবার কাছে পরিচিত। এক্ষেত্রে অপ্রিয় সত্যটা হলো এখনকার মৌলিক গানে এমন কিছু একটার অভাব আছে যা শুধু মাত্র সুর আর গানের কথা দিয়ে পূরণ হচ্ছে না। 

নতুন নতুন অনেক গান হচ্ছে, কিন্তু তা মনে নাড়া দেবার সামর্থ পাচ্ছে না। অনেক নতুন শিল্পীর আবির্ভাব হচ্ছে, কিন্তু লেগেসি ধরে রাখার ও শ্রোতাদের জিইয়ে রাখার মতো আবেদন সেই অর্থে কেউ তৈরি করতে পারছে না। বিভিন্ন রিয়ালিটি শো, লাইভ শো বা প্লেব্যাকের হাত ধরে শিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেলেও একালে মৌলিক গানের দূরাবস্থা অত্যান্ত পীড়াদায়ক। একজন শিল্পী বেঁচে থাকে তার মৌলিক গানে। কিন্ত সেই বাস্তবতা ছাপিয়ে এখনকার দিনে শিল্পীদের মধ্যে তারকাখ্যাতি মূখ্য হয়ে উঠেছে। আবার যারা নতুন গান নিয়ে কাজ করছে, বলা চলে সংগীতবোদ্ধারা তাতে কোন ভাবেই আকৃষ্ট হচ্ছেন না, আগ্রহ হারাচ্ছেন। এখানে গানগুলির মান প্রশ্নাতীত হতে পারছে না। অথচ সৃজনশীলতার প্রশ্নে পারফেকশনই প্রথম কথা। আর এই পারফেকশনের জন্য শুধু কন্ঠ বা গায়কিই যথেষ্ট নয়। একটি গান শ্রোতাতের মনে জায়গা করে নেওয়ার জন্য, কালজয়ী হওয়ার জন্য প্রয়োজন কথা, সুর ও দর্শন-এই তিনের সমন্বয়। 

এমনতো আর নয় যে, কোন কালেই দেশের সঙ্গীতাঙ্গনে প্রতিভাবান গায়ক, গীতিকার, সুরকাররা ছিলেন না। বরং একটা সময় রাজকীয় হালেই দাপট দেখিয়েছেন এদেশের সংগীতাঙ্গনের তারকারা। ফেইসবুুক, ইউটিউবের মতো প্ল্যাটফর্মগুলোর চল তখন ছিলনা, প্রচার-প্রসারের সুযোগ ছিল খুবই সীমিত, যার ফলে দেশের গানগুলো বিশ্বমঞ্চ মাতানোর খুব বেশি সুযোগ হয়তো পায়নি, কিন্তু যোগাযোগের সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও সে সময় বাংলাদেশের গান পার্শ্ববর্তী দেশে ভীষণভাবে প্রশংসিত হয়েছিল। এদেশের শাস্ত্রীয় সংগীত থেকে শুরু করে পপ ও ব্যান্ড সংগীতের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন ওপার বাংলার সঙ্গীতাঙ্গনের শিল্পী-কলাকুশলীরা। 

আশি নব্বই দশকের পরও একটা সময় নতুন কয়েকজন গুণী শিল্পীদের হাত ধরে অসংখ্য শ্রোতাপ্রিয় গানের সৃষ্টি হয়েছিল। ফুয়াদ, হাবীব, বাপ্পা মজুমদার, বালাম, ন্যান্সি, অর্ণব, তাহসানদের তো প্রতিশ্রুতিশীল বেশ কয়েকজন গুণী শিল্পী অনেকটা নতুনভাবে নতুন একটা যুগের শুরু করেছিল এবং এফএম রেডিওর কল্যাণে গানগুলোর জনপ্রিয়তা সে সময় ছিল তুঙ্গে। এটি খুব বেশি আগের কথাও নয়। মাত্র দশ বছর আগের সেই গানগুলোর জনপ্রিতার কাছে কখনো মনেই হয়নি, দশ বছর পর মনমাতানো গানের জন্য শ্রোতাদের মনে এমন হাহাকার সৃষ্টি হবে। 

সৃষ্টিশীল মানুষগুলো এখনো তাদের কাজ নিরলসভাবে করে যাচ্ছেন। মাঝে মাঝে নতুন শিল্পীদেরও আর্বিভাব হচ্ছে। তারা দু-একটা মৌলিক গান উপহার দিচ্ছেন, তবে সেই সময়ে যেমন একটি যুগ সৃষ্টি হয়েছিল সেরকম একটা যুগ সৃষ্টি হতে পারেনি। 

কিন্তু বিষয়টিকে মেনে নেওয়ারও সুযোগ নেই। সংস্কৃতিপ্রেমী কোন জাতি তাদের যুগশ্রেষ্ঠ সময়কে হাতে নিয়ে বসে নেই। বরং অনুপ্রাণিত হয়ে নতুন যুগের সুচনা করছে। তাতে আগের সময়টি ম্লান হয়ে যায়নি, বরং পূর্বসূরীদের আদর্শ মেনে সংস্কৃতির আরো বিস্তার হয়েছে। সংস্কৃতির হয় বিস্তার হবে নয়তো ম্লান হবে, এটিই সত্য। আর এই সত্যকে মেনে নিয়ে আমাদের নতুন প্রজন্মের উচিৎ হবে আরো উদার মানসিকতার সাথে, সমন্বিতভাবে এবং অহংবোধকে দূরে রেখে কার করে যাওয়া, একই সাথে ব্যক্তিত্ব ও সৃজনশীলতার উৎকর্ষতা সাধন করা। নিজেকে যেমন সৃজনশীল হতে হবে তেমনি সম্মান করতে হবে সৃষ্টিশীল মানুষদেরও। সৃষ্টিশীল কাজ প্রতিযোগীতায় চলতে পারে না, শুধুমাত্র সমঝোতা ও সৌহার্দ্যের মধ্য দিয়েই চলতে পারে। 

আমাদের সঙ্গীতের জগতে অসংখ্য গুণী সুকণ্ঠী গায়ক গায়িকা আছেন। কিন্তু অভাববোধের জায়গাটা তৈরি করেছে গানের স্রষ্টারা। শিল্পীর গায়কি একটি গানে অনন্য মাত্রা যোগ করতে পারে। কিন্তু কথা, সুর ও দর্শন- এই তিনটির সমন্বিত প্রয়াস পারে একটি গানকে কালজয়ী সৃষ্টি হিসেবে উপহার দিতে। আর এই দায়িত্বটি সবার আগে নিতে হবে গীতিকার-সুুরকার তথা গানের স্রষ্টাকেই। 

এই ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের অবস্থান নিজে তৈরি করে নেওয়ার ধারণা নিতান্তই বোকামী। অবস্থান তৈরি হবে শ্রোতাদের ভালবাসায়। আর এই ভালবাসা সৃষ্টি হবে মানসম্মত ও সৃজনশীল সৃষ্টিকর্মের মাধ্যমে। এদিকে বিভিন্ন গানের সাথে মিউজিক ভিডিওর নামে বিদেশি অনুকরণের প্রবণতাও এখনকার দর্শক-শ্রোতাদের মনে বিরক্তির সৃষ্টি করছে। দর্শকগেলানোর ধ্যানধারণার ব্যবসায়িক প্রভাব যে স্লো পয়জনের মতো ধীরে ধীরে আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতিকেই গিলে নিচ্ছে, বর্তমান সময়ের মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির কলাকুশলীতের এই বোধটুকুও আসতে হবে। 

সৃষ্টিশীল কাজে অর্থলিপ্সা বা পেশার দৌরাত্ব নয়, নেশা থাকা চাই। একইসাথে বিদেশি অনুুকরণ থেকে দূরে থেকে দেশীয় সংস্কৃতির চর্চাকেই ধরে রাখতে হবে। তাহলেই সম্ভব হারানো ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে এনে, আমাদের বাংলা গানকে বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরা। দেশের কোটি মানুষের মন জয় করে এদেশের গান একদিন বিশ্বমঞ্চেও জায়গা করে নেবে, বিশ্ব সঙ্গীত দিবসে এই কামনা দেশের সঙ্গীতপ্রেমীদের।

বিশ্ব সঙ্গীত দিবস   বিশ্বমঞ্চ   বাংলাদেশ  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

হেরে গেলেন নিপুন, মিশা-ডিপজলের জয়জয়কার

প্রকাশ: ০৮:৪৯ এএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাতের অপেক্ষা শেষে ভোর নাগাদ পাওয়া গেলো বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ফলাফল। গেল দুই বছর দায়িত্ব পালন করা সাধারণ সম্পাদক নিপুন আক্তার অবশেষে হেরে গেছেন। নতুন সাধারন সম্পাদক হিসেবে পাওয়া গেল আলোচিত অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজলকে। এর আগে গতকাল সারাদিন উৎসাহ–উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে নতুন কমিটি নির্ধারণ করতে ভোট দিয়েছে শিল্পী সমিতির সদস্যরা।

ভোট গ্রহন শেষে টানা ১২ ঘণ্টার বেশি সময় পরে পাওয়া গেলো ফলাফল।

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২০২৬ মেয়াদের নির্বাচনে নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেতা এবং বিগত দুই মেয়াদের সফল সভাপতি মিশা সওদাগর (২৬৫)। তার বিপরীতে অভিনেতা মাহমুদ কলি ১৭০ ভোট পেয়ে পরাজিত। সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল (২২৫)।

১৭ ভোট কম পেয়ে পরাজিত হয়েছেন নিপুণ আক্তার (২০৯)। আজ শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটের দিকে এ ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

এছাড়া সহ-সভাপতি পদে জয়ী হয়েছেন মাসুম পারভেজ রুবেল (২৩১) ও ডি এ তায়েব (২৩৪), সহ-সাধারণ সম্পাদক আরমান (২৩৭), সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরী (২৫৫), আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো (২৯৬), দফতর ও প্রচার সম্পাদক জ্যাকি আলমগীর (২৪৫), সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক মামনুন হাসান ইমন (২৩৫) এবং কোষাধ্যক্ষ পদপ্রার্থী কমল (২৩১)।

কার্যনির্বাহী সদস্য পদে মিশা-ডিপজল পরিষদ থেকে নির্বাচিত হয়েছেন ৯ জন।

তারা হলেন সুচরিতা (২২৮), রোজিনা (২৪৩), আলীরাজ (২৩৯), সুব্রত, দিলারা ইয়াসমিন (২১৮), শাহনূর (২৪৫), নানা শাহ (২১০), রত্না কবির (২৬৩) ও চুন্নু (২৪৮)।

কলি-নিপুণ পরিষদ থেকে রিয়ানা পারভিন পলি (২২০) ও সনি রহমান (২৩০) নির্বাচিত।

বিজয়ী হয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ডিপজল বলেন, আমরা সবাই এক। সবাই একসঙ্গে কাজ করব। সবাইকে গ্রহণ করে নেন তিনি।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে ভোট গ্রহণ শেষ হয়। এর আগে ব্যাপক নিরাপত্তার মধ্যে সকাল সাড়ে নয়টায় এফডিসির শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ৫৭০ ভোটের মধ্যে ভোট পড়েছে ৪৭৫টি। এবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু।বিজয়ী হয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ডিপজল বলেন, আমরা সবাই এক। সবাই একসঙ্গে কাজ করব। সবাইকে গ্রহণ করে নেন তিনি।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯ টায় ভোর গ্রহণ শুরু হয় এবং সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে ভোট গ্রহণ শেষ হয়। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ৫৭০ ভোটের মধ্যে ভোট পড়েছে ৪৭৫টি। এবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু।


বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী নির্বাচন   ফলাফল  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

প্রথম এআই সুন্দরী প্রতিযোগিতা

প্রকাশ: ০৮:০৮ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বর্তমানে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) ব্যবহার করে অনেক কাজই সহজ হয়ে গেছে মানুষের জন্য। রান্নার রেসিপি থেকে শুরু করে নিউজ প্রেজেন্টিং, স্কুলে পড়ানো, অফিসের কাজ - সবই এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে করা যায়। এবার আয়োজিত হতে যাচ্ছে বিশ্বের প্রথম এআই সুন্দরী প্রতিযোগিতা।

এআই প্রযুক্তি দ্বারা তৈরি মডেলদের নিয়ে এই প্রতিযোগিতা আয়োজন করছে ওয়ার্ল্ড এআই ক্রিয়েটর অ্যাওয়ার্ডস (ডব্লিউএআইসি)। মূলত বিশ্বজুড়ে এআই ক্রিয়েটরদের সম্মান জানাতেই এমনটা করা হচ্ছে।

আয়োজন সংস্থা জানায়, তিনটি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে বিচার করা হবে - সৌন্দর্য, প্রযুক্তি এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় উপস্থিতি। সৌন্দর্যের ক্ষেত্রে যেমন এআই মডেলের রূপ, তার ডিজাইন, পোশাক ইত্যাদি দেখা হবে।

জানা গেছে, যে মডেল জিতবেন, তাকে মিস এআই শিরোপা দেয়া হবে। পাশাপাশি প্রতিযোগিতায় মোট ২০ হাজার ডলার পুরস্কার রাখা হয়েছে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২২ লাখ টাকা।

উল্লেখ্য, গত ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে মিস এআই সুন্দরী প্রতিযোগিতার এন্ট্রি। যারা এই ধরনের এআইভিত্তিক মডেল বানিয়ে থাকেন তারাও এতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।

তবে এই সুন্দরী প্রতিযোগিতায় তাদের অংশগ্রহণ করতে হলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উপস্থিতি থাকতে হবে এবং বয়স হতে হবে ১৮ বছরের বেশি। ইতোমধ্যে ডব্লিউএআইসির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে শুরু হয়ে গেছে এই প্রতিযোগিতার আবেদন প্রক্রিয়া।

সুন্দরী প্রতিযোগিতার পাশাপাশি এআইভিত্তিক ফ্যাশন সামগ্রী এবং পুরুষ মডেলের ওপরও জোর দেয়া হবে বলে জানিয়েছে আয়োজক সংস্থা।

এআই সুন্দরী  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

নগ্ন পুরুষ নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য বিদ্যা বালানের

প্রকাশ: ০৫:১০ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী বিদ্যা বালান। ২০০৩ সালে রুপালি পর্দায় অভিষেক হয় তার। ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত অসংখ্য হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি। সাহসী চরিত্রে অভিনয় করেও নজর কেড়েছেন এই নায়িকা। বিদ্যা বালানের পরবর্তী সিনেমা ‘দো আউর দো পেয়ার’।

সম্প্রতি এই সিনেমার প্রচারণার অংশ হিসেবে ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তিনি। আর সেখানেই নগ্ন পুরুষদের নিয়ে মন্তব্য করেন বিদ্যা বালান। অভিনেত্রী জানান, এখন নগ্ন পুরুষদেরও বাহবা পাওয়ার সময় এসেছে।

জানা গেছে, ২০২২ সালে নগ্ন ফটোশুট করেছিলেন বলিউড অভিনেতা রণবীর সিং। সেসময় ব্যাপক তোপের মুখে পড়েছিলেন তিনি। অভিনেতার এই ফটোশুটকে কেন্দ্র করে রীতিমতো সমালোচনার ঝড় উঠেছিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। তবে রণবীরের এই সাহসিকতার প্রশংসা করেছিলেন বিদ্যা বালান।

এ প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, আগে যা বলেছি এখনও একই কথা বলব। আপনি যে কোনো প্রাপ্তবয়স্কদের পাঠ্য পত্রিকা দেখুন, ‘প্লেবয়’ বা ‘ডেবোনেয়র’-এ আমরা সবসময় নারীদের নগ্ন ছবি দেখি। সেটা কোনো পুরুষ বা সমকামীর ভালো লাগতে পারে।

কিন্তু আমাদের মতো যারা আছেন, তারা কী করবেন? আমাদেরও শখ কিংবা ইচ্ছা থাকতে পারে। তাই এখনও ঠিক সেটাই বলছি— আমার ভালো লেগেছিল। নগ্ন নারীদের অনেক বাহবা দিয়েছি, এখনও হরহামেশাই দিয়ে থাকি। এবার মনে হয় সময় এসেছে, নগ্ন পুরুষদেরও বাহবা পাওয়ার।

সাধারণ মানুষের মতো বলিউডের অনেক তারকাকেই বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক জড়াতে দেখা যায়। এই বিষয়টি নিজের অভিমত জানিয়ে বিদ্যা বালান বলেন, আমি এটা মানি যে, বিয়ের বাইরেও প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হতে পারে। আমি যদি এই বিষয়টিকে খাবারের সঙ্গে তুলনা করি, তা হলে বলব, রোজ রোজ ডাল-ভাত খেয়ে আমাদের একটা একঘেঁয়েমি চলে আসে। তাই আমরা নুডলস বা অন্য কিছুর দিকে ঝুঁকি। কিন্তু একটা সময় আসে, যখন আমরা খাঁটি ডাল-ভাতের মর্ম বুঝি।

বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের নানান বিষয় উঠে এসেছে বিদ্যা বালানের নতুন সিনেমায়। অভিনেত্রী বলেন, আমাদের সিনেমায় শুধু বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক দেখানও হয়নি। এর বাইরের অনেক বিষয়ও রয়েছে। আমরা তো নিজেদের প্রেমিক-প্রেমিকার সঙ্গেও প্রতারণা করি।

সূত্র: আনন্দবাজার

নগ্ন পুরুষ   বিদ্যা বালান  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

ডিপজলের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আমার কোনো ভয় নেই: নিপুন

প্রকাশ: ০১:৩১ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো সাধারণ সম্পাদক পদে লড়াই করছেন অভিনেত্রী নিপুন আক্তার। আজ শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল থেকেই নিজ প্যানেল নিয়ে ভোট কেন্দ্রে আছেন তিনি।

এবার তার বিপরীতে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করছেন শক্তিশালী প্রার্থী মনোয়ার হোসেন ডিপজল। তবে নিজের জয়ে শতভাগ আশাবাদী এই অভিনেত্রী। যদিও গতবার নির্বাচনে জায়েদ খানের বিপক্ষে ১৩ ভোটে হেরেছিলেন নিপুন।

নিপুন বলেন, ‘ডিপজলকে নিয়ে ভয় কাজ করছে না। তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আমার কোনো ভয় নেই। তিনি একজন ভালো মনের মানুষ। তাই তাকে নিয়ে আমার আলাদা কোনো ভয় নেই।’

নির্বাচনের নিরাপত্তা ও বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে নিপুন বলেন, ‘এবার ভোটার উপস্থিতি আগেরবারের তুলনায় অনেক কম। শিল্পীরা সবাই আসছে আস্তে আস্তে আসছেন। তবে আলহামদুলিল্লাহ খুব সুন্দর পরিবেশে ভোট গ্রহণ চলছে। আর নিরাপত্তার কথা যদি বলি, তাহলে বলবো ঠিক আছে। কারণ এখানে সবাই শিল্পী, জাতীয় তারকা। তাদের নিরাপত্তায় এমনটা থাকবে এটাই স্বাভাবিক। এ নিয়ে আমার কোনো আপত্তি নেই।’

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সকাল থেকেই ভোটার উপস্থিতি কম। ভোট শুরুর আগে থেকে প্রার্থীরা উপস্থিত হলেও, ভোটারদের উপস্থিতি তেমন একটি দেখা যায়নি।

নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বে আছেন প্রযোজক নেতা খোরশেদ আলম খসরু। তার সঙ্গে সদস্য হিসেবে আছেন এজে রানা ও বিএইচ নিশান। শুক্রবার সকাল ৯ টা থেকে শুরু হয়েছে ভোট গ্রহণ। চলবে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত।

এবারের নির্বাচনে দুই প্যানেলের একটিতে আছেন অভিনেতা মিশা সওদাগর ও মনোয়ার হোসেন ডিপজল আর অন্যটিতে একসময়ের জনপ্রিয় নায়ক মাহমুদ কলি ও চিত্রনায়িকা নিপুন আক্তার।

এর আগে, গত বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাত ১২টায় শেষ হয়েছে ভোটের প্রচার-প্রচারণা। ভোট নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। এ ছাড়া বৃহস্পতিবার ভোটের আগের দিন প্রচারণা নিষিদ্ধ থাকলেও সারা দিনই বিচ্ছিন্নভাবে প্রার্থী ও ভোটারদের আনাগোনা দেখা গেছে এফডিসিতে।

এদিকে নির্বাচন কমিশননের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা অনুযায়ী এবারের নির্বাচনে ৫৭১ জন ভোট দিতে পারবেন।


বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি   ডিপজল   নিপুন   নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

‘ডিপফেক’ ভিডিও দিয়ে রাজনৈতিক প্রচার, থানায় মামলা করলেন আমির খান

প্রকাশ: ১০:৩১ এএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাশ্মিকা মন্দানা থেকে ক্যাটরিনা কাইফসহ ডিপফেকের শিকার হয়েছেন বলিউডের একাধিক অভিনেত্রী। তাদের সাথে এবার যোগ হলেন বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির খান।

সম্প্রতি আমির খানের একটি ‘ডিপফেক’ ভিডিও নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। ওই ভিডিওতে দাবি করা হয়েছে, আমির একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের হয়ে নির্বাচনি প্রচারে অংশ নিয়েছেন।

২৭ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে আমির খানকে ‘জুমলা’র থেকে সতর্ক থাকতে বলতে দেখা গেছে। আমিরের অফিসের দাবি, অভিনেতার মুখ মর্ফ করে ভিডিও ব্যবহার করা হয়েছে। তিনি এমন কোনও প্রচার ভিডিও শুট করেননি।

আমির খানের অফিসের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, ৩৫ বছরের বলিউড ক্যারিয়ারে আমির খান কখনও কোনও রাজনৈতিক দলের হয়ে প্রচার করেননি। আমিরের অফিস থেকে অভিযোগ পেতেই পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪১৯ (অন্যকে নকল করা), ৪২০ (প্রতারণা) সহ একাধিক ধারায় এবং তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।


ডিপফেক ভিডিও   রাজনৈতিক প্রচার   মামলা   আমির খান  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন