কালার ইনসাইড

বিদেশি সিনেমা মুক্তি পেলে রাজপথে নামার হুঙ্কার দিলেন সিদ্দিক

প্রকাশ: ০৫:৪৬ পিএম, ২৬ জানুয়ারী, ২০২৩


Thumbnail

গোটা বিশ্বজুড়ে বইছে ‘পাঠান’ ঝড়। দীর্ঘ চার বছর পর প্রেক্ষাগৃহে বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের নতুন সিনেমা। মুক্তির আগে সিনেমাটি ঘিরে উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতো। ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশেও শাহরুখ খানের অসংখ্য ভক্ত। সিনেমাটি ঘিরে বাংলাদেশের দর্শকদেরও রয়েছে তুমুল আগ্রহ।

‘পাঠান’ সিনেমা বাংলাদেশে মুক্তি দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। দেশীয় একটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সাফটা চুক্তির মাধ্যমে সিনেমাটি দেশে আনার চেষ্টা করছে। বাংলাদেশে ‘পাঠান’ মুক্তির বিষয়ে অনেকেই পক্ষে-বিপক্ষে মত দিচ্ছেন। শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ আক্তারও চাচ্ছেন বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাক শাহরুখ খানের আলোচিত সিনেমা ‘পাঠান’। নিপুণের মতে, বলিউডের সিনেমাতে আপত্তি নেই, তবে লাভের ১০ শতাংশ দিতে হবে শিল্পী সমিতিকে।

নায়িকার এমন মন্তব্য ঘিরে নেট দুনিয়ায় তুমুল চর্চা হচ্ছে। বলিউড সিনেমা বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দিলে শিল্পীদের নিয়ে রাজপথে নামবেন বলে হুঙ্কার দিয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমান। তিনি মনে করেন দেশে বিদেশি সিনেমা মুক্তি পেলে বাংলা সিনেমার অবস্থা আরও শোচনীয় হবে।

বলিউড সিনেমার আমদানি প্রসঙ্গে সিদ্দিক বলেন, আমি সবসময় বিদেশি সিনেমার বিপক্ষে। কারণ, আমার দেশের সিনেমারই অবস্থা ভালো নয়। বিদেশি সিনেমা দেশে আনার মতো যোগ্যতা এখনো আমাদের হয়নি। একটা সুস্থ মানুষের সঙ্গে কখনোই একটি অসুস্থ মানুষ দৌড়ে পারবে না। তেমনই আমাদের সিনেমা পুরোপুরি সুস্থ নয়। বিদেশি সিনেমার সঙ্গে দেশের সিনেমা কখনোই প্রতিযোগিতায় টিকে নাই।

বিদেশি সিনেমা দেশে মুক্তি দেওয়া হলে প্রয়োজনে শিল্পীদের নিয়ে আমি রাজপথে নামব। এর আগে একবার শিল্পীরা কাফনের কাপড় পড়ে রাজপথে নেমেছিল। তখন আমাকে বলেছিল কিন্তু সেসময় আমি আসিনি। তবে এবার আর বসে থাকব না। সংগঠন বা শিল্পীরা উদ্যোগ নিলে রাজপথে ঝাঁপিয়ে পড়ব। তারা যদি উদ্যোগ না-ও নেয় তাহলে শিল্প সংস্কৃতির কথা চিন্তা করে নিজেই উদ্যোগ নেব। তবুও বিদেশি সিনেমা আমদানি ঠেকাতে হবে। আমি শুধু একা নই, সবাইকে নিয়ে প্রতিবাদে শামিল হবো। ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে সবাইকে জানিয়ে মাঠে নামব। বাংলা সিনেমা, নাটক ও সংস্কৃতিকে যারা ভালোবাসে সেদিন তারাও রাজপথে নামবে। -যোগ করেন ‘সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ’ সিদ্দিক।

বাংলা সিনেমার অবস্থা ভালো নয় উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আগে সিনেমার অবস্থা ভালো করতে হবে তারপর বিদেশি সিনেমা আনার বিষয়ে ভাবতে হবে। এমন অবস্থায় বিদেশি সিনেমা আসলে আমাদের জন্যই ক্ষতি হবে। বিদেশি সিনেমা আমন্ত্রণ জানিয়ে প্রতিযোগিতায় যাওয়ার মতো এখনো বাংলাদেশের সিনেমা যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। এই মুহূর্তে বিদেশি সিনেমা আনার চিন্তা মানে বোকামি ছাড়া কিছুই নয়। এরকম চিন্তা থেকে সরে আসতে হবে। এ ব্যাপারে তথ্য মন্ত্রণালয় ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে কঠোর হওয়ার অনুরোধ করব।

‘কারসাজি’ এই অভিনেতা বলেন, আমাদের সিনেমার স্পিড শক্তিশালী নয়। আগে নিজেদের জায়গা পোক্ত করতে হবে তারপর অন্য কিছু নিয়ে ভাবতে হবে। বিদেশি সিনেমা আসলে লাভের চেয়ে আমাদের ক্ষতিই বেশি হবে। এমনিতেই দর্শক প্রেক্ষাগৃহে দেশি সিনেমা দেখতে যায় না। বিদেশি সিনেমা আসলে আরও বেশি দেশি সিনেমা থেকে দর্শক মুখ ফিরিয়ে নেবে। তাছাড়া বিদেশি সিনেমা চালানোর মতো আমাদের সেরকম মানসম্মত সিঙ্গেল স্কিন নেই। সিনেপ্লেক্সে বিদেশি সিনেমা চালালে প্রেক্ষাগৃহ মালিকদের লাভ নেই। তাতে সিনেপ্লেক্স লাভবান হবে। বাংলা সিনেমা মুমুর্ষু অবস্থায় আছে। যারা বিদেশি সিনেমা আনার জন্য ভাবছেন তারা না বুঝেই এসব করছেন। আশা করি, আপনারা সুস্থ মাথায় বিষয়টি চিন্তা করবেন। একজন শিল্পী হিসেবে বিদেশি সিনেমা আমদানির পক্ষে আমি নই।

‘বলিউডের সিনেমাতে আপত্তি নেই, তবে লাভের ১০ শতাংশ চায় শিল্পী সমিতি’-নিপুণ আক্তারের এমন বক্তব্য টেনে সিদ্দিক বলেন, তিনি যে কথা বলেছেন তার জন্য আমাদের দেশে এখনো সে জায়গা তৈরি হয়নি। এটা বলার জন্য বলা। ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালাম কিছু বলতে হবে তাই বলে দিলাম। যারা এসব ধরনের কথা বলে তাদের আগে মিশন ও ভীষণ চিন্তা করতে হবে। কথা বলার আগে নিজের এডুকেশন চিন্তা করে বলতে হবে। শিল্পীদের অনেক চিন্তা-ভাবনা করে মন্তব্য করতে হয়। তাই কথা বলার আগে ভেবে চিন্তে কথা বলতে হবে। বিতর্কিত কথা বলে আলোচনায় থাকতে ভিউ বাড়ানোর চিন্তা করবেন না। বিতর্কিত কথা বলে বেঁচে থাকার মূল্য নেই।

বিতর্ক ও সমালোচনার পাহাড় ডিঙিয়ে দীর্ঘ ৪ বছরের বিরতি পেরিয়ে বাদশাহি মেজাজেই প্রেক্ষাগৃহে ফিরলেন বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান। বিশ্বজুড়ে মোট ৮০০০টি পর্দায় একযোগে চলছে তার অভিনীত আলোচিত সিনেমা ‘পাঠান’।

সিনেমাটি দেখতে দর্শক উপচে পড়ছে, এমন খবরই দিচ্ছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম। চলচ্চিত্র সমালোচকরাও সিনেমাটি দেখে দিচ্ছেন ইতিবাচক সাড়া। সিদ্ধার্থ আনন্দ পরিচালিত যশরাজ ফিল্মের এই সিনেমাতে শাহরুখের বিপরীতে অভিনয় করেছেন দীপিকা পাড়ুকোন। এছাড়াও আছেন জন আব্রাহামসহ আরও অনেকে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে হিন্দি সিনেমা প্রদর্শনের প্রতিবাদে এর আগে ২০১৫ সালের ২১ জানুয়ারি কাফনের কাপড় পরে রাজপথে নেমেছিলেন ঢালিউড তারকারা। সেসময় ব্যানার হাতে নিয়ে স্লোগান দিয়েছিলেন ঢালিউড শীর্ষ নায়ক শাকিব খান, জায়েদ খান, রুবেল, অমিত হাসান, আহমেদ শরীফ, পরীমণিসহ সেলিব্রেটি তারকারা। সঙ্গে ছিলেন সোহানুর রহমান সোহান, মুশফিকুর রহমান গুলজার, দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, মোস্তাফিজুর রহমান মানিকসহ নামি-দামি পরিচালকরাও।

পাঠান   সিদ্দিক   অভিনেতা  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

এক ফ্রেমে সালমান ও শাহরুখ পুত্র আরিয়ান

প্রকাশ: ০৮:৫৯ এএম, ০২ এপ্রিল, ২০২৩


Thumbnail

‘নীতা মুকেশ আম্বানি কালচারাল সেন্টার’-এর উদ্বোধনে এক ছাদের নিচে জড়ো হয়েছিল গোটা বলিউড। পার্টিতে আকর্ষণের কেন্দ্রে ছিল শাহরুখের পরিবার। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন সালমানও।

একসঙ্গে ছবি তুলেছেন সালমান ও শাহরুখের ছেলে আরিয়ান, যা এখন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল!

সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও শেয়ার হচ্ছে যেখানে সালমানকে গৌরী, আরিয়ান ও সুহানার সঙ্গে ছবি তুলতে দেখা গেছে। এরপরে ফটোগ্রাফারদের অনুরোধে একা ছবি তোলার জন্য সরে যেতে হয় আরিয়ানকে।

একা ছবি তোলা শেষ হলেই সালমানের সঙ্গে ছবি তুলতে চলে আসেন আরিয়ান। দুজনে এক ফ্রেমে বন্দী হন। এরপর সালমানের সঙ্গে হাত মেলান শাহরুখ পুত্র।

সালমানের সঙ্গে হাত মেলানোর দৃশ্য দেখে আরিয়ানের প্রশংসায় পঞ্চমুখ নেটিজেনরা। এক ভক্ত লিখেছেন, ‘শাহরুখের ছেলে, এটাকেই বলে সংস্কার। বড়দের শ্রদ্ধা করা এবং বিনয়ী হওয়া’। আরেকজন লিখেছেন, ‘তার সালাম দেয়া, হাত মেলানো, বড়কে সম্মান করা খুব ভালো লেগেছে। এই ছেলেটি জানে কাকে কীভাবে সম্মান করতে হয়।’

মুম্বাইয়ের জিও গ্লোবাল সেন্টারে ‘নীতা মুকেশ আম্বানি কালচারাল সেন্টার’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শাহরুখের পরিবার ও সালমান ছাড়াও ছিলেন দীপিকা, রণবীর সিং, আলিয়া ভাট, আমির খান, কিয়ারা আদভানি, সিদ্ধার্থ মালহোত্রা, সাইফ আলি খান, কারিনা কাপুর, নীতু সিং, হেমা মালিনী, করণ জোহর, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, নিক জোনাস সহ অনেকে।


সালমান   শাহরুখ পুত্র   আরিয়ান  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

নিপুণের প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছেন জায়েদ খান!

প্রকাশ: ০৮:১৮ পিএম, ০১ এপ্রিল, ২০২৩


Thumbnail

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি নিয়ে আলোচনা যেনো থামছেই না। নির্বাচন থেকে শুরু হয়া একটি পদ নিয়ে এখনো চলছে মামলা। আর এই মামলা চলমান অবস্থাতেই সুচরিতা ও রুবেলের সদস্যপদ বাতিল করেছে সমিতি। পাশাপাশি  এবার জায়েদ খানের সদস্যপদ স্থগিত হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। আগামী রোববার সমিতির মিটিং থেকে এ সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে শিল্পী সমিতি সূত্রে জানা গেছে। 

সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক সাইমন সাদিক আগামী রোববার বিকেল ৪টায় জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 
           
এ দিকে সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ আক্তারের স্বাক্ষর করা একটি চিঠিতে জানা যায়, জায়েদ খান বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেল ও গণমাধ্যমে সাধারণ সম্পাদক নিপুণের বিরুদ্ধে মানহানিকর বক্তব্য প্রদান করছেন। শিল্পী সমিতি মনে করে এতে সমিতির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। 

চিঠির বিষয়ে জানতে চাইলে জায়েদ খান বলেন, কারণ দর্শানোর চিঠিতে বলা হয়েছে, ৭ এর ক ধারা মোতাবেক আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ধারাটি এমন যে সংগঠনের উদ্দেশ্য পরিপন্থী ও বিরোধী কার্যক্রম করলে সদস্যপদ স্থগিত করা হবে। কিন্তু এটা পুরোপুরি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদটি নিয়ে মামলা এখনো বিচারাধীন। হাইকোর্ট আমাকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে রায় দিয়েছে। এর বিরুদ্ধে নিপুণ আপিল করেছে, যে আপিলটি গ্রহণ করে শুনানির জন্য রাখা হয়েছে। সেই বিচারাধীন পদ নিয়ে নিজেকে কীভাবে সাধারণ সম্পাদক দাবি করে তিনি আমাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন।

তিনি আরও বলেন,  নির্বাচনের বিষয়টি এখনও কোর্টে চলমান। এখনও সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে চূড়ান্ত রায় হয়নি। সেখানে নিপুণ আক্তার কীভাবে চিঠি পাঠায়? আমি ভারতে ছিলাম, তখন আমাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে যাতে আমি উত্তর না দিতে পারি। তারা শুরু থেকেই আমার সঙ্গে অন্যায় করে আসছে।

বিষয়গুলো পরিকল্পনা করে করা হচ্ছে উল্লেখ করে জায়েদ খান  বলেন, একের পর এক ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে তারা। তার আরেকটি উদাহারণ হলো- কমিটির সহ-সভাপতি ডিপজল ভাই চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর আছেন। এমন সময় তারা সমিতির জরুরি সভা ডেকেছে।

জায়েদ খান দাবি করেন, জোর করে সাধারণ সম্পদকের দায়িত্ব নেওয়া নিপুণের গঠনমূলক সমালোচনা করেছি বলেই তিনি আমার সমদ্যপদ বাতিলের পায়তারা করছেন।’

এদিকে, ২০২১-২০২৩ মেয়াদে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সুচরিতা কার্যনিবাহী সদস্য আর রুবেল সহ-সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরে কার্যনিবাহী কমিটির পরপর ৩ মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করেননি এমনকি সমিতির উন্নয়নমূলক কোনো কাজে দেখা যায়নি বলে তাদের সদস্যপদ স্থগিত করে শিল্পী সমিতি।

এ বিষয়ে জায়েদ খান বলেন, রুবেল সাহেব ও সুচরিতা ম্যাডামের সঙ্গেও অন্যায় হয়েছে। আদালত যখন সাধারণ সম্পাদক পদে স্থিতাবস্থার রায় দিয়েছে, তখন তারা কেউই সমিতির মিটিংয়ে যায়নি। তখন তাদের কারণ দর্শানোর চিঠি দেওয়া হয়। কিন্তু ইলিয়াস কাঞ্চন সাহেব তো সমিতির সভাপতি হিসেবে তাদের চিঠি দিতে পারেন না। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী চিঠি দিতে পারেন সাধারণ সম্পাদক অথবা সহ-সাধারণ সম্পাদক। কিন্তু তা হয়নি, এ বিষয়ে সুচরিতা ম্যাডাম ও রুবেল সাহেব ব্যাখ্যা চাইলেও জবাব মেলেনি। উল্টো তাদের সদস্যপদ স্থগিত করে দেওয়া হয়।

যদিও জায়েদ খানের এসব অভিযোগ নিয়ে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন ও সাধারণ সম্পাদক নিপুণ আক্তারের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। 

এদিকে সমিতির এমন কার্যক্রমে অনেকেই মনে করছেন নিপুণ প্রতিহিংসার শিকার হয়েই এমন কাজগুলো করছে। তারা বলছেন একবছর পার হলেও বর্তমান কমিটির দেয়া ইশতেহারের বেশী ভাবি পূরণ হয়নি। আর এরমাঝেই তারা এইসব কর্মকান্ড নিয়ে ব্যস্ত যা কিনা চলচ্চিত্রের জ্ন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাড়াচ্ছে। 


জায়েদ খান   নিপুণ  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

অভিনেতার বোনের অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও ৯ লাখ টাকা

প্রকাশ: ০৭:১৬ পিএম, ০১ এপ্রিল, ২০২৩


Thumbnail

পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় তারকা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের বোন পল্লবী চট্টোপাধ্যায় নাকি মৃত। এমনই তথ্য দেখিয়ে প্রায় নয় লাখেরও বেশি টাকা উধাও ব্যাঙ্ক থেকে। এই ঘটনায় রীতিমতো বিস্মিত অভিনেতার বোন। অভিনেত্রী পল্লবীর মৃত্যুর দাবি করেই তার পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হয়ে গেছে ৯ লাখ ১৭ হাজার টাকা।

ভারতীয় গণমাধ্যমে অভিনেত্রী বলেন, শরৎ বোস রোডের অ্যাক্সিস ব্যাংকে আমার একটি পিপিএফ ফান্ড ছিল। দীর্ঘদিন ধরেই সেখানে টাকা সঞ্চয় করছি আমি। হঠাৎ ব্যাংক মারফত জানতে পারি, আমার ওই অ্যাকাউন্ট নাকি বন্ধ হয়ে গেছে।

সেই সঙ্গে পল্লবী আরও জানতে পারেন, তার প্রভিডেন্ট ফান্ডের সব সঞ্চিত টাকা উধাও হয়ে গেছে। এমনকি অভিনেত্রীকে মৃত বলেও দাবি করা হয়েছে। আর এই দাবি করেই অ্যাকাউন্ট থেকে ওই টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। আর এই পুরো ঘটনা জানার পর রীতিমতো হতবাক পল্লবী।

তিনি বলেন, আমি ব্যাংকের কাছে জানতে চাই, আমি যদি মৃত হই, তা হলে তো আমার ডেথ সার্টিফিকেট দেখাতে হবে। সেটা কোথায়? কিন্তু এর কোনো জবাব পাইনি আমি। আসলে এটা অনেক বড় জালিয়াতির চক্র চলছে।

ওই ঘটনা জানার পর ইতোমধ্যে আমি কড়েয়া থানায় এফআইআর দায়ের করেছি। তবে ব্যাংকের পক্ষ থেকে আমাকে জানানো হয়েছে, আগামী ১৬ থেকে ১৭ এপ্রিলের মধ্যে উধাও হয়ে যাওয়া টাকা ফেরত দেওয়া হবে। তবে ওই টাকা আদৌ ফেরত পাবেন কিনা, সে নিয়ে ব্যাপক সন্দেহ রয়েছে অভিনেত্রীর।

তবে কেন্দ্রের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত একটা ব্যবস্থায় এত বড় জালিয়াতি! আজ আমার সঙ্গে হয়েছে। হয়তো আরও অনেকের সঙ্গেই হচ্ছে, আমরা সেগুলো জানতে পারছি না। কিন্তু এমন প্রতারণায় সত্যি আমি বিস্মিত।

প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

প্রতারণার অভিযোগে যা বললেন নায়ক রিয়াজ

প্রকাশ: ০৭:০৫ পিএম, ০১ এপ্রিল, ২০২৩


Thumbnail

চিত্রনায়ক রিয়াজকে শুধু অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ করা হয়। কিন্তু রিয়াজ এই নির্মাতার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও অপপ্রচার চালিয়ে বিজ্ঞাপন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের খেপিয়ে তুলে তার নিজের দখলে নিয়ে নেন। যার ফলে রংপুর ক্যামিকেল লি. প্রতিষ্ঠানের থেকে অ্যাডপ্লাস বিজ্ঞাপন সংস্থার চুক্তি বাতিল হয়ে যায়।

এম দাবির বিপরীতে রিয়াজের মন্তব্য, কোম্পানি যদি তার সঙ্গে কোনো চুক্তি বাতিল করেন সেটাতো আমার বিষয় নয়। আমি এখানে কিভাবে এলাম এটা বুঝতে পারছি না। আমি শিল্পী। তিনি যদি আমাকে কাজের প্রস্তাব দেন সেটি আমার পছন্দ হলে আমি কাজ করব। আমার কোনো সমস্যা নেই। 

এমন অবস্থায় পরিচালক সমিতিতে আর্জি জানিয়ে ওই নির্মাতা বলেন, আমার রিজিক হরণকারী, ওয়াদা ভঙ্গকারী, সম্মান ধ্বংসকারী, বেঈমান চিত্রনায়ক রিয়াজ কর্তৃক আমার ওয়ার্ক অর্ডারপ্রাপ্ত তিনটি বিজ্ঞাপনের নির্মাণ কাজ দ্রুত বন্ধ করার যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সমিতির কাছে বিনীত আবেদন করছি। সেই সাথে আমার ওয়ার্ক অর্ডারপ্রাপ্ত তিনটি বিজ্ঞাপনের নির্মাণ দায়িত্ব ফিরিয়ে পাবার আকুল আবেদন জানাচ্ছি এবং এমন অমানবিক কর্মকাণ্ড করা ও আমার মান সম্মান নষ্ট করার দায়ে রিয়াজের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’


রিয়াজ  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

সাবেক ইরাকি রাষ্ট্রপতি সাদ্দামকে নিয়ে নির্মিত হচ্ছে সিনেমা

প্রকাশ: ০৬:৫৮ পিএম, ০১ এপ্রিল, ২০২৩


Thumbnail

উইল বার্ডেনওয়ার্পারের বই ‘দ্য প্রিজনার ইন হিজ প্যালেস’ অবলম্বনে তৈরি হতে চলেছে সিনেমা। একই নামের এই সিনেমায় ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের জীবনের শেষ দিনগুলোর ঘটনা দেখানো হবে।

সাদ্দাম হোসেনের বিরুদ্ধে ধ্বংসাত্মক অস্ত্র তৈরি করার অভিযোগে যুক্তরাজ্য, কুয়েতসহ বেশ কয়েকটি রাষ্ট্রের সমর্থন নিয়ে ২০০৩ সালে ইরাক আক্রমণ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সে বছরের শেষ দিকে মার্কিন সামরিক বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন সাদ্দাম হোসেন।

পরবর্তীতে তাকে ইরাক সরকারের হাতে তুলে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। সাদ্দামের বিচার চলাকালীন মার্কিন পুলিশের ১২ জন সদস্যকে তার ব্যক্তিগত রক্ষী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। এদেরকে বলা হতো ‘সুপার টুয়েলভ’।

জীবনের শেষ ছয় মাস সুপার টুয়েলভের সদস্যদের সান্নিধ্য পেয়েছিলেন সাবেক এই ইরাকি রাষ্ট্রপতি। প্রত্যেকের সাথেই তার হয়ে উঠেছিল বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। জীবনের অনেক ঘটনার কথা বলার সুযোগ হয়েছিল সাদ্দাম হোসেনের। ‘দ্য প্রিজনার ইন হিজ প্যালেস’ বইয়ের লেখক উইল বার্ডেনওয়ার্পার ছিলেন সুপার টুয়েলভের একজন, যিনি সাদ্দামের জীবনের শেষ কিছু সময়ের সাক্ষী ছিলেন।

উইল বার্ডেনওয়ার্পারের সাদ্দামের জীবনের শেষ ছয় মাসের নানা বিষয় তুলে ধরেছেন তার বইতে। সেই ঘটনাগুলো নিয়েই তৈরি হবে সিনেমাটি। সাদ্দাম সম্পর্কে জানা যাবে অনেক অজানা তথ্য।

সিনেমাটির প্রযোজনা করবেন রেঙ্ক ও প্যারেটস। নির্বাহী প্রযোজক হিসেবে থাকছেন বার্ডেনওয়ার্পার। স্ক্রিনরাইটার হিসেবে থাকছেন ডারবি কিয়ালে।

ইরাকি রাষ্ট্রপতি   সাদ্দাম হোসেন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন