কালার ইনসাইড

সাবিনা-কৃষ্ণা-রুপনাদের নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ হবে কবে?

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২২


Thumbnail সাবিনা-কৃষ্ণা-রুপনাদের নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ হবে কবে?

সাতক্ষীরার মেয়ে মাসুরা পারভীন, ফুটবল খেলাই যার নেশা। সাতক্ষীরা পিটিআই স্কুলে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়াকালীন সময়ে তিনি খেলাধুলা শুরু করে। তার বাবা ভ্যানচালক রজব আলী। উপার্জনের একমাত্র সম্বল ভ্যানটিও ভেঙেচুরে নষ্ট হয়ে বাড়ির উঠানে পড়ে রয়েছে। বাড়িটি তৈরি টিনের ছাউনি দিয়ে । রজব আলী এখন অসুস্থ হওয়ায় কাজও করতে পারছেন না। মাসুরা যখন প্রথমদিকে খেলতে শুরু করেছিলেন, বিষয়টিকে ভালোভাবে নেননি তার বাবা। বাধার মুখে পড়েছিলেন পদে পদে।

মাসুরার বাড়ি সাতক্ষীরা সদরের বিনেরপোতা এলাকায়, সরকারিভাবে দেওয়া আট শতক জমিতে থাকে মাসুরার পরিবার। মা ফাতেমা বেগম, দুই বোন সুরাইয়া পারভীন ও সুমাইয়া ইয়াসমিনকে নিয়ে তার পরিবার। সরকারি জমিতে অবৈধ স্থাপনা দাবি করে ওই বাড়িতে ক্রস চিহ্ন দেন সড়ক ও জনপথ বিভাগ। এরপর ভেঙে ফেলা হতে পারে বলে শঙ্কায় ছিলো তাঁদের পুরো পরিবার। তবে সব কিছু ছাপিয়ে সেই মাসুরা আজ দেশের গর্ব। সাফজয়ী নারী ফুটবল দলের ডিফেন্ডার মাসুরা। যাকে নিয়ে আজ সারাদেশে মাতামাতি।

গোল করেই আকাশের দিকে তাকালেন। এরপর প্রার্থনার ভঙ্গিতে বিড়বিড়িয়ে কিছু একটা বললেন ঋতুপর্ণা চাকমা। যেন গোলটা পাওয়ার অপেক্ষাতেই ছিলেন বাংলাদেশের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার। নেপালে মেয়েদের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে দুই ম্যাচের কোনোটিতেই একাদশে ছিলেন না ঋতুপর্ণা।

মালদ্বীপের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে বদলি নেমেও তিনি গোল পাননি। তবে পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামতেই গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন তিনি। ততক্ষণে অবশ্য বাংলাদেশ পাঁচটি গোল দিয়েছে পাকিস্তানের জালে, জয়ও নিশ্চিত। পরে দলের হয়ে ৬ নম্বর গোলটা করেছেন ঋতুপর্ণা।

গোলটা ঋতুপর্ণা উৎসর্গ করেছেন অকালপ্রয়াত ভাই পার্বণ চাকমাকে। গত ২৯ জুন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন পার্বণ। ভাই হারানোর শোক এখনো লেগে আছে ঋতুপর্ণার চেহারায়। জাতীয় দলের সবচেয়ে প্রাণোচ্ছল আর হাসিখুশি মেয়েটাই এখন সারাক্ষণ মনমরা হয়ে থাকেন। পরশু তিনি গোল পাওয়ার পর টিম বাসে উঠেও অনেকক্ষণ কেঁদেছেন। টিম হোটেলে গিয়েও রাতে কান্নাকাটি করেছেন। কাঠমান্ডুর আর্মি হেডকোয়ার্টার মাঠে গতকাল অনুশীলনের সময় সতীর্থরা হাসি–আড্ডায় মেতে থাকলেও ঋতুপর্ণাকে দেখা গেছে বিষণ্ণ।

বাবা ব্রজবাসী চাকমা ক্যানসারে ভুগে মারা গেছেন ২০১৫ সালে। বড় তিন বোন, ভারতী চাকমা, পামপি চাকমা ও পুতুলি চাকমার বিয়ে হয়ে গেছে। চার বোনের এক ভাই হওয়ায় সবচেয়ে আদরের ছিলেন পার্বণ। সেই আদরের ভাইকে হারিয়ে ভেঙে পড়েছেন ঋতুপর্ণা।

পার্বণের দুই বছরের বড় ঋতুপর্ণা। পিঠেপিঠি ভাই–বোন হওয়ায় দুজনের সম্পর্ক ছিল বন্ধুর মতো। ২০১৭ সালে জাতীয় বয়সভিত্তিক দলে ডাক পাওয়ার পর থেকে ঋতুপর্ণার সব ম্যাচ দেখেছেন পার্বণ। পাকিস্তানের বিপক্ষে গোলের পর তাই সবার আগে ছোট ভাইয়ের কথা মনে পড়ে ঋতুপর্ণার।

এই দুইটি গল্প কোন সিনেমার চিত্রনাট্য নয়। মাঝে মাঝে সিনেমার গল্পকেও হাড় মানায় বাস্তব কিছু গল্প। ঠিক তেমনি কিছু গল্প রয়েছে সদ্য দৃষ্টিনন্দন, শৈল্পিক এবং একই সাথে শ্বাসরুদ্ধকর ফুটবলের পসরা সাজিয়ে প্রথমবারের মতো সাফ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয়ে ঐতিহাসিক কীর্তিগাথা রচনা করে আসা বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের প্রতিটি খেলোয়াড়রে। ব্যক্তি জীবনের সব দুঃখ, কষ্টকে পিছনে ফেলে দেশের জন্য লড়ে গিয়েছেন নিজেদের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে। সাফের ট্রফি নিয়ে দেশে এসেছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। বুধবার দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পা রাখেন সাবিনারা। তাদের বরণ করেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। উপস্থিত ছিল বাফুফের প্রতিনিধিদলও।বিমানবন্দর থেকে শহর ঘুরে বাফুফে কার্যালয়ে সাবিনাদের নিয়ে যাওয়া হয় ছাদখোলা বাসে করে।

ফুটবল নিয়ে এই উন্মাদনা আজ থেকে নয়। বহু বছর আগে থেকেই চলছে এই উন্মাদনা। এমনকি ফুটবল নিয়ে হলিউড, বলিউড, ঢালিউডে নির্মিত হয়েছে অনেক চলচ্চিত্র। ফুটবল নিয়ে খুব একটা বড় বাজেটের সিনেমা নির্মাণ হয়নি। বড় বাজেট না হলেও আলোচিত বেশ কিছু সিনেমা রয়েছে ফুটবল নিয়ে।  হলিউড থেকে শুরু করে বলিউডেও অনেক সিনেমা নির্মিত হয়েছে ফুটবলকে নিয়ে।

সর্বকালের সেরা ফুটবলার পেলেকে নিয়ে ২০১৬ সালে হলিউডে নির্মিত হয় ছবি ‘পেলে-বার্থ অফ অ্যা লিজেন্ড’। ছবিটি দেখলে পেলের বেড়ে ওঠার পুরো ব্যাপারটা ভালো করে বোঝা যাবে।

এছাড়াও মদের নেশায় আসক্ত সাবেক এক ফুটবলারের জীবনের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে ‘ইয়েস্টারডেস হিরো’। ১৯৭৯ সালে মুক্তি পাওয়া ছবিটি মন ছুঁয়েছে অনেকেরই। ফুটবল ম্যানেজারের জীবন নিয়ে নির্মিত সিনেমা ‘এ শট অ্যাট গ্লোরি’ সিনেমাটি মুক্তি পায় ২০০০ সালে।

ডেভিড বেকহ্যাম তখন সুপার ফর্মে। তখনই ভারতীয় বংশোদ্ভূত পরিচালক গুরিন্দর চাঁদা নির্মাণ করলেন ‘বেন্ড ইট লাইক বেকহ্যাম’।

গ্রেগরিস গার্ল (১৯৮১) ফুটবল নিয়ে ব্রিটিশ রোমান্টিক কমেডি আছে অনেকেরই পছন্দের তালিকায়। দেখতে পারেন ফুটবল নিয়ে হংকংয়ের অ্যাকশন কমেডি ছবি শাওলিন সকার। আরও দেখতে পারেন রুডো এন্ড কার্সি (২০০৮), ড্যামনেড ইউনাইটেড, হোয়েন স্যাটারদে কামস, মিন মেশিন, গ্রেসি ছবিগুলো।

ক্রিকেটের দেশ বলিউডে ফুটবল নিয়ে সিনেমা নেই বললেই চলে। কোন কোন সিনেমায় একটা কিংবা দুইটা দৃশ্য রাখা হয় ফুটবলের। যেমন ‘কাভি আলভিদা না কেহনা’য় শাহরুখের দৃশ্য। সেক্ষেত্রে ‘ধান ধানা ধান গোল গোল’ ছবিটাকে পূর্ণ মাত্রার সিনেমা বলা চলে। ‘সিকান্দার’ ছবিরও অনেকটা জুড়ে ছিল ফুটবল।

শুধু ফুটবল নয় ক্রিকেট নিয়েও কম দিনেমা নির্মাণ হয়নি। লাগান ছবি ক্রিকেট সম্পর্কিত ছবিগুলির মধ্যে একটি। অভিনেতা আমির এর দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দর্শকদের মন কেড়ে নিয়েছিল। পরাধীন ভারতবর্ষের গ্রামের লোকজন তাদের জীবনযাত্রা এবং ইংরেজ সরকারের ব্যবহার তাদের প্রতি এই নিয়েই গল্প ছিল ওই ছবিটির। লাগান নামে একটি ক্রিকেট দল ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সেখানে কর্ম করার জন্য ক্রিকেট খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।

মহেন্দ্র সিং ধোনির জীবন কাহিনী কে কেন্দ্র করে ২০১৬ সালে ক্রিকেট নিয়ে ছবি তৈরি হয়েছিল। আত্মঘাতী অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত সেই ছবিটিতে অভিনয় করেছিলেন। ধোনির ক্রিকেট নিয়ে জীবন সংগ্রাম এবং ২০১১ সালে ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয় কে কেন্দ্র করে ছবিটি গড়ে উঠেছিল। তার ওই ছবিটি সুপার হিট হয়েছিল।

নব্বইয়ের দশকের সময় ভারতীয় অধিনায়ক মোহাম্মদ আজহারউদ্দিনের জীবনী নিয়ে তৈরি হয় ক্রিকেট মূলক ছবি আজহার, ইমরান হাশমি সেই ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। ভারতীয় ক্রিকেটের খাওয়ার সময় এবং ম্যাচ ফিক্সিং সম্পর্কে সব কিছু ঘটনা ওই ছবিতে দেখানো হয়েছিল। তিনি তার সময়ে দুরন্ত ব্যাটিং করতেন কিন্তু ম্যাচ গড়াপেটা তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। তার ব্যক্তিগত জীবনে অশান্তির নানাদিক সেই ছবিতে তুলে ধরা হয়েছিল।

বাংলাদেশে প্রেক্ষাপটে তেমন ভাবে ফুটবল, ক্রিকেট কিংবা ক্রীড়া ভিত্তিক কোন খেলোয়াড় দিয়ে তেমন কোন চলচ্চিত্র নির্মাণ হয়নি। যদিও ২০১০ সালে নির্মাতা খিজির হায়াৎ খান ফুটবল খেলা নিয়ে নির্মাণ করে ছিলেন জাগো নামের চলচ্চিত্র। এরপর তার তেমন ভাবে ক্রীড়া ভিত্তিক কোন চলচ্চিত্র নির্মাণ হয়নি।

চলচ্চিত্র একটি দেশকে আন্তর্জাতিক ভাবে পরিচিত করিয়ে দেয়। দেশের শিল্প-সংস্কৃতি, খেলেধূলা সম্পর্কে বিশ্বকে জানান দেয়। হলিউড থেকে শুরু করে বলিউডের অনেক ক্রীড়া ভিত্তিক চলচ্চিত্র নির্মাণ হয়েছে। পাশাপাশি নামীদামী অনেক খেলোয়াড়দের জীবন নিয়েও নির্মিত হয়েছে বায়োপিক। যেগুলো বিশ্ব দরাবারেও প্রশংসিত হয়েছে। তবে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। 

যে মানুষগুলো তাঁদের ব্যক্তিজীবনের সব দুঃখ, কষ্টকে পিছনে ফেলে দেশের জন্য লড়ে জয় ছিনিয়ে আনছেন তাঁদের হয়তো আমরা সাময়িক কিছু সম্মাননা দিয়ে আনন্দ ভাগাভাগি করছি কিন্তু তাদের সংগ্রামী জীবনের অনেক কথাই আড়ালে থেকে যাচ্ছে। কখনো কী তাঁদের সেই সংগ্রামী জীবনের গল্প ফুটে উঠবে সেলুলয়েডের পর্দা?


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এফডিসির সামনে মানববন্ধন

প্রকাশ: ১০:২৪ এএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরীর নেতৃত্বে গণমাধ্যমকর্মীদের উপর নারকীয় হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে সাংবাদিকরা।

গতকাল বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে বিএফডিসি'র টেলিভিশন ক্যামেরাম্যান জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের (টিসিএ) উদ্যোগে বিএফডিসি'র সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধন বক্তৃতা রাখেন বিএফইউজে'র সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ, ডিইউজের নব-নির্বাচিত অন্যতম সভাপতি সাজ্জাদ আলম তপু, সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মুজতবা ধ্রব, বাচসাস'র সভাপতি রাজু আলীম, সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবু প্রমুখ।

এসময় বক্তারা বলেন, সাংবাদিকরা নানাক্ষেত্রে আজ নির্যাতিত। তারা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নানাভাবে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। চলচ্চিত্রে যারা অভিনয় করে তাদের আমরা মননশীল করি। কিন্তু তারা যখন মাস্তানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন, তখন তারা সমাজে কী বার্তা দেন নারকীয় এই হামলার নেতৃত্ব দেওয়া জয় চৌধুরী শিবা শানু, ও আলেকজান্ডার বো'সহ জড়িত সবাইকে শিল্পী সমিতি থেকে সদস্যপদ বাতিলসহ আইনের আওতায় আনার দাবি জানান মানববন্ধন থেকে বক্তারা।

মানববন্ধনে আরও অংশ নেয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত বিনোদন বিটের সাংবাদিকরা।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার বিকালে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নব-নির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে শিবা শানু, জয় চৌধুরী ও আলেকজান্ডার বো'র নেতৃত্বে সাংবাদিকদের ওপর হামলা করা হয়। এতে প্রায় ২০ জন সাংবাদিক আহত হন। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৪ জন। এ ঘটনার প্রতিবাদে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিনোদন সাংবাদিকসহ নানা বিটে কর্মরত সাংবাদিকরা।

এদিকে, ঘটনার তদন্তের জন্য ১১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। যেখানে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি ও সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে পাঁচজন করে রাখা হয়েছে। আর উপদেষ্টা হিসেবে আছেন প্রযোজক আরশাদ আদনান। দশ জনের তদন্ত কমিটিতে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে লিমন আহমেদ, রাহাত সাইফুল, আহমেদ তৌকির, বুলবুল আহমেদ জয়, আবুল কালাম এবং শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে মিশা সওদাগর, ডি এ তায়েব, নানাশাহ, রুবেল, রত্না।


সাংবাদিকদের ওপর হামলা   এফডিসি   মানববন্ধন  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

এবার বিয়ে ও বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন জয়া

প্রকাশ: ০৯:৪৯ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত ও দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। ইতোমধ্যে ঢালিউড-টালিউড মাতিয়ে অভিনয়ের দ্যুতি ছড়িয়েছেন বলিউডেও। পর্দায় ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে নিজেকে ফুটিয়ে তোলেন এই নায়িকা। সাবলীল অঙ্গভঙ্গি আর অভিনয় দক্ষতায় বরাবরই দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়ে যান তিনি।

কাজের পাশাপাশি এই অভিনেত্রীর ঘরের খবর পেতেও মুখিয়ে থাকেন দর্শক। কবে বিয়ে করছেন, কেন একা থাকেন এসব জানার খুব শখ তাদের। বরাবরই তিনি মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন। তবে এবার সবকিছু নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে জয়া কথা বলেছেন বিয়ে ও বিচ্ছেদ নিয়ে।

বিয়ে নিয়ে জয়া বলেন, বর্তমান জীবন খুবই এনজয় করছি। দেখুন, পরিবার তো শুধু স্বামী-স্ত্রীকেই ঘিরে নয়, অথবা পার্টনার হলেই হয় না, পরিবারে আরও অনেকেই আছে। পরিবারে মা-বাবা আছেন, আমার বাড়িতে যেসব লোক কাজ করেন, তারা আছেন। আমি খুবই এনজয় করি।

একাকী জীবনযাপন নিয়ে এ অভিনেত্রী বলেন, আমি তো কোনোকিছু পরিকল্পনা করি না। যদি মনে করি যে সিঙ্গেল থেকে ডাবল হতে চাই, দরকার আছে, তখনই হবো। তবে এই মুহূর্তে আমার কোনো পরিকল্পনা নেই। কারণ, আমি খুবই ভালো আছি, শান্তিতে আছি চারদিকে। আমার আপাতত কোনো প্ল্যান নেই।

এদিকে প্রথমবারের মতো ওয়েব সিরিজে কাজ করতে যাচ্ছেন জয়া। এটি নির্মাণ করবেন মহানগর খ্যাত নির্মাতা আশফাক নিপুণ।


জয়া আহসান  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

কবে আসছে ‘অ্যানিমাল-২, জানালেন সিনেমাটির নির্মাতা

প্রকাশ: ০৪:০১ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বহুল আলোচিত সিনেমা 'অ্যানিমাল' দেখেনি এখন খুব কম মানুষ আছে। সেই ছবিতে রণবীর কাপুরের অভিনয় মুগ্ধ করেছে সকলকেই। এই ছবির শেষেই পরিচালক দেখিয়েছিলেন যে এই সিনেমার সিক্যুয়েল আসছে। অনেকেই মুখিয়ে আছেন এই সিক্যুয়েলের জন্য, যার নাম 'অ্যানিমাল পার্ক'।

সম্প্রতি সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা জানিয়েছেন কবে আসছে সেই ছবি। সাম্প্রতিক অ্যাওয়ার্ড শোতে সিনেমাটির পরিচালক শেয়ার করেছেন, ২০২৬ সালে রণবীর কাপুর-অভিনীত 'অ্যানিমাল'-এর সিক্যুয়েলের কাজ শুরু হয়েছে। তিনি সন্দীপ রেড্ডি সিনেমাটিক ইউনিভার্সের সম্ভাবনার কথাও বলেছেন।

পুরস্কার গ্রহণ করার সময় হোস্টরা তাকে রণবীর কাপুর-অভিনীত 'অ্যানিমাল' সিক্যুয়েল 'অ্যানিমাল পার্ক' সম্পর্কে কিছু বিশদ প্রকাশ করতে বলায় তখনই তিনি জানান, ছবিটি ২০২৬ সালে ফ্লোরে যাবে।

তিনি আরও যোগ করেছেন, 'অ্যানিমাল পার্ক' আসলে 'অ্যানিমাল'-এর চেয়ে বড় এবং আরও বন্য একটি সিনেমা হবে। যদিও এমন দাবি তিনি আগেও করেছিলেন।


অ্যানিমাল   রণবির কাপুর   বলিউড   সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

আদালতের রায়: অভিভাবকত্ব পেয়ে ইতিহাস গড়লেন বাঁধন

প্রকাশ: ০৩:১১ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আবারও আদালত প্রাঙ্গণে সগর্বে উচ্চারিত হলো অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধনের নাম। বাংলাদেশের ইতিহাসে তিনিই একমাত্র মা, যিনি সন্তানের পূর্ণ অভিভাবকত্ব পেয়েছেন। বাঁধনের আগে এবং পরে এখনো কোনো নারী সন্তানের অভিভাবকত্ব পাননি।

গত সোমবারের (২২ এপ্রিল) নাবালক সন্তানের অভিভাবকত্ব নির্ধারণে নীতিমালা প্রণয়নে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আগামী ৪ আগস্টের মধ্যে এই কমিটিকে নীতিমালা দাখিল করতে। বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবারের (২২ এপ্রিল) রুলসহ এই আদেশ দেন।

অভিভাবক ও প্রতিপাল্য আইন, ১৮৯০-এর ১৯(খ) ধারা অনুসারে কোনো নাবালক সন্তানের বাবা জীবিত থাকা অবস্থায় অন্য কারো পক্ষে সেই নাবালকের অভিভাবক হওয়ার সুযোগ নেই।

আইনটির এই ধারা সংবিধান স্বীকৃত মৌলিক অধিকারের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ায় কেন তা সংবিধানের ২৬, ২৭ ও ২৮ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, এক রুলে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। এর পরই আদালত প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন আইনজীবী সারা হোসেন।

তিনি বলেন, ‘এটা অনেক বড় একটা অর্জন। বাংলাদেশে যদিও নারীরা সন্তানদের হেফাজত (কাস্টডি) পাচ্ছেন, একটি ঘটনা ছাড়া আর কাউকে অভিভাবকত্ব দেওয়া হচ্ছে না। আমাদের অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন তাঁর সন্তানের অভিভাবকত্ব পেয়েছিলেন। এর বাইরে বাংলাদেশের ইতিহাসে আর কোনো উদাহরণ নেই যে নারীরা সন্তানের অভিভাবকত্ব পাচ্ছেন।’

উচ্চ আদালতের এই রুল জারির পর ভীষণ উচ্ছ্বসিত ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ অভিনেত্রী। আজ থেকে ছয় বছর আগে (২০১৮ সালের ৩০ এপ্রিল) ঢাকার দ্বাদশ সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতের বিচারক ইসরাত জাহান একমাত্র কন্যাসন্তান মিশেল আমানি সায়রার অভিভাবকত্ব দিয়েছিলেন বাঁধনকে।

বাঁধন বলেন, ‘আইনটা পরিবর্তনের একটা প্রক্রিয়া শুরু হলো, এটা সবচেয়ে আনন্দের। যাঁরা আপিল করেছেন তাঁদের সাধুবাদ জানাই। আমার অর্জনটা শুধু আমারই থাকুক তা চাই না, আমি চাই বাংলাদেশের সব মেয়ের অধিকার থাকুক তাঁর সন্তানের ওপর।’

তবে, ছয় বছর আগে যখন কন্যা সায়রার অভিভাবকত্ব পেয়েছিলেন, তখনো এই রায়ের মাহাত্ম্য পুরোপুরি বুঝতে পারেননি বাঁধন। সময়ের সঙ্গে এই রায়ের গুরুত্ব অনুধাবন করেছেন তিনি।

বাঁধন বলেন, ‘আমার পক্ষে যখন রায় এলো, তখন এর গুরুত্ব এতটা বুঝতে পারিনি। বাচ্চাটাকে কাছে রাখতে চেয়েছি, যেহেতু ওর সম্পূর্ণ ভরণ-পোষণ আমিই করতাম, আমি কেন ওর অভিভাবক হতে পারব না! বাচ্চার বাবা কোনো দায়িত্বই কখনো পালন করেননি। আদালতে সেটা প্রমাণও করতে পারেননি, তার জন্য আমাকে অভিভাবকত্ব দেওয়া হয়েছিল।’

অভিভাবকত্ব আইন নিয়ে দীর্ঘ লড়াই করেছিলেন তিনি। অধিকার আদায়ে লড়াই করে অর্জন করেছেন দীর্ঘ অভিজ্ঞতাও। এই আইন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘উনি (আইনজীবী সারা হোসেন) কিন্তু উল্লেখ করেছেন, সাধারণত মাকে কাস্টডি দেওয়া হয়, শারীরিক জিম্মা যেটাকে বলে। বাবা বেঁচে থাকতে মাকে অভিভাবকত্ব দেওয়া হয় না। যদি বাবা না পান সে ক্ষেত্রে দাদা-চাচা, এমনকি নানা-মামারা অভিভাবকত্ব পান। অনেক পরে আসে মায়ের নাম। যে কারণে আমারটা ব্যতিক্রমী একটা রায় ছিল। আমাদের প্রচলিত আইনে একটা লুপ হোল কিন্তু আছে, মাকে অভিভাবকত্ব দেওয়া যাবে, তবে যে শর্তগুলো পূরণ করতে হবে সেটা খুবই কঠিন। কাস্টডি আর অভিভাবকত্ব এক নয়। অভিভাবকত্ব পুরো ডিফারেন্ট একটা বিষয়। আমাদের আইনে বাবা ন্যাচারাল গার্ডিয়ান, অভিভাবকত্বের প্রশ্নে দূর-দূরান্ত পর্যন্ত মায়ের অস্তিত্ব নেই আসলে। এসব জায়গায় অনেক সংশোধনী আনা প্রয়োজন।’

ক্লাস ফাইভের ছাত্রী সায়রা সারাক্ষণ মায়ের আশপাশেই থাকে। প্রায়ই মা-মেয়ে একসঙ্গে দেশ-বিদেশ ঘুরতে বেরিয়ে পড়ে। মেয়েকে ঘিরেই কাজের শিডিউল করেন বাঁধন। মেয়ে এখন বড় হচ্ছে, মায়ের এই অর্জন সম্পর্কে তার কি কোনো ধারণা আছে? বাঁধন বলেন, ‘ও বুঝতে পারে।

তবে এত কিছু ওর ধারণায় নেই। শুধু জানে, ওর মা ওকে কাছে রাখার জন্য লড়াই করেছে এবং জিতেছে। এটাও জানে, তাকে কাছে রাখার জন্য তার মা সমাজ ও আইনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে গেছে। তার মা একজন ফাইটার, এটা সে এখন ভালোই বোঝে। টিচাররা, আশপাশের সবাই যখন ওর সামনে এসব বলে, তখন ও বুঝতে পারে মা ওর জন্য কী করেছে। তবে বিষয়টার গুরুত্ব ওর বোঝার জন্য অনেক কঠিন। সেই ক্ষমতা এখনো তার হয়নি।’


উচ্চ আদালত   আজমেরী হক বাঁধন  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

শিল্পীরা সন্ত্রাসীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারে না: রিয়াজ

প্রকাশ: ০২:১৭ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সদ্যই সম্পন্ন হয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) প্রাঙ্গণে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। এই নির্বাচনে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ছিল। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে সাংবাদিক ও ইউটিউবারদের ওপর হামলার ঘটনায় আহত হয়েছেন কয়েকজন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিএফডিসিতে শিল্পী সমিতির সদস্য শিবা শানুর সঙ্গে এক সাংবাদিকের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। তখন আশপাশে থাকা উপস্থিত সাংবাদিকরা সেখানে এগিয়ে গেলে বাগবিতণ্ডা হয়। এরপরই সাংবাদিক ও ইউটিউবারদের ওপর হামলা চালানো হয়।

এদিকে বিএফডিসির মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা তাৎক্ষণিক ছড়িয়ে পড়লে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠে। নানা শ্রেণি-পেশার মানুষরা ঘটনাটিকে চরম ন্যক্কারজনক বলে অভিহত করেন। একইসঙ্গে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।

অন্যদিকে চিত্রনায়ক রিয়াজও এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে এক স্ট্যাটাস লিখেন এই তারকা। স্ট্যাটাসে বলেন, ‘প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা, একজন চলচ্চিত্র শিল্পী হিসেবে আজকে আমি লজ্জিত ও আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আমি আপনাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’

এ নায়ক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আজ বিএফডিসিতে যে ঘটনা ঘটেছে সেটি কোনোভাবেই প্রত্যাশিত নয়। যদিও আমি ঘটনার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলাম না। সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন অনলাইন গণমাধ্যম থেকে জানতে পেরেছি।

তিনি বলেন, সাংবাদিক ভাইয়েরা আমাদের কাজের সঙ্গে দর্শকদের মেলবন্ধন তৈরি করেন। তাদের বিএফডিসির ভেতরে নির্মমভাবে পেটানো হয়েছে, যা চরম ন্যক্কারজনক। এ ঘটনার বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখে খারাপ লাগছে। চলচ্চিত্র শিল্পী ও সন্ত্রাসীর মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। শিল্পীরা কখনো সন্ত্রাসীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারে না। আমি আহত সাংবাদিক ভাই-বোন ও তাদের পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করছি। এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই’।

এছাড়া এ ঘটনায় চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন সাংবাদিকরা। এই সময়ের মধ্যে বিষয়টি সমাধান না হলে শিল্পী সমিতির সব ধরণের সংবাদ প্রচার থেকে বিরত থাকবেন সাংবাদিকরা।

এ ব্যাপারে নবনির্বাচিত কমিটির সভাপতি মিশা সওদাগর জানিয়েছেন, গণমাধ্যমকর্মীরা যে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন সেটি তারা মেনে নিয়েছেন।

আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল থেকে আল্টিমেটামটি কার্যকর হবে। একইসঙ্গে এদিন থেকে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করবে শিল্পী সমিতি। হামলার শিকার সাংবাদিকদের চিকিৎসাভার নিয়েছে সংগঠনটি।

আর এ ঘটনায় যেসব কর্মীদের যন্ত্রাংশের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তার জন্য ক্ষতিপূরণ দেবে সমিতি।


চিত্রনায়ক রিয়াজ   বিএফডিসি   চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন