বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলনের ৬০ বছর ও ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ অব বাংলাদেশের ৫০ বছর পূর্তি উৎসব এ বছর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।জাতীয়ভাবে এই আনন্দঘন সময়কে উদযাপনের লক্ষ্যে গ্রহণ করা হয়েছে বছরব্যাপি নানা কর্মসূচি। আজ রোববার (১৯ মার্চ) বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নাট্যশালা মিলনায়তনে বছরব্যাপি এ উদযাপনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবং এর সমাপনী হবে আগামী ২৮ অক্টোবর। এ উপলক্ষ্যে গত মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সেমিনার কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে আয়োজক কমিটি।
আয়োজক কমিটি জানায়, বাংলাদেশে চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলনের যাত্রা শুরু হয় ‘পাকিস্তান চলচ্চিত্র সংসদ’-এর হাত ধরে, ১৯৬৩ সালের ২৫ অক্টোবর। স্বাধীনতার পরে সংগঠনটি নাম বদলে হয় ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সংসদ’। ১৯৭৩ সাল নাগাদ দেশে চলচ্চিত্র সংসদের সংখ্যা ছিল ডজনের ওপরে। সে বছর ২৪ অক্টোবর সক্রিয় চলচ্চিত্র সংসদগুলো একত্রিত হয়ে গঠন করে এই আন্দোলনের একটি ফেডারেটিভ বডি। নেতৃত্বে ছিলেন আলমগীর কবির। তখনকার ‘বাংলাদেশ ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ’-ই নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে এখনকার
‘ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ অব বাংলাদেশ’ হিসেবে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলনের ৬ দশকপূর্তির সঙ্গে সঙ্গে আন্দোলনের এই ফেডারেটিভ বডিরও পঞ্চাশ বছর পূর্ণ হচ্ছে এ বছর।
আয়োজক কমিটি আরও জানায়, চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলনের ৬০ বছর ও ফেডারেশনের ৫০ বছর পূর্তির এই দুই যুগল উপলক্ষ্য উদযাপন করতে ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ অব বাংলাদেশ হাতে নিয়েছে বছরব্যাপী কর্মসূচি। তার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে আগামী ১৯ মার্চ রবিবার সন্ধ্যা ৬টায়। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে সে আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মাননীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন প্রবীণ শিল্পী মুস্তাফা মনোয়ার। আরো থাকবেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক নাট্যজন লিয়াকত আলী লাকী। দেয়া হবে ‘ছয় দশকের সেরা চলচ্চিত্র সংসদ সম্মাননা’। দেখানো হবে চলচ্চিত্র সংসদকর্মী নুরুল আলম আতিকের ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’। বছরব্যাপী আয়োজনে আরো থাকবে চলচ্চিত্র উৎসব, সেমিনার, কর্মশালা, স্মারকগ্রন্থ প্রকাশ, প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ ও নৌভ্রমণ। আগামী ৮ থেকে ১৭ জুন হবে চলচ্চিত্র সংসদকর্মীদের নির্মিত চলচ্চিত্রের উৎসব। তার অংশ হিসেবে দুটি সেমিনারও আয়োজন করা হবে। পরে পৃথক একটি সেমিনার আয়োজন করা হবে বাংলাদেশে চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলনের ওপর। তাতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও চলচ্চিত্র গবেষক লোটে হোয়েক।
আগামী ১৮ থেকে ২৮ অক্টোবর আয়োজন করা হবে বাংলাদেশের ৫০ বছ বাংলাদেশের ৫০ বছরের শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত চলচ্চিত্র উৎসব। তাতে কাহিনিচিত্র, প্রামাণ্যচিত্র ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র- এই তিন বিভাগে সর্বোচ্চ ১০টি করে চলচ্চিত্র বাছাই করা হবে। প্রদান করা হবে ‘বাংলাদেশের ৫০ বছরের শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র’ সম্মাননা। অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সংসদ ফেডারেশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব মোস্তাফিজ বলেন, বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ব্যপ্তি বাড়াতে এবং দেশের জাতীয় সংস্কৃতিকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে প্রয়োজন নীতিগত সমর্থন। সে জন্য বাংলা চলচ্চিত্র সোসাইটির বিকাশে আরও ক্ষেত্র তির করতে হবে। সরকারি পৃষ্ঠপোশকতা ছাড়াই চলচ্চিত্র সোসাইটি তাদের কার্যক্রমের মাধ্যমে ইতিমধ্যেই সর্বোচ্চ অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সংসদ ফেডারেশন ৫০ বছর
মন্তব্য করুন
বাংলা
চলচ্চিত্রের দর্শকপ্রিয় অভিনেতা
মিজু আহমেদের পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চলে যাওয়ার আজ ছয় বছর।
২০১৭ সালের (২৭ মার্চ)
এই দিনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি।
একটি
চলচ্চিত্রের শুটিংয়ের জন্য রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে দিনাজপুর যাওয়ার পথে ঢাকা বিমানবন্দর রেলস্টেশনে পার হওয়ার সময় ট্রেনে হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। তখনই
তাকে স্থানীয় কুর্মিটোলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মিজু আহমেদের মরদেহ কুষ্টিয়া জেলার কোর্টপাড়া পৌর এলাকায় দাফন করা।
মিজু
আহমেদ মূলত খল অভিনেতা হিসেবে
বাংলা চলচ্চিত্রে বেশি পরিচিত। তবে একজন প্রযোজক হিসেবেও ঢালিউডপাড়ায় পরিচিতি আছে তার। তিনি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতিও ছিলেন।
১৯৭৮
সালে ‘তৃষ্ণা’
চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি অভিনেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। কয়েক বছর পরে তিনি ঢালিউড চলচ্চিত্রশিল্পে অন্যতম সেরা একজন খলনায়ক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন।
এ
ছাড়া মিজু আহমেদ তার নিজের চলচ্চিত্র প্রযোজনা সংস্থা ‘ফ্রেন্ডস মুভিজ’-এর ব্যানারে বেশ
কয়েকটি চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেছেন।
মিজু
আহমেদ ১৭ নভেম্বর ১৯৫৩
সালে কুষ্টিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর আসল নাম মিজানুর রহমান। শৈশব থেকে তিনি থিয়েটারের প্রতি খুবই আগ্রহী ছিলেন। পরবর্তী সময়ে তিনি কুষ্টিয়ার স্থানীয় একটি নাট্যদলের সঙ্গে যুক্ত হন।
বড়পর্দায়
এ পর্যন্ত প্রায় ৮০০টি ছবি মুক্তি পেয়েছে তাঁর। তাঁর অভিনীত ছবিগুলো মধ্যে হচ্ছে ‘তৃষ্ণা’
(১৯৭৮), ‘মহানগর’
(১৯৮১), ‘স্যারেন্ডার’
(১৯৮৭), ‘চাকর’
(১৯৯২), ‘সোলেমান ডাঙ্গা’
(১৯৯২), ‘ত্যাগ’
(১৯৯৩), ‘বশিরা’
(১৯৯৬), ‘আজকের সন্ত্রাসী’
(১৯৯৬), ‘হাঙ্গর নদী গ্রেনেড’
(১৯৯৭), ‘কুলি’
(১৯৯৭), ‘লাঠি’
(১৯৯৯), ‘লাল বাদশা’
(১৯৯৯), ‘গুন্ডা নাম্বার ওয়ান’
(২০০০), ‘ঝড়’
(২০০০), ‘কষ্ট’
(২০০০), ‘ওদের ধর’
(২০০২), ‘ইতিহাস’
(২০০২), ‘ভাইয়া’
(২০০২), ‘হিংসা প্রতিহিংসা’
(২০০৩), ‘বিগ বস’
(২০০৩), ‘আজকের সমাজ’
(২০০৪), ‘মহিলা হোস্টেল’
(২০০৪), ‘ভণ্ড ওঝা’
(২০০৬) ইত্যাদি।
‘তৃষ্ণা’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য ১৯৯২ সালে সেরা অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান মিজু আহমেদ।
মন্তব্য করুন
২০১৫
সালে মুক্তি পায় কারিনা কাপুর ও সালমান খান
অভিনীত ছবি ‘বাজরাঙ্গি ভাইজান’। ব্যবসায়িক সাফল্যের
নিরিখে তৎকালীন হিন্দি সিনেমার ইতিহাসে নজির গড়েছিল সেই ছবি। প্রায় ৩০০ কোটি রুপির ব্যবসা করে এটি। ২০২১ সালে জানা যায়, আসতে চলেছে এই ছবির দ্বিতীয়
পর্ব।
আগের ছবিতে কারিনা ও সালমানের জুটি ভালবাসা পেয়েছিল দর্শক মহলে। এবার শোনা গেল, সেই ছবি থেকেই নাকি বাদ পড়লেন কারিনা। সেই জায়গায় দেখা যাবে দক্ষিণী ছবির জনপ্রিয় এক অভিনেত্রীকে।
এমনিতেই এই মুহূর্তে ভারতীয় সিনেমায় দক্ষিণের দাপট, আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি থেকে ব্যবসায়িক সাফল্য— সব দিকেই দক্ষিণী ছবির আধিপত্য। এবার শোনা যাচ্ছে, কারিনার পরিবর্তে ‘বাজরাঙ্গি ভাইজান’ -এর দ্বিতীয় পর্বে থাকছেন পূজা হেগড়ে। ছবির নামও নাকি বদলে ফেলে করা হচ্ছে ‘পবনপুত্র ভাইজান’।
দক্ষিণী ছবিতে একের পর এক হিট দিয়েছেন পূজা। এই ঈদে সালমান খানের বিপরীতে তার ‘কিসি কা ভাই কিসি কি জান’ ছবিটি মুক্তি পেতে চলেছে। সেই কারণেই কি কোপ বেবো’র উপর!
এই প্রসঙ্গে ছবি চিত্রনাট্যকার বীজেন্দ্র প্রসাদ বলেন, “আমি ছবির চিত্রনাট্য শুনিয়েছি সালমানকে। ভাইজানের পছন্দ হয়েছে গল্প। নামটাও মনে ধরেছে।”
তবে কারিনাকে এই ছবির দ্বিতীয় ভাগে দেখা যাবে কি না, সেই প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করেননি চিত্রনাট্যকার।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
হ্যারি পটার অভিনেতা ড্যানিয়েল রেডক্লিফ
মন্তব্য করুন
একটি চলচ্চিত্রের শুটিংয়ের জন্য রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে দিনাজপুর যাওয়ার পথে ঢাকা বিমানবন্দর রেলস্টেশনে পার হওয়ার সময় ট্রেনে হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। তখনই তাকে স্থানীয় কুর্মিটোলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মিজু আহমেদের মরদেহ কুষ্টিয়া জেলার কোর্টপাড়া পৌর এলাকায় দাফন করা।