কালার ইনসাইড

ইউটিউবারদের দৌরাত্ম্য: এফডিসি বিমুখ তারকারা

প্রকাশ: ০১:৪৩ পিএম, ২২ জুন, ২০২২


Thumbnail ইউটিউবারদের দৌরাত্ম্যে: এফডিসি তারকারা

জাতির জনকের হাতে গড়া এফডিসিকে যখন একদল অদম্য মেধাবীরা নিজেদের সৃষ্টি দিয়ে কোটি কোটি দর্শক তৈরি করে গেছেন, তখন সেই কোটি কোটি দর্শকদের অশ্রাব্য ভাষায় গুটি কয়েক লোক আমাদের শিল্পীসহ নানা প্রসঙ্গে অপ্রকাশযোগ্য ভাষায় টেনে কথা বলে পূর্বপুরুষদের অপমান করে নিজেদের গর্বিত ভাবছেন। আর আমরা দেখেও না দেখার ভান করছি। 

কানাডায় গেছি সেখানেও এসব নিয়ে অসংখ্যবার প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছি। এতে করে দিন দিন এসব ইউটিউব বক্তারা যেমন ব্যস্ত তখন প্রকৃত শিল্পীরা একটু সম্মান পাওয়ার আশায় এফডিসি থেকে দূরে। এরা সমিতির নামধারী কিছু অসাধু। যাদের উদ্দেশ্য বেফাঁস কথা বলে ভিউ বাড়িয়ে টাকা ইনকাম করা। এই দুষ্টুদের অবশ্যই এফডিসি থেকে বের করে দিতে হবে।  ইউটিউবাদের উপর বিরক্ত হয়ে এভাবেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস।

তথ্য প্রযুক্তির কল্যাণে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে প্রযুক্তি। আর এই প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে ইউটিউবে অনেকেই অসত্য তথ্য প্রচার করে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। এর প্রভাব পড়েছে ঢালিউডের চলচ্চিত্রে। সাম্প্রতিক সময়ে চলচ্চিত্রের বিভিন্ন ইস্যুতে ইউটিউবে এমন অসংখ্য অসত্য প্রকাশের অভিযোগ রয়েছে। আরও অভিযোগ রয়েছে চলচ্চিত্রের বিতর্কিত ইস্যুতে শিল্পীদের নিয়ে লাগামহীন বক্তব্যে সরব এফডিসির বেশ কয়েকজন এক্সট্রা শিল্পী।

বিএফডিসির জৌলুসের সময় গেটের কাছে ঘেঁষতেই দারোয়ানের ভয়ে তটস্থ থাকতো দর্শনার্থীদের। এখন আগের সেই জৌলুস নেই, তবে আছে কনটেন্টের উপযুক্ত বিতর্কিত সব উপাত্য। আর সেই উপাত্য সংগ্রহে অনেকেই বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়ান। প্রযুক্তির কল্যাণে হাতের মুঠোয় সেল ফোনে ধারণ করে ছেড়ে দেন নিজেদের মতো করে শিরোনাম দিয়ে। 

ইউটিউবারদের সঙ্গে বিভিন্ন সমিতির লোকজনের সখ্যতার অভিযোগও পাওয়া গেছে। আর এসব কারণে দীর্ঘদিন এফডিসিপাড়ায় ঢোকেন না চলচ্চিত্র নির্মাতা দেওয়ান নজরুল, বজলুর রাশেদ চৌধুরী, এম এন ইস্পানিসহ অনেকেই। শিল্পী সমিতির কার্যকরী সদস্য ও সিনিয়র অভিনেত্রী অঞ্জনা রহমান, অরুণা বিশ্বাসরাও বিরক্ত এই ইউটিউবারদের দৌরাত্ম্যে।

এফডিসিতে ইউটিউবারদের উপস্থিতি নতুন কিছু নয়। এর আগেও শিল্পী ও কুশলীদের হেয় করেছেন কিছু কিছু ইউটিউবার। তবে এদের এফডিসিতে প্রবেশের বিষয় অধিকাংশ ক্ষেত্রে কতিপয় প্রযোজক, পরিচালক, শিল্পীরাই দায়ী! অভিযোগ প্রতিপক্ষকে হেয় করতে নিজেরাই ইউটিউবারদের এফডিসিতে প্রবেশ করান।

এ ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দোস্ত দুশমন’খ্যাত পরিচালক দেওয়ান নজরুল। তিনি বলেন, যেখানেই যাই ইউটিউবে এফডিসিতে ভুঁইফোড় কিছু লোকজন কথা বলছে। মনে হয় তারাই ইন্ডাস্ট্রির সবকিছু। এরা যে বলে যাচ্ছে অবিরাম তাদের থামানোর কেউ নেই। কেউ থামাচ্ছে না। এর কারণ কী? তিনি বলেন, এখানে এখন কেউ কাউকে সম্মান দেন না। যেখানে সম্মান পাই না সেখানে গিয়ে অসম্মানিত হওয়ার দরকার কী?

পরিচালক বজলুর রাশেদ চৌধুরী বলেন, আমি দীর্ঘ পাঁচ মাস হয় এফডিসি যাই না। অথচ আমার জীবনের অর্ধেক সময় সেখানেই কেটেছে। এখনো সেখানকার মানুষগুলোর সঙ্গে আমার ওঠাবসা। কিন্তু যেভাবে ভিউয়ের আশায় যাচ্ছেতাই লোকজন ইউটিউবে অপ্রকাশযোগ্য কথাবার্তা বলে বেড়ান তা শুনে রুচিতে বাধে, তাই প্রয়োজন ছাড়া যাই না। এদের এখনই সম্মিলিতভাবে প্রতিহত করতে হবে। এ ব্যাপারে সাংবাদিক ভাইয়েরা আশা করছি উদ্যোগ নেবেন।

অপরদিকে পরিচালক এম এন ইস্পাহানি বলেন, মন চাইলেই এফডিসিতে গিয়ে আড্ডা মারতে পারি না। যেখানেই যাই ইউটিউবারদের দৌরাত্ম। গেলেই কেউ না কেউ এসে বুম ধরে বসে বিব্রতকর বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করে বসে। কোনো সেন্সর নেই। যদিও অনেকে সাক্ষাতকার দিয়ে নিজেকে বিজিত ভাবছেন। সত্যি বলতে এরা পরিচালক সমিতি, প্রযোজক, শিল্পী সমিতি সবার মধ্যে বিদ্যমান। সম্প্রতি মৌসুমী ইস্যুতে এদের কয়েকজন যে ভাষায় ইউটিউবে অশালীন কথাবার্তা ছড়িয়েছেন তাতে করে বাড়িতেও কথা শুনতে হচ্ছে আমাদের। অথচ আমাদের সমিতিগুলো নিশ্চুপ। এফডিসি কর্তৃপক্ষ চোখ বুঝে আছে। তাই খুব কাজ না থাকলে ওমুখী হই না। শুধু ইউটিউবার নয়, যারা ইউটিউবে নিম্নমানের কুরুচিপূর্ণ সাক্ষাতকার দেয় তাদেরও এফডিসিতে প্রবেশ বন্ধ করে দেয়া উচিত।

সিনিয়র অভিনেত্রী অঞ্জনা বলেছেন, সত্যি বলতে আমি মহাবিরক্ত। মঙ্গলবার (২১ জুন, বিকাল চারটায়) আমাদের শিল্পী সমিতির মিটিং ছিল। যেতে পারিনি; তবে, যুগ্ম মহাসচিব সাইমন সাদিককে ফোনে বলেছি শিল্পী সমিতির তিন সদস্য (সাদিয়া মির্জা, মিজান এবং জামাল পাটোয়ারী) ইন্ডাস্ট্রিকে সমাজে জঘন্যভাবে হেয় করেছে। একজন শিল্পী হিসেবে আমিও অপমানিত হয়েছি। রাস্তাঘাটে কথা শুনতে হয়। এদের ব্যাপারে সমিতি যেন কঠোর অবস্থান নেয়। শিল্পী সমিতি কেন এসব জঘন্যদের আশ্রয় দিয়ে বিতর্কিত হবে?

ইউটিউবাদের উপর বিরক্ত পরিচালক এস এ হক অলিকও। তিনি বলেন, সম্প্রতি চিত্রনায়িকা মৌসুমী প্রসঙ্গে বেশ কয়েক জনকে দেখলাম ইউটিউবে কথা বলতে। স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন আসে তারা চলচ্চিত্রের কারা? চাইলেই কি একজন মৌসুমীকে নিয়ে যাচ্ছেতাই বলা সম্ভব? তাদের এত সাহস দেয় কে? বলার আগে চিন্তা করা দরকার আমি কে, আমার ওজন কতটুকু। সত্যি এটি খুবই দুঃখজনক। সময় থাকতে এদের থামানো উচিত। না হলে ভবিষ্যতে অবস্থা আরও ভয়াবহ হবে।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন থেকেই আলোচনায় বিএফডিসি। বেশ কয়েকটি ইস্যুতে কাঠগড়ায় শিল্পীরা। এ প্রসঙ্গে চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া বলেন, সবকিছুর আগে আমাদের কাজ হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যদি বেশি বেশি সিনেমা নির্মাণ ও কাজ করি তাহলে ভবিষ্যতে এসব বিষয়ে মনে হয় আর কখনোই প্রশ্ন আসবে না। নায়িকার ভাষায়, কাজ নেই বলেই এমনটি হচ্ছে।

চলচ্চিত্রের এ ধরনের অপ্রীতিকার ঘটনা ঘটলেই কিছু অসাধু লোক এসব নিয়ে সিনেমার মানুষদের চরিত্র হননে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। তারা ফেসবুক লাইভ বা ইউটিউবে তুচ্ছ বিষয়গুলো নিয়ে নিজের মতো করে শিল্পীদের চরিত্র নিয়ে অশ্লীল মন্তব্য করেন। তাদের বেফাঁস মন্তব্যে পুরো শিল্পী সমাজ তো বটেই চলচ্চিত্রের বদনাম হচ্ছে।

বিষয়টি নিয়ে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন চিত্রনায়ক ওমর সানী।গত শনিবার (১৮ জুন) রাতে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে তিনি শিল্পী সমিতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

চলচ্চিত্রের চলমান তর্ক-বিতর্কে কতিপয় ফেসবুক কিংবা ইউটিউবার নানা ধরনের কুরুচিপূর্ণ ভিডিও অডিও ইডিট করে তা আপলোড দেয়। এতে মূল ঘটনা থেকে সরে গিয়ে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘটনায় ওমর সানী কিংবা মৌসুমীর বদনাম হতে থাকে। এবার সেই সব মানসিকতা নিয়ে মানুষদের একহাত নিলেন ওমর সানী। মঙ্গলবার (২১ জুন) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তিনি ছবিসহ একটি পোস্ট দেন।

সেই পোস্টে তিনি লেখেন, কতগুলো অথর্ব কানা বেয়াদব, ছাগল-পাগল যা ইচ্ছা বলছে ইউটিউবে, শুধু কয়েকটা ডলারের লোভে। সবাই নয় (শিল্পী ছাড়া আর কোনো সাবজেক্ট নেই)। সবাইকে ইতিবাচক হওয়ার অনুরোধ জানান তিনি। 

ওমর সানী   চলচ্চিত্র   ইউটিউবার   অঞ্জনা   অরুণা  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

বুবলীর পর এবার মাহির ছেলেকে নিয়ে পরীমনির স্ট্যাটাস

প্রকাশ: ০৩:৫৮ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

সম্প্রতি চিত্রনায়িকা বুবলী ও শাকিব খানের ছেলে শেহজাদ খান বীরের জন্মদিনে সামাজিকে যোগাযোগ মাধ্যমে বুবলীর একটি স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে পরী ও বুবলীর মাঝে দ্বন্দ্ব দেখা যায় সোস্যাল মিডিয়ায়। দুজনের একের পর এক স্ট্যাটাস ও পাল্টা স্ট্যাটাস তর্কযুদ্ধে উত্তপ্ত হয়ে উঠে ফেসবুক।

এদিকে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির ছেলে শামসুদ্দিন ফারিশের প্রথম জন্মদিন আজ। তার জন্মদিনে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন চিত্রনায়িকা পরী মনি। লিখেছেন, ‘হ্যাপি বার্থডে মানিক চাঁদ আমাদের। তুমি মায়ের চোখের মণি হয়ে থাকো ফারিশ বাবা। আমরা সবাই তোমাকে অনেক ভালোবাসি।’


গত মাসের ১৬ ফেব্রুয়ারি হঠাৎ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন মাহি। বর্তমানে ছেলেকে নিয়ে আলাদাই থাকছেন এই নায়িকা। ছেলেকে নিয়েও ফেসবুকে ছবি পোস্ট করতে দেখা যায় এই অভিনেত্রীকে। এখন নিজের লুক বদলাচ্ছেন অভিনেত্রী। ব্যস্ত হয়েছেন ক্যারিয়ার নিয়ে। এরই মধ্যে পর্দায় ফেরার প্রস্তুতি নিয়েছেন তিনি।

পর্দায় ফেরা প্রসঙ্গে মাহি বলেন, ভালো প্রস্তাব পেলে আর ফিরিয়ে দেবেন না। এর কারণও অবশ্য রয়েছে। বিয়ের পর বেশ কিছু সিনেমার প্রস্তাবই ফিরিয়ে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। তবে এখন ক্যারিয়ারে মন দিতে চান তিনি।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর গাজীপুরের রাকিব সরকারকে বিয়ে করেন তিনি। এটি দুজনেরই দ্বিতীয় বিয়ে। তাদের ফারিশ নামে এক বছরের একটি পুত্রসন্তানও রয়েছে। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে স্বামী রাকিব সরকারের সঙ্গে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। এর আগে ২০১৬ সালে সিলেটের ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুকে ভালোবেসে বিয়ে করেন মাহি। পাঁচ বছর সংসারের পর বিচ্ছেদ হয় তাদের।


পরীমনি   বুবলী   মাহিয়া মাহি  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

সমুদ্র সৈকতে জোভান-সাফার ‘অনন্ত প্রেম’

প্রকাশ: ০৩:৪০ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

সম্প্রতি বেশ ঢাকঢোল বাজিয়ে বিয়ে করেছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা ফারহান আহমেদ জোভান। সেই বিয়েতে ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে হাজির ছিলেন অভিনেত্রী সাফা কবির। অথচ এখন শোনা যাচ্ছে তাদের ‘অনন্ত প্রেম’র গুঞ্জন!

সদ্য দুজনেই জুটি বেঁধে শেষ করেছেন ‘অনন্ত প্রেম’-এর শুটিং। আসছে ঈদে সিএমভি’র ব্যানারে বিশেষ এই নাটকটি লিখেছেন ও বানিয়েছেন মহিদুল মহিম।

নাটকটির নিয়ে নির্মাতা জানান, ‘এই গল্পের নায়ক জিসান। কক্সবাজারে নিজের দোকানে বসে কেক তৈরি করে এবং বিক্রি করে। ছোটবেলায় জিসানের মা মারা যায়। তার মা-ও খুব ভালো কেক তৈরি করতো। তাই মায়ের স্মৃতি ধরে রাখতেই জিসান কেকের বিজনেস করার সিদ্ধান্ত নেয়।

গল্পের নায়িকা স্নেহা। জিসানের কেক রেস্টুরেন্টে আসে। স্নেহার শখ ছবি তোলা। খুব সুন্দর পোশাক পরে সাজানো রেস্টুরেন্টে জিসানকে কেক বানাতে দেখে মুগ্ধ হয়ে ছবি তোলে স্নেহা। আর সুন্দরী স্নেহার দিকে তাকিয়ে মুগ্ধ হয়ে যায় জিসান।’

নির্মাতা আরও বলেন, ‘বুঝতেই পারছেন, গল্পের এই পর্যায়ে জিসান-স্নেহা প্রেমে হাবুডুবু খেতে শুরু করে। গল্পটা মূলত শুরু হয় এখান থেকে। ক্রমশ জড়ায় পারিবারিক জটিলতায়। শেষটা জানতে দেখতে হবে ঈদ উৎসবে পুরোটা।’

‘অনন্ত প্রেম’ নাটকটি সিএমভি’র ইউটিউব চ্যানেলে আসছে ঈদ উৎসবে মুক্তি পাবে।


অনন্ত প্রেম   জোভান আহমেদ   সাফা কবির  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

তারকাদের শেষ প্রজন্ম আমি ও শাহরুখ: কঙ্গনা

প্রকাশ: ০৩:১৬ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের সদ্যই টিকিট পেয়েছেন বলিউডের আলোচিত অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। ক্ষমতাসীন দল বিজেপির হয়ে আসন্ন নির্বাচনে লড়বেন অভিনেত্রী। এরই মধ্যে রাজনীতির মাঠে সক্রিয় হয়ে গেছেন তিনি। যদিও বলিউডে অনেকটাই নড়বড়ে অবস্থায় রয়েছেন কঙ্গনা।

একের পর এক ফ্লপ সিনেমার পর অভিনেত্রীর ক্যারিয়ার নিয়েই সংশয় দেখা দিয়েছে। তবে কঙ্গনার মতে, খারাপ সময় যতই যাক, আবারও সাফল্যের ধারায় ফিরবেন তিনি। সেই সঙ্গে নিজেকে শাহরুখ খানের সঙ্গে তুলনা করে তারকাদের জেনারেশনের ‘শেষ তারকা’ হিসেবেও দাবি করলেন কঙ্গনা।

সম্প্রতি ‘টাইমস নাও সামিট’-এ উপস্থিত ছিলেন কঙ্গনা। সেখানেই বিভিন্ন কথোপকথনে নিজেকে এবং শাহরুখ খানকে তারকাদের শেষ প্রজন্ম বলে মন্তব্য করে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন এই অভিনেত্রী।

কঙ্গনা বলেন, ‘আমি এবং শাহরুখ খান তারকাদের শেষ প্রজন্ম। ওটিটি কখনো তারকা তৈরি করতে পারে না। আমরা পরিচিত মুখ। সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় আমাদের অনেক চাহিদা রয়েছে। শুধু টিকে থাকার জন্য ওটিটিতে আসতে পারব না।’

গত কয়েক বছরে একের পর এক সিনেমা বক্স অফিসে ব্যর্থ হয়েছে কঙ্গনার। নিজের ব্যর্থ সিনেমা প্রসঙ্গে কঙ্গনা বলেন, “পৃথিবীতে এমন কোনো অভিনেতা নেই, যার ফ্লপ সিনেমা নেই। শাহরুখ খানের ১০ বছর কোনো হিট সিনেমা ছিল না।

কিন্তু ‘পাঠান’ বক্স অফিসে হিট হয়। ৭-৮ বছর আমার কোনো হিট সিনেমা ছিল না। কিন্তু ‘মণিকর্ণিকা’ বক্স অফিসে হিট হয়। এরপর তিন-চার বছর কোনো হিট সিনেমা উপহার দিতে পারিনি। এবার ‘ইমার্জেন্সি’ আসছে, আশা করছি এটি ভালো সাড়া ফেলবে।”

সর্বশেষ কঙ্গনাকে দেখা গেছে ‘তেজাস’-এ। গত বছরের ২৭ অক্টোবর মুক্তি পায় সিনেমাটি। ৭০ কোটি রুপি বাজেটের এ সিনেমা মুখ থুবড়ে পড়ে বক্স অফিসে। আয় করে মাত্র সাড়ে ৫ কোটি রুপি। সামনে অভিনেত্রীকে দেখা যাবে ‘ইমার্জেন্সি’ সিনেমায় ইন্দিরা গান্ধীর চরিত্রে। এটি পরিচালনাও করছেন তিনি। সেই সঙ্গে ভোটের মাঠেও সরব হচ্ছেন অভিনেত্রী।


শাহরুখ খান   কঙ্গনা রানাওয়াত   বলিউড  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

কে এই সৌদি মডেল রুমি?

প্রকাশ: ০৯:১৫ এএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ইউনিভার্সের মঞ্চে ৭৩ বছরের ইতিহাসে প্রথম বার, সৌদি আরবের পতাকা হাতে লড়বেন এক নারী। ২৭ বছর বয়সী রুমি আলকাহতানি নিজের ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্টেই এই ঘোষণা দিয়েছেন। জানিয়েছেন ইতিহাসের অংশ হতে পেরে তিনি সম্মানিত বোধ করছেন।

তবে এবার প্রশ্ন উঠতে পারে কে এই রুমি, হুট করেই কী তিনি মিস ইউনিভার্সের মঞ্চে উঠতে যাচ্ছেন? না। এতো বড় মঞ্চে এই প্রথম হলেও রুমি এর আগেও বহু সুন্দরী প্রতিযোগিতার মঞ্চে উঠেছেন।
এবার মিস ইউনিভার্সের ৭৩ বছরের ইতিহাসে তিনিই প্রথমবার যোগ দিচ্ছে সৌদি আরবের হয়ে। এমন খবরে একরকম চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। আসছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কেউ কেউ তাকে স্বাগত জানালেও অনেকেই করছেন সমালোচনা।

সৌদির রাজধানী রিয়াদে জন্ম রুমির। এর আগেও তিনি মিস সৌদি আরব, মিস মিডল ইস্ট, মিস উইমেনসহ (সৌদি আরব) বিভিন্ন সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন এবং বিজয়ীর মুকুট মাথায় পরেছেন।

রুমি ফ্যাশন মডেলিংয়ের সাথে ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবেও পরিচিত। তার ইনস্টাগ্রাম অনুসারীর সংখ্যা ১০ লাখ। এক্স ও ফেসবুকেও তাকে লাখ লাখ মানুষ অনুসরণ করে।

ঘুরতে পছন্দ করেন রুমি। বিশ্বের নানা প্রান্তে ঘুরেছেন তিনি। রুমির দুই বোনের নাম রাজান ও জেদাই। তাদের মধ্যে রাজানও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ পরিচিত মুখ।

সৌদি   ইউনিভার্স   মঞ্চ   পতাকা   রুমি আলকাহতানি  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

প্রথমবারের মতো মিস ইউনিভার্সের মঞ্চে সৌদি মডেল!

প্রকাশ: ০২:৫৮ পিএম, ২৭ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

এবার সৌদি আরবের পতাকা হাতে মিস ইউনিভার্সের মঞ্চে দেখা যাবে এক ২৭ বছর বয়সী মডেলকে। ইতিহাসে তিনিই প্রথমবার সৌদির পতাকা হাতে বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতার এই মঞ্চে উঠতে যাচ্ছেন। 

রুমি আলকাহতানি নামের ওই মডেলের ইন্সটাগ্রামে অনুসারীর সংখ্যা ১০ লাখ। সোমবার তিনি জানিয়েছেন, তিনি বিশ্ব সুন্দরীদের মঞ্চে তার দেশকে উপস্থাপন করতে যাচ্ছেন। 

তিনি লিখেছেন, ‘আমি মিস ইউনিভার্স ২০২৪ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পেরে সম্মানিত বোধ করছি। এই প্রতিযোগিতায় এটাই সৌদি আরবের অভিষেক।’

এই ছবির সাথেই তিনি সৌদি আরবের পতাকাসহ নিজের ছবি প্রকাশ করেছেন। 

আলকাহতানি রিয়াদে জন্মগ্রহণ করেছেন। তিনি এর আগেও বেশ কয়েকটি সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন। 


মিস ইউনিভার্স   সৌদি মডেল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন